সিলেট
সিলেটে গাড়িচাপায় স্কুলছাত্রী নিহত
সিলেটের ওসমানীনগরে গাড়ির চাপায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাগজপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।নিহত বৃষ্টি দাশ (১২) উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের মদন দাশের মেয়ে এবংবেগমপুর শরৎ সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাগজপুর ব্রিজের পাশে অজ্ঞাত গাড়িচাপা দেয় বৃষ্টিকে। এ সময় বৃষ্টির স্কুলব্যাগ ছিটকে এক পাশে পড়ে যায়। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশে বৃষ্টির স্কুলব্যাগ দেখে স্থানীয়দের জানালে রাস্তার পাশে বৃষ্টির লাশ দেখতে পায় তারা।স্থানীয়দের ধারণা, অজ্ঞাত কোনো গাড়ি বৃষ্টি দাশকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে এবং ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।বেগমপুর শরৎ সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত গাড়ী চাপায় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃষ্টি দাশ নিহত হয়। এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এই বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)পরিমল চন্দ্র দেব বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীরচর থেকে ২ তরুণের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে তরুণের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসবে ভক্ত অনুরাগীর ঢল
চিরাচরিত নিয়মানুসারে হযরত শাহজালাল (রহ.) উরস মোবারককে সামনে রেখে সিলেটে লাকড়ি তোড়া উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার লাকড়ি তোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত অনুরাগীর ঢল নেমেছিলো শাহজালালের দরগা প্রাঙ্গনে।
লাকড়ি তোড়া উৎসব উপলক্ষে ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত ছিলো গোটা মাজার এলাকা।এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার জোহরের নামাজের আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারও ভক্ত-অনুরাগীরা জড়ো হন দরগাহ প্রাঙ্গণে। নামাজের পর দরগাহে মিলাদ শেষে নাগারা বাজার সঙ্গে সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজার হাজার শাহজালাল ভক্তের বর্ণাঢ্য মিছিল লাক্কাতোড়া চা বাগানের নির্দিষ্ট পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে আবারও মিলাদ পড়া হয়। এরপরই শুরু হয় লাকড়ি সংগ্রহ। সেই লাকড়ি কাঁধে নিয়ে পুনরায় মিছিল নিয়ে দরগাহ প্রাঙ্গনে ফিরে আসেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল (রহ.) এর লাকড়ি তোড়া উৎসব শনিবার
বন্যা শেষে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির পর সিলেট ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন সিলেট অফিস সূত্র জানায়, সিলেটে ১৭ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত সিলেটে ৪০০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চর্মরোগ ও শ্বাসতন্ত্র জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। দিন দিন পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
সূত্র জানায়, কয়েকদিনে সিলেটে ডায়রিয়ার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। গত ১৭ মে থেকে ২২ মে রবিবার পর্যন্ত ১১৪ জন ডায়রিয়ার রোগী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ৩ দিনে তা ৫৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলায় ১৪০টি এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে সর্বোচ্চ ১৬টি করে মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়া কানাইঘাটে ১২, জৈন্তাপুরে ১১, বিশ্বনাথে ১১, গোয়াইনঘাটে, জকিগঞ্জে, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জে ১০টি করে, ওসমানীনগরে ৯, দক্ষিণ সুরমায় ৮, বালাগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জে ৭টি করে টিম কাজ করছে। এর বাইরে জেলা শহরের জন্য তিনটি টিম রাখা হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মে জয় শংকর দত্ত বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে জেলায় ৪৫০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি চর্মরোগসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চর্মরোগ নিয়ে অনেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। তবে ডায়রিয়া ছাড়া অন্যান্য রোগের রিপোর্টিং এখনো পুরোপুরিভাবে নেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রিপোর্টিং করা হচ্ছে। সিলেটে বন্যাপরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তেমন অবনতি ঘটছে না। আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের তিনটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা প্রতিদিন ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন করবো। যা আগামী ১৫ দিন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নগরীর বন্যা কবলিত প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি আর বস্তি এলাকার মানুষ বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নগরীতে এক লাখ ৬০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিনই যে এলাকায় যাচ্ছে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট বিতরণ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগী বাড়ছে। তবে আতঙ্কজনক পর্যায়ে নয়। গ্রামীণ জনপদ নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। তবে সিটি করপোরেশন নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। কারণ নগরীর যেসব এলাকা পানিতে তলিয়েছে এর একটা বিশাল জনগোষ্টী বস্তিবাসী। এই নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১৮৩ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ জনে। হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর কোন চাপ নেই। ওসমানী হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত কিছু রোগী থাকলেও তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। নগরীর শাহী ঈদগাহের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালেও ডায়রিয়া রোগীর কোন চাপ নেই। সব মিলিয়ে সিলেটের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব একটা খারাপ বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া: শয্যা সংকট, মানিকগঞ্জে মেঝেতে চলছে চিকিৎসা
ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিশুদ্ধ পানি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে চারটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে একটি, মোট পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন বর্তমানে কাজ করছে। ইতোমধ্যে নগরীতে দুটি মেশিন বিশুদ্ধ পানি দিতে কাজ করছে। একটি মেশিন ঘণ্টায় ৫০০ লিটার পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারে। আর একটি মেশিন সুনামগঞ্জে রাখা হয়েছে। অপর দুটি মেশিন সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কাজ করছে।
সিলেটে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় ময়না মিয়ার বাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পর ওই এলাকায় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত উভয় পক্ষ একে অপরের ওপর হামলা চালালে অন্তত ২০ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে
ঢাকায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত ৩৫
এমসি কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
একদিনের ব্যবধানে সিলেটের সরকারি মুরারী চাঁদ (এমসি কলেজ) হোস্টেল থেকে আরও এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের গোয়াবাড়ি এলাকার মোহনা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ২২নং বাসার একটি কক্ষে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সৌরভ দাস রাহুল (২৪) এমসি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কেউরালা গ্রামের মন মোহন দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: আইফোন নিয়ে দ্বন্দ্ব: সেপটিক ট্যাংক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও সহপাঠীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত সৌরভ তার কক্ষে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীরা যে যার মতো ঘুমাতে যান। সকালে তাদের মধ্যে একজনের বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা ছিল। তাই ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে চাইলে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আরেকজন বাহির থেকে জানালা দিয়ে সৌরভের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে বাসার মালিককে খবর দিলে তিনি জালালাবাদ থানা পুলিশকে জানান।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ মামুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।
প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা এটি আত্মহত্যা, তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল হোস্টেলের বাথরুম থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার!
এর আগে গত ২৫ মে সকালে এমসি কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে স্মৃতি রাণী দাস (২০) নামে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের যুগল কিশোর দাসের মেয়ে।
সিলেট বিমানবন্দরে ৮০ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার সকালে ১১ পিস স্বর্ণের পাত উদ্ধার করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় মো.আলী আহমদ (৩৫) নামে দুবাই ফেরত এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার উজান মেহেরপুর দরগারবাজার এলাকার বাসিন্দা।
ওসমানী বিমানবন্দরে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার অফ কাস্টমস মো. আল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুবাই থেকে আসা বিজি-২৪৮ ফ্লাইটের যাত্রী মো. আলী আহমদ গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে কর্তব্যরত কাস্টমস কর্মকর্তারা অবৈধভাবে আনা স্বর্ণ আছে কি না তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে তার শরীর ও ব্যাগ তল্লাশি করে একটি কার্টুনে নেবুলাইজার মেশিনে লুকানো অবস্থায় এক কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের ১১ পিস স্বর্ণের পাত জব্দ করে।
তিনি জানান, উদ্ধার করা স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা হবে। এ ঘটনায় আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে এক কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ
কক্সবাজারে কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটে ৮ কেন্দ্রে হবে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
সিলেটে আটটি কেন্দ্রে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টা থেকে এসব কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের হলরুমে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
আটটি কেন্দ্র হলো- সিলেট এমসি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরকারি আলিয়া মাদরাসা।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন ও পাশাপাশি আটজন কর্মকর্তা কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
৪৩তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ, ১৫ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ
সিলেটে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, গ্রামাঞ্চলে অপরিবর্তিত
গত ১৩ দিন পানিতে ডুবে থাকা সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করছে। তবে নগরের পানি কমলেও গ্রামাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে সিলেট নগরীর উপশহরের প্রধান সড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সড়কটি পানি পুরোপুরি সরে গেছে। এছাড়া এই আবাসিক এলাকার অন্যান্য সড়কগুলো থেকেও পানি নেমে গেছে। দুই একটি নিচু এলাকা ছাড়া নগরের বেশিরভাগ এলাকা এখন শুষ্ক বলা চলে। একই সময় তালতলা এলাকায় গিয়েও দেখা গেছে যে পুরো এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, ১৩ দিন পর সিলেটে সুরমা নদীর পানিও বিপদসীমার নিচে নেমেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেট পয়েন্টে কমলেও কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কুশিয়ারা নদীর পানি এখনও সবকটি পয়েন্টেই বিপদসীমার ওপরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
অপরদিকে, গ্রামাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার ১২টি উপজেলায় এখনও কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
শহরে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমছে না নগরবাসীর। পানি নেমে যাওয়া এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। মশার উপদ্রব বেড়েছে।
নগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, সাত দিন ঘরের ভেতরে পানি ছিল। এখন পানি নামলেও ঘরের ভেতর ড্রেনের ময়লার স্তুপ জমে আছে। দুর্গন্ধে ঘরের ভেতরে ঢুকা দায়। পুরো এলাকাজুড়েই দুর্গন্ধ।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। এখন দুই একটি এলাকা বাদে সব জায়গা থেকেই পানি নেমে গেছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নিয়ে হাহাকার
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখার দল গঠন করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মশা, মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো এবং ময়লা দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, পানি নামার পর নিজেরদের বাড়িঘর নিজেদেরকেই পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন সহযোগিতা করতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই পুরো জেলার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, আমলসীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন: তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ডাইক মেরামতের কাজ শুরু করবেন বলে জানান পাউবো উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা।
গত ১১ মে থেকে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ধীরে ধীরে বন্যা বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট মহানগরেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। মহানগরীর প্রায় ২০টি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় অনেক মানুষই বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান নেন। পাঁচ দিন পানিবন্দী থাকার পর গত ২১ মে শনিবার রাত থেকে এসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করে।
সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি
সিলেটে ধীর গতিতে কমছে বন্যার পানি। সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইন নদ-নদীর পানি আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে। তবে পানি কমলেও বন্যার্তদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। নগরীর বেশিরভাগ বাসা বাড়ি থেকে এখনও পানি নামেনি। অন্যদিকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগ বাড়ছে বানভাসিদের। পানি কমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাই পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বানভাসি এলাকার বাসিন্দারা পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে গত ১১ মে থেকে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ধীরে ধীরে বন্যা বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট মহানগরেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। মহানগরীর প্রায় ২০টি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় অনেক মানুষই বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান করেন।জানা গেছে, বন্যায় সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর, ঘাসিটুলা, মাছিমপুর, ছড়ারপার, তালতলা, কুয়ারপার, মেন্দিবাগ, কামালগড়, চালিবন্দর, যতরপুর, সোবহানিঘাট, কালীঘাট, শেখঘাট, তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘিরপার, রামের দিঘীরপার, মোগলটুলা, খুলিয়া টুলা, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড, ভার্থখলা, মোমিনখলা, পিরোজপুর, আলমপুর ও ঝালোপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি ওঠে। এসব এলাকার অনেক বাসা-বাড়িতে কোমর সমান পানি ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে নগরবাসী
সোমবার (২৩ মে) সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরের তালতলা, জামতলা, মণিপুরি রাজবাড়ি, যতরপুর, মিরাবাজার, শাহজালাল উপশহর, মেন্দিবাগ, ছড়ারপাড় এলাকায় বেশ কিছু বাড়িঘরে এখনো হাঁটুপানি রয়ে গেছে। এ পানি কালো রং ধারণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাই ওইসব এলাকার বাসিন্দারা পানিবাহিত রোগের শঙ্কায় আছেন। এ ছাড়া বন্যার পানিতে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ভেসে এসে ঘর ও আশপাশে জড়ো হয়েছে। জমে থাকা পানিতে জন্ম নিয়েছে মশাসহ নানা কীটপতঙ্গ।নগরের বন্যা কবলিত এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে তারা এখন নিজেদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করছেন। আসবাবপত্র ধোয়ামোছার কাজও চলছে। যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছিল, তারাও এখন পরিষ্কারকরণে ব্যস্ত।এদিকে, বন্যাকবলিত লোকজনের মধ্যে পানিবাহিত নানা রোগের লক্ষ্মণ দেখা দিয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহ শহরের বন্যাকবলিত এলাকায় মেডিকেল টিম গঠন করেছে সিলেট সিভিল সার্জন ও সিলেট সিটি করপোরেশন। এছাড়া বন্যা কবলিতদের মধ্যে পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করছেন তারা।সিলেট জেলার সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, ‘বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগ বেড়েছে। ৩৭৬ জন লোক ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি ছয়জন চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের মেডিকেল টিম ইউনিয়ন পর্যায় থেকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। যাতে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে না পড়ে। তবে বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটে বন্যাকবলিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৪০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে সিলেট সদরে ১০টি, দক্ষিণ সুরমায় আটটি, বিশ্বনাথে ১১টি, ওসমানীনগরে ৯টি, বালাগঞ্জে সাতটি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০টি, গোলাপগঞ্জে ১৬টি, বিয়ানীবাজারে ১৬টি, জকিগঞ্জে ১০টি, কানাইঘাটে ১২টি, গোয়াইনঘাটে ১০টি, জৈন্তাপুরে ১১টি এবং কোম্পানীগঞ্জে সাতটি মেডিকেল টিম গঠিত হয়েছে। এর বাইরে জেলা সদরে তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।’তিনি জানান, এসব দলে চিকিৎসক ছাড়াও নার্সসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অনেকেই আছেন। প্লাবিত এলাকার সবখানেই যেন স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রতিটি মেডিকেল টিমকে নির্দেশনা দেয়া আছে। এরপরও পুরো বিষয়টি যেন সুষ্ঠুভাবে করা যায়, এ জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয় তদারকি করছে। এককথায় চিকিৎসাসেবা যেন সবাই পান, সেটাই নিশ্চিত করা হবে।সিভিল সার্জনের কার্যালয়, সিলেটের পরিসংখ্যানবিদ মো. ফরিদ উদ্দিনের দেয়া তথ্য মতে, জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৩৮৭ রোগী পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় ৩৭৬ জন, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে পাঁচজন এবং চর্মরোগে ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ, ‘এখনও সেভাবে রোগ-ব্যাধি ছড়ায়নি। কেবল বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির শঙ্কা রয়ে যায়। তবে সে জন্য আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে, সব রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা তৎপর রয়েছি। কেউই চিকিৎসার বাইরে থাকবেন না।’
আরও পড়ুন: নদীর পানি কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের জন্য নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকায় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে, একইসঙ্গে নগরের রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সিলেট সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তিনটি মেডিকেল টিম মাঠে আছে, প্রয়োজনে আরও গঠন করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া কিংবা অন্যান্য রোগের প্রকোপ দেখা যায়নি। এর কারণ বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। তবে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর সে রোগগুলোর ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আছে। বন্যাকবলিত এলাকায় মেডিকেল টিম নিয়মিত পরিদর্শন করছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ার পর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখার দল গঠন করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো এবং ময়লা দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে যেতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।’
দেশে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ৭ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে, বিহার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এবং মৌসুমী নিম্নচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।