আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জনগণ ঘরে বসে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং সাধারণ ডায়েরির মতো ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে।
আগামীতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা থানায় আসেন তাদের আরও আন্তরিকতা ও সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বাহিনীকে গণমুখী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নৈশভোজের আগে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান; বার্ষিক নৈশভোজ কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ কুমার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
নির্বাচনের আগে সারাদেশে ২৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে: র্যাব
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সারাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মোতায়েন করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা সব সংসদীয় আসনে মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে ২৫টি অস্থায়ী র্যাব ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
তারা ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট গণনায় ভূমিকা রাখবে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুটি করে টহল দল মোতায়েন করা হবে এবং প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দুটি করে টহল দল রাখা হবে।
এ ছাড়া সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ৭০০টির বেশি টহল দল দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নিজস্ব সুইপিং ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল প্রস্তুত রাখা হবে।
এছাড়া, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে।
র্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্সের বিশেষ বাহিনী যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
৭টি জোনে বিভক্ত র্যাব ফোর্সেস হেড কোয়ার্টার্সের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
ডগ স্কোয়াডের ১০টি দলকে র্যাব ফোর্স হেড কোয়ার্টারে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।
সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে: র্যাব
রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার: র্যাব
পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠ ও হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘অসহায় মানুষের শীত কষ্ট লাঘবে আমরা ঢাকায় কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছে পুলিশ। অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পেরে পুলিশ ধন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সময়ে যখন মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা করেনি পুলিশ। দেশের শান্তিকামী জনগণ সবসময় পুলিশকে সহযোগিতা করেছে।’
এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও নববর্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আহ্বান আইজিপির
নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
১২তম অবরোধ: সারাদেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা সর্বশেষ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে ১৪৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজিবি প্লাটুনের মধ্যে ১৬টি টিম ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-সমমনা বিরোধী দলের ডাকা দ্বাদশ অবরোধ চলছে
৩১ অক্টোবরের পর থেকে বিরোধী দলগুলোর ডাকা ১২তম অবরোধ এটি। এছাড়া ২০ ডিসেম্বর সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর এটিই প্রথম অবরোধ।
আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
আরও পড়ুন: অবরোধ শুরুর আগেই ঢাকায় আবারও পুড়ল ৩টি বাস
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৫৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢিলেঢালাভাবে চলছে সর্বশেষ অবরোধ
বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, বাকি ১৩৪ প্লাটুন বিজিবি অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষ দিক থেকে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল পালন শুরু করার পর থেকে আধাসামরিক এই বাহিনীর সদস্যরা দেশের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো এই অবরোধের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: নবম দফার অবরোধ: ১৬২ প্লাটুন বিজিবি, ৪৩৫ র্যাবের টহল দল মোতায়েন
সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চলমান অবরোধের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অবরোধ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা ও আশপাশের পোশাক কারখানায় ৩২ প্লাটুন এবং বাকি ১৯৭ প্লাটুন বিজিবি সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথে অবরোধ চলছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ২১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
অবরোধ: সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলতেই পুলিশের উপর হামলা: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিএনপি-জামায়াত জোটকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব হামলা আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে।
সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি বিএনপির এক নেতার প্রকাশ্যে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন, যিনি ২৮ অক্টোবর বিএনপির ক্যাডারদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যার 'প্রকাশ্যে প্রশংসা' করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
সজীব ওয়াজেদ জয় ২৮ অক্টোবর বিএনপির ক্যাডারদের হাতে এক পুলিশ কর্মকর্তার হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং বিএনপির এক নেতা পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যার ‘প্রকাশ্যে প্রশংসা’ করে সাম্প্রতিক জনসমক্ষে দেওয়া মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
নিজের ভেরিফাইড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো @বিএপি৭৮ (বিএনপির) ছাত্রসংগঠনের পিকেটাররা তাদের চলমান অবরোধ' সফল করতে পুলিশের একটি ভ্যানে ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
তিনি লিখেছেন, কয়েকদিন আগে উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডাররা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করে, একটি পুলিশ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং শতাধিক কর্মকর্তাকে আহত করে।
সজীব ওয়াজেদের টুইটে বলা হয়, ‘পুলিশ কর্মকর্তার নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে বিএপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তাদের অনুষ্ঠানকে সফল করেছে।’
পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর নৃশংস হামলার সংবাদ সংকলন করে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আট মাস ধরে দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ ও অবরোধে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা অন্তত ৯০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: এই দুর্গাপূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে মানুষের সমৃদ্ধি হোক: সজীব ওয়াজেদ
বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির যে কোনো অপচেষ্টা কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
আইজিপি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। যদি কেউ এটি করার চেষ্টা করে, তবে পুলিশ অতীতের মতোই তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, পুলিশ তাদের শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজি কামরুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তৎপর থাকায় পুরো জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে যে প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট বিকৃত যুবকরা জনমনে উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
তিনি বলেন, ‘এই দানবরা তাদের আক্রমণ থেকে নারীসহ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না…আমরা এমন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে বোনদের উত্যক্ত করার বিচার চাইতে গেলে তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানবাধিকার এখন সর্বত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য সহিংস হামলা চালাচ্ছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে; তাই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’
বাজার মনিটরিং করতে এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির এই নেতা সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গডফাদার, মাফিয়া ও সিন্ডিকেটররা চারিদিকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকায় এসব সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের অসাধুতার কারণে বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ‘কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে। এই ধরনের সিন্ডিকেশন শুধুমাত্র একটি দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতিবাজ সরকারের অধীনেই সম্ভব। তারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মজা করে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী