নির্বাচন
আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী সাধারণ নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য তার দল জয়ী হলে রাষ্ট্র পরিচালিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে উন্নীত করা হবে।
পানিসম্পদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামীতে সুযোগ পেলে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালকে উন্নত করব।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ডাক্তার, নার্স ও দক্ষ জনবল দরকার; আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য আলাদা তহবিল বরাদ্দ করেছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য সরকার বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালকে ৪০০০-৫০০০ শয্যার অতি আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী-খালের ক্ষতি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বর্তমান মেয়াদে সরকার এটা করতে পারত।
তিনি বলেন, ‘...কিন্তু করোনা মহামারি এবং ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ব্যয় এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিশাল ব্যয়ের কারণে আমরা এটা করতে পারিনি।’
তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় টিকাদান কর্মসূচির জন্য ভ্যাকসিন আনার জন্য সরকারের বিভিন্ন ব্যয় সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলাম, যদিও বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ এতে মারা গিয়েছিল, যার মধ্যে অনেক ধনীও ছিল। কিন্তু, এই লক্ষ্যে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ৩২ শয্যার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ শয্যার এবং ১০০ শয্যার জেলা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করেছেন এবং বড় জেলা হাসপাতালগুলোকে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করেছে।
তিনি বলেন, তারা তাদের আবাসনের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করার পাশাপাশি ৪০ হাজার নার্স এবং ২২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো যাতে কোনও অবহেলার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তারা সারাদেশে কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। কমিউনিটি সেন্টারগুলো বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ বিতরণ করছে।
তিনি বলেন, সুবিধাগুলো বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পরও ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত সরকার যারা সেগুলোতে কাজ করছেন এবং তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন; তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন বলে দাবি করে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ তারা (ইমিউনিটি ক্লিনিক) রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সকলের সেবা দেয়।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণের কল্যাণের কথা ভাবে না, বরং নিজেদের ভাগ্য তৈরিতে ব্যস্ত। তাদের মানসিকতা সংকীর্ণ।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর দুটি পৃথক ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সুবিধা স্থাপনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা চতুর্থ ধাপে ২৮টি জেলার ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যত ‘৬৫টি কমিউনিটি চক্ষু কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেন।
একই কর্মসূচি থেকে তিনি ৮০টি উন্নত স্কিম ও ৪৩০টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয়ের পুনঃখনন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যশোরের শার্শা উপজেলা, পাবনার সাথিয়া উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে বাস্তবায়িত উন্নয়ন পরিকল্পনা সমন্বিত ‘জয়যাত্রা’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
সঠিক পথে আন্দোলন, এবার ভোটার ছাড়া নির্বাচন হবে না: ফখরুল
তাদের আন্দোলন সঠিক পথে রয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে এবার ভোটার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে- গণতন্ত্রের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর অঙ্গীকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য চলমান আন্দোলন পরিচালনায় তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (শনিবার) যা বলেছেন, তার মানে এমন- তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। তার মানে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাজনৈতিক দলগুলো যাই বলুক না কেন, তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান।’
তিনি বলেন, ক্ষমতা দখল ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই কায়দায় আগামী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘রাজনৈতিক সংকটের পেছনে এটাই কারণ।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি ভোটার ছাড়া আগামী নির্বাচন করতে চান, তাহলে এবার তা হবে না। আপনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন ২০২৪ সালে করতে পারবেন না। এটা এবার সম্ভব হবে না, কারণ জনগণ এবার আপনাকে প্রতিহত করার জন্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে স্থানীয়-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং এখনই আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেমিনারে আলোকচিত্রী বাবুল তালুকদারের লেখা ‘নো কমেন্টস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তারাই বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করতে আবারও আন্দোলন শুরু করেছে। ‘একটি দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক দল হিসেবে, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সমস্ত গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির সঙ্গে এই সংগ্রাম শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, সমাজে অনেক হতাশাবাদী মানুষ আছে, কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার কোনো চিহ্ন তিনি দেখেননি।
তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের সঙ্গে আছেন এবং একযোগে আন্দোলন করছেন তাদের মধ্যেও কোনো হতাশা নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এই লড়াইয়ে অবশ্যই জয়ী হব কারণ আমরা সঠিক পথে এবং সত্যের পথে রয়েছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, একটি গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ কাজ নয়। গত এক বছরে ২২ জন সাধারণ মানুষসহ এই সংগ্রামে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এবং এক হাজারেরও বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকারের দমনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রায় ৪৫ লাখ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে ‘মিথ্যা’ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে এদেশের মানুষ সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় খুব অসুস্থ হলেও কখনো মাথা নত করেননি। একইভাবে আমাদের সব নেতা-কর্মী তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সুতরাং, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সংগ্রাম অবশ্যই সফল হবে এবং আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, তাদের দলও একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে।
ফখরুল পর্যবেক্ষণ করেন যে, ‘আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে পশ্চিমা বিশ্ব গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের অঙ্গীকার ও চেতনা আমাদের সাহস দেয় এবং এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। একই সঙ্গে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, আমরা যারা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আরও দৃঢ়সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজপথে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আন্দোলন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হব।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য জনগণ বিএনপির আন্দোলন উপেক্ষা করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধে ভোট দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং উপলক্ষে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মতো লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, খুনি, ডাকাত ও চোরেরা ক্ষমতায় এলে তারা শুধু দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা যেন দেশকে ধ্বংস না করে, এজন্য একমাত্র নৌকা প্রতীকই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট দিন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের নেতা কে হবেন? তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সেই দুর্নীতিবাজ পলাতক অপরাধী নাকি এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী তা স্পষ্ট নয়।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুব ভালো করেই জানে, নির্বাচনে নৌকামার্কায় ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করব, যাতে তারা (বিএনপি) তা করতে না পারে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যদি নৌকার পক্ষে ভোট দেয়, তাহলে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন, তা না হলে থাকবেন না। ‘তবে আমি জনগণের কল্যাণে আমার কাজ চালিয়ে যাব।’
আওয়ামী লীগকে আগামীবার দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দিতে সবাইকে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যদি উন্নয়ন চান তাহলে ভোট দিন, যদি ধ্বংস চান তাহলে বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিন।’
বিএনপির বিদেশে যাওয়ার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই আন্দোলন কোনো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতাই শ্রেষ্ঠ শক্তি, আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি, জনগণের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) হাবিব হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
সকাল থেকেই রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরিহিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অলমগীর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের অবস্থানে অটল। অর্থাৎ পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই ঘটেনি।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দুর্গাপূজার পর বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন শুরু করবে।
ফখরুল বলেন, এটা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এটাকে সরকার বলা যাবে না। কারণ শাসক হিসেবে তারা (সরকার) তিনবার ক্ষমতায় থাকা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে তাদের শত্রু ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তার মানে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে পারে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইন অমান্য করে নরসিংদীর ছাত্রদলের দুই নেতাকে কমান্ডো স্টাইলে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।
তারা এখন বলছে, পর্দার আড়ালে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। আপনি কেন বারবার এই কথা বলছেন? কারণ, আসলে কিছুই ঘটেনি।
ফখরুল বলেন, সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্পষ্টভাবে তাদের (সরকারকে) পদত্যাগ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছে।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তিন ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
দুপুর ২টার দিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমেদের দেওয়া জুস পান করে অনশন ভাঙেন ফখরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী ও অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জুস খাওয়ান।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো: ফখরুল
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার কাজ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনকল্যাণে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্নফুলি পানি শোধনাগার প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এক সময় চট্টগ্রামে পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পানি সরবরাহ নিয়ে ওয়াসার অবস্থা ছিল নাজুক। বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রামে এখন পানির সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। রাস্তায় রাস্তায় পানির জন্য কলসি মিছিল করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। আর এখন পানির জন্য চট্টগ্রামে হাহাকার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আপামর বাঙালি সাম্প্রদায়িক নয়। সবাই মিলে-মিশে একাকার। সেই কারণে এ দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অপশক্তি অবদমিত হয়েছে।'
কিন্তু সেই অপশক্তি নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেখা যায়, যখন নির্বাচন আসে, তখন এই অপশক্তি আবার ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়। তাই এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।'
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত মহালয়া ১৪৩০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর ধর্মের পরিচয়। কিন্তু এই চেতনার বেদিমূলে আঘাতের ফলে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। লাল সূর্যখচিত সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছি।'
আরও পড়ৃুন: যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫ সালের পর সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আজকেও সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আমাদের দেশে আছে। এবং তারা সময়ে সময়ে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়।'
নির্বাচনকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গত ১৫ বছরের পথচলায় চেষ্টা করেছি, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের যে মূল চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার। একটি রাষ্ট্রের কখনো 'শত্রু সম্পত্তি আইন' বলে কিছু থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেটি বিলুপ্ত করে ভিন্ন আইন করা হয়েছে। এভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে।'
হাছান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেন- ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্রও সবার। আর সেটির প্রতিফলন আমরা দেখি দুর্গাপূজা, ঈদ, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ সব ধর্মীয় পার্বণে, যেখানে সব ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে শামিল হয়।'
মানুষের সামর্থ্য ও সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিধানের কারণে প্রতি বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আশা করি এই শুভ মহালয়ায় দেবী দুর্গার যে আগমনী বার্তা ধ্বনিত হচ্ছে, তা সব ধর্মের যে মর্মবাণী, মানুষে-মানুষে শান্তি-সম্প্রীতি, তা আরও দৃঢ় করবে।'
শিল্পী মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক
প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, সন্তোষ শর্মা প্রমুখ। শেষে ফাউন্ডশনের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
আরও পড়ৃুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, বেগম জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন: তথ্যমন্ত্রীর আশা প্রকাশ
আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবচেয়ে প্রতারক দল, তারা যা বলে তার উল্টোটা করে। তারা মার্কিন প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনকে বলেছিল যে তারা গত দুটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করেছে এবং আমরা পরবর্তী নির্বাচনে আবারও একই কাজ করব।’
ছাত্রদের এক কনভেনশনে বক্তৃতায় বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে ২০১৪ সালে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছিল, যেখানে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘তারা এখন বলছে তাদের ওপর আস্থা রাখতে, কারণ তারা আবার সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। এটি একটি মুরগিকে শেয়ালের কাছে বর্গা দেওয়ার মতো। আপনাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না। যথেষ্ট হয়েছে।’
সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে আক্ষেপ করেন ফখরুল।
ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছাত্র ঐক্য (ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের ১৫টি ছাত্র সংগঠনের একটি মঞ্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এই ছাত্র সম্মেলনের আয়োজন করে।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসতে এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিদেশি চাপ মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে এবং মানুষ আপনার দুঃশাসনে বিরক্ত হওয়ায় কোনো কৌশল কাজে আসবে না। তারা (জনগণ) দমন, চুরি ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি চায়। তাই এখনও সময় আছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নেন।’
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: ফখরুল
সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা দাবি করে, তাহলে কেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, অতীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্ররা সমাজ পরিবর্তন করেছে এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘আমরা এখন আমাদের আন্দোলনের সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী, কারণ ছাত্ররা এখন আবার ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাতের জন্য তারা কঠোর সংগ্রামে নেমেছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গভীর রাতে তার বাড়ির দরজা ভেঙে আটক করে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। ‘একজন প্রাক্তন সাংসদ এবং প্রাক্তন ছাত্রনেতা এ্যানিকে যেভাবে সরকারের কুশীলবেরা বেআইনিভাবে আক্রমণ ও নির্যাতন করেছে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না।’
তিনি সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেআইনি পুলিশি পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান। ‘এটি আমাদের ও শিক্ষার্থীদের জন্য লজ্জাজনক।’
ফখরুল বলেন, দমনমূলক কর্মকাণ্ড ও চলমান ফ্যাসিবাদী সরকারের থেকে মুক্তি পেতে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘শুধু স্লোগান দিলে চলবে না। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমাদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে সরকার ডিসি ও ইউএনওদের জন্য আধুনিক যানবাহন কিনতে যাচ্ছে।
তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান। ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে বলে বিরোধী নেতাদের জেলে পাঠাচ্ছে ও দমন-পীড়ন করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সনন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সাইফুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের খারাপ কিছু ঘটনা ঘটলে সরকার দায়ী থাকবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি ফখরুলের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, নির্বাচন ও মানবাধিকারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কলম্বোতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের সঙ্গে তার ‘খুব ভালো ও ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মোমেন বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ঢাকায় আসবেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, আগামী ১৬-১৮ অক্টোবর এই সফর হতে পারে। সফরের সময় তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে পারেন।
আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নির্বাচনী বিষয়গুলোও আলোচনার জন্য আসতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার কলম্বোতে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্যদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।
মোমেন বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ভিসার বিষয়টি উত্থাপন করেন, যাতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আখতার আসছেন মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে- রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশের নির্বাচন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, সব দল আন্তরিকতা না দেখালে সরকার সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি আখতারকে আরও জানান, বাংলাদেশিরা আমেরিকানদের মতো নয় এবং বাংলাদেশের লোকেরা খুব উৎসাহ নিয়ে নিজেদের ভোট দেয়।
মোমেন বলেন, ‘এটি এখানে একটি উৎসব। বাংলাদেশে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চিত্র।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি তারা, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছে সেটি বলেছি।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সংলাপ হবে কি না জানতে চাননি তারা। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে।
আমি উনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশের জনগেণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে।
এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন এই উপমহাদেশে নেই- এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তন করা হয়েছে।
আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে- সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
এ তিনটি জিনিস দেখেলেই বোঝা যাবে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ জনগণ সবসময় তাদের ভোট নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার ওপর বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে রক্ষা করেন। আল্লাহ উপরে এবং আমার দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে বাঁচানোর জন্য মাঠে আছেন। আমার ওপর হামলা হলেই আমার দলের লোকজন আমাকে রক্ষা করে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়ে তাকে মানবঢাল তৈরি করে বাঁচিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার যে আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কল্যাণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সারা দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারলেও বারবার ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী