নির্বাচন
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের
জাতিসংঘ বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে। কারণ দেশটি কয়েক মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক ১ নভেম্বর নিউইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমি মনে করি আমরা খুব স্পষ্টভাবে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, তারা এই সময়ের মধ্যে হয়রানি বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার অথবা সহিংসতার বিরুদ্ধেও কথা বলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, পরবর্তী নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। এটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ’ হবে এবং কে অংশগ্রহণ করবে বা করবে না তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে পৃথক এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বহুবার বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সবার দায়িত্ব- সব রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের জন্য যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়, আর তা হলো- অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।’
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা, হাসপাতাল ও বাসে আগুন অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ইসিকে সময়মতো নির্বাচন করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন ইসিকে যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে।’
সিইসি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে এর মানে এই নয় যে পরিবেশ অনুকূল না হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।’
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা হয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বা বয়কট করতে পারে, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন কোনও বিকল্প নেই।’
কমিশনের প্রধান এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আশা প্রকাশ করেন। আমরাও একই কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে সমস্যার সমাধান হবে না। তিনিও (মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) বিশ্বাস করেন যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিৎ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইত তাহলে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না।’
তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না এবং নির্বাচন বানচাল করতে চায়।’
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ নেতা, সহযোগী সংগঠন ও দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে এবং দেশের অবকাঠামো রক্ষা করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন বলছেন- এক দফা আন্দোলন ভুয়া। গোলাপবাগ থেকেই বিএনপির আন্দোলনের পতন শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের কাছে আরামবাগে জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী পূর্বানুমতি না থাকা সত্ত্বেও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে অনড় ছিল। তবে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে শাপলা চত্বরে যেতে পারেননি দলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে নটরডেম কলেজের সামনে থেকে দুপুর দুইটা ২০ মিনিটে র্যালিটি শুরু হয়।
জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর ছিল জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে হত্যার দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই। কিন্তু হত্যা করে নয়। বরং আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আইন প্রয়োগ করে প্রতিশোধ নেব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি দাবি করেন, শনিবারের সমাবেশে যাওয়ার পথে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জামায়াতের আমীরসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে আরামবাগ এলাকা পার হতে পারেননি। কিন্তু তারা আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নুরুল ইসলাম।
সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করে তিনি নেতা-কর্মীদের শাহজাহানপুর হয়ে কমলাপুর ত্যাগের নির্দেশ দেন।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
সতর্ক থাকুন, আগামী নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়: প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে কেউ বানচাল করতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসন্ন। 'কেউ যাতে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বেলজিয়ামে তার হোটেল থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্টস থিয়েটার 'ইস্পেস লুমেন'-এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বেলজিয়াম শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জিত ব্যাপক উন্নয়ন সাফল্য ও অর্জন জনগণের সামনে তুলে ধরতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে কান না দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই বাংলাদেশের বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরুন। অপপ্রচারে কান দেবেন না।’
খুনি ও সন্ত্রাসীদের কেউ যেন জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি আবার অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়, তাহলে একজন মানুষও রেহাই পাবে না।’
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এখন রেমিট্যান্স প্রবাহে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন পেয়েছে। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বসবাসরত জনগণের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রবাসীদের নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, আন্তরিকতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে আমরা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।
১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৯ সাল পর্যন্ত ২৯ বছরে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে কী করেছে সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘২৯ বছর মানুষ অন্ধকার ও দুর্ভোগের মধ্যে ছিল।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'তাদের হাতে বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যত নেই এবং তারা বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।’
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালে ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো চরম দরিদ্র থাকবে না, কারণ সরকার চরম দরিদ্রদের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উন্নতমানের জাহাজ নির্মাণে বেলজিয়ামকে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিম দুই বছর বা তার বেশি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী খালেদা জিয়া কিংবা হাজী সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট গতকালের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন যে সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপর্যুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল করেন, সেটা ভিন্নকথা।
এর আগে রবিবার হাইকোর্ট থেকে প্রকাশিত এক রায়ে বলা হয়, উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল না হলে অথবা সাজা ভোগের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে আপিল বিচারাধীন ও জামিনে থাকা কোন দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রকাশিত রায়ে বলা হয়, এই মামলা থেকে জানা যায় যে আবেদনকারীদের বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তারা দুর্নীতির জন্য দণ্ডিত হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ। একজন ব্যক্তির সততার মূলে আঘাত করে দুর্নীতি।
একজন সংসদ সদস্য হলেন ক্ষমতা, সম্পত্তি ও জনগণের কল্যাণের ট্রাস্টি। তাদের উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সততা থাকতে হবে। এর থেকে কোনো বিচ্যুতি হলে তা সততা ও নৈতিক স্খলন হিসাবে বিবেচিত হয়।
আমরা মনে করি, যে অপরাধের জন্য আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা তাদের নৈতিক স্খলন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান নিজেই একজন সংসদ সদস্যের পদ সৃষ্টি করেছে ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির অযোগ্যতাও নির্ধারণ করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত লোক এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেও সে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে না। কারণ সেটা তার কোন ভয় ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার শপথের বিপক্ষে চলে যায়।
এই মামলায়, সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই শেষে বিচারক আবেদনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন যা এই আদালতে বিচারাধীন। আপিল বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও, তাদের অবস্থান হলো তারা দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি।
এই আদালত তাদের সাজা স্থগিত করেননি, কিন্তু তারা জামিন পেয়েছেন। জামিন আদেশ দ্বারা, সাজা স্থগিত করা হয়েছে বলে মনে করা হয়, কিন্তু দোষী সাব্যস্ততা বলবৎ থাকে। আবেদনকারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাজা স্থগিত রেখে সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
আদালত বলেন, উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যদিও অভিযুক্ত আবেদনকারীদের জামিন দেওয়া হয়েছে, তবে সাজা স্থগিতের প্রশ্ন ওঠেনি। সেই অনুযায়ী, দোষী আবেদনকারীদের সাজা ভোগ করে মুক্তির পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে অথবা উচ্চ আদালত কর্তৃক তাদের সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ নির্বাচনে অংশ গদ্রহণ করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য যে, একজন ব্যক্তি যিনি বৈধভাবে সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত এবং দণ্ডিত, হলে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুযায়ী তার আসন স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে যাবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ ওই রায় দেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রবিবার ওই পর্যবেক্ষণসহ ৪৪ পৃষ্ঠার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: আইজিপি
সহজ জয়ের জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তারা ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার চেষ্টায় আছে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট আয়োজিত একটি স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, 'আপনারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা সৃষ্টি করছেন। আপনারা বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিতে চান না। এর পেছনে একমাত্র কারণ হলো আপনারা 'ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া'র চেষ্টায় আছেন।
গণতান্ত্রিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়। গত ১৩ অক্টোবর মিরপুরের বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, তারা বাংলাদেশকে তাদের 'পৈতৃক সম্পত্তি' মনে করে এবং একজনই দেশের মালিক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিরোধী দলকে শেষ বার্তা দিয়েছেন। তিনি (কাদের) বলেছেন, নির্বাচনকালীন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
ওবায়দুল কাদেরের বার্তা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আপনি যদি এমনটা মনে করেন, তাহলে নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ প্রস্থান চান নাকি ক্ষমতাচ্যুতি চান, সিদ্ধান্ত নিন: ফখরুল
কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয় সেটার জন্য সে নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহুদল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নিবে। ২/১টা দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।’
বুধবার সকালে তিনি রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ যতক্ষণ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, কোনো আলটিমেটাম বা বার্তা দিয়ে লাভ হবে না: কাদের
কাদের বলেন, ‘ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ৭৫-এ খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, সে ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে বিএনপি।
এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যতদিন শেখ রাসেলের মতো অবুঝ শিশুর জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে না তুলতে পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শেখ রাসেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সরকার সংলাপের বিষয়ে বিবেচনা করবে: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর ডিসক্রিশন (ইচ্ছাধীনতা)।
তিনি বলেন, তিনি চাইলে ছোটও করতে পারেন, প্রয়োজন মনে করলে যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে কিন্তু কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যদি তার সবাইকে প্রয়োজন থাকে, সবাই থাকবেন। আর যদি তিনি মনে করেন তিনি ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
শ্রম আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রম আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। এখন যে সংশোধনীগুলো আছে সেটার বিষয়ে আইএলও’র কিছু বক্তব্য আছে। আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, আমরা সেটা শুনেছি। কিছু কিছু ব্যাপারে আজ সমাধান করে ফেলেছি। আর কিছু বিষয়ে আগামী ২২ অক্টোবর ফের আলাপ-আলোচনায় বসব।
প্রশ্ন উঠেছিল, ট্রেন ইউনিয়ন গঠন নিয়ে আলাপ হয়েছে। গ্রুপ অব কোম্পানিজ ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তখন ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সই দরকার হতো। সেটিকে সংশোধন করে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা কমানো হবে বলে আইএলও’র কাছে আমাদের অঙ্গীকার ছিল।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, ধীরে ধীরে এ শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে। আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বদলে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সইয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। তাদের এরিয়া অব কনসার্ন যেটা আমার মনে হয় না এটার ব্যাপ্তি অনেক। এটা সমাধান করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়া ধর্মঘট করার সুযোগ, শ্রম আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো এসব নিয়ে আলোচনা। সেগুলো বিস্তারিতভাবে রবিবার আলাপ করে বলব।
বেশিরভাগ ব্যাপারে তারা হ্যাপি। কিছু কিছু এলাকায় যেটা উনারা বলেছেন সেটা ইন্টারন্যাশনাল বা আইএলওর স্ট্যান্ডার্ডে করতে গেলে এখানে বোধহয় কিছু বিষয়ে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। আমরা সেই স্পষ্টকরার জন্য আগামী রবিবার বসব।
আরও পড়ুন: মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান আইনমন্ত্রীর
নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আফরিনের বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে ‘শক্তিশালী বহুমুখী’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচনী জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেন।
সম্প্রতি কলম্বোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইতোমধ্যেই তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করে বলেছেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন