নির্দেশ
বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা মো. হানিফ।
তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
তবে মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
নিবন্ধনযোগ্য জিআই পণ্যের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
নিবন্ধিত পণ্যসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য এমন ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের তালিকা করে তা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই তালিকা দাখিলের জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
রুলে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও নিবন্ধনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বাণিজ্যসচিব, কৃষিসচিব, সংস্কৃতিসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের জিআই পণ্য নিয়ে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে আরও দুটি পণ্য। এ অবস্থায় জিআই পণ্যের সমন্বিত তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
পরে সারওয়াত সিরাজ শুক্লা পরে সাংবাদিকদের বলেন, ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যগুলোকে নিয়ে রিট আবেদন করেছিলাম। আদালত সব জিআই পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে আদেশ দিয়েছেন। এ জন্য একমাস সময় দিয়েছেন। রুলও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। সভা শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ক্ষেত্রে একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, সংবাদ ছাপা হয়। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে শক্তহাতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোরগ্যাং বা এ রকম যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন: আগামী রোজা পর্যন্ত দেশে কোনো খাদ্যসংকট হবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
চিকিৎসায় অবহেলায় ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ইউনাইটেড গ্রুপ পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
এছাড়া শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাখিল করা তদন্ত প্রতিদবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপতালে চিকিৎসা করাতে এসে এ পর্যন্ত কত রোগী মারা গেছেন তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে সেদিন মৌখিক আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
একইসঙ্গে রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের সব অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল ক্লিনিকের তালিকা ১ মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
ওই আদেশ অনুযায়ী রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ান চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য আয়ানকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া লাগত। সুন্নতে খতনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনের মতামত অংশে আরও বলা হয়, শিশু আয়ানের অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপপরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আদালত প্রতিবেদনটি এফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন এবং শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান। এরপর গত ৯ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে শিশু আয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের ডাক্তারি সনদ বাতিল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোটের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। পরে শিশু আয়ানেরর বাবা রিটে পক্ষভূক্ত হন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশ
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সঙ্গে সারা দেশে উঠান বৈঠক করার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এর অংশই হিসেবে প্রথম উঠান বৈঠক করেছেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
আমন ধান কাটার এই গ্রামের জমি এখনো পতিত পড়ে আছে কেন, কৃষকদের কাছে সে বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উঠান বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কী কী সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারও পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অবৈধ মজুতদার ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা এর ফল ভোগ করবে।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য মজুদ করে থাকে, তাহলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠাতে হবে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা জরুরি। শুধু তাদের খুঁজে বের করাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও আমরা তা করব।’
মজুতদারি ও কালোবাজারি করে কেউ যাতে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মানুষের খাবার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই চাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।’ আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, যদিও ভোটারদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে আন্দোলনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিকল্প উপায়ে আবার শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় জনগণ সন্তুষ্ট ও খুশি।
তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে আর কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।' তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
তার সরকার দেশের আরও উন্নয়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে আসবে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
থানা, ডাম্পিং স্টেশন ও আদালত চত্বরের সামনে পড়ে থাকা মামলার জব্দ করা নমুনার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আইজিপিকে সারা দেশের থানা, ডাম্পিং স্টেশন ও আদালত প্রাঙ্গণে অরক্ষিত মালামালের প্রতিবেদন সংগ্রহ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিশু আয়ানের মৃত্যু : পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল জারি
আইনজীবী বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসব পণ্যের এমন অব্যবস্থাপনা আমরা পৃথিবীর আর কোথাও দেখিনি। বছরের পর বছর এভাবে পড়ে থাকার কারণে পরে তা রাষ্ট্রের বা মালিকদের কোনো কাজে আসছে না।’
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তারা তার কোনো জবাব দেননি। ফলে তারা পাঁচ আইনজীবী ২০২২ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩০ আগস্ট মালখানা ও থানায় জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে হাটবাজার, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
নারায়ণগঞ্জে ১১টি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ
লাইসেন্সবিহীন সকল হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের মোট ১১টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জেন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সবজি বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
সিভিল সার্জন জানান, আমাদের কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশনা এসেছে। সারা জেলার মোট ২০০টি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মধ্যে ১১টির হালনাগাদ করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, আমরা তাদের বুধবার বিকালে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া তালিকার বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ট্রাক মেরামত করতে গিয়ে প্রাণ গেল চালক ও হেলপারের
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে সারা দেশে লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং আমি কখনোই এ বিষয়ে ছাড় দেব না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমি বলেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে, তেমনি অনুমোদনবিহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মাঠে ছিলেন প্রার্থীদের স্ত্রীরা
রানা প্লাজা ধস: ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনসংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশ বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৮ বছর
জামিন স্থগিত থাকায় সোহেল রানা মুক্তি পাচ্ছেন না বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির নির্ধারিত দিন সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মুনমুন নাহার।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগ রানার জামিন আবেদনের বিষয়টি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সেটি শুনানি হয়।
গত বছরের ৮ মে ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
একই সঙ্গে এই সময় পর্যন্ত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এই মামলায় সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে (রুল অ্যাবসলিউট) গত ৬ এপ্রিল রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উঠে।
সেদিন চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: সোহেল রানার জামিন আদেশ আরও ৬ মাস স্থগিত
তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ রানার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়টি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করেছিলেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন ১ হাজার ১৬৯ জন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর আজ
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী পাঁচ বছর মধ্যে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সময় একেবারেই নির্ধারিত। তাই আমি চাই আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ুক, যাতে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি মাঠ প্রশাসনকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও নকশা প্রণয়নের সময় সেখান থেকে কী পাওয়া যাবে তা বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনি যখন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন, তখন আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেখান থেকে কী পাওয়া যাবে এবং দেশ ও জনগণ কতটা উপকৃত হবে।’
তিনি আরও বলেন, শুধু অর্থ ব্যয়ের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন না তিনি।
তিনি বলেন, অনেক দেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথ থেকে পিছলে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সফলভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার বিভিন্ন প্যারামিটারে স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'তাই আমাদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে (উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রার জন্য)।’
সরকারের সমালোচকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা কোনো কিছুতেই ভালো বোধ করে না। ‘তাদের অধিকাংশই আমার কাছে খুব পরিচিত। আমি আমার ছাত্রজীবন থেকেই তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ‘সুতরাং, এগুলো দেখে ও শুনে মন খারাপ করবেন না। আমি এ বিষয়ে আগে থেকেই সব কিছু বলছি।’
দেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যে কান না দিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তা অব্যাহত রাখার জন্য সংকল্প, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ বাড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এত উন্নত হবে এবং এগিয়ে যাবে তা অনেক দেশ ভাবতেও পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সাফল্য ও উন্নয়ন দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত।
সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং এগুলো (বাংলাদেশ সম্পর্কে গুজব ও নেতিবাচক মন্তব্য) দেখে উদ্বিগ্ন হবেন না, দ্বিধা করবেন না এবং কাজ বন্ধ করেবেন না। আপনাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে অনেক ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্র হয়েছে।
নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য তিনি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, পরিবেশ রক্ষায় ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ, প্রতিটি উপজেলাকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে আরও প্রচার চালানোর জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার এখন গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি মুদ্রাস্ফীতি না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি কিন্তু ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে রুপিতে ট্রেডিংয়ের জন্য ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের মুদ্রায় বাণিজ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা