নিখোঁজ
ভোলায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
ভোলা, ২২ জানুয়ারি(ইউএনবি)- ভোলার মেঘনা নদীতে মালামাল বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার(২২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোরা খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৭ জনসহ পণ্যবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৫ জনকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।
নিখোঁজ দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তাদের নাম রাজ্জাক সরদার ও পারভেজ সরদার। জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫ সদস্যদের মধ্যে রাসেল সর্দার ভোলার রাজাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের রতন সর্দারের ছেলে। বাকি রিয়াজ,সাকিল,রুবেল ও ফারুক একই এলাকা বাসিন্দা বলে জানান সাকিল।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সাকিল সাংবাদিকদের জানান, তারা ভোলার মনপুরা উপজেলা থেকে ভাঙাগারি মালামাল বোঝাই করে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা করে ইলিশা ঘাটে পৌঁছার আগেই তাদের ট্রলারের মেশিনের ফ্যান ভেঙ্গে যায়। ফ্যান মেরামত করে ফের যাত্রা শুরু করলে উত্তর দিক থেকে প্রবল বাতাসের আঘাতে ট্রলারটির সামনের অংশ ডুবে গেলে তারা ৫ জন নদীতে লাফিয়ে পরেন।
নিখোঁজ রাজ্জাক ও পারভেজ ভিতরে আটকা পরায় তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেননি তারা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা জীবিতদের উদ্ধার করে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে কোস্ট গার্ড,নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, মনপুরা থেকে একটি ট্রলার অতিরিক্ত ভাঙ্গারি মালামাল নিয়ে মেহেন্দীগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে ট্রলারটি মেঘনা নদীর জোরখাল এলাকায় তীব্র বাতাস ও স্রোতের চাপে ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা পাঁচজন জেলে ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার হয়। বাকি ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ থাকা সকলেই মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ কুমার আরও জানান, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
পঞ্চম দিনে উদ্ধার একটি ট্রাক, এখনো নিখোঁজ ফেরি মাস্টার
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে রজনীগন্ধা ফেরি ডুবে যাওয়ার পঞ্চম দিনেও নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন আহমেদ। তবে পঞ্চম দিনে আরও একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
রবিবার দুপুরে ১২টার দিকে নদীর তলদেশ থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করে তা পাটুরিয়া ঘাটের ২ নম্বর পন্টুন এলাকায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ফেরিডুবির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি জানান, ফেরির নিচের অংশে বাতাস দিয়ে ফেরিটিকে তোলার চেষ্টা চলছে। তবে ফেরিটিতে বেশ কয়েকটি ফাটল থাকায় এয়ার লিফটিং ফেরির একপাশে মোটা তার পরানো হয়েছে। অন্যপাশেও পরানোর কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, ডুবন্ত ট্রাকগুলো শনাক্ত করতে ঝিনাই-১ নামের আরও একটি উদ্ধারকারী জাহাজ আনা হচ্ছে। সেটি এলে মাল্টি ভিম ইকো সাউন্ডের মাধ্যমে নদীর তলদেশ থেকে শনাক্ত করার কাজ শুরু হবে।
তিনি জানান, এ নিয়ে উদ্ধার হওয়ার ট্রাকের সংখ্যা চারটি। এখনো তলদেশে নিমজ্জিত আছে আরও পাঁচটি ট্রাক। সেগুলো শনাক্ত করতে পারেনি ডুবুরী দল।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ফেরিডুবি: এখনও উদ্ধার হয়নি ডুবে যাওয়া ফেরি ও ৬ ট্রাক
উল্লেখ্য, গত বুধবার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি রজনীগন্ধা সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে নোঙ্গর করা অবস্থায় ছোট-বড় ৯টি যানবাহন এবং চালক-সহকারীসহ ২১ জন নিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ফেরির সহকারী ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন আহমেদ এখনো নিখোঁজ।
আরও পড়ুন: পদ্মা ফেরিডুবি: সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জাতীয় কমিটির
২২ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব বাড়ি ফিরেছেন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদে বাড়ি ফিরেছেন। দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
২২ দিন পর শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে খুলনার হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর গড়াই নদ থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। রাজিব ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে দাবি ছিল পরিবারের।
ওই দিন রাতেই কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন। তার উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধনও করে পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া-৩: মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিবের স্ত্রী রায়হানা বেগম বলেন, আমরা কুমারখালী শেরকান্দি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতাম। সেখান থেকে রাজিব নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া-আসা করত। নিখোঁজের কয়েক দিন আগে আমি খোকসা বাবার বাড়িতে যাই। ২১ ডিসেম্বর রাতে তিনি আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন শুক্রবার গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাই।’
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমার স্বামী ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন আমি কোথায় আছি। আমি তাকে বলি খোকসায়। তিনি বলেন, আমি আসতেছি। ঘণ্টাখানেক পর তিনি বাড়িতে আসেন।
এতদিন কোথায় ছিল এসব বিষয়ে কথা হলে তিনি কিছুটা সময় নিশ্চুপ থেকে বলেন, আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ ও ক্লান্ত, আমি এখন ঘুমাব। এ জন্য তাকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে তার ফিরে আসার খবর শ্বশুরবাড়ি ও পুলিশকে জানাই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে তাকে কুমারখালী থানায় নিয়ে যায়। সঙ্গে আমিও ছিলাম। থানা থেকে আমি জিডি তুলে নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ভেড়ামারা নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদের বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে আমার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ চলছিল। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মগোপনে চলে যায়। শুক্রবার রাতে ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে জানতে পারি, সে ফিরে এসেছে। পরে আমরা গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে রাজিব আহমেদ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি মানসিকভাবেও কিছুটা বিপর্যস্ত।
সিডিআর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিখোঁজের পর থেকে তিনি একাধিক সিমও ব্যবহার করেছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায় খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন
বঙ্গোপসাগরে ১৩ জেলে নিয়ে নিখোঁজ মাছ ধরার ট্রলার
চট্টগ্রামের আনোয়ারার সরেঙ্গা ঘাট থেকে ১৩ জেলে নিয়ে ‘মা জননী’ নামে একটি মাচ ধরার ট্রলার গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে আনোয়ারার উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সরেঙ্গা ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য রওনা দেয় ট্রলারটি।
