সাভার
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, নারীর মৃত্যু
সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
শ্রমিকরা জানায়, লেনী ফ্যাশন কারখানার মালিক একজন ভারতীয়। করোনার কারণে অনেকদিন ধরে তিনি কারখানায় আসছেন না। এই মালিকের দু'টি কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৬০০ শ্রমিক। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানা দুটি বন্ধ। জানুয়ারি মাসের বেতনও তারা পাননি। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও আটকে আছে। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি
আসাদুজ্জামান বলেন, রবিবার সকালে বেতন-ভাতার দাবিতে লেনী ফ্যাশনের কয়েক'শ শ্রমিক নতুন ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ব্যস্ততম এই সড়কটিতে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার জন্য বোঝালেও তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে জলকামান নিক্ষেপ করে তাদের সরিয়ে দিলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ধাওয়া করলে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি কারখানায় কর্মরত জেসমিন নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সাভারে বয়লারের গরম পানি থেকে ৪ শ্রমিক দগ্ধ
সাভারের আশুলিয়ায় একটি ডায়িং কারখানায় কাজ করার সময় বয়লারের গরম পানি থেকে ৪ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকার এসডিএস ইয়ার্ন ডায়িং কারখানা এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শ্রমিকরা হলেন রাশেদুল, হাসান, স্বন্দীপ ও আনোয়ার।
আরও পড়ুন: অগ্নিদগ্ধ হয়ে কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার মৃত্যু
দগ্ধ শ্রমিকদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দগ্ধদের মধ্যে ২ জনের ৬০ শতাংশ এবং বাকী ২ জনের যথাক্রমে ১০ ও ১৫ শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বগুড়ায় দম্পতিসহ দগ্ধ ৪
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় ৪ জন শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে আসে কয়েক ব্যক্তি। পরে তাদের দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটার থেকে দগ্ধদের মধ্যে থেকে ৬০ শতাংশ করে পুড়ে যাওয়া রাশেদুল ও হাসানকে আইসিওতে পাঠানো হয়। বাকী ২ জনকে সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
দগ্ধ শ্রমিকদের স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, কারখানার ভিতরে কাজ করার সময় দূর্ঘটনাবশত বয়লারের গরম পানি তাদের শরীরে পড়লে তারা ৪ জন দগ্ধ হন।
আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনাটির খবর আমরা শুনেছি।
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন বাসের চালক ও চালকের সহকারীসহ ছয় জনকে আটক করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সাভারের আশুলিয়ার বিশমাইল নবীনগর এলাকার ডিসি নার্সারির সামনে শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম বলেন, গতকাল নায়ারণগঞ্জের চাষাড়া থেকে এক নারী শ্রমিক মানিকগঞ্জে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে তিনি মানিকগঞ্জ থেকে নায়ারণগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি বাসে করে আশুলিয়ার নবীনগর আসেন। নবীনগরে তার এক পূর্ব পরিচিত ভাইয়ের সাথে একটি মিনি বাসে উঠলে বাসের চালক বিশমাইল নবীনগরের মাঝে ডিসি নার্সারির সামনে নিয়ে ওই নারীর সাথে থাকা যুবককে বেঁধে বিভিন্ন গাড়ির ছয়জন চালক ও চালকের সহকারী তাকে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার
এসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারী চিৎকারে মহাসড়কে টহলরত সাভার হাইওয়ে পুলিশ ওই গাড়িটি জব্দ করে। সেই সাথে ছয়জন ধর্ষণকারীকেও আটক করে এবং ওই নারীকেও উদ্ধার করে। পরে সকালে ছয়জন ধর্ষণকারীকে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, পুলিশ ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে। এছাড়া গত দুই দিনে সাভার ও ঢাকার ধামরাইয়ে এক শিশুসহ দুইজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সাভারে পোশাক কারখানার লিফট ছিঁড়ে শ্রমিক নিহত
ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানার লিফট ছিঁড়ে এক লিফট অপারেটর নিহত হয়েছেন।
রবিবার সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিরুলিয়া রোডের আজিম গ্রুপের জিকে গার্মেন্ট কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
নিহত জহিরুল ইসলাম মিশু (৩২) রাজধানীর যাত্রবাড়ী থানার দীন ইসলামের ছেলে। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সাভারের মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রের কোয়াটারে থেকে কাজ করতেন।
আজিম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার উল কাদির জাহিদ জানান, কারখানার তৃতীয় তলায় লিফটে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। অপারেটর জহিরুল ইসলাম মিশু লিফট মেরামতকারীকে খবর না দিয়ে নিজেই সারিয়ে নেবার চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ চাপা পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, ওই ভবনে লিফট দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্মাণাধীন ভবন থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
ঈদ সামনে রেখে গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলামুখী রাজধানীবাসীরা। আর তাই রবিবার সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে গাবতলী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাড়ীর টানে নারী, শিশুসহ শত শত মানুষ রাজধানী ছাড়ছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে পৌঁছাতে ঢাকা ছাড়ছেন। আবার রাজধানীমুখী যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গিয়ে যাত্রী নামিয়ে আবার ফিরতি পথে ঘুরে সাভারের দিকে আসছে। গাড়িগুলো ঘুরাতে গিয়েই এই তীব্র যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাভারের আমিনবাজারে ব্রিজে ফাটল: ৩য় দিনের মতো এক পাশে যান চলাচল বন্ধ
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ জানান, গণপরিবহন চলাচলের পাশাপাশি মহাসড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় যানজট বাড়ছে।
দূরপাল্লার যাত্রীরা জানান, সাভার থেকে লোকাল বাসগুলোতে চেপে তারা আমিনবাজার পর্যন্ত যাচ্ছেন। সেখান থেকে ব্রিজ পার হয়ে গাবতলী থেকে বাসে চেপে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে যাত্রা শুরু করেছেন।
বগুড়ার গাবতলীবাসী আনোয়ার হোসেন গাবতলী বাসস্ট্যান্ড হতে পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে সকাল ৬টায় রওয়ানা হয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় আমিন বাজার পৌঁছেছেন। তিনি জানান, এভাবে যানযট জানলে কিছুতেই বাসা হতে বের হতাম না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্নব সাহা বলেন, সকাল ১০টায় সাভার থেকে বাসে উঠেছি, এখন বাজে পৌনে ১টা। দুই ঘণ্টা বলিয়ারপুরেই জ্যামে বসে আছি। ইফতারের আগে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কিনা জানি না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সাভারের চাকরিজীবী আলমগীর হোসেন ও খোরশেদ আলম বলেন, ‘সরকার গণপরিবহন চালু করেছে ঠিকই। কিন্তু এতে আমাদের ভোগান্তি আরো দ্বিগুণ হয়েছে।’
আরও পড়ুন : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট
এদিকে সড়কে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই কারো মাঝে। ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট চালক ও অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী, যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা থাকলেও সেটি মানছেন না অনেকেই।
অন্যদিকে, বাসগুলোতে সীমিত পরিসরে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন না করার কথা থাকলেও তাও মানা হচ্ছে না। এছাড়া দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।
সাভারে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য আটক
সাভারে বুধবার রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব -৩।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৩ সাভার মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকে কখনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আটক সাইফুল ইসলাম (২২) নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার কুন্দারপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাব-৩ এর কর্মকর্তারা জানায়, আটক ওই জঙ্গি সদস্য দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতার আড়ালে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার থাকার কক্ষ তল্লাশি করে বিভিন্ন প্রকার উগ্রবাদী বই উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘আনসার আল ইসলামের’ ৩ সদস্য আটক
সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে।
সাভারে বাসচালককে গলাকেটে হত্যা, ভ্যানচালক আটক
সাভারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাসচালককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় এক ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে সাভারের আনন্দপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত বাসচালক রাজিব শেখ সাভারের আনন্দপুর মহল্লার আনিস শেখের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মুন্সিকান্দি গ্রামে।
আটক ভ্যানচালক নাজিম মন্ডল রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার পাঁচুরিয়া গ্রামের কাদের মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রাতে বাসচালক রাজিব শেখকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনেন প্রতিবেশি ভ্যানচালক নাজিম মন্ডল। পরে তাকে একটি বাগানে নিয়ে রামদা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে নাজিম মন্ডল। এ সময় হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী কারণে ওই বাসচালককে হত্যা করা হয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলতে না পারলেও পুলিশ বলছে মাদক খাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই বাসচালককে হত্যা করেছে ভ্যানচালক।
এদিকে, আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম নুরুল কাদির সৈকত বলেন, ওই বাস চালকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তারা আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছেন। এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৮ বছর
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সর্বকালের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ‘রানা প্লাজা’ ধসের আট বছর পূর্তি শনিবার। করোনা মহামারির মধ্যেই নিহতদের স্মরণে পালিত হচ্ছে দিনটি।
নিহতদের স্মরণে এবছর করোনা মহামারির কারণে খোলা স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে না।
এই দিনটি স্মরণে প্রতিবছর বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, বাম রাজনৈতিক দল এবং রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অবৈধভাবে নির্মাণ করা রানা প্লাজা ভবনটি ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে। এই দুর্ঘনায় ভবনটিতে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক মারা যায়। প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশে পরিচালিত জরিপ মতে, বেঁচে ফেরা প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যের দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
রানা প্লাজা দুর্ঘনায় জীবিতদের মধ্যে প্রায় ৫৮.৫ শতাংশ মোটামুটি সুস্থ এবং ২৭.৫ শতাংশ ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। কিন্তু ১৪ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন এখনও তারা মাথা ব্যথা, হাত-পা এবং পিঠে ব্যথা অনুভব করেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায়, এখনো ১২.৫ শতাংশ দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ৬২ শতাংশ ব্যক্তি স্বল্পমাত্রায় মানসিক অসুস্থতার শিকার এবং ২৫.৫ শতাংশ ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। গতবছরের তুলনায় এই বছর ৪.৫ শতাংশ ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক ভার্চুয়াল সভায় অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ জরিপে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করে। দুর্ঘটনার শিকার ২০০ ব্যক্তি এই জরিপে অংশ নেয়।
সাভারে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
সাভারে ধরেন্ডায় ছয় বছরের এক শিশু ধর্ষণ ও অপর ঘটনায় শিশু বলাৎকারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সমর রোজারিও ও আরিফুল ইসলাম
পুলিশ জানায়, সাভারের খ্রিস্টান পল্লী ধরেন্ডা এলাকায় ছয় বছরের ওই শিশু তার বা মার সাথে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। গত ১৫ এপ্রিল রাতে প্রতিবেশী সমর রোজারিও ওই শিশুটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি বৃহস্পতিবার তার বাবা-মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত সমর রোজারিওকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: আখ খেতে নিয়ে শিশু ধর্ষণ, বাগেরহাটে ২ কিশোর গ্রেপ্তার
এদিকে, আটক ধর্ষণকারীর একটি প্লাস্টিকের দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের অভিযুক্তের দোকানে পোস্টার টাঙিয়ে দোকানের পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার জন্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
অন্যদিকে, সাভারের কাতলাপুর এলাকায় দশ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তান করেছে পুলিশ। এঘটনায় বলাৎকারের শিকার শিশুটির বাবা সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গত চার দিনে সাভারের রাজাশন, ব্যাংক টাউন, হেমায়েতপুর ও বাইপাইল এলাকায় চার জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় চার ধর্ষণকারীকেই আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, দুটি ঘটনায় মামালা হয়েছে এবং গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সাভারে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
সাভারে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী নিজেই জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ধর্ষণকারীকে পুলিশে দিয়েছে।
বুধবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং এদিনই ধর্ষণকারীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকার রাজাশন মহল্লায় ১৪ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রী বাবা মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে নিজ ঘরে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস শ্রমিক আজিজুল ইসলাম। এ ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি ৯৯৯ এ জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক
পুলিশ আরও জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারী গার্মেন্টস অপারেটর আজিজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আটক ধর্ষণকারী ব্যক্তি আজিজুল ইসলাম খুলনা জেলার লবনচোড়া থানার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ধর্ষক গ্রেপ্তার
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, আটক ধর্ষণকারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।