প্রকল্প
খুলে দেওয়া হলো বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ
কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত একটি ফ্লাইওভারের ময়মনসিংহ মুখী দুইটি লেন।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। কমেছে সড়ক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ।
আরও পড়ুন: আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে ফ্লাইওভারের দুইটি লেন উন্মুক্ত করার পর স্বাভাবিক গতিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে এসব যানবাহন বিকল্প পথে নাওজোড় হয়ে চলাচল করত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী দুইটি লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমেছে।
বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী রাসেল রানা জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী লেনও খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দুইটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত নির্মাণ।
এদিকে ৬ বছরে কাজ শেষ করার থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রকল্প ব্যায়। সময় ফুরিয়ে গেলেও কাজ এখনো ফুরোয়নি।
যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
মানব পাচার হ্রাসে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকল্প ‘অগ্রযাত্রা’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জেলে ও কৃষকদের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারকে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানব পাচার বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাস করতে সর্বোত্তম পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সরবরাহ করবে এটি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন মার্কিন এই কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী মানব পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাসে জলবায়ু অভিযোজন, সহনশীলতা ও প্রশমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে ও সম্পদ সংগ্রহে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি বিভাগ) এ কে এম টিপু সুলতান এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি মানব পাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারের উদাহরণ।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তন, মানব পাচার ও আধুনিক দাসত্বের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াবে ‘অগ্রযাত্রা’ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন দূতাবাস জানায়, সারা বাংলাদেশে প্রায়শই কৃষিকাজ ও জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্পত্তি বিলীন হয় এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে। প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকল্পটি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানব পাচারের ঝুঁকি হ্রাস করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ুসহনশীল জীবিকার উন্নতি এবং নীতি ও পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা।
রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ দেশের ১১টি জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর যথাযথ ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকার নিয়মিতভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি দুই মাস পর পর বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে তার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কমিটি গঠন করেন। নয় বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে পরিকল্পনা কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন, যারা প্রতি দুই মাস পর পর বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও সময়মতো বৈদেশিক তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রকল্পগুলোর সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করবেন।’
পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ না করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেন, যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের জন্য সভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল প্রকল্প নির্বাচন ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এই জাতীয় অনুশীলন। এরপর এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি প্রকল্প গ্রহণের আগে যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অন্যথায় প্রকল্পটি থমকে যাবে এবং ব্যয় ও সময় অতিক্রম করবে।
সালাম বলেন, সভায় প্রকল্প পরিচালকদের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বা পুল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পগুলোর সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে সরকারের সার্বিক সরকারি বিনিয়োগ চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জিডিপির অনুপাতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার পর্যায়ক্রমে এ ধরনের সরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
কোনো উন্নয়ন সহযোগীর সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এমন কাজ করে, তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। দেশে এখন নির্বাচিত সরকার আছে, কেউ আমাদের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের বিনা সুদে ঋণ দিচ্ছে না, বরং তারা মূল টাকার পাশাপাশি সুদ পাবে। উন্নয়ন সহযোগী ও সরকার উভয়ই চায় প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে।’
সালাম বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না: অর্থমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে আলী বলেন, 'উন্নয়নের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোর প্রতি চীনের অঙ্গীকার রয়েছে। আমি আশা করি চীনের অর্থায়ন ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে নতুন সরকার হওয়ায় তাদের কাজ নতুনভাবে শুরু হয়েছে। এজন্য আমি আজ অর্থমন্ত্রী আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি।’
নতুন অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, নতুন সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে প্রিসাইডিং অফিসার, কারণ দর্শানোর নোটিশ
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
একই সঙ্গে শুরুতেই মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) যুগোপযোগী করা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছরের পুরোনো গাড়িগুলো পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। আরেকটি চ্যালেঞ্জ, যেটি আমি করতে পারিনি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প যখন শেষ হয়ে যায়, সেই প্রকল্পের গাড়িগুলো পরিবহন পুলে এসে পৌঁছানোর কথা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গাড়িগুলো এসে পৌঁছায়নি। এবার আমরা খুবই কঠোর পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আইএমইডি থেকে আমরা জানব কতগুলো প্রকল্প আছে, সেই প্রকল্প কবে শেষ হয়েছে, গাড়িগুলো কোথায় আছে, সেই গাড়িগুলো আমাদের পরিবহন পুলে জমা দিতে হবে। বিষয়টি এবার আমরা খুব শক্তভাবে দেখার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ক্যাডার বৈষম্য রয়েছে তা নিরসনে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ক্যাডার বৈষম্যের বিষয়গুলো আমরা এরই মধ্যে যথার্থভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। সামনের দিন এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমরা চাইব বৈষম্য যাতে শূন্যতে আসে। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অর্গানোগ্রাম যুগোপযোগী নয়- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা অর্গানোগ্রামগুলো পরিবর্তন করছি। এগুলো পরিবর্তন করতে হলে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ৪-৫ জন করে অতিরিক্ত সচিব আছেন। কিন্তু সেখানে হয়তো পদ আছে দুটি। তাই সেখানে আমাদের বেশি করে পদায়ন করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আমরা এবার প্রথম দিকেই মন্ত্রণালয়গুলোকে আহ্বান জানাব বাস্তবতার নিরিখে তারা যাতে আমাদের কাছে তাদের অর্গানোগ্রামে কী পরিবর্তন দরকার যুগোপযোগী করে সেটি যাতে বাস্তবভিত্তিক হয়, সেভাবে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অর্গানোগ্রামটাকে আপডেট করব।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সেটি করতে পারলে আমরা তখন প্রোপার অ্যাসেসমেন্টটা করতে পারব, কোন জায়গায় কত লোক লাগবে এটা আমরা প্রথমে শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
‘সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় রাখতে হবে’
বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যারের প্রচলন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং প্রক্রিয়াকরণের পর অনুমোদনের নিমিত্ত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত 'প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যার (পিপিএ)' বিষয়ক কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্যে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, পিপিএ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের সময় সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণকালে প্রকল্পের অবস্থানও জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, এর ফলে অনলাইনে প্রণয়ন করা প্রকল্পের একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি হবে এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস ওই ডাটাবেজের সঙ্গে একত্রিত হবে ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য এ সফটওয়ার খুবই কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
শুল্ক সুবিধা বা ইনসেনটিভ দিয়ে বেসরকারি খাতকে জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ দিয়েছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
কপ২৮ জলবায়ু সম্মলেনে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নত দেশগুলো নিজেরা বিনিয়োগ না করে বেসরকারি খাতের উপর দায় চাপাচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি খাত জলবায়ু সহনশীল খাতে বিনিয়োগে আগহ দেখাচ্ছে না। তাই জলবায়ু খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়াতে শুল্ক সুবিধা বা ইনসেনটিভ দেওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নেগোসিয়েশন টিমের সদস্য ড. রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, কার্বন দূষণকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটা হচ্ছে না। সরকারি রাজস্ব বাড়াতে হলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, দূষণের উপর কর ধার্য করতে হবে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য তাদের শুল্ক সুবিধা দিতে হবে। তাহলে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় বাড়াবে অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টিমের অপর সদস্য ড. আইনুন নিশাত ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হলে বৈশ্বিক নেতাদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনে বিনিয়োগে বাধ্য করতে হবে। ব্যাংকিং খাত এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, কপ প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেই বলেছেন, ফসিল ফুয়েল কোম্পানিগুলো চাইলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্বন দূষণ কমাতে পারে। এই বিষয় এবার জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর দেশগুলো জোরেশোরে তুলে এনেছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিল যাত্রা শুরু করেছে। কিন্তু জলবায়ু খাতে অর্থায়ন পাওয়ার চ্যালেঞ্জ আরও বড় হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর হওয়ার পর সম্মেলনের সবচেয়ে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। ফলে আশা করা হয়েছিল, সম্মেলনের অন্যান্য কাজগুলোও সহজ হয়ে যাবে।
কিন্তু কার্বন নির্গমন কমানো এবং উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের আলোচনায় এসে এই আলোচনা বাধার সম্মুখীন হয়। বরং কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সম্মেলন সভাপতির একটি বক্তব্য ঘিরে আলোচনা আরও জটিল আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের ক্ষয়ক্ষতি সমন্বয়কারী এম হাফিজুল ইসলাম খান ইউএনবিকে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের কার্যক্রম শুরু হতে কমপক্ষে আরও আট মাস সময় দরকার হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রথম সভায় বসবে এই তহবিল পরিচালনায় গঠিত পরিচালনা পরিষদ।
তিনি বলেন, আর এই পরিষদই ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রস্তুতির অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই শুরু থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য দক্ষ জনবল ও কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।
এদিকে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. মনজুরুল হান্নান খান ইউএনবিকে বলেছেন, কপ-২৮ এখন পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বরং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন দূষণ কমিয়ে আরও বেশি সময় ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পক্ষে কপ প্রেসিডেন্টসহ জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশগুলোর অবস্থান আরও জোরালো হয়েছে।
তিনি আরও বরেন, এর মাঝে হয়তো ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিনগুন ও জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার দ্বিগুন করার লক্ষ্য নেওয়া হলেও তা অর্জিত হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি একুশ শতকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে ধরে রাখা যাবে এমনটি আর বিশ্বাস হচ্ছে না।
দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) শুরু হয়েছে। তা চলবে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। ১৩ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে ১৯৮টি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
কপ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সব শ্রেণির প্রতিনিধি বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন এবং নিজ দেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ভেক্টর বাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী’
একনেকে ৩৯০৯৪ কোটি টাকার ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন
৩৯ হাজার ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ।
বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরএনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে মোট ৪৫টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। তবে ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং মাত্র একটি প্রকল্প ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
৩৯ হাজার ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার পাস করা প্রকল্পগুলোতে জাতীয় কোষাগার থেকে ২৯ হাজার ৯৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে সাত হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বড় তিনটি নতুন প্রকল্প হলো- ছয় হাজার ১৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি হস্তান্তর' প্রকল্প; ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'এক্সটেন্ডেড ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্স' প্রকল্প; এবং ১ হাজার ৬৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে 'যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল' প্রকল্প।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
অন্যান্য বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে 'সারাদেশে নগর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (পর্যায়-২)' প্রকল্প; ১ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে 'সম্প্রসারিত এলাকাসহ সিলেট সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন' প্রকল্প; ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগ সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ' প্রকল্প; ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ (ধোলঘাটা)- এর জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ এবং ১ হাজার ১৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস' প্রকল্প।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বোঝা কমাতে বিভিন্ন খাত বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও পানি খাতে ভর্তুকি প্রদানের প্রবণতা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে মান্নান বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদ্যুৎ এবং পানির মতো পরিষেবাগুলো সর্বজনীন এবং সকলেই ব্যবহার করে। একজন মন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পর্যন্ত সবাই সমানভাবে এই ধরনের ভর্তুকি সুবিধা ভোগ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও পানি পরিষেবার জন্য এলাকাভিত্তিক ও আয়ভিত্তিক চার্জ নির্ধারণের পরামর্শ দেন বলে জানান মান্নান।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
হাতিরঝিল এলাকায় ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ
হাতিরঝিল এলাকায় ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। যদিও প্রকল্পের কারণে প্রয়োজনীয় সড়ক মেরামতের কাজ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) গত সেপ্টেম্বরে তাদের কাজ শেষ করে নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা মেরামতের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দেয়।
সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি রাজউকের নিযুক্ত একটি ঠিকাদার সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করলেও তা খুব ধীর গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
ডিপিডিসি ও পিজিসিবি হাতিরঝিল লেকে ওভারহেড ক্যাবল প্রতিস্থাপনের জন্য ওই এলাকার রাস্তা খননের মাধ্যমে হাই ভোল্টেজ ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করেছে।
পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ডিপিডিসি প্রথমে জুনে তার অংশের কাজ শেষ করে ও পরে সেপ্টেম্বরে পিজিসিবির কাজ শেষ হয়।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা জানান, কাজ শেষ হওয়ার পর রাজউক সড়কগুলো মেরামত করবে।
সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজউকের নিযুক্ত ঠিকাদার মগবাজার রেড ক্রিসেন্ট এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। কাজের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই এলাকার রাস্তায় ব্যাপক হারে ধুলাবালি বেড়েছে।
কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন রাস্তা ব্যবহার করতে হয় জানিয়ে রাজীব আহমেদ বলেন, ‘ধুলোবালি সবসময় উড়ছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে।’
পিজিসিবির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান সুমন জানান, তার প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই মাস আগে কাজ শেষ করে প্রকল্প এলাকা থেকে সব সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছে।
সড়ক মেরামতকাজের দায়িত্বে থাকা রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
হাতিরঝিল এলাকায় হাইভোল্টেজ ওভারহেড সঞ্চালন লাইন প্রতিস্থাপনের জন্য ভূগর্ভস্থ ক্যাবল বসানোর কাজ শুরু করে ডিপিডিসি।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, প্রকল্পটি শেষ হলে হাতিরঝিলে কোনো ওভারহেড ক্যাবল থাকবে না।
তিনি বলেন, হাতিরঝিল এলাকার দক্ষিণ অংশে রাস্তা খননের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করা হয় এবং রামপুরা ব্রিজ এলাকা দিয়ে মগবাজারে পৌঁছানো যায়।
রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গুলশান, তেজগাঁও ও রামপুরার বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃত্রিমভাবে হাতিরঝিল লেক তৈরি করা হয়। তবে ওভারহেড কেবলগুলো পরিকল্পনার সঙ্গে জায়গার বাইরে ছিল।
হাতিরঝিল থেকে ওভারহেড ক্যাবল অপসারণ ডিপিডিসির বৃহত্তর পরিকল্পনার একটি অংশ।
যার মধ্যে রয়েছে- ডিপিডিসির মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করা।
আরও পড়ুন: খুলনার ময়ূর নদে হাতিরঝিলের আদলে হবে সেতু
শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) নামের বাংলাদেশি এনজিওকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৯ লাখ টাকা) অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে 'গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' (জিজিএইচএসপি) এর অনুদান চুক্তিতে সই করেন।
কক্সবাজার জেলায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিজিএসকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, যুব সহায়তা, মানবাধিকার সুরক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দুর্যোগ ইস্যু, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবিকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিজিএস কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
জিজিএইচএসপি'র অর্থায়নে বিজিএস কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হোস্ট কমিউনিটির সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তরুণদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যযুক্ত এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন জোরদার করবে।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানায়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান এর 'গ্র্যান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' এর মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের এনজিওগুলোকে প্রদত্ত এই জিজিএইচএসপি অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