জামিন
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে এগুলো নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ এসব মামলা করে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
এর মধ্যে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা, পল্টন ও ঢাকা রেলওয়ে থানায় ১০টি এবং এ্যানীর বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
পরে জামিন আবেদন গ্রহণ করে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন তারা।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও ৫ অক্টোবর এ্যানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করেন।
তারা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বিজয় নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার ৯টি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে পল্টন ও রমনা থানায় দায়ের করা পৃথক ৯টি মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ফখরুল আরও দুটি মামলায় এখনও জামিন না পাওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি এবং রমনা থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গত ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
ফখরুলের জামিনের রুল শুনানি পিছিয়েছে
প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের উপর করা রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করার পর বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট। এদিকে আজ শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আদালতে আবেদন জানান ফখরুলের আইনজীবী ওয়ালী উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম আব্দুর রাফেল। তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জামিন আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়েছেন। আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
ক্রম অনুসারে উঠলে আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য চলতি সপ্তাহে না করার জন্য আরজি জানাচ্ছি।
তখন আদালত এই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, কার পক্ষে বলছেন? তখন এই আইনজীবী বলেন, আইনজীবী সগীর হোসেনের পক্ষে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন শুনানির দিন ধার্য
আদালত বলেন, জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবী কে? তখন এই আইনজীবী বলেন, সগীর হোসেন।
এ সময় আদালত বলেন, ‘তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন?’
তখন এই আইনজীবী বলেন, ‘পারসোনাল ডিফিকাল্টিস’ (ব্যক্তিগত অসুবিধা)।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল হলফনামা (রুলের জবাবসংক্রান্ত) দাখিল করেন। পরে আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন।
মামলাটিতে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি জামিন চেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
এ মামলায় তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয় রাষ্ট্রপক্ষকে।
রুলের শুনানির দিন ধার্য করতে ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। বিষয়টি শুনানির জন্য বেলা ১১টায় সময় ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল গেটে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত কুমার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ৩ নভেম্বর সহিংসতার সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
ফখরুলের জামিন শুনানি ৩ জানুয়ারি: হাইকোর্ট
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে করা রুলের শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত দেন।
ওই মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিষয়টি আজ আদালতে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন।
শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নোটিশ জারি হয়েছে। রুল প্রস্তুত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
আদালত বলেন, উল্লিখিত হিসেবে বিষয়টি রবিবার কার্যতালিকায় আসবে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের উপর কবে শুনানি হবে, রবিবার আদালত তা নির্ধারণ করবেন।’
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
পরদিন গত ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় রমনা মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ২৯ অক্টোবরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ মামলায় ফখরুলের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
এ সময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, আইনজীবী ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য পরদিন সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
আবেদনটির উপর বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরিউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। তারপর কবে শুনানি হবে সেটা তালিকার সিরিয়াল দেখে বলা যাবে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর রবিবার (৩ ডিসেম্বর) তার জামিন আবেদন করা হলো হাইকোর্টে।
গত ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
গত ২৯ অক্টোবর এ মামলায় গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ২২ নভেম্বর ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি পেছাল
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের