সাজেক
সাজেকের পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
এছাড়াও ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে জনস্বার্থে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদেশে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ মার্চ ‘সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট ওপরে পাহাড় কেটে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘপল্লী রিসোর্ট নির্মাণ করছে সুইমিংপুল। প্রকাশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড়ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ১ এপ্রিল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিট করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
আরও পড়ুন: পাহাড় কাটার খবরে অভিযানে গেলেন বন কর্মকর্তা, মিনি ট্রাকের চাপায় মৃত্যু
মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ৬খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। প্রভাবশালী একটি মহল আইন মান্য না করে সাজেকে পাহাড় কেটে প্রকৃতির ধ্বংস করছে। এটা বন্ধ হওয়া আবশ্যক।
এ বিষয়ে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
মোরসেদ বলেন, বিষয়টি জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন বলে রিট আবেদন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটতে না পারে।
আরও পড়ুন: সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি
সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি
রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের কংলাক পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রির্সোট, একটি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক থানার সার্কেল এএসপি আবদুল আওয়াল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রিসোর্ট মালিকরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া রিসোর্টগুলো হচ্ছে– মেঘছোঁয়া রিসোর্ট, ফুরেংগি রিসোর্ট ও দুমদে রিসোর্ট।
স্থানীয়রা জানায়, সাজেকের কংলাক পাড়ার একটি টিনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখান থেকে দুমদে রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে আরও দুইটি রিসোর্টে ছড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
সাজেকের সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি-ভাঙচুর
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
তবে একই স্থানে সে সময় পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্র, একটি পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক জানান, অজ্ঞাতনামা দুর্বত্তরা পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ করে এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত হননি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পর্যটকসহ গাড়িগুলো উদ্ধার করে বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেগুলো আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে অবরোধের কারণে আন্তঃজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
শহরের ভেতরে স্বল্প সংখ্যক ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও শহরতলীতে সড়ক অবরোধ চলছে কড়াকড়িভাবে।
অবরোধের সমর্থনে ভোরে জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস, স্বনির্ভর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফ সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে।
পিকেটাররা জেলার মানিকছড়ি ও দীঘিনালাসহ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
সাজেকে ডায়রিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
সাজেকে ডায়রিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহত বাহন ত্রিপুরা (৫৫) ও মেলাতি ত্রিপুরা (৫০) দম্পতির বাড়ি সাজেকের বেটলিংয়ে।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় ১০ দিনের ব্যবধানে এনিয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাজেকে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া লংথিয়ান পাড়ায় ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ আরও প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহন ত্রিপুরা ও মেলাতি ত্রিপুরা তারা নতুন বেটলিং পাড়ার বাসিন্দা। তাদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি লংথিয়ান পাড়ায়। সেখানে তাদের মেয়ে ও মেয়ের জামাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাদের দেখতে যান। এক পর্যায়ে তারাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। মেয়ের বাড়িতেই শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তারা মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনবিহারী চাকমা।
তিনি বলেন, তারা দুইজন মেয়ে ও মেয়ের জামাই অসুস্থ শুনে দেখতে আসেন। পরে তারাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে মারা যান।
তিনি আরও জানান, এলাকায় আশপাশে কোন হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় স্থানীয় তান্ত্রিক দ্বারা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
এছাড়া এলাকায় যাতায়াতের কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা না থাকায় পায়ে হেঁটে এতদূর থেকে মাচালং ও উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগী পাঠানো সম্ভব নয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার ডায়রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, সাজেকের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নেই, পাহাড়ি ছড়ার পানি পান করায় বর্ষার শুরুতে এই সমস্যা দেখা দেয় প্রতিবছর। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় চেষ্টা করছি সাজেকের দুর্গম অঞ্চলে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা দূর করতে।
এছাড়া সাজেকে ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্যে সেনাবাহিনী বিজিবি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ সম্মিলিত চিকিৎসা সহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার স্যালাইন পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) ভোররাতে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডের দুর্গম লংথিয়ান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া লংথিয়ান পাড়া ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে নারী-শিশু ও বৃদ্ধসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পা পিছলে জাম গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
নিহত গবতি বালা ত্রিপুরা (৫০) ওই এলাকার বাসিন্দা।
সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বনবিহারী চাকমা গবতি বালা ত্রিপুরার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সাজেকের লংথিয়ান পাড়া, অরুণ পাড়া, কাইজা পাড়া, রায়না পাড়া ও শিয়ালদহ এলাকাসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এলাকায় আশপাশে কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় স্থানীয়রা তান্ত্রিকের থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় যাতায়াতের কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায়, পায়ে হেঁটে এতদূর থেকে মাচালং ও উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগী পাঠানোও সম্ভব নয়। হেলিকপ্টারে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় যদি মেডিকেল টিম পাঠানো যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে, না হয় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা ও কোলে থাকা মেয়ের মৃত্যু
সাজেকে পর্যটকবাহী জিপ খাদে, নিহত ১
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের খাসরাং রিসোর্টের পাশে পর্যটকবাহী একটি জিপ (চাঁদের গাড়ি) (ময়মনসিংহ-ক ২২২) খাদে পড়ে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জানা যায়, কংলাক পাহাড় থেকে ফেরার পথে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত ফারদিন হাছান বিশালের (৩৫) বাড়ি ঢাকার শ্যামপুর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কংলাক পাহাড় থেকে ফেরার পথে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। এসময় গাড়ীর নিচে চাপা পরে পর্যটক ফারদিন হাছান বিশাল (৩৫) নিহত হন।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে তাৎক্ষনিক অন্যান্য পর্যটকের পরিচয় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
সাজেক-মাচালং সড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ১
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ড্রাম-ট্রাক ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি খাগড়ছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সাজেক মাচালং সড়কের একুইজ্জাছড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হন।
নিহত বি-চাকমা (৪২) মাচালং একুইজ্জাছড়ি এলাকার ললিত মোহন চাকমার ছেলে। আহতের নাম সুমতি রঞ্জন চাকমা (৪৫)।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে ড্রাম-ট্রাক ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দু’জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
সাজেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়, খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন
মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে টানা তিন দিনের ছুটিত এবং বড়দিনকে ঘিরে পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করায় কটেজ-রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে।
শীতের এই মৌসুমে হাজারো পর্যটককে মেঘের রাজ্যখ্যাত পর্যটন স্থান রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে কটেজ না পেয়ে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দর্শনার্থীদের রিসোর্টের বারান্দায় ও রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
সাজেকে বছর জুড়েই থাকে পর্যটকের চাপ। ছুটির দিনগুলোতে সেই চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে সাজেক ভ্যালি। তবে পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে গিয়ে এবারের টানা ছুটিতে পর্যটকের চাপে দেখা দিয়েছে আবাসন সংকট। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক পর্যটককে রাত কাটাতে হচ্ছে গাড়িতে কিংবা মসজিদে অথবা স্থানীয় ক্লাবে।
ঢাকা থেকে আসা শাহ আলি (৩০), ময়মনসিংহ থেকে স্বপরিবারে আসা সুলতান মিয়া (২৮) ও নেত্রকোনার পর্যটক আশরাফ আলি জানান, ছেলে-মেয়েদের ছুটির কারণে চলে এসেছেন।
এসে দেখেন কোনো হোটেলে রুম খালি নেই। এমন অবস্থায় বিশাল বিপাকে পড়েছেন তারা।
সাজেকের নীল পাহাড়ি রিসোর্ট ও মর্নিং স্টার রিসোর্টের মালিক আলফার্ড লুসাই জানান, বড়দিনকে সামনে রেখে প্রায় একমাস আগে রুম বুক হয়েছে। আজ (শনিবার) অনেক পর্যটক পথে পথে ঘুরেও রিসোর্ট পাচ্ছেন না, এটা সত্যি কষ্টের।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, শনিবার প্রায় সাত হাজারের মতো পর্যটক সাজেকে এসেছেন। যদিও সাজেকের ১১২টি কটেজে পর্যটক থাকতে পারেন চার হাজারের মতো।
সাজেকে আসা পর্যটকদের অনেকেরই ছিল না আগাম বুকিং। ফলে রুম না পাওয়ায় অনেক পর্যটক বিকালেই ফেরত আসেন। যারা থেকে গিয়েছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন কটেজের বারান্দায় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে রুম ভাড়া নিয়ে রাত পার করেছেন।
সাজেকের হিল রিসোর্টের ম্যানেজার সুব্রত চাকমা বলেন, বুধবার থেকেই সাজেকে অসংখ্য পর্যটক আসছেন। এই মুহূর্তে কোনো রিসোর্টেই রুম খালি নাই। আমাদের রিসোর্টও দুই মাস আগে থেকেই শতভাগ বুকিং হয়ে আছে রোববার পর্যন্ত।
রুম না পেয়ে পর্যটকদের গাড়িতে রাত কাটানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, যখন খুব বেশি পর্যটকদের চাপ থাকে, তখন যারা আগাম বুকিং না দিয়ে সাজেক আসেন তাদের রুম পেতে বেগ পেতে হয়। তখন তাদের হয়তো স্থানীয়দের বাড়িতে বা গাড়িতে থাকতে হয়।
সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সাজেকে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি পর্যটক এসেছেন। সবগুলো কটেজ মিলিয়ে সাজেকে আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক থাকতে পারেন না, কিন্তু এই কদিন পর্যটক সংখ্যা সব সময় চার হাজারের ওপরে।
বাড়তি পর্যটকদের এই চাপ সামাল দেয়া কষ্টকর। তাই অগ্রিম বুকিং না করে সাজেক না আসার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি সাজেক পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হৃদয় (৩০) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে মাচালং এলাকায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হৃদয় নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটক গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
দেবীদ্বারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক চাকমা যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের নিউলংকর দাড়ি পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুখেন চাকমা (২০) ওই এলাকার মঙ্গল চাকমার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল চালক।
আহত সজীব চাকমা (২২) ওই এলাকার বিধুমঙ্গল চাকমার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল চালক।
ঘটনার পর পরই আহত সজীব চাকমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় গ্রামবাসী।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আহত ও নিহত দু’জনেই পেশায় মোটরসাইকেল চালক ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে। তারা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সমর্থক বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান।
এদিকে, এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন জেএসএস সন্তু বাঘাইছড়ি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা।
ত্রিদিপ চাকমা বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সাজেক অঞ্চলের সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়া নিউলংকর এলাকায় ইউপিডিএফ এর কোন কর্মকাণ্ড নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা
এটি জেএসএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান তিনি।
বাঘাইছড়ি ও সাজেক থানার সার্কেল এএসপি, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরপরই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
এলাকাটি খুবই দুর্গম। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, তাই কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঘাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
তার দুইদিন আগে এমন ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সমাবেশকে ঘিরে বড় সংঘাতের আশঙ্কা করছে অনেকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত