স্কুলছাত্র
১৩ বছরের স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ৬ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে এবং বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিশুকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষনের শিকার শিশুর স্বজনরা জানায়, ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর ছেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে খেলার কথা বলে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। (অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না)
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে রাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্তকে নিয়ে পালিয়েছে তার বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিশুটির ভাই বলেন, অভিযুক্তের বয়স যাই হোক না কেন আমি ওর শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে ওর পরিবারের লোকজন যারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরও শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
পাবনার পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মোস্তাফিজুর রহমান সিয়াম নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে পাবনা পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান সিয়াম পাবনা পৌর সদরের পৈলানপুর পাওয়ার হাউজপাড়া মহল্লার ইব্রাহিম আলীর ছেলে। সে আর এম একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় রাধানগর রথঘর এলাকায় সিয়ামের সঙ্গে তার বন্ধু সৈকত, আরিফসহ আরও কয়েকজনের পূর্ববিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শান্তিনগর এলাকায় সিয়ামকে একা পেয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সিয়ামের বাবা ইব্রাহিম আলী বলেন, একজন ফোন করে জানালো আমার ছেলেকে নাকি চাকু মারছে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। গিয়ে দেখি ছেলেটা মারা গেছে। কারা কী কারণে ছেলেটাকে মারল কিছুই বুঝতে পারছি না। যারাই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
চাঁদপুরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ১৫ সদস্য আটক
চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে গ্রামবাসীর সঙ্গে গাছের গুঁড়ি গাড়িতে উঠানোর সময় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রোকনুজ্জামান উপজেলার মাধবপুর গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে ও মাধবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে মাধবপুর গ্রামের আজমাদ আলী নামে এক লোক একটি গাছ বিক্রি করেন। গাছের ব্যাপারি গাছটি কেটে রবিবার সকালে আলমসাধু গাড়িতে উঠানোর জন্য কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে নেন।
গ্রামবাসীর সঙ্গে রোকনুজ্জামানও গাছের গুঁড়ি উঠানোর জন্য যায়। গাড়িতে উঠানোর সময় গাছের গুঁড়িটি গাড়ি থেকে পিছলে পড়ে যায়। গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান। গ্রামবাসী দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গাছের গুঁড়িটি গাড়িতে তোলার সময় অসাবধানতায় কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
বগুড়ায় বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
মাগুরায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
মাগুরায় ট্রাকচাপায় আরাফাত হোসেন (১১) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১০ আগস্ট) জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহানুল ইসলাম জানান, আরাফাত উপজেলার উত্তর আড়মাঝি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে এবং উপজেলার ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনা রোধে বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জাতীয় কমিটির
আরাফাত স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫১১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৩
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী রায়হান মিয়া (১৩) ওই ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। সে স্থানীয় ফকিরহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
স্থানীয়রা জানায়, রাতে রায়হান তার বাবার সঙ্গে চৌরাস্তা বাজারে পান-সিগারেটের দোকানে ছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই এলাকায় টানা বৃষ্টি পড়ায় বাবা-ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করেছিলেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি থামলে দোকান বন্ধ করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটকে যায় রায়হান।
পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র নিহত
কুড়িগ্রামে সেচ পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে নিখোঁজের ২দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজের দুই দিন স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে নদীর জিরো পয়েন্টে এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আল ওয়াজ আরশ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামের পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) জাহিদুল হোসেনের ছেলে এবং রাজধানরি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে যায়। এরপর বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন। সাঁতার না জানায় বাবা ও ছেলে ডুবতে থাকে, স্থানীয়রা এসময় জাহিদুল হোসেনকে উদ্ধার করতে পারলেও ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
জাফলংয়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আল-ওয়াজ আরশ (১৫) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামের জাহেদুল হোসেনের ছেলে এবং ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাই মিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন।
সাঁতার না জানায় এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যাচ্ছেন দেখে লোকজন বাবাকে উদ্ধার করতে পারলেও মুহুর্তে প্রবল স্রোতের টানে ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
স্থানীয় এক নৌকাচালক বলেন, পিয়াইন নদীতে স্রোতে পর্যটক তলিয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা নৌকা নিয়ে এগিয়ে যাই। বাবাকে উদ্ধার করতে পেরেছি। কিন্তু ছেলেকে আমরা খুঁজে পাইনি। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আরশের হদিস পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্তও আরশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. রতন শেখ বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে।
পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি পদ্মায় নিখোঁজ স্কুলছাত্র
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে বর্ষার নতুন পানিতে গোসলে নেমে নিখোঁজ স্কুলছাত্র দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে নানা বাড়ির পাশে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ক্যানালে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রবিন মোল্লা (১২)।
রবিন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ার মৃত রফিক মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
বাবার মৃত্যুর পর সে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট সংলগ্ন কিয়ামদ্দিন মোল্লা পাড়া বা নুরু মন্ডল পাড়ার নানা অহেদ আলী মোল্লার বাড়িতে মা ময়না বেগমের সঙ্গে থাকতো।
এছাড়া রবিন নানা বাড়ির কাছে স্থানীয় বড় সিংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এদিকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ষ্টেশন কর্মীদের সঙ্গে মানিকগঞ্জ থেকে আসা ডুবুরি দল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান পাননি।
সন্ধান চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক ডুবুরি সদস্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দুইজন কর্মী উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জমাদি নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
নদীর দুই পাশে স্থানীয় কয়েক’শ নারী-পুরুষ ভিড় করে আছেন। তারা নিখোঁজ স্কুলছাত্র রবিনকে উদ্ধারের অপেক্ষা করছেন।
ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মী মো. রতন বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধান চালাতে গিয়ে এক ডুবুরি সদস্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রবিনের সন্ধান করতে ডুবুরি সদস্য তানভির আহম্মেদ নদীর তলদেশে যান। যার কারণে তার মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে যায়। এসময় আমরা সঙ্কেত পেয়েই তাকে দ্রুত টেনে উদ্ধার করা হয়।
গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিখোঁজ রবিনের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, তোড়ে ভেসে আসা বালু-মাটির নিচে চাপা পড়ে যেতে পারে।
তারপরও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অটোরিকশা চালক নিখোঁজ
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যায় ৫ জনের ফাঁসি
কুমিল্লার হোমনায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান আশিক হত্যার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া দুজনকে কারাদণ্ড এবং এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৯ জনের ফাঁসি
রবিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার আসাদপুরের মো. সুজন মিয়া (২৫), আল আমিন (৩০), সোহেল মিয়া (২৫), মো. শাহিন মিয়া (২৭) ও মো. সোহাগ মিয়া (২৮)।
এছাড়াও একই রায়ে আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। খালাস দেয়া হয় মো. সোহেলকে।
রায়ের সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত আকিমুল হক মধু, আবদুর রহমান ও খালাস প্রাপ্ত আসামি সোহেল ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক ছিলো।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে আশিক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। ওই সময় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্তরা।
রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করে নিহত আশিকের বাবা মো. হারুন ভূইয়া বলেন, উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় বহাল থাকে পাশাপাশি রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।
কুমিল্লা আদালতের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক ড. তাহের খুন: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত চেয়ে রিট
নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
মাগুরায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মাগুরার মহম্মদপুরে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বৃহস্পতিবার রাতে এক স্কুলছাত্রের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
মৃত রেজওয়ান মহাম্মদপুর বাজারের বজলুর রহমানের ছোট ছেলে এবং মহম্মদপুর সরকারি আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রেজওয়ান কয়েকদিন ধরে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার দাবি করছিলো। বাবা-মা তাকে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে সে ঘুমের ওষুধ খায়।
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, এ ব্যাপারে মহাম্মদপুর থানায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা
সিরাজগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীর আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের আত্মহত্যা