হাইকোর্ট
গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারিত্ব নিশ্চিতে একটি ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়ন নিয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করেছেন।
প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ এর ১১(২)(খ) অনুযায়ী গণমাধ্যমের জন্য কার্যকর ও উপযুক্ত একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে এই রুলে।
এর পাশাপাশি পত্রিকা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা, সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারিত্বের জন্য একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়ন করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে ।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এছাড়াও রুলে অনুমোদনহীন ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রচার-প্রকাশ বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং নিবন্ধনের জন্য বিবেচনাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, ন্যাশনাল ব্রডকাস্ট পলিসি-২০১৪ অনুযায়ী একটি ‘ব্রডকাস্টিং কমিশন’ গঠনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কিছু সংস্থা বিবৃতি বিক্রি করে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু ও জারিন রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ৫ মে যেকোনো সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়ন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই জন নারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে ২১ বছরের এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বিশেষ করে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে অগ্রহণযোগ্য সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। অথচ এসব সংবাদ পরিবেশনা বন্ধে বিটিআরসি কিংবা প্রেস কাউন্সিল কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু: তথ্যমন্ত্রী
নোটিশে বলা হয়, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে দেশে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো চালু থাকার পরও বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই এসব পোর্টালগুলোর রেজিস্ট্রেশনও জরুরি। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন ওই দুই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না: হাইকোর্ট
পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘ক্ষতিকর গেম’ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ সকল প্রকার ক্ষতিকর গেমস অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সাথে সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম, লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না: হাইকোর্ট
রিটের বিবাদী ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ, নগদসহ ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
এর আগে গত ২৪ জুন দেশের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম, লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধ করে অবিলম্বে অপসারণের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিল মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন।
রিটে বলা হয়, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে দেশের যুবসমাজ ও শিশু-কিশোরেরা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন।
আরও পড়ুন: জমজ ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসায় ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
অন্যদিকে টিকটক ও লাইকির মতো অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুবসমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। দেশে কিশোর গ্যাংয়ের সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং দেশের বাইরে টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না: হাইকোর্ট
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রিধারী কোনো ব্যক্তি নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। তবে তারা নামের পাশে কোন কোন শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন তা উল্লেখসহ বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর আগে হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রিধারীরা নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহারের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরের রায় শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
৭১ পৃষ্ঠার এই রায়ে বলা হয়েছে, দুঃখজনকভাবে এটি লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী বিএমডিসি এর নিবন্ধনভুক্ত মেডিকেল বা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিগত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তারিখের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার’ শীর্ষক অপারেশনাল প্লানের বিভিন্ন পদে কর্মরত হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি সংযোজনের অনুমতি প্রদান করেছে, যা এক কথায় আইনের কর্তৃত্ব ব্যতীত তথা বেআইনি।
এছাড়া বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃক ইংরেজি ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন শাখায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে তাদের নামের পূর্বে পদবি হিসেবে ডাক্তার ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করাও বেআইনি।
রায়ে বলা হয়, বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পেশাধারীরা নামের আগে ইনটিগ্রেটেড ফিজিশিয়ান, কমপ্লিমেন্টারি ফিজিশিয়ান, ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন প্র্যাকটিশনার এবং কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন প্র্যাকটিশনার পদবি ব্যবহার করতে পারেন। পাশের দেশ ভারতেও বিকল্প ধারার চিকিৎসকরা ডা. লিখতে পারেন না।
রায়ে হোমিও-ইউনানি তথা বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়েছে, বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন। সুতরাং পাঁচ হাজার বছর ধরে পুরো পৃথিবীতে চলে আসা প্রাচীন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির যথাযথ এবং সঠিকভাবে পঠন এবং প্রশিক্ষণ জনমানুষের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি তথা পশ্চিমা চিকিৎসা পদ্ধতি আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হওয়া শুরু হয় আজ থেকে মাত্র ১৬২ বছর আগে। পৃথিবীর প্রথম প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির আইনটির নাম ‘দ্য মেডিকেল অ্যাক্ট, ১৮৫৮’ যা ইংল্যান্ডের সংসদ পাস করেছিল। অর্থাৎ ১৮৫৮ সালের আগে চিকিৎসা ব্যবস্থা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল না। অপরদিকে পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে মানুষ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে আসছে।
বিকল্প ধারার কিংবা প্রচলিত চিকিৎসক হওয়ার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রস্তুত করে দেয়া সরকারের অন্যতম দায়িত্ব উল্লেখ করে রায়ে চার দফা পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পরামর্শ অংশে বলা হয়েছে, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ‘কাজাখাস্তান ঘোষণা’ থেকে ‘আলমাআটা ঘোষণা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক পরিকল্পনা, নীতিমালা এবং প্রয়োজনীয় আইন দ্রুত প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দেয়া হলো।
সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তথা প্রচলিত এবং বিকল্প ধারার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ‘রোগীকেন্দ্রিক চিকিৎসা সেবা’ নীতিমালা অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হলো। প্রয়োজনে বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পৃথক মন্ত্রণালয় তথা ‘মিনিস্ট্রি অব আয়ুশ গভর্নম্যান্ট অব ইন্ডিয়া’ এর আদলে বাংলাদেশের একটি পৃথক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করার পরামর্শ দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: জমজ ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসায় ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ফোনে আড়িপাতা বন্ধ ও তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
ইউল্যাব ছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: আপিলে বন্ধু মর্তুজার জামিন স্থগিত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিবারেল আটর্স অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নিহতের বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ডিজে নেহার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে হাতিরপুল এলাকা থেকে রাজধানীর উত্তরার ব্যাম্বো শুট রেস্টুরেন্টে যান ওই ছাত্রী এবং তার দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও আরাফাত। সেখানে তারা অতিরিক্ত মদ পান করেন। সেখান থেকে বের হয়ে ওই রাতেই গুলশানের অন্য একটি অভিজাত হোটেলে যান। সেখানেও তারা ফের মদপান করেন। দুই দিন পর ইউল্যাব ছাত্রী ও তাদের বন্ধু আরাফাত মারা যান।
এ ঘটনার পর রাজধানীর আজিমপুর থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে তাদের অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবার ও স্বামী বিচ্ছিন্ন ডিজে নেহার হাত ধরে অনেক তরুণ-তরুণী জড়িয়েছেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। পরবর্তীতে পুলিশ হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, তাদের আরেক বন্ধু তাফসিরকে গ্রেপ্তার করে। আর নেহার চাচাতো ভাই বিশাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সারাদেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকবে
এ মামলায় হাইকোর্ট গত ১৯ জুলাই মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে জামিন দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানায়।
জমজ ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসায় ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পৃথক ১৯টি পরিবারের জমজ ১৯ শিশুকে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জমজ ১৯ শিশুর পক্ষে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ কবির মাহমুদ নামের এক অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
পৃথক পরিবারের ১৯ জমজ (মোট ৩৮টি শিশু) শিশু ভর্তির আবেদন করে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মোট ১৯ জন লটারির মাধ্যমে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অপর জমজ ১৯ জনকে ভর্তি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তাদের ভর্তি করার নির্দেশনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সাড়া না পেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, প্রত্যেক পরিবারে জমজ বাচ্চারা সব সময় একসাথে থাকে। একসাথেই খেলাধুলা করে। তাদের চাওয়াও একইরকম। তারা প্রায় সব কাজে একজন আরেকজনকে অনুকরণ করে। এ কারণে তাদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসাথে থাকাটা খুবই জরুরি। আলাদা থাকলে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে। তাদের যদি আলাদা কিছু দেয়া হয় বা আলাদা পরিবেশে রাখা হয়, তারা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে। খারাপ প্রভাব পড়ে তাদের ওপর।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
তিনি বলেন, ১৯টি পরিবারের ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পেরেছে। আর ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পারেনি। যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদপড়াদের ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই তদন্ত রিপোর্ট দেখে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালত বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড-এর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই অডিও ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
১১ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের ৫৩ বেঞ্চে ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু
আগামী ১১ আগস্ট বুধবার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এসব বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়ালি বিচার কাজ পরিচালিত হবে। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষরে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) হতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এই সংক্রান্ত জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত চায় হাইকোর্ট
এরআগে গত ৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসারে সোমবার পর্যন্ত ১২টি বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালিত হয়। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ৮ আগস্ট রবিবার বিকেলে সরকার ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশ জারি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চ(৫৩টি) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালু হয়। ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫ থেকে ৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২ থেকে ৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৪টি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬টি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করায় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র তিনটি বেঞ্চ চালু ছিল। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় এবং সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারপতি করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করায় এবং কর্মকর্তা-কমর্চারিরা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার প্রেক্ষাপটে ফুলকোর্ট সভায় ১২টি বেঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের আদেশ মঙ্গলবার
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
এর আগে রোববার (৮ আগস্ট) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গর্ভনিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদানে ‘বাধা নেই’
উল্লেখ্য সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ফাঁস হওয়া ওই অডিও ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্যরা। তারা বলছেন, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার চলতি বছরের প্রথম দিন যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি বললেই চলে। কেউ যদি তাকে স্কুলে আসার বিষয়ে অনুরোধ করেন, তিনি (কামরুন নাহার) সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মন্ত্রী, সচিবালয় এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তার যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন গভর্নিং বোর্ডের কয়েকজন সদস্য।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত চায় হাইকোর্ট
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা টিকা প্রদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বারা টিকা নিতে পারবেন কি না বা নিলে কীভাবে নেবেন, এ বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে যোগাযোগ করতে বলেছেন আদালত।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনার টিকা প্রদানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আজ সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
এর আগে ৩১ জুলাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনার টিকা প্রদানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট দাখিল করেন চার আইনজীবী। তাদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীও রয়েছেন। আজ রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানির এক পর্যায়ে রিট আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘মাঝখানে টিকা নিয়ে কথা উঠল যে টিকা পাব, পাব না, কী হবে? মনে হয় এখন পরিস্থিতি অনুকূলে আছে।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ব্যাপারে। যদিও গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেসের সামনে বলেছেন যে অন্তঃসত্ত্বাদের টিকার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসা প্রয়োজন। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলবেন উনি যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যাতে তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।’
এই আইন কর্মকর্তার উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, ‘কোনো আনুষ্ঠানিক আদেশ দিচ্ছি না, যেহেতু মন্ত্রী সাহেব বলেছেন। আশা করছি এমনিতে হওয়ার কথা। তবু অ্যাটর্নি জেনারেল (এ এম আমিন উদ্দিন) যাতে যোগাযোগ করেন।’
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আদালতের কার্যক্রম শেষে জানিয়ে দিচ্ছি।
পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিশু থাকবে মায়ের কাছে, দেখা করতে পারবেন বাবা: হাইকোর্ট
তখন আদালত বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন তাই মনে করছি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত হয়। যাতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসে। আসলে অন্তঃসত্ত্বারা টিকা নিতে পারবেন কি না বা নিলে কীভাবে নেবেন, এ বিষয়ে একটা গাইডলাইন আসা দরকার।’ এরপর আদালত রিটের শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রাখেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারও ভার্চুয়াল আদালতে যুক্ত ছিলেন।
অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ২৯ জুলাই আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের দুজন আইনজীবী সরকারের তিন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচ ব্যক্তি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে গত শনিবার চার আইনজীবী রিটটি দাখিল করেন।
চার আইনজীবী হলেন মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, রাশিদা চৌধুরী, মোহাম্মদ কাউছার ও মো. মোজাম্মেল হক। রিটে স্বাস্থ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, কততম বিসিএস থেকে, কীভাবে কতজন চিকিৎসক নিয়োগ দেবেন এটা সরকারের পলিসি মেকিংয়ের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুন। তবে চিকিৎসক নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হলে আপনারা তখন আদালতে আসতে পারেন।
সোমবার (২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্টের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ রিটকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ডা. রাফা মো. নুরুল ইসলামসহ ১৩৬০ শিক্ষার্থীর পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়। তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান এ রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে তালিকাভুক্ত হন ১৩ হাজার ২১৯ জন। এরমধ্য থেকে প্রথম দফায় ৪ হাজার ৫৪২ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেয় সরকার। তখন বলা হয়েছিল-এরা উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শূন্য পদ না থাকার কারণে তাদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা গেল না। পরবর্তীতে নিয়োগের রিকুইজিশন পাওয়া গেলে নন-ক্যাডার হিসেবে বিধিবিধান অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর গত বছর যখন করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেল তখন আরও ২ হাজার জনকে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি থাকে সাড়ে ৬ হাজার।
পড়ুন: কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
শিশু থাকবে মায়ের কাছে, দেখা করতে পারবেন বাবা: হাইকোর্ট
তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন করে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দেয় সরকার। তারপরই বলা হয় নতুন এ নিয়োগ ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) থেকে নেয়া হবে। এ কারণেই আমরা ৩৯তম বিশেষ বিসিএসএ উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করি। আবেদনে ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণ তালিকাভুক্ত সাড়ে ৬ হাজার চিকিৎসক থেকে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়েছি।