ইরাক
শিয়া নেতার রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা, বাগদাদে সংঘর্ষে নিহত ১৫
ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির রাজাধানী বাগদাদে তার সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা দড়ি দিয়ে সরকারি প্রাসাদের বাইরের সিমেন্টের বাধা টেনে নামিয়ে দেয় এবং প্রাসাদের গেট ভেঙ্গে ফেলে, যেখানে দেশটির বিভিন্ন সরকারি ভবন এবং কূটনৈতিক মিশন রয়েছে।
এ ঘটনায় ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিত করেছেন।
চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলেছেন, দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস এবং সংঘর্ষে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
গ্রিন জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ বাহিনী বিভাগের অন্তত একজন সৈনিক নিহত হয়েছেন। একজন বেসামরিক নারীসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বেশ কয়েক রাউন্ড মর্টারের শব্দ শোনা গেছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, সংঘর্ষে মর্টার এবং রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরের সংসদীয় নির্বাচনে আল-সদরের দল সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে ইরাকের সরকার অচল অবস্থায় পড়ে। তারা ইরান-সমর্থিত শিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে আলোচনা থেকে প্রস্থান দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা দেখা দেয়।
ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা শিয়া ও সুন্নি এই দুই দলে বিভক্ত। সাদ্দাম হোসেনের অধীনে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন রাজনৈতিক শৃঙ্খলাকে উল্টে না দেয়া পর্যন্ত শিয়ারা নিপীড়িত ছিল। এখন শিয়ারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে, বিরোধ ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে কেন্দ্র করে তারা রাস্তায় প্রভাব বিস্তার করছে।
পড়ুন: বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
ইরাকে শিয়া মাজারে ভূমিধসে ৭ জন নিহত
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের কারবালা শহরে ভূমিধসের কারণে একটি শিয়া মাজারের ছাদ ভেঙ্গে পড়ে শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার কাতারাত আল-ইমাম আলীর মাজারে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা তথ্য অনুযায়ী, ভৌগলিক অবস্থান ও অবকাঠামোগত কারণে প্রাকৃতিকভাবে মাজারটিকে অনেকটা গুহার মতো ছিল। এই এলাকাটি মরুভূমি হওয়ায় এবং সেখানে একটি পানির উৎস থাকায় ভূমিধসের কারণে ছাদ ভেঙ্গে পড়তে পারে। তবে মাজারটির প্রবেশদ্বার, দেয়াল ও মিনার এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ইরাক যুদ্ধের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কলিন পাওয়েলের মৃত্যু
তারা জানায়, মৃতদের মধ্যে চারজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একজন শিশু।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সোমবার উদ্ধারকারী দল বুলডোজার ব্যবহার করে এবং ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করে জীবিতদের সন্ধান চালায়।
তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিধসের কারণ জানা যায়নি। বেসামরিক প্রতিরক্ষা অতিমাত্রায় আর্দ্রতাকে কারণ হিসেবে দেখছে।
আরও পড়ুন: ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে আইএস’র ৯ জঙ্গি নিহত
ড্রোন হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে আইএস’র ৯ জঙ্গি নিহত
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক প্রদেশে এই অভিযান চালানো হয়। ইরাকি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকি জয়েন্ট অপারেশন কমান্ডের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাকি সৈন্যরা বাগদাদ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে ক্রাউ মাউন্টেনে একটি সুড়ঙ্গে লুকিয়ে থাকা নয় জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে, বোমা হামলা করে এবং ভিতরে থাকা সমস্ত জঙ্গিকে হত্যা করে।
চরমপন্থী জঙ্গিদের দমনে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। যাই হোক, আইএসের অবশিষ্টাংশ নগর, মরুভূমি এবং দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিকদের বিরুদ্ধে প্রায়ই গেরিলা আক্রমণ চালাচ্ছে।ি
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আলজাজিরার সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নিতে চায় ইরাক
বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরাক।
বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকায় ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুসসালাম সাদ্দাম মুহাইসেন এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে বলেও এই বৈঠক থেকে জানা যায়। সমঝোতা স্মারকের জন্য শিগগিরই একটি খসড়া প্রণয়ন করা হবে।
বৈঠকে সাদ্দাম মুহাইসেন বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাকের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে আরও বাড়ানো যায়- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইরাক ভারত ও তুরস্ক থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করে। ইরাকের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো। তারা কৃষিখাতে সহযোগিতা করার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে সবজি, আম, আলু নিতে চায়। আমরা আলু রপ্তানি করতে পারবো।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটিতে নাম না দিয়ে ভুল করেছে বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
পরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। এসময় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণে বাংলাদেশকে মার্কিন কৃষি বিভাগ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রতিনিধিদল জানায়। এছাড়া, তারা বাংলাদেশে কৃষিপণ্য পরিবহন ও কোল্ড চেইনের জন্য রেফ্রিজারেটেড ভেহিকল প্রদান করবে বলেও জানান হয়। এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ও ভ্যালু অ্যাড করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সেই লক্ষ্যে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পূর্বাচলে দুই একর জমিতে বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একজন কনসালটেন্টকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনে মার্কিন কৃষি বিভাগ আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে।উল্লেখ্য, মার্কিন কৃষি বিভাগ ২৭ মিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে। ২০২১-২৫ মেয়াদে চার বছরব্যাপী এ প্রকল্প মূলত বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
‘আফগানিস্তান’ কোনো একক রাষ্ট্র নয়
আফগনিস্তান, ইরাক, ইরান, সিরিয়া অঞ্চলের অস্থিরতা কমবে না যতক্ষণ না পশ্চিমাদের সাথে চীনের দ্বন্দ্বের শেষ না হয়। এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশেই মার্কিনিরা আগ্রাসন চালায় এবং তারা বিপদে আছে। আর আফগানিস্তানে রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হারায়। প্রতিটি দেশে এর প্রক্রিয়ায় উগ্রবাদ জন্মায়।
অর্থনৈতিকভাবে মার্কিনিরা আগের মতো সবল নেই। কিন্তু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে। তবে তারা তা করতে চায় না। যে খরচ তা আজকের দুনিয়ায় সামলানো কঠিন। ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ কালে অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়ন / রাশিয়ার সাথে এই যুদ্ধ ছিল আদর্শের বা ইডিওলজিক্যাল। সমাজতন্ত্র বনাম পুঁজিবাদ। বিশ্বব্যাপী সমাজতন্ত্রের পতন হয়েছে। কিন্তু তার মধ্য থেকে রাশিয়া উঠে এসেছে এবং আজকের বিশ্ব দ্বন্দ্বের নায়ক হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকতায় মার্কিন বিরোধী। এটাই উগ্রবাদের উত্থানের পটভূমি। এই দুই শক্তির দ্বন্দ্ব।
চীন ?
২০ বছর আগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দলিল দেখলে পরাশক্তি হিসেবে চীনের কোনো রেফারেন্স পাওয়া যাবে না। কিন্তু গত ২০ বছরে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। দুনিয়ায় যার ভিত্তি চীনের মৌলিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যার নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতে। যদিও চীন সেই অর্থে ‘সমাজতন্ত্রিক’, প্রশাসনিকভাবে কমিউনিস্ট পার্টির অধীনে। কিন্তু তার অর্থনীতি বাজার ভিত্তিক পুঁজিবাদী। এটি সনাতনী মার্ক্সবাদী ধারণাকে এতটাই বিরোধিতা করে যে এটিকে একটি নব্য ব্যবস্থা বলাই ভালো। তারা উঠে এসেছে প্রবলভাবে। তাই মার্কিনিদের প্রধান লড়াই তাদের সাথেই এবং সেটি বিশ্ব বাজার দখলের। আমেরিকা সেটা আগে অস্ত্র দিয়ে করতো। কিন্তু এখন দেখছে সেটা পারে না বা হয় না। তাই তারা বিশ্বের যত ঝামেলা তৈরি করেছিল বিশেষ করে ‘ইসলামী উগ্রবাদ’ ঠেকাতে সেটা থেকে সরে আসতে চাইছে। তারা চায় নিজেদের বাজার সামলাতে। অতএব এই উগ্রবাদ কালকেই চলে যাবে না।
উগ্রবাদ
এই উগ্রবাদী শক্তি তৈরি হয়েছে ক্রিয়া নয় প্রতিক্রিয়া হিসেবে। যেখানেই মার্কিনিরা অথবা রাশিয়া দখল করেছে সেখানেই এদের উত্থান। তারা ইসলামী জঙ্গিবাদ বলে ব্র্যান্ডিং করে -মার্কিনিরা ও তাদের মতপন্থীরাই এটা বেশি বলে - কিন্তু এর শুরু আত্নরক্ষায়। মানুষের মনের ভাবনায় যেটা ‘দেশ’। তার ওপর আঘাত হানলে মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। মাটি থেকে শত্রু উচ্ছেদের মূল উদ্দেশ্য, কোনো বিশেষ কায়দায় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা নয়। ওই অঞ্চলের মানুষের ‘ইসলামী’ সংস্কৃতিও রাজনীতির অংশ। আফগানিস্তানে যেমন তালেবানদের মূল চর্চা পুশতুনবাদ বা গোত্রবাদ। এটির চর্চা চলে ইসলামের নামে। কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলা অনেককে হতবাক করেছে। কারণ সবার ধারণা ছিল সব ‘উগ্রবাদী ভাই ভাই’। কিন্তু সেটা যে নয় তার প্রমাণ আগেও ছিল। মার্কিনিরা কখনো বলেনি, আর সুশীল -লিবারেলরাও চায় এই ধারণা চলুক। কিন্তু এই আক্রমণ প্রমাণ করে প্রতি রাষ্ট্রের ভেতরে দ্বন্দ্ব আছে এবং এর শক্তির প্রকাশ ঘটে সহিংসতায়। আফগানিস্তান বা ইরাকের যে রাজনীতি তা অনেকটাই এরকম। অর্থাৎ আফগানিস্তানে তালেবান নিজ শক্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বলে মনে হয় না। একদিকে মার্কিনিদের পলায়ন, অন্য দিকে রাশিয়া -চীনের প্রবেশ এই পরিসরে।
আফগানিস্তানসহ গোটা অঞ্চলে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার সহসা সম্ভাবনা কম। মার্কিনিরা চাইবে আফগনিস্তানে ঝামেলা হোক যাতে তালেবান/রাশিয়া -চীন বিপদে থাকে। ঠিক একই কারণে তারা ক্রমেই সরব হবে অস্ত্রের ভাষায় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে উগ্রবাদীরা জিতবে না হারবে সেটা কথা নয়, আফগনিস্তানে শান্তির সম্ভাবনা কম। পুরাতন রাষ্ট্র গঠন ভাবনা বাদ দেয়া দরকার। এইসব রাষ্ট্রগুলো একক নয়, এতগুলো বিবাদমান গোষ্ঠীর একসাথে থাকা মানে ঝামেলা বাড়ানো। হয়তো আফগান বলে কেউ নেই, পুশতুন, খোরাসানি, ইত্যাদি আছে। তাই এক রাষ্ট্র বানাতে গেলে বিপদ হবেই। তারা প্রথমে গোষ্ঠী, শেষেও তাই। এটি কোনো একক জনগোষ্ঠী নয়, অনেকগুলো জনগোষ্ঠীর একসাথে বসবাস মাত্র। তবে সেই নয়া রাষ্ট্র অবধারিত হলেও কবে হবে এখনো বলা যাচ্ছে না। যুদ্ধ চলবেই, উগ্রবাদ চলবেই, যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল হবেই, চীন ও তার মিত্ররা সবল হবেই। পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে অর্থনীতি সরে আসছে। ওটাই মূল কথা, বাকি সব এই মহা পরিবর্তনের সূচক বলা যায়। কি হবে এখনো পরিষ্কার নয়।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: তালেবান মাস্ক না পরলে কি কিছু এসে যায়
আমার আফগান স্টুডেন্টরা ও ১৯৭১ : ব্যক্তিগত অনুভূতি
বাগদাদে করোনা হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাথমিকভাবে ১৫ জন মারা গেছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দমকলকর্মীরা ইবনে খাতিব হাসপাতালে আগুন নেভাতে ছুটে আসে এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে গুরুতর করোনাভাইরাস রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সহায়তা করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডা. সাবাহ আল-কুজায়ে বলেন, ‘আমি জানি না সেখানে কতজন দগ্ধ হয়েছে, পুরো জায়গা জুড়ে অনেক পুড়ে যাওয়া লাশ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত ১৪ কোটি ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে
চিকিত্সা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ১৫ জন নিহত হওয়া ছাড়াও কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির সরকার এখনো হতাহতের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা জানায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের সময় হাসপাতালে কমপক্ষে ১২০ জন রোগী ছিলেন বলে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালের ভিতরে বিস্ফোরিত হলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা কমপক্ষে দুজন চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছে।
ইরাক ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিন দেশটিতে ৮ হাজারের বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সরকার জনগণকে টিকা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছে, তবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং বিশেষ করে ভ্যাকসিনের প্রতি জনগণের অবিশ্বাসের কারণে চাহিদা কম রয়েছে।
বাগদাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গুলি
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ও টিয়ার গ্যাসে ১৩ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা শহরের মূল সড়ক বন্ধ করে দেয় বলে সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
৪টি মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা ছিল ইরানের: ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ এবং সোলাইমানি হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দাবি করেছেন, তাদের ৪টি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা ছিল ইরানের।
যুদ্ধ চাই না, কিন্তু হামলার জবাব দেয়া হবে: ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিজেদের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় ‘পরিমিত ও আনুপাতিক সামরিক প্রতিক্রিয়া’ দেখানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে ইরান ‘বাড়াবাড়ি বা যুদ্ধ চায় না’ বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে।
ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক
ইরানের রাজধানী থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।