হাইকোর্ট
ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি হাইকোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অব্যাহতি দিয়ে জামিন দিয়েছেন।
খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার একদিন পর শুক্রবার আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, খান এখন ‘মুক্ত মানুষ’ এবং আদালতের এ রায় ন্যায়সঙ্গত।
খানকে আদালতে উপস্থিত করার পর তাকে ফের পুলিশ হেফাজতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, নাকি তাকে জামিন দেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
আদালতের এই রায়ের পর কয়েকদিন ধরে সরকার এবং খান সমর্থকদের মধ্যে চলা সহিংস সংঘর্ষ প্রশমিত হয়।
৭০ বছর বয়সী খান দেশটির একজন জনপ্রিয় বিরোধী নেতা, গত মঙ্গলবার একই আদালতে তিনি হাজির হন; যেখান থেকে তাকে টেনে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তাকে গ্রেপ্তারের ফলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তার সমর্থকরা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর লুট করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার প্রায় তিন হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবারের আদালতের অধিবেশন জটিল আইনি কৌশলের একটি সিরিজের অংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেন, খানের গ্রেপ্তার বেআইনি ছিল, কিন্তু তারপরেও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট একটি নিম্ন আদালতকে গ্রেপ্তার বহাল রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, শুক্রবার ইসলামাবাদের আদালত যা রায় দেবে তা তারা মেনে নেবেন।
সরকার বলেছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার আগের আদেশ বহাল রাখলে তারা ফের দ্রুত খানকে গ্রেপ্তার করবে।
শুক্রবার ইসলামাবাদ আদালতের একটি প্রাথমিক সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে, বিচারকরা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা চেয়ে খানের একটি অনুরোধের শুনানি করেন। আদালত কক্ষে খানের সমর্থকরা স্লোগান দেওয়ায় বিচারক অধিবেশন দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খানকে দুর্নীতির মামলায় জামিন দেওয়া হলেও অন্যান্য অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন তিনি।
সরকারের দাবি, খানের মুক্তি জনতার সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে।
শুক্রবার আদালতে খানের প্রধান আইনজীবী বাবর আওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে অনড় বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকশিশের নামে কোনো ধরণের সুবিধা নেওয়া ও দেওয়া নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বুধবার (১০ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চের কর্মকর্তার সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি এজলাস কক্ষের বাইরে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
বেঞ্চ কর্মকর্তা মো. সিফাতউল্লাহ খানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কার্যতালিকায় মামলা ওঠার আগে বা পরে, মামলার রায়, জামিন আদেশ বা অন্য যেকোনো আদেশ হওয়ার আগে বা পরে বা অন্য যেকোনো সময় এই কোর্টের বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার, বিচারপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, কোর্টের জমাদার, কোর্ট বা চেম্বারের এমএলএসএস, বিচারপতির ড্রাইভার এবং গানম্যানসহ অত্র কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বকশিশ বা টিপ্স নেওয়ার নামে কোনো প্রকার অর্থ, উপহারসামগ্রী, গাড়ি সেবা বা অন্যকোনো নামে কোনো ধরণের সুবিধা গ্রহণ করলে দুর্নীতি বলে গণ্য হবে।
এছাড়া এই কোর্টের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পাওয়া গেলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী এবং এই কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া গেল।
আরও পড়ুন: বকশিশ না পেয়ে ডিম নষ্ট করার ঘটনায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি প্রত্যাহার
নাটোরে ‘বকশিশ’ না পেয়ে ৩৫ হাজার ডিম নষ্ট, ছয় পুলিশ প্রত্যাহার
'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
দেশের প্রচলিত আইনে যেগুলোর মধ্যে ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ ও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত রয়েছে সেগুলোর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
আর ৬০ দিনের একটি তালিকা দাখিল করত নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া রুলে আইন অনুসারে দেশের প্রচলিত আইন থেকে পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশ স্বাধীনের পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট এ পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়।
এরপর কিছু আইনে বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনও অনেক আইনে শব্দগুলো রয়েছে।
যেমন-দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।
এগুলোয় এ সব শব্দ থাকাটা ১৯৭৩ সালের আইনের লঙ্ঘন বিধায় আইনজীবী মো. রবিউল আলম রিট করেন।
আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল চ্যালেঞ্জে করা রিট খারিজ হাইকোর্টের
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল-আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন পর্যন্ত ঋণখেলাপি বলে আবেদনটি খারিজ করে দেন, যা তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গাজীপুরের রিটার্নিং অফিসার (আরও) ফরিদুল ইসলাম ‘ঋণ খেলাপি’ হওয়ায় প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করার এক সপ্তাহ পরে রিট আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের রিট
৪ মে জাহাঙ্গীর মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন; ওই আপিল একই দিনে খারিজ হয়ে যায়।
খারিজ হওয়ার পর জাহাঙ্গীর বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান।
৩০ এপ্রিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাইকালে জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল করা হয় এবং তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, জাহাঙ্গীর একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জামিনদার ছিলেন। তাকে সংগঠনসহ ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা হয়েছে।
সাবেক মেয়র ও তার আইনজীবী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ঋণ পরিশোধের নথি জমা দিলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার মনোনয়ন বাতিল করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
জাহাঙ্গীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
খুলনা ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে রিট খারিজ
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহকে বার বার নিয়োগের বৈধতা এবং তার দুর্নীতি নিয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বশির। ওয়াসার এমডির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
পরে সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, এমডির নিয়োগ ২০০৯ সালে। অথচ ২০২৩ সালে এসে রিট করা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুদক কোনো দুর্নীতি পায়নি। তাই আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।
গত ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এমাদুল হক বশির এ রিট দায়ের করেন।
তিনি জানান, ২০০৯ সালে খুলনা ওয়াসার এমডিকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তিনি বার বার নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে। তাই এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছি। অনুসন্ধান হলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, উপ-সচিব স্থানীয় সরকার (পানি সরবরাহ), পিএসসির চেয়ারম্যান, খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও খুলনা ওয়াসার এমডিকে বিবাদী করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
গাজীপুর সিটি নির্বাচন: প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জাহাঙ্গীরের রিট
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।
তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নকিব সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রবিবার (৭ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিল নামঞ্জুর হয়।
গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান।
জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
গাজীপুর সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং সেন্টারের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রাজউকের নথি গাযেব সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিকালে মঙ্গলবার (২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, শিক্ষা সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতি বিরোধী (ভাষণ) বক্তব্যগুলোকে আদর্শ হিসেবে ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) কাজ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া, আদালত তার আদেশে বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্যসমূহ আগামী ১ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করতে জাতীয় আর্কাইভের ডিজির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আগামী ৪ জুন এ রুলের পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাছান।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর ৩০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বজলুর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক।
বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর। ওই দিনই তাকে ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই মামলা করা হয় এবং বজলুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক গ্রেপ্তারের পর বজলুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট কিনতে বজলুর রশীদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ টাকা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সপক্ষে কোনো বৈধ উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। ফ্ল্যাট কেনার কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর জামিন পান তিনি।
বিচার শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলায় বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আর বুধবার তার জামিন শুনানি করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
তার আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব জানিয়েছেন, এ মামলায় জামিন পাওয়ায় তারা কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল (২২) হত্যার ঘটনায় ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’র ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রুবেল হত্যা মামলা পিবিআই প্রধানকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ সুপারের নিচে নয়-পিবিআইয়ের এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে এই হত্যা মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে পুনঃতদন্ত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আর রিট আবেদনটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত রাখতে বলা হয়েছে। আদালত ৫ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) ওই তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হলে শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন ও আদালতের সামনে ভুল তথ্য উপস্থাপনের জন্য হাইকোর্ট এসআই মাসুদুর রহমানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল (২২) হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রুবেল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমানকে কেস ডকেটসহ ৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আজ সকালে হাইকোর্টে হাজির হন পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
শুনানির শুরুতে হত্যা মামলা ৪২ ঘণ্টায় অবিশ্বাস্য সময়ে তদন্ত প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, আপনার মতো পুলিশ অফিসার দরকার। আপনি মাত্র ৪২ ঘণ্টায় হত্যা মামলা তদন্ত শেষ করলেন? এ সময়ের মধ্যে কখন সাক্ষী নিলেন, কখন ঘুমালেন, কখন খাওয়া-দাওয়া করলেন তা আমাদেরকে দেখান। আর কতটি মামলা আপনি এভাবে তদন্ত করেছেন, সেগুলো কত সময়ে শেষ করেছেন তার তালিকা দেন।
এসময় পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, এটা আমার প্রথম তদন্ত।
এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, অভিযোগপত্র দ্রুত দিলেও সমস্যা, আবার দেরি করে দিলেও সমস্যা।
আদালত বলেন, তাহলে আমরা একটা মক ট্রায়াল করি। একটি হত্যা মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দী নিয়ে তা টাইপ করে কত দ্রুত অভিযোগপত্র দিতে পারেন, সেটা আমরা দেখতে চাই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সেটা দেখার এখতিয়ার আপনাদের আছে।
এক পর্যায়ে আদালত দাখিল করা নথিতে দেখতে পান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার মামলার একটি তদন্ত প্রতিবেদন রেফারেন্স হিসেবে নথিতে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
এ সময় আদালত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানকে ভর্ৎসনা করে বলেন, কেন আপনি এটা দিলেন। আপনার কাছে তো রেফারেন্স চাওয়া হয়নি। বেশি স্মার্টনেস দেখাচ্ছেন। নিজেকে বেশি স্মার্ট মনে করেন? হাইকোর্টের সঙ্গে বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না। একেবারে কারাগারে পাঠিয়ে দেব।
এরপর মামলার কেস ডকেট দেখার জন্য রিটকারী আইনজীবী শিশির মনিরকে দেন। আদালত কেস ডকেট দেখে আসতে বলে দুপুর ২টায় শুনানির জন্য ধার্য করেন।
তারপরে দুপুরে শুনানিতে মিশির মনির আদালতে, তদন্ত প্রতিবেদনের ত্রুটি তুলে ধরেন।
তিনি আদালতকে বলেন, ২ ঘন্টা ১০ মিনিটে ১৩ সাক্ষীর জবানবন্দী টাইপ করে রেকর্ড করা হয় দুটো ভিন্ন জায়গায়। প্রতি ৯ দশমিক ৫ মিনিটে একজনের জবানবন্দী টাইপ করে লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেছেন যে কাগজে লিপিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু জবানবন্দীগুলো টাইপ করা।
এছাড়া তিনি ডায়েরিতে বলেছেন যে তিনি ১০টা ৩৫এর সময় ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন এবং ১টা ৪৫মিনিটে থানার উদ্দেশে রওয়ানা করেন।
অপরপক্ষে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ আছে যে তিনি ১১ টার সময় কোর্টে আসামিকে নিয়ে যান এবং ৩ টায় মানিকগঞ্জ কারাগারে আসামিকে প্রেরণ করা হয়।
পরে আদালত শুনানি নিয়ে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্তের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, লাশ রাত দেড়টায় উদ্ধারের পর সুরতহাল করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এরপর মামলা, আসামি গ্রেপ্তার, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানচিত্র তৈরি, সাক্ষ্যগ্রহণসহ একে একে অন্তত ৯টি ধাপ পেরিয়ে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ মাত্র ২২ ঘণ্টায়। পরবর্তী ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ তদন্তের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অর্থাৎ লাশ উদ্ধার থেকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র ৪২ ঘণ্টা। একটি খুনের মামলার তদন্তে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়। দুই দিনের কম সময়ে খুনের মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনায় অনেকে প্রশংসা করলেও প্রশ্ন তুলেছেন আইন ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তারা বলছেন, মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে রকেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে। এটা ব্যতিক্রমী ও আশ্চর্যজনক ঘটনা।
পুলিশের এমন তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাও।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো. রুবেল।
পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামের একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
সরকার ঘোষিত বর্তমান হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সব আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাকে হজ যাত্রী পরিবহনে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
রবিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদেশের আগে শুনানিকালে আদালত বলেন, সরকার হাজিদের পক্ষে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কোনো দর কষাকষি করতে পারেনি। এছাড়া তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে।
আদালত আরও বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশিদের জন্য হজের খরচ অনেক বেশি।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসীন, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের পরে আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান বলেন, হজ নিয়ে আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
আদেশের আগে শুনানিকালে আদালত বলেন, সরকার হাজিদের পক্ষে বিমানের সঙ্গে কেন দর কষাকষি করেনি। তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। সৌদি আরব এত ধনী দেশ, সৌদি এয়ারলাইন্সকে অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিতে হবে।
আদালত আরও বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশিদের জন্য হজের খরচ অনেক বেশি। অথচ এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এত কম হওয়া সত্ত্বেও অন্য দেশের তুলনায় হজ প্যাকেজ এতো বেশি, মেনে নেওয়া যায় না।
এছাড়া ভারত-পাকিস্তান সরকার যেখানে এক লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে পারে সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে হজ প্যাকেজে খরচ বৃদ্ধি করেছে।
ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে হজের প্যাকেজ ঘোষণা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মার্চ রিট দায়ের করেন হাইকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রবিবার রুল জারি করেন।
এর আগে গত ৬ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য সংশোধন করে চার লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
পরে এ প্যাকেজ সংশোধন করে ১১ হাজার টাকা কমিয়ে দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: ইউএনওদের উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হাইকোর্ট