ট্রলার এর মালিক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ট্রলার রওনা দেওয়ার সময় প্রায় দুই সপ্তাহের মতো খাবার দেওয়া হয়। বুধবার রাতে রওনা দেওয়ার পর শুক্রবার তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
তারা তখন জানিয়েছিলেন, ট্রলারের ইঞ্জিনের সমস্যা হয়েছে ট্রলার চলছে না। তারা এখন পানিতে ভাসছে। তখন তারা সেন্টমার্টিনের বাইরে ও টেকনাফের কাছাকাছি ৩০ ভিউ পানিতে (জেলেদের নিজস্ব ভাষা) নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থান করছিলেন।
পরে তখনই তাদের উদ্দেশে আমরা আরেকটি ট্রলার পাঠাই। ট্রলারটি তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো খোঁজ পায়নি। বিষয়টি আমরা নৌপুলিশকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
এ বিষয়ে নৌপুলিশের কর্তব্যরত মো. ফারুক জানান, বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। তবে আমরা গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনের ডিউটিতে রয়েছি। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি, যাতে কেউ খবর পেলে আমাদের জানায়।
১০ দিনেও খোঁজ মিলেনি কুমারখালীর নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি রাজিব আহমেদ (৪০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার।
স্বজনদের দাবি, গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
তিনি জেলার ভেড়ামরা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
রায়হানা জানান, দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাসখানেক ধরে তার বাবার বাড়ি খোকসায় আছেন। তার স্বামী কুমারখালী শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া আসা করে। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তার স্বামী মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছিল শুক্রবার ( ২২ ডিসেম্বর) তিনি ( রাজিব) গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে স্বামীর ফোন বন্ধ পান তিনি।
তিনি আরও জানান, ওই দিন বিকাল থেকেই তিনি তার স্বামীকে স্বজন, বন্ধুসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে থানায় জিডি করেছেন তিনি।
রায়হানা বলেন, স্বামী রাজিবের কোনো শত্রু ছিল না। তবে তাদের সংসার জীবনে কিছুটা পারিবারিক কলহ ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করছেন তারা। থানায়ও গিয়েছেন। তবুও ভাইকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল।
রাজিব আহমেদকে তার স্ত্রী রায়হানা মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেন সান্টু।
পূবালী ব্যাংক কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ জানান, রাজিব খুব ভদ্র, নম্র ভালো মানুষ। অফিসে কারো সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। গত ২০ ডিসেম্বর শেষ অফিসে এসেছিলেন রাজিব।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
চট্টগ্রামে নিখোঁজের ২দিন পর পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তাহমিদ (৫) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির অদূরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। পরে তার লাশ করে স্থানীয়রা।
তাহমিদ উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলমের ছেলে।
পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত তাহমিদের ফুফা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইমরান জানান, গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে তাহমিদ নিখোঁজ ছিল। পরে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল (বুধবার) রাতে হত্যা করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মণিরামপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে ২ বছরের শিশু মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নিখোঁজের ছয় দিন পর বাগান থেকে শাহীন আলী নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাংমড়কা এলাকার একটি মাঠের মেহগনি বাগান থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহত শাহীন আলী উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের তেকালা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সানেহ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে শাহীন আলী তার দাদার ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই স্কুলছাত্রকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরের দিন মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। গত ছয় দিন আগে ভ্যান গাড়িসহ শিশুটি নিখোঁজ হয়। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঘের থেকে মাছ চাষির লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে রাজমিস্ত্রির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রসীত বিকাশ খীসা পন্থী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পানছড়ির ৯নং ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা আরো ২ জনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ইউপিডিএফ ঘটনার দাবি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
নিহতরা হলেন- প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
এছাড়াও ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাং এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
মোবাইলে কথা বলার সময় ফেরি থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলন্ত ফেরি থেকে নদীতে পড়ে ফজলুল হক নামে একজন নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ফেরি থেকে পানগুছি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
নিখোঁজ ফজলুল হক (৭০) পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চর খোলপটুয়া গ্রামের জেন্নাত আলী শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা তার ছেলে সেলিম শেখ বলেন, আমরা বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার পথে ফেরি পারাপারের সময় বাবা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অসতর্কতাবশত নদীতে পড়ে যান।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস মোরেলগঞ্জ স্টেশন কর্মকর্তা প্রবীর দেবনাথ বলেন, ঘটনার পরপরই নিখোঁজ বৃদ্ধের সন্ধানে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে শনিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
মেঘনায় গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে জুলেখা আক্তার (৭) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের পাশে এমপি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
জুলেখা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের সুজন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুলেখা তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামে তার নানা হান্নান মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার দুপুর ১টায় শিশুটি নানার বাড়ির পাশে মেঘনা নদীতে বড় বোনের সঙ্গে গোসল করতে যায়। নদীতে ডুব দিয়ে আর উপরে উঠেনি জুলেখা। স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পায়নি। বর্তমানে নবীনগর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার মাতব্বর জানান, সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের একটি টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার