কারখানা
গাজীপুরের কারখানায় মেশিন বিস্ফোরণে নিহত ১
গাজীপুরে মোবাইল ফোনের সিম তৈরির একটি কারখানায় বিস্ফোরণে একজন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর মেট্রো থানার ধীরাশ্রম ভারারুল এলাকার ইন্টিলিজেন্ট কার্ড লিমিটেড কারখানা এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লিখন গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।
কারখানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারাখানার ভেতরে একটি মেশিন সেট করতে গিয়ে বিস্ফোরণ হলে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ঝলসে পুড়ে মারা যায় কারখানার শ্রমিক লিখন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্টেশন অপারেটর নিহত
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ওই প্রতিষ্ঠানটিতে লেমিনেশন মেশিন বিস্ফোরণ হয়।
এতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নেভায়।
বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ক্রোনি এ্যাপারেলসে গ্যাস বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন, তিতাস কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও কলকারখানা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা।
আরও পড়ুন: যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
পরিদর্শনের সময় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনয়নের হাটখোলা এলাকায় ক্রোনি এ্যাপারেলসে তিতাসের গ্যাস সংযোগস্থলে বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধ হন। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণের কারণ শনাক্ত করতে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
রাতে তিতাসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও একদিন বাদেই সেখানে অবৈধভাবে সংযোগ নেওয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা মূল বিতরণ সংযোগটির ভালবের দুই পাশে ওয়েল্ডিং ঝালাই দিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
তিতাস কর্তৃপক্ষের ধারণা, বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়েল্ডিং করে সেই সংযোগ স্থাপনের সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, ফায়ার সার্ভিসের জেলা উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ, তিতাসের ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক মো. মুশিউর রহমান ও জেলা কলকারখানা অধিদপ্তরের পরিদর্শকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
ডিজেল তৈরির কারখানায় ড্রাম বিস্ফোরণে মালিক নিহত, আহত ২
ময়মনসিংহের ভালুকায় ডিজেল তৈরির কারখানায় ড্রাম বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের ভায়াবহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় নারী নিহত
নিহতের নাম বিল্লাল হোসেন (৪৫)। তিনি বন্ধন প্লাস্টিক কারখানার একজন মালিক। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে অপর মালিক সাইদুল ইসলাম ও শ্রমিক লতিফ গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভায়াবহ গ্রামের ওই কারখানায় প্লাস্টিক পুড়িয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ডিজেল তৈরি করা হতো। কারখানার ডিজেল রাখার একটি ড্রাম বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান জানান, কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন গুরুতর আহত হন। কী কারণে ঘটনা ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জানা যাবে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে গাছের সঙ্গে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ৩
বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
'সবুজ' অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানায় বিশ্বনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে বাংলাদেশ।
দেশের ২০৪টি কারখানা এখন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেশন (সবুজ কারখানার জন্য প্রশংসাপত্র) পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে গোল্ড ক্যাটাগরিতে ইউএসজিবিসি থেকে গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন পেয়েছে আরও একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা।
১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পয়েন্ট পাওয়া গাজীপুরের গ্রিন সার্টিফাইড কারখানাটি হলো ‘ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড’।
বাংলাদেশ ২০২২ সালে ২৭টি গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যার মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে; যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
মোট ২০৪টি সবুজ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৭৪টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১৬টি গোল্ড-রেটেড এবং বাকিগুলো অন্যান্য-রেটেড।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ইউএসজিবিসি’র লিড সার্টিফিকেশন পেতে আরও ৫০০টি কারখানা পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি লিড সার্টিফিকেশন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।
এটি সত্যিই গর্বের বিষয় বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০৪ স্কোর পাওয়া কারখানাটি বাংলাদেশেই অবস্থিত।
ইউএসজিবিসি বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সম্মানিত করে। যেমন- রূপান্তর কার্যক্ষমতা, জ্বালানি, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম দিয়ে রেট দেওয়া হয়, এরপরে গোল্ড ও সিলভার।
আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
নরসিংদীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন
রবিবার (১২ নভেম্বর) নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানা।
আশা করা হচ্ছে, এই কারখানা দেশের সার আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নরসিংদীতে পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। সে হিসেবে কারখানাটি দৈনিক ২৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম।
ইউরিয়া সারের স্থানীয় চাহিদা বার্ষিক প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। নবনির্মিত এই কারখানাটি পুরোদমে উৎপাদনে গেলে দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
তাই ইউরিয়া সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে, আমদানি কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারখানাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১০ একর জমিতে 'ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্প' বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের ১০ মার্চ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮০ দশমিক ২১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি), ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজি লিমিটেড (এমইউএফজি) এবং হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি) থেকে বাণিজ্যিক ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে, শিল্প মন্ত্রণালয় বিদ্যমান দুটি সার কারখানা- ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) এবং পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (পিইউএফএফএল) বদলে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে একটি নতুন দানাদার ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এমএইচআই) এবং চায়না ন্যাশনাল কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নম্বর সেভেন কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসি-সেভেন) যৌথভাবে কারখানাটি নির্মাণ করেছে। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন।
নতুন কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা আগের দুটি সার কারখানার তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি।
জিপিইএফএফ বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা, যেখানে প্রাথমিক সংস্কারক ফ্লু গ্যাস থেকে পরিবেশ দূষণকারী কার্বন-ডাই-অক্সাইড (সিও২) ধারণ করা হবে এবং ক্যাপচার করা সিও২ ব্যবহার করে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে (প্রায় ১০ শতাংশ)।
প্রধানমন্ত্রী কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারখানা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার কাছে দৃশ্যমান: শেখ হাসিনা
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোটের হাতে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সবজি প্যাকেজিং কারখানায় একটি রোবোটের হাতে এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মেশিনটি ঝুঁকিপূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কি না- এ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
গোসেওং এর দক্ষিণ কাউন্টির পুলিশ জানায়, সোমবার ওই কারখানার একটি মেশিনের রোবোটিক হাত ওই কর্মীকে একটি কনভেয়ের বেল্টের সঙ্গে চেপে ধরে। এতে ওই ব্যক্তির মাথা ও বুকে গুরুতর ক্ষত হয়ে তিনি মারা যান।
পুলিশ নিহতের নাম প্রকাশ করেনি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কোম্পানিতে কাজের সুবিধার্থে শিল্প রোবট ব্যবহার করে এবং মেশিনটি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্ল্যান্টে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বারান্দা ধসে নিহত ২, আহত ৮ খেলোয়াড়
মেশিনটি ছিল দুটি পিক-অ্যান্ড-প্লেস রোবটের মধ্যে একটি। এশিয়ার অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা বেল মরিচ ও অন্যান্য শাকসবজি প্যাকেজ করে এটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষিখাতে এই জাতীয় মেশিনের ব্যবহার খুবই সাধারণ।
গোসেওং থানার তদন্ত বিভাগের প্রধান কাং জিন-গি বলেছেন, ‘এটি কোনো উন্নত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট নয়। এটি শুধু বাক্সগুলো তুলে প্যালেটগুলোতে রাখে।’
তিনি বলেন, মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে কি না- তা নির্ণয় করতে পুলিশ তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোবটের সেন্সরগুলো বাক্স শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পুলিশ মানবিক ত্রুটির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় লোকটি তার হাতে একটি বাক্স নিয়ে রোবটের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সম্ভবত তাই মেশিন প্রতিক্রিয়া শুরু করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্প রোবটের হাতে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত মার্চ মাসে একটি উৎপাদনকারী রোবট গুনসানের একটি অটো পার্টস কারখানায় মেশিন পরীক্ষা করছিলেন এমন একজন শ্রমিককে পিষ্ট করে গুরুতর আহত করেছিল।
গত বছর একটি পরিবাহক বেল্টের কাছে ইনস্টল করা একটি রোবট পিয়ংটেকের একটি দুধের কারখানায় একজন শ্রমিককে মারাত্মকভাবে পিষ্ট করেছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় বনে আগুন, নিহত ২
মোহাম্মদপুরে ফার্নিচার কারখানায় আগুন
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মিজান ডোর অ্যান্ড ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পিকআপে বাসের ধাক্কা, আগুন ধরে নিহত ২০
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের গুদাম পরিদর্শক (মিডিয়া সেল) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকালে ফার্নিচার কারখানায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দমকলকর্মীরা দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৬০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে এবং কারখানা থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বরিশালে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসে আগুন
সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
সীতাকুণ্ডের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। বুধবার সকালে র্যাব-৭ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ এবং অস্ত্র কারখানার মালিকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ২জন হলেন- কারখানা মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী মো. ইমন (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে অবৈধ অস্ত্র কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১
এর আগে মঙ্গলবার র্যাব গোপন খবরের ভিক্তিতে জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ছিন্নমূল পাথরিঘোনা দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাগান বাড়ির টিনের দোচালা ঘরের ভেতর থেকে সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে সদ্য প্রস্তুত করা ৩টি দেশীয় বন্দুক, একটি রাম দা এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে।
কেরাণীগঞ্জে হেরোইন তৈরির কারখানা আবিষ্কার, আটক ৬
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি হেরোইন তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে। মঙ্গলবার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ঘাটারচর এলাকায় এটির সন্ধান পায় পুলিশ।
এসময় কারখানা থেকে ২ কোটি ১০ লাখ টাকার মূল্যের হেরোইন, হেরোইন তৈরির উপকরণ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মাদক কারবারিরা হলেন- হেলাল (৪৫), বিপ্লব (২২), বিল্লাল (২৩), শরিফুল ইসলাম (২০), মোহাম্মদ আলী (২৬) ও হাবিবুর রহমান রানা (৩০)।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে হেরোইনসহ ইউপি সদস্য আটক
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ঘাটারচর লেক সিটি ও সুজন আবাসিক হাউজিং এ টানা পাঁচ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে একটি হেরোইন তৈরির কারখানা আবিষ্কার করেন। এসময় হেরোইন তৈরির মেশিনপত্র ও বিভিন্ন কাঁচামাল সহ ৬ জনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের দুই কেজি ১০০ গ্রাম হেরোইনও জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার মূল মালিক ও মাদক কারবারির হোতা আরিফ হোসেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আরিফকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলামমের নেতৃত্বে মাদক তৈরির কারখানা আবিষ্কার ও মাদক কারবারিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৌনে ৪ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, আটক ২
ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর লালবাগ এলাকায় একটি জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রবিবার (২৫ জুন) রাতে লালবাগ থানার কাশ্মীরি লেন এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় জাল টাকা তৈরির ওই কারখানার সন্ধান মেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাবুল, ইব্রাহিম, আফাজুল, রাসেল, হাবিবুল্লাহ, দুলাল হোসেন, মিনারা খাতুন ও সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে জাল টাকা কেনা-বেচার জন্য একটা সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় হয়েছে এ খবরের ভিত্তিতে সহকারী জেলা প্রশাসক কামালের নেতৃত্বে একটি দল লালবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় কাশ্মীরি লেনের স্বপ্ন শপিং মার্কেটের পাশের গলি থেকে চারজনকে আটক করে তাদের শরীর তল্লাশি করে প্রায় ২৫ লাখ জাল টাকা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেখানো মতে বাড়িটির তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে এই জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাবুল, মিনারা ও সাইফুল একই অপরাধে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন মেয়াদে হাজত বাস করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। এছাড়া চক্রের বাকিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব