নিখোঁজ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগর উপকূল থেকে মো. এমদাদুল হক (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কুমিরা এলাকার সাগর উপকুল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে দিনমজুরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
জানা যায়, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সাইক্লোন মিধিলির প্রভাবে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাগরে পাথর বোঝাই একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেলে সবাই সাঁতরে কূলে উঠলেও এমদাদ নিখোঁজ হন।
এদিকে তিন দিন পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরায় সাগরের জোয়ারের পানিতে লাশটি ভেসে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৃত এমদাদুল হকের ভাই শহীদুল্লাহ।
কুমিরা নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ নাছির বলেন, কুমিরা সাগর উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানিতে একটি লাশ ভাসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ও গাউছিয়া কমিটির সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে খাল থেকে স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নাটোরে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও এক শিশু পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউপির কাজিপাড়া এলাকায় মহানন্দা নদীর নতুনপাড়া ঘাট এলাকায় ঘটে। মৃত শিশু মাহমুদুল্লাহ (৯) কাজিপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও নিখোঁজ সিফাত (১৩) একই এলাকার হানিফের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দুজনে মিলে সিমেন্টের বস্তা ধুয়ার জন্য নদীতে গিয়েছিলো। কাজ শেষে দপুর ১টার দিকে গোসল করার সময় মাহমুদুল্লাহ ও সিফাত নদীর পানিতে ডুবে যায়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা মহমুদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করলেও সিফাত এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মহানন্দা নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
খুলনায় নিখোঁজের ২ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
খুলনায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর সুমন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল পৌনে দশটার দিকে জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
জানা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে শনিবার বাড়ি থেকে বের হয় সুমন। দুই দিন অতিবাহিত হলেও সে আর ঘরে ফেরেনি। সোমবার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে সুমনের মা দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি করার একদিন পরেই মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তঅ (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, নিহতের কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে দুই সন্তানসহ মা নিখোঁজ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পারভীন বেগম (৩০) নামের দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ওসমানী হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তারা নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজেরা হলেন- মোছা. পারভীন বেগম (৩৫), ইমাদ আহমদ (৫) ও সাদিয়া আক্তার (৪ মাস)।
রবিবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসএমপির গণমাধ্যম শাখা জানায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০) গত ১৪ অক্টোবর তার কিডনি রোগে আক্রান্ত ছেলে ইমাদ আহমদকে (৫)- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
ভর্তিকৃত শিশু ইমাদের সঙ্গে মা মোছা. পারভীন বেগম এবং বোন সাদিয়া আক্তার হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে তাদের রেখে ওষুধ কিনতে হাসপাতালের বাইরে যান আব্দুর রহিম। এর একঘন্টা পর দুপুর ১২টার দিকে আব্দুর রহিম ওয়ার্ডে ফিরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুঁজে পাননি।
পরবর্তীতে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার স্ত্রী-সন্তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন।
নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া গেলে এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানা (ডিউটি অফিসার মোবা-০১৩২০-০৬৭৫৭৩, এসআই/খন্দকার জাফর ইমাম-০১৭৫৫-২২৩৫৩৮) যোগাযোগ করার জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
সিরাজগঞ্জ সদরের ইছামতি নদীতে ধরতে গিয়ে সাগর আলী (১৮) নামে এক কিশোর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নিখোঁজ সাগর পাশ্ববর্তী ফুলবয়ড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাগর ও তার তিন বন্ধু মিলে একডালা এলাকায় ওই নদীতে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরা শেষে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে ২ বন্ধু তীরে উঠে এলেও সাগর ডুবে নিখোঁজ হন।
কাজিপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন জানান, কাজিপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহীর ডুবুরি দল শনিবার সকাল থেকে ওই নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ সাগরকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের সাতদিন পর পৌর শহরের একটি পুকুর থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহমুদুল ফেরদৌস মামুন রাজারহাট উপজেলার ছিনাইহাট গ্রামের ছবরুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, মামুন কিছুদিন আগে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছে। এর মধ্যে গত ৯ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ হয় মামুন।
ওইদিন সন্ধ্যায় মামুন তার বড় ভাই মাহবুবুল ফেরদৌস রতনকে মুঠোফোনে জানায় তাকে কয়েকজন আটকে রেখে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করছেন। পরে তার ভাই টাকা পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে, আর যোগাযোগ করতে পারেননি। এঘটনায় রাজারহাট থানায় সাধারণ ডাইরি জিডি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৯ তারিখ রাজারহাট থানায় নিখোঁজ জিডি করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এ পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে গতরাতে ৩ জন আটক করি এবং থানায় মামলা রেকর্ড হয়। সোমবার আমরা নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করলাম।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রানীরবন্দরে কিশোরীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ধানখেত থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজের চার দিন পর সিলেটের শ্রীরামপুরের ইয়ামিন আরাফাত হামিমকে (১৯) অচেতন অবস্থায় টার্মিনাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে হামিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হামিমের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইয়ামিন আরাফাত হামিম মোগলাবাজার থানাসংলগ্ন শ্রীরামপুরের শেখপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে মোবাইল ফোন বিক্রির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন হামিম। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
এ ঘটনায় তার বাবা বুধবার (১১ অক্টোবর) মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
হামিমের পরিবার জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর হামিমের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল আসে। তখন হামিম বলে, তাকে ৪ জন লোক একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে। তাদের হাতে বন্দুক আছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে হামিমের সঙ্গে তার পরিবারের শেষ কথা হয়। তারপর থেকে হামিমকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানায় তার পরিবার।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন জানান, নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮টায় কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ইয়ামিন আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এলজিইডি কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর গড়াই নদ থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় নিখোঁজের একদিন পর গড়াই নদ থেকে এক স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ সংলগ্ন গড়াই নদ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত তারা শংকর সরকার (৪৫) জুগিয়া কানাবিল মোড় এলাকার শক্তিপদ সরকারের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার স্বর্গপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা শংকর মানসিকভাবে বির্পযস্ত ছিলেন। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন নিহতের পরিবার। সন্ধ্যায় গড়াই নদীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ এলাকায় ভাসমান একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তবে তার শরীরে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় রাস্তায় লাশ ফেলে পালালেন নারী
মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সিকিমের বেশ কয়েকটি শহরে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের বন্যার পরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ২৬টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ১০২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বন্যায় ১৪ জন মারা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে ২২ জন সেনা সদস্য রয়েছে। বন্যার কারণে কিছু সেনা ক্যাম্প ও যানবাহন কাদায় তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার নিখোঁজ হওয়া এক সেনা সদস্যকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ১১টি সেতু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এবং চারটি জেলার ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
সিকিম রাজ্যের লাচেন উপত্যকায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং একটি বাঁধের কিছু অংশ ভেসে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তিস্তার পাড়ের ডিকচু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং রবিবার পর্যন্ত চারটি জেলার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের রাজধানী সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী একটি মহাসড়কের কিছু অংশ ভেসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যার পরে সরকার রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে।
আকস্মিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে, যা হাজার হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাজ্যের ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নিকটবর্তী হিমাচল প্রদেশে গত আগস্টে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
জুলাই মাসে রেকর্ড বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে জলাবদ্ধ ও বাড়িঘর ধসে পড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
জুন-সেপ্টেম্বরে বর্ষা মৌসুমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় প্রায়ই প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে এ অঞ্চলে আরও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে।
বুধবারের আকস্মিক বন্যার বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের জলবায়ু বিজ্ঞানী জ্যাকব স্টেইনার বলেছেন, ‘এটি দুঃখজনকভাবে সত্যি যে অনিবার্যভাবে এ ধরনের দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে।’
এই বছরের শুরুতে স্টেইনারের সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে হিমালয়ের হিমবাহগুলোর আয়তন ৮০ শতাংশ কমতে পারে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২০০ মানুষ মারা যায় এবং বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত