অনুমোদন
সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
সরকারের অনুমোদন পেতে বেসরকারি খাতে আরও তিনটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি সূত্র মতে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১০০ মেগাওয়াট, জামালপুরের ইসলামপুরে ৩০০ মেগাওয়াট এবং রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
বাঁশখালীতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে যে হংকংয়ের হুইহেং উইন্ড পাওয়ার লিমিটেড ও জুপিটার এনার্জি লিমিটেড বাংলাদেশ। ইসলামপুরের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে এসএএল-জিটেক কনসোর্টিয়াম এবং রাজবাড়ীর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে কনসোর্টিয়াম অব সানগ্রো রিনিউয়েবল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট পিটিই এবং থিয়ে পাওয়ার (সিঙ্গাপুর)।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত ঢাকা-থিম্পু
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে তিনটি কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তিনটি পৃথক প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘সিসিজিপি প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করলে বিদ্যুৎ বিভাগ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করতে বলবে।’
তবে এসব কেন্দ্র থেকে সৌরবিদ্যুতের শুল্কের বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও প্রায় ১০ মার্কিন সেন্টের শুল্কে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বিপিডিবি এসব কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনবে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর বিদ্যুতের অংশ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। এর আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যমান ৩ শতাংশের নিচে থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
তিনি ২০ মার্চ বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ ২০২৪-এ 'জ্বালানি খাতে কপ২৮ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন - সুযোগ, সীমাবদ্ধতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ: দ্য ওয়ে হেড' শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার গোলটেবিল বৈঠকে দেশের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৯৮৯ দশমিক ৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৭১ দশমিক ৪৮ মেগাওয়াট অগ্রিড এবং অবশিষ্ট ৬১৮ দশমিক ১৩টি অন-গ্রিড।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি এবং অফ-গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের দাপ্তরিক নথিপত্রে দেখা যায়, গত তিন বছরে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রায় ১৩টি সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
নথিগুলোর উল্লেখ করে এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) এবং মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি (এলওআই) জারি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প (৩০+৭০) ১০০ মেগাওয়াট এবং বাকি ১১টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং-তাপপ্রবাহ
১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
মূল এডিপির ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ আরও কিছু খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া আরএডিপি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার আকার থেকে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত আরএডিপির মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে আসবে। আর বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮টি। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩৬টি সম্ভাব্যতা যাচাই, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৫টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্প ৯২টি।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেছেন, চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়নে স্বল্প তহবিল ও কম সময় লাগবে, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার আলোকে বৈঠকে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে স্বাভাবিক বিলম্বের প্রবণতা রোধে সম্ভাব্যতা যাচাই পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো খাতে বরাদ্দ ও বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
'স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত এবং এটি এখন রয়েছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখন সুষ্ঠুভাবে চলছে।
এডিপির আকার কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাম বলেন, এডিপি সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে বর্তমান ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর আরএডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রায় ৩৩০টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপি অনুযায়ী, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা (১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ), আবাসন ও কমিউনিটি সুবিধা খাতে ২৮ হাজার ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৯ হাজার ৯৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা (৮ দশমিক ১৫ শতাংশ), শিক্ষা খাতে ১৭ হাজার ২২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা (৭ দশমিক ০৩ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ) বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ১২ হাজার ৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ), কৃষিতে ১০ হাজার ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ২১ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা ৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (১ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি খাতে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ১২ লাখ (১ দশমিক ৪৮ শতাংশ) টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ ২৭ হাজার ১২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ০৭ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা (৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৪১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৯ হাজার ৩৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা (৩ দশমিক ৮১ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে একটিমাত্র এজেন্ডা ছিল। সেটা হচ্ছে সামনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে।
তিনি আরও বলেন, অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। আজকে সেই অনুমোদন হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে আগামী রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য ও রোজা সংশ্লিষ্টপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্বাচনি ইশতিহার দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী সব মন্ত্রণালয় যেন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়।
কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। কৃষি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু
যেই মন্ত্রণালয়ের যে অংশ এসব স্তম্ভের সঙ্গে জড়িত তাদের সেই অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেছেন।
এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প যেগুলো শেষ পর্যায়ে সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটা কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন।
সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবহিদির কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলো যেন প্রকৃত মানুষরা পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
নারী উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণে ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। রপ্তানি বাড়ানোর জন্য চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত এবং কৃষিজ পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এগুলোকে প্রয়োজনে পোশাক খাতের মতো সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন যাতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। যুব সমাজ খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাপক উন্নয়নের পেছনে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
সারাদেশে বাংলাদেশ পুলিশের ৬৩৬ সদস্যকে বদলির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার(১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন( ইসি)।
বদলি হওয়া কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট, সাব-ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল ও নায়েক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির নির্দেশ দেয় ইসি।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগ প্রথম ধাপে ৩৩৮ জন ওসিকে বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠায় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে আরও ২০৫ জন ইউএনওকে বদলির জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠায়।
বাংলাদেশে ৬৫১টি থানা ও ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার তাদের ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদিত হয়েছিল জানুয়ারিতে।
দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার স্থানান্তর করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ৪৫ কোটি ডলার স্থানান্তর করা হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি আইএমএফের অর্থ গত দুই বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যে উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও ৫ কিস্তিতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে অক্টোবরে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২ সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসে ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে এবং আইএমএফ বোর্ডের কাছে দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০৫ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৩৩৮টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর একটি হচ্ছে ৩৩৮ জন ওসি এবং ১৫৮ জন ইউএনওকে বদলি করা। এর আগে ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ইউএনবিকে বলেন, কমিশন এ পর্যন্ত ৩৩৮ জন ওসি এবং ২০৫ জন ইউএনও’র বদলির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির নির্দেশ দেয় ইসি।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গত বুধবার জননিরাপত্তা বিভাগ প্রথম ধাপে ৩৩৮ জন ওসিকে বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠায় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে ২০৫ জন ইউএনওকে বদলির জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাঠায়।
বাংলাদেশে ৬৫১টি থানা ও ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৩৮ প্রার্থীর আপিল: ইসি
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
অবশেষে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার(৬ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তবে বৈঠকে নেপালের বিদ্যুতের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ, এই প্রস্তাব পরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত।
শীতের আগেই নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা ছিল, যাতে শীতকালে বাংলাদেশ তার উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ নেপালে রপ্তানির সুযোগ পায়।
শীতকালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায় এবং নেপালে তা বেড়ে যায়।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক পর্যায়ে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দিতে সম্মত হয় ভারত।
আরও পড়ুন: ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ক্লাবে বাংলাদেশ
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৪-১৫ মে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ-নেপাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতাবিষয়ক জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি (জেএসসি) ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির (জেডব্লিউসি) দুই দিনের বৈঠক হয়। এতে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকের আগে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ ঢাকা সফর করেন এবং বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি নেপালের প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ভারতে ভূখণ্ড দিয়ে বহরমপুর-ভেড়ামারা সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
সূত্র জানায়, চুক্তির আওতায় একটি ভারতীয় কোম্পানির মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে এটিই প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি ভারতের। এরপর বাংলাদেশের কাছে তা বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতের উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান অর্থ বকেয়া বিদ্যুৎখাতের অন্যতম বাধা
তারা বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল একটি ত্রিপক্ষীয় বা আঞ্চলিক চুক্তি করতে চায় এবং ভারত এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি চায়।
বর্তমানে একই ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভ্যাপার নিগম (এনভিভিএন) বিপিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।
ঢাকা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে (এনইএ) এনভিভিএন এবং বিপিডিবি উভয়ের সঙ্গেই চুক্তি সই করতে হবে।
৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি পরিকল্পনার পাশাপাশি ভারতীয় কোম্পানি জিএমআরের মাধ্যমে নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও নেপাল এখনও তিন দেশের মধ্যে উপআঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য সহজতর করতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের জন্য ভারতকে চাপ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
একনেকে ৩৯০৯৪ কোটি টাকার ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন
৩৯ হাজার ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ।
বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরএনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে মোট ৪৫টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। তবে ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং মাত্র একটি প্রকল্প ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
৩৯ হাজার ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার পাস করা প্রকল্পগুলোতে জাতীয় কোষাগার থেকে ২৯ হাজার ৯৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে সাত হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বড় তিনটি নতুন প্রকল্প হলো- ছয় হাজার ১৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি হস্তান্তর' প্রকল্প; ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'এক্সটেন্ডেড ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্স' প্রকল্প; এবং ১ হাজার ৬৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে 'যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল' প্রকল্প।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
অন্যান্য বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে 'সারাদেশে নগর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (পর্যায়-২)' প্রকল্প; ১ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে 'সম্প্রসারিত এলাকাসহ সিলেট সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন' প্রকল্প; ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগ সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ' প্রকল্প; ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ (ধোলঘাটা)- এর জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ এবং ১ হাজার ১৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস' প্রকল্প।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বোঝা কমাতে বিভিন্ন খাত বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও পানি খাতে ভর্তুকি প্রদানের প্রবণতা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে মান্নান বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদ্যুৎ এবং পানির মতো পরিষেবাগুলো সর্বজনীন এবং সকলেই ব্যবহার করে। একজন মন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পর্যন্ত সবাই সমানভাবে এই ধরনের ভর্তুকি সুবিধা ভোগ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও পানি পরিষেবার জন্য এলাকাভিত্তিক ও আয়ভিত্তিক চার্জ নির্ধারণের পরামর্শ দেন বলে জানান মান্নান।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে গৃহীত ‘ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন’ শীর্ষক ৮ সারির (লেন) সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে যানজট নিরসনে সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) ইনার সার্কুলার রিং রোডের উন্নয়নের প্রস্তাবনা রয়েছে।
সে প্রস্তাবনার আলোকেই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত বিদ্যমান সড়কটিকে ৮ সারিতে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইসগেট থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত ৫ কিমি অংশে ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে।
যার মধ্যে মাঝের দুই-দুই সারি করে ৪ সারি এক্সপ্রেসওয়ে এবং দুই পাশে দুই-দুই সারি করে ৪ সারি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে।
এর ফলে বর্তমানে বিদ্যমান ২০ ফুট প্রশস্ততার সড়কটি ১৪০ ফুটে উন্নীত হবে। এছাড়াও সড়কের প্রতি পাশে ৫ ফুট করে উভয় পাশে মোট ১০ ফুট প্রশস্ততার ১০ কিমি ফুটপাত ও ১০ কিমি আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
সেজন্য ফুটপাতসহ অতিরিক্ত ১৩০ ফুট সড়ক উন্নয়নে বিদ্যমান গড় ৮ ফুট গভীরতার রাবিশ (আবর্জনা) অপসারণ করতে হবে, যা পরবর্তীতে বালু ভরাটের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও এই সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সড়কের উভয় পাশে ৮ কি.মি. গার্ডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল, ৩টি ভ্যাহিক্যুলার ওভারপাস, ৩টি ফুটওভারব্রিজ, ৬টি যাত্রী ছাউনি ও বাস-বে এবং ৩টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) নির্মাণ করা হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ৫৬৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ৮টি টাওয়ার স্থানান্তর বাবদ ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ সকল বৈদ্যুতিক খুঁটি ও টাওয়ার স্থানান্তরের জন্য ডিপিডিসিকে ১২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮ কিমি গার্ডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল, ৩টি ভ্যাহিক্যুলার ওভারপাস, ৩টি ফুটওভারব্রিজ, ৬টি যাত্রী ছাউনি ও বাস-বে, ১০ কিমি. ফুটপাত, ১০ কিমি. আরসিসি ড্রেন নির্মাণের জন্য ৪০০ কোটি টাকা, ২২ জন পরামর্শকসহ ৩৩ জন জনবলের জন্য ৩০ মাসে ১৪ কোটি টাকা এবং ৯০০টি এলইডি বাতি স্থাপনে সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
প্রকল্পের উল্লিখিত অনুষঙ্গ বাদে ১৪০ ফুট প্রশস্ততার ৫ কিমি দৈর্ঘ্যের সড়কের নির্মাণে ব্যয় রাখা হয়েছে ৩৮৯ কোটি টাকা।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যানবাহনগুলো সার্ভিস রোড হতে এক্সপ্রেসওয়েতে এবং এক্সপ্রেসওয়ে হতে সার্ভিস রোডে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহনগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুবিধা পাবে।
তাছাড়া সড়কের এলাইনমেন্টে ৩টি ওভারপাস রাখা হয়েছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে পারাপার করতে পারবে।
ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর অভ্যন্তরে যানজট কমানোর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নষ্ট হওয়া কর্মঘণ্টা হ্রাস করা এবং ফলশ্রুতিতে জ্বালানি অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।
কারণ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী ২১ জেলার যানবাহনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার যানবাহনও যাত্রাবাড়ী মোড় দিয়ে ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করে।
ফলে যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে সাভার, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, গাজীপুরসহ উত্তর বঙ্গগামী যানবাহনগুলোর আর ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা পড়বে না।
এছাড়াও বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল সংলগ্ন হওয়ায় প্রস্তাবিত সড়কে প্রশস্ত হাঁটার পথ এবং বৃক্ষ রোপণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য যেমনি রক্ষা হবে এবং তেমনি নগরবাসী নদীর নান্দনিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইস গেট থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত ১২ কিমি. অংশের বিদ্যমান সড়কটিকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা দুই ধাপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প আজ একনেক সভায় অনুমোদন পেলো। দ্বিতীয় ধাপে লোহার ব্রিজ থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত বাকি ৭ কিমি. রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোট ৯৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৬ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৯৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে। বাকি অর্থ সরকার যোগান দেবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন