নির্বাচন
নির্বাচনে জিততে ভোট চুরিই শেখ হাসিনার একমাত্র ভরসা: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে যা দেখিয়েছে, আমি এর নাম দিয়েছি ভোট চুরির প্রকল্প। নির্বাচনে জিততে এই ভোট চুরির প্রকল্পই তার একমাত্র ভরসা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ উপলক্ষে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে (বঙ্গবন্ধু স্কয়ার) অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু, বন্যা, গুম, খুন যা কিছু হচ্ছে সবই কি গুজব: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার এই ভোট চুরির প্রকল্পে দুর্নীতিবাজ দলীয় কিছু কর্মকর্তা আছেন, আছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ী।
এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোটচোরদের প্রতিরোধ করতে হবে।
আমির খসরু বলেন, এই সরকারকে আমেরিকা ভিসা স্যাংশন দিয়েছে তাতেই তাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে। এরপর বাংলাদেশের মানুষের যে ভিসানীতি আসবে সেটি আরও কঠিন হবে। এখানে মাফ পাওয়ার সুযোগ নাই।
আরও পড়ুন: দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
নির্বাচন বর্জন কারো জন্য সমীচীন নয়: জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটানা নির্বাচন বর্জন কোনো দলের জন্যই সমীচীন নয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়ার নীতিকে সমুন্নত রাখবে; এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ।’
তিনি নির্বাচন বয়কটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘অবশ্যই আমি তাকে জানিয়েছি আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ট্রান্সপারেন্ট হবে এবং ইলেকশন অনুষ্ঠান করা সেটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এবং ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে কখনো কারো জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি। একইসঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক ভায়েলেন্স না হয় যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনো করার চেষ্টা করছে, উস্কানি দিচ্ছে এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর সর্বমহলে কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি।’
জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫২ বছরে জাপানের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত সহায়তার জন্য আমি জাপানি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের কথোপকথন দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনাকেও স্পর্শ করেছে।’
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থার ঘাটতি থাকলেও তারা অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ নিতে চান।
তিনি বলেন, 'জনসাধারণের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে। আমাদের ও সরকারের ওপর কোনো আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে হয় না (মানুষ মনে করে)। আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ হয় সে চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে চাই।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জন ইউএনও ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা মনিটরিং ও মিডিয়া নজরদারির মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যাতে আস্থার সংকট না হয় সেজন্য অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করব- নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা- তাদের আরপিও অনুযায়ী সঠিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বা বিতর্ক মাত্রাতিরিক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ (দায়) আমাদের ওপর পড়েছে। তাই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
সিইসি নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন থেকে আমরাও কঠোরভাবে মনিটরিং করব।
নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা মনে রাখতে বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, 'এটা অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০ ও ৭০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে ব্রিটিশ আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘটেছিল... তবে এর মাত্রা কিছুটা কম ছিল।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'বিশ্বাসযোগ্য' বলে একটি শব্দ আছে, যা সব দেশের আইনে রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে, নির্বাচন অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। ‘এটি কেবল তখনই বিশ্বাসযোগ্য হবে যখন আমরা আমাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারি।’
প্রচার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে দমন করবে ইসি।
তিনি বলেন, এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, যাকে ভুল তথ্য বা কুতথ্য বলা হয়। তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আমরা কঠোরভাবে এসব প্রতিহত করব।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের এক দফার দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার দোহার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, আপনারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন সেটা কখনও সফল হবে না। কারণ জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই।
তাই এসব বাদ দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বাস ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে আগামীতে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, বিএনপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর গুজব-আখ্যায়িত করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর সুযোগ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই ব্যস্ত।
তাদের এসব গুজব থেকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিদেশিদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হোক। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনও অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলন করছে ফেসবুক ও ইউটিউবে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে তাদের ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়েছে।
এই সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে ভোট চাওয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ও বিরোধীদের কাছে গিয়েও ভোট চাইতে হবে। ভোট দেওয়ার যেমন স্বাধীনতা আছে, তেমনি ভোট চাওয়ারও স্বাধীনতা আছে। উন্নয়নের নানা চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।'
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলে এবং দলমত নির্বিশেষে সব ভোটারদের কাছে যেতে পারলে নৌকার জয় সুনিশ্চিত জানিয়ে আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে ধাবমান। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে।
নারীদের জন্য সরকারের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: সালমান এফ রহমান
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে আগামীতে আর ভবিষ্যতে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে বিএনপি নেতাদের দাবি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে; কেউ অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে তাদের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হবে না। বেশিরভাগ দলই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না: হাছান মাহমুদ
এসময় সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিদেশীদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, রাজনৈতিক আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। বর্তমান সরকারও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনে সমর্থন জোগাতে নিরপেক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীদের শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছেই পৌঁছানো উচিত নয়, নিরপেক্ষ ভোটারদের কাছেও তাদের প্রচার করা উচিত। এমনকি যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা উচিত
এ সময় দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’-এর পক্ষে ভোট চাইতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই কারা নির্বাচনে অংশ নেবে বা কারা অংশ নেবে না সেদিকে নজর দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির উদ্বোধনী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বাস্তবতার আলোকে গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
জো বাইডেন বলেছেন তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন, কারণ ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। সেজন্য তার বয়স কোনো বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আজ বলছি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। আমাদের অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও অ্যাকশনে যেতে হবে। ওই রকম ইশতেহার করেন। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ভাবতে হবে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ভাবতে হবে। ২০২৬ সাল, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। সর্বোপরি ২০৪০ সাল আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে ৩০জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচান কমিশন সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য সব দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর সবার আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কারো বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে?
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ‘বাধাগ্রস্ত করতে পারে’ এমন যে কারোর ক্ষেত্রে তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি প্রয়োগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো। এ ছাড়া জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিতে সহিংসতার আশ্রয় নেওয়াও এর মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা তাদের মতামত প্রকাশ করতে বাধা দেওয়া অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
সাংবাদিকরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে ব্রায়ান শিলার ইউএনবিকে এসব কথা বলেন।
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, কারো উপর ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে কি না- তা নির্ধারণের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি ঘটনার বিস্তৃত, পুঙ্খানুপঙ্খু পর্যালোচনার উপর নির্ভর করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার ইউএনবিকে এর আগে বলেছিলেন, ‘মার্কিন আইনে ভিসাসংক্রান্ত তথ্যগুলো গোপনীয়।’
তবে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে ঘটনাগুলো খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করেছে।
ব্রায়ান শিলার বলেছেন, ‘প্রমাণগুলো যত্ন সহকারে পর্যালোচনা করার পরে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনীতিকদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
এই বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যকে সমর্থন করতে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) (‘থ্রিসি’) এর অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা সম্পৃক্ত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
শুক্রবার স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা সম্পৃক্ত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি প্রতিফলন এটি।’
তিনি বলেন, এই তালিকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল রয়েছে।
মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।’
ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অনুসারে, ভবিষ্যতে যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকবে তারাও এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
মিলার বলেন, এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞায় 'হারানোর কিছু নেই': শাহরিয়ার আলম
প্রথম দফায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে পাঠানো চিঠির জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চিঠিতে সিইসি বলেছেন, সরকার ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাচ্ছেন তা অব্যাহত থাকলে ইসি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।
আর পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
চিঠিতে সিইসি আশা প্রকাশ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে একটি ছোট দল পাঠাবে।
চিঠিতে সিইসি বলেন, যত বেশি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবে, নির্বাচন তত বেশি স্বচ্ছ হবে এবং সবার ওপর এক ধরনের চাপ থাকবে। এতে দেশে-বিদেশে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসির সঙ্গে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে একটি কর্মশালা করবে ইসি।
কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি), নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশগ্রহণ করবেন।
এর আগে বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি ইমেইল পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী