নির্বাচন
নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বলি দিয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, এজন্য তার দলকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রংপুর-৩ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন,'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এখনই নির্বাচন বর্জনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুর-২ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী মাহবুবুল আলম
তিনি বলেন, ‘জামালপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে আমি তথ্য পেয়েছি। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের আশ্বাস দিলেও রংপুর এলাকা ছাড়া অধিকাংশ জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন,‘আমি আগে থেকে কিছু বলতে চাই না। আমরা দলের নেতাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাপা প্রার্থী
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী: ভোট দেওয়ার পর সাকিব
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান বলেছেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
রবিবার সকাল ৮টা ১ মিনিটে নগরীর দাড়ি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
শীতের কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বিকেলে ভোটার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
মাগুরা-১ আসনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া এই আসনে মোট ৪লাখ ৪৮৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাগুরার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের বেগ বলেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে মাগুরা ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আইনজীবী সাইফুজ্জামান শিখর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব
অন্যদিকে সকাল ১০টায় মাগুরা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ডক্টর শ্রী বীরেন শিকদার শালিখা উপজেলার সিংড়া স্কুল ভোটকেন্দ্রে তার ভোট দেন।
তিনিও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পাঁচ হাজার ৬৮ জন সদস্য এবং এর পাশাপাশি ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন এবং নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কমিশনের প্রতিনিধি দল রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কেরানিগঞ্জের জয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনাখোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়কোবাদ একাডেমি, রাজধানীর সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিঅ্যান্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, নারী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নিরাপত্তা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ, কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা, নির্বাচনকালীন মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: ভোট বর্জনকারীদের বর্জন করেছেন ভোটাররা: কাদের
এ সময় কমিশনের প্রতিনিধিদল ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ সব শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ-খবর নেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে পুরোপুরি সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখেছি৷ সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন৷ এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দিনব্যাপী নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে কমিশন সজাগ রয়েছে। স্বাধীন ভোটদানের পরিবেশের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সহনশীলতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি বেশি: পররাষ্ট্র সচিব
কড়া নিরাপত্তা ও পরিবহন বিধিনিষেধের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঢাকার রাজপথে নীরবতা
বাংলাদেশ জুড়ে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলছে, তখন ঢাকার সাধারণত ব্যস্ত সড়কগুলোতে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে। শহরজুড়ে দেখা গেছে নিরবতার ছোঁয়া।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী দলগুলো।
নির্বাচনের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা সাধারণ দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল।
ঢাকার বাসিন্দারা তাদের নিকটতম ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য হেঁটে বা রিকশা ব্যবহার করে গিয়েছেন। এমনকি অন্যদিনের তুলনায় রিকশার সংখ্যাও কম দেখা গেছে।
রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, বনানী, মহাখালী, শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, শাহবাগ, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকার সড়কে টহল দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শহরে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শপিংমল, মার্কেট ও প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও আবাসিক এলাকার কিছু মুদি দোকান জনসাধারণের জন্য খোলা থাকতে দেখা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর এলাকায় ট্যাক্সি, পিকআপ ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। তখন তারা কিছু আসন পেয়েছিল। এবার তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন অংশ নেয়নি। পরে নানান বাহানা, নানান দাবি নিয়ে নির্বাচন বর্জনের কৌশল নিয়েছে তারা।’
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ার বাচা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কখা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যেমন করে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, মানুষ হত্যা করেছে; এবারও তারা একই কাজ করছে। তবে দেশের মানুষ এই নির্যাতন চায় না, বিশৃঙ্খলতা চায় না। তাই তারা আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসছেন।’
জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সুন্দর ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের ভোট খুবই মূল্যবান। আমরা ভোটাধিকারের জন্য অনেক লড়াই করেছি এবং আমি আশা করি দেশের সব মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখবে।’
অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যেও আজ নির্বাচন করতে পেরে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সতর্ক এবং নির্বাচন জরুরি।
আরও পড়ুন: ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘কারণ পাঁচ বছর পর একটি নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধে ভোট দেবে এবং আমরা সেই পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। যদিও এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা দেশের মানুষের কল্যাণও চায় না, এমনকি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতাও চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ তাদের ইচ্ছামতো ভোট দেবে। আমরা সেই ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। যদিও বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসংযোগসহ অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে আরও অনেক কাজ আছে। আমরা সেগুলো সম্পূর্ণ করতে চাই। আমরা আশা করি নৌকা বিজয়ী হবে এবং আবারও আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারব এবং আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার বাস্তবায়ন করতে পারব।’
তিনি বলেন, জনগণের ওপর তার আস্থা আছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেছে। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ধারার কারণেই দেশের এই অর্জন।
তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক শাসনসহ অন্যান্য সরকারের সময়ের দিকে তাকালে তারা দেখতে পাবেন, তারা দেশের জন্য কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণ ভোটাধিকার ও খাদ্যের অধিকার পায়। আর এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা এটা সফলভাবে করেছি। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।’
শেখ হাসিনা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি হাত দিয়ে বিজয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, ‘আমি অবশ্যই আশাবাদী কারণ দেশের মানুষ আমার সঙ্গে আছে। ইনশাল্লাহ আমরা জিতব।’
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
যশোরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া ককটেলের বিস্ফোরণে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ আনসারের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) মারুফ হোসেন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
রবিবার (সকাল) সকাল সোয়া ৭টার দিকে তিনি যশোর শহরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে এসে ১টি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। ককটেলটি দ্বিতীয় তলার রেলিংয়ে বিস্ফোরিত হয়। এতে এপিসি মারুফ হোসেনের ডান পায়ে লেগে তিনি সামান্য আহত হন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা পুলিশের মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরিত অংশের নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হননি।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায় আহত ২
ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে রবিবারের নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ
বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন এবং টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিতের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের বর্জনের কারণে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনে জয়লাভ করবে এবং ১৫ বছরের শাসনকাল আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসি অবাধ, নিরপেক্ষ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন করতে চায়: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তদারকির জন্য নির্দলীয় প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি শেখ হাসিনার সরকার প্রত্যাখ্যান করায় বিরোধীরা দৌড় থেকে সরে আসছে।
দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন দলটি নিজ দলের স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের কারণে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে টিলিভিশনে দেওয়া তার নির্বাচনি প্রচারের শেষ ভাষণে ভোটারদের ভোরে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি তার দলের নির্বাচনি প্রতীক নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে বিরোধী দল বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো ভোটের দিনসহ ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শিশুসহ চারজনের মৃত্যুর পর সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইসি জানায়, শনিবার সারা দেশে নির্বাচনি কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে ভোটের দিন সকালে ব্যালটগুলো কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
দেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
৮০ থেকে ১০০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একই দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কঠিন লড়াই দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীরা ২৬৬টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২৬টি আসন এবং ১৪ দলীয় জোটের তিনটি শরিককে ছয়টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এর মধ্যে জাসদকে তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি ও জাতীয় পার্টিকে (জেপি-মঞ্জু) একটি আসন দিয়েছে।
বরিশাল-৪ ও কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তাদের কোনো প্রার্থী নেই। বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ এবং কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাপার ২৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে জাতীয় পার্টির কয়েকজন প্রার্থী অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৬টি দল নির্বাচনি দৌড়ের বাইরে রয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি বুথে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রযোগ করবেন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ১৯৭ জন পুরুষ ভোটার, ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৯ জন নারী ও ৮৪৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রায় ১০ হাজার ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে (যদিও নির্বাচন কমিশন এ ধরনের কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে)। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সারা দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ করে নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে প্রায় ৮ লাখ নিরাপত্তা কর্মী নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
এর মধ্যে ৩৮ হাজার ১৫৪ জন সেনা সদস্য, ২ হাজার ৮২৭ জন নৌবাহিনী সদস্য (১৯ জেলা), ৪৪ হাজার ৯১২ জন (১১৫১ প্লাটুন) বিজিবি সদস্য, ২ হাজার ৩৫৫ (৭০ প্লাটুন) কোস্টগার্ড সদস্য, র্যাবের ৬০০ টহল দল ও ব্যারেব ৯৫টি রিজার্ভ টিম, ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮ জন আনসার সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
এ ছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি দিতে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রায় দুই হাজার (১৯৭০) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৪২ হাজার ২৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রায় ৫ লাখ ২২ হাজার পোলিং অফিসারসহ প্রায় ৯ লাখ পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২ জন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯০ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৪৯৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ৫৬ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ১৪ জন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক, ৮ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ১১ জন জোনাল নির্বাহী কর্মকর্তা, ৫ জন ক্যান্টনমেন্ট নির্বাহী কর্মকর্তা, ২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও একজন সার্কেল কর্মকর্তা রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্র ও মেট্রোপলিটন এলাকার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রের জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১৫-১৭ সদস্যের একটি টিম মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিল নূর
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে দুই জন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিসহ একজন আনসার, লাঠিসহ ১০ জন আনসার, লাঠিসোটা নিয়ে একজন বা দুইজন গ্রাম পুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি নিরাপত্তা কর্মী প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। তবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। মেট্রোপলিটন এলাকার অভ্যন্তরে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ একজন আনসার, অস্ত্র ও অথবা লাঠিসহ একজন আনসার, লাঠিসহ আরও ১০ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা দল থাকবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ২৬ জন প্রার্থী হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে জাসদ বগুড়া-৪, কুষ্টিয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং বরিশাল-২ ও রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির দুজন এবং পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: ইএমএফ
২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ২ দিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২১ ট্রেন
নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ট্রেনে আগুন দেয়ার মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তারা কোনো প্রচেষ্টা ছাড়বেন না।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধীকে দেশের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।’
মোমেন বলেন, জনগণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের চেতনা ও আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের উৎসাহী অংশগ্রহণের অপমানস্বরূপ।
তিনি বলেন, ‘এই যে ট্রেনে আগুন দেওয়ার কাজ, ভেতরে মানুষ জ্বলছে- সহিংসতার এই ধরণ আমরা আগেও দেখেছি। যা আমাদের সমগ্র সমাজের বিবেককে, অবশ্যই সমগ্র বিশ্বকে হতবাক করেছে।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছে, ৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে দুর্বৃত্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় রাত ৯টার দিকে গোপীবাগ কাঁচা বাজার এলাকায় সংঘটিত এই পরিকল্পিত ও জঘন্য ঘটনার ফলে ২ শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মোমেন বলেন, ‘বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিত এই নিন্দনীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনাটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করার চূড়ান্ত অভিপ্রায়।’
মোমেন বলেন, এটি গণতন্ত্রের অপমান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং নাগরিক অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের মায়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার ২ দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন। সোমবার যথারীতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে ৬ ও ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।’
হারুন অর-রশিদ আরও বলেন, কাস্টমসের যুগ্ম কামিশনার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমাদেরকে জানানো হয়- আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
সোমবার যথারিতি স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: কালীপূজা উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ২দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক