ইভিএম
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৭ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন এবং ৭ জেলার ৭ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিপরীতে সংসদীয় উপ-নির্বাচনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ
ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। গত ১৪ মে জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত আসনটি শূন্য হয়।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৫টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫।
১ জুন নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিচার দাবিতে নির্যাতনের শিকার দুই প্রজন্মের ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জামাদি। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সরঞ্জামাদি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
ইতোমধ্যে সিসিকের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা রক্ষায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলেও, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে জানান তিনি।
ফয়সল কাদের আরও জানান, ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে ইভিএমে এবং কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় তদারকি করবে কমিশন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
তিনি জানান, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচ স্তরের মধ্যে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ শুরুর কথা থাকলেও প্রবল বৃষ্টির কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়। কেন্দ্রে নির্বাচনের সরঞ্জাম নিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, সিলেট সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে ৮জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা।
মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান ফয়সল কাদের।
তিনি জানান, সিটিতে ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার (২১ জুন) সিসিক নির্বাচনে বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডসহ ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।এবার ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইভিএম
বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেড় হাজার ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) দুপুরে শহরের শিল্পকলা একাডেমি থেকে এসব মেশিন বুঝে নেন প্রিজাইডিং অফিসার।
প্রথমবারের মত এবার বরিশালের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। ১২৬টি কেন্দ্রের ৮শ ৯৪টি বুথের জন্য এই ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকালে এসব নির্বাচনী সামগ্রী বুঝে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্ব স্ব কেন্দ্রে চলে যান প্রিজাইডিং অফিসারা।
বরিশাল নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ টি কক্ষে প্রিজাইর্ডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবে ১২৬ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৮৯৪ জন এবং পুলিং অফিসার ১৭৮৮ জন আর ইভিএম মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে মোট ১৮শ।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বরিশালে ভোটের পরিবেশ শতভাগ সুষ্ঠু আছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সব ধরনের প্রস্তুতি প্রস্তুতি সম্পন্ন করায় বরিশালে ভোট উৎসব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
ভোট দিতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য তিনি আহ্বানও জানিয়েছেন।
নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলতে সাড়ে ৪ হাজার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি দশ প্লাটুন বিজিবি, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দশ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
এরই মধ্যে ১২৬টি কেন্দ্রের প্রবেশ মুখে দুটি করে ও কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৯ মে দেড় হাজার ইভিএম নগরীতে এসে পৌঁছেছে। বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোট আগামী ১২ জুন। এতে ৭ মেয়র, ১১৯ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বরিশালে বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন(ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার ইসি সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩০০ আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবে তারা ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। যা সম্ভাব্য আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
এরপর ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি এবং তার মিত্ররা, যারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয়নি।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সরকার বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএম m1348 Hrs 13achines (EVMs) কেনার বিষয়টি এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন চলাকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যালট ইউনিট ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক সজল দাশ।
অভিযুক্ত নির্মলেন্দু দে সুমন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৯নং ওয়ার্ডের মৃত গৌরাঙ্গ দে’র ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দিনভর ভোটারদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। এরই মধ্যে বেলা ১২টার দিকে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নং কক্ষে প্রবেশ করে নির্মলেন্দু দে সুমন গোপনকক্ষ থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যায় চলে যায়। গোপনকক্ষ থেকে ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ মৃদু প্রতিবাদ করলেও তা কর্ণপাত করেনি ওই যুবলীগ নেতা। পরে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি উদ্ধার করে কেন্দ্রে ফেরত দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন চৌধুরী।
এ ঘটনায় পুলিশ রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়েরকৃত মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ইউপি নির্বাচন: এমপি বেলালের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
জেকেজি চেয়ারপার্সন সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক: চুয়াডাঙ্গায় ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক। আমরা ছয় শতাধিক নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কোনো পক্ষপাতিত্ব করিনি। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগও নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিদর্শনে এসে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে চাই। দলগুলোর সঙ্গে বারবার সংলাপ করেছি। প্রয়োজনে আমরা আরও সংলাপ করবো। একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে নির্বাচনে ব্যাল্যান্স থাকে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন সব দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেই চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। আমরা পর্বে পর্বে সংলাপ করেছি, এতে কোনো কোনো দল এসেছে, আবার কোনো দল আসেনি। আমরা দলগুলোর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের কাজগুলো দেখেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেন, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু সংঘর্ষ ও রক্তপাত হবে না। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অন্যদের সবাই সহযোগিতা করলে নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন: প্রধানমন্ত্রী
অর্থ ছাড়ের ওপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ভাগ্য ঝুলছে: ইসি সচিব
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড় না পাওয়ায় আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার ঝুলছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
বুধবার নির্বাচন ভবনে ১৬তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
সরকার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত রাখার পর সরকার এখন পুরনো ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য অর্থ ছাড় করতে বিলম্ব করছে।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) জানিয়েছে যে আমাদের কাছে এক লাখ ইভিএম রয়েছে, যা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তহবিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সংসদ নির্বাচনে মেরামত এবং ব্যবহারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমরা ইভিএম ব্যবহার করা আসন সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেন।’
নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছে প্রতিটি দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকায়, যা ভারতের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বেশি।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর একটি প্রস্তাব অনুসারে, এখন, প্রায় পাঁচ বছর পরে, এই মেশিনগুলোর মধ্যে ৪০ হাজার মেরামতের বাইরে রয়েছে এবং বাকি এক লাখ এক হাজার ঠিক করা যেতে পারে। তবে এর জন্য প্রায় এক হজার ২৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অর্থ ছাড় করতে ইসি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে। অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা দিতে রাজি হলে পরবর্তী ধাপে ইসি বলতে পারবে কয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যতটা সম্ভব ব্যবহারের কথা ভাবছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘স্থান ভেদে ভোটার সংখ্যা ভিন্ন। তাই ছোট এলাকা নিতে পারলে বেশি ইভিএম ব্যবহার হবে আর বড় এলাকায় হলে কম হবে। তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর স্পষ্ট করে বলতে পারব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন বরাবরই বলে আসছে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তারা।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা এর থেকে সরে আসিনি। যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তার সংখ্যা নির্ভর করবে ইভিএম মেশিনের সংখ্যার উপর। এটি নির্ভর করে কতগুলো মেশিন পাওয়া যায়, কতগুলিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়।’
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তৎকালীন কে এম নুরুল হুদা কমিশন দুই লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল। সে সময় তারা জাতীয় নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছিল। বাকিগুলো স্থানীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়। কিছু মেশিন বিএমটিএফ গুদামে সংরক্ষিত আছে। মোট এক লাখ মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা হাতে নেন। এর জন্য প্রায় চার লাখ মেশিনের প্রয়োজন। আরও দুই লাখ মেশিন ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারকে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার নতুন প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
শনিবার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কমিশনার বলেন, বাজেট সংকটের কারণে আগামী নির্বাচনে সব আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘কিছু নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম আংশিকভাবে ব্যবহার করা হবে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এমন প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
তিনি বলেন, বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এর আগের মতো সমালোচনা হকবে না।
কমিশনার আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কোনও সুযোগ নেই।
ফরিপুর বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো.জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, সরকার এই মুহূর্তে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ক্রয় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সরকারের আর্থিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইসি ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
এছাড়া গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএম সংগ্রহের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ আগস্ট আগামী নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আগামী বছরের শুরুতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা। তারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
এরশাদের আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ১ সেপ্টেম্বর: ইসি সচিব
ইভিএম পাস না হলে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোটগ্রহণ হবে: কমিশনার রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পটি জানুয়ারির মাঝামাঝি পাস না হলে, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমের নতুন স্কিম জানুয়ারির মাঝামাঝি পাস না হলে, এই মেশিনগুলো ১৫০টি (সংসদীয়) আসনে ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্ষেত্রে, ইসিকে ব্যালট পেপারে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।’
রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এর আগে ১৫০টি আসনে ইভিএম সংগ্রহ ও ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল। সেই প্রস্তাব এখনও পাস হয়নি।
ইসি কমিশনার বলেন, ইভিএম প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: রংপুরে সংরক্ষিত ইভিএমের ৬০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে প্রকল্পের তহবিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সময়মতো আসে, তাহলে ভালো। না হলে আমাদের যা আছে তাই করব। আমাদের ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার ক্ষমতা আছে।’
তিনি জানান, তারা এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের (মন্ত্রণালয়) সঙ্গে কথা বলেননি এবং এটা নিয়মও নয়। ইসি সচিবালয়ে আলোচনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত