সাংবাদিক
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিলারা হাশেমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিলারা হাশেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় তিনি সাহিত্যিক দিলারা হাশেমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাহিত্যকর্ম ও সাংবাদিকতায় প্রয়াত দিলারা হাশেমের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, সাহিত্যিক হিসেবে দিলারা হাশেম তাঁর বিরল ও ব্যতিক্রমী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
শনিবার (১৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন আর নেই
‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমার পরিচালক আজিজুর রহমান আর নেই
আ’লীগ নেতা সাজ্জাদ মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাংবাদিক জালাল আহমেদ মারা গেছেন
দৈনিক আমদের কণ্ঠ’র বিশেষ প্রতিবেদক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক এস এম জালাল আহমেদ মারা গেছেন। রবিবার ভোরে রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
জাতীয় প্রেসক্লাবের (জেপিসির) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জালাল আহমেদ দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ভোর ৪টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
আজ বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জালাল আহমেদকে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এক বিবৃতিতে জালাল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোক বার্তায় তারা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
পড়ুন: গোয়ালন্দে পুকুরে গোসল করতে নেমে যমজ দুই শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে দেয়াল চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা পেনশনের দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সার্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সমাজের সব মানুষ এই পেনশন সুবিধার আওতায় আসবে, সাংবাদিকরাও আসবে।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা এর (পেনশন) আওতায় আসার ক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের একটি দায়দায়িত্ব আছে এবং থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন একটি যুগান্তকারী ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন যা ইউরোপীয় সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে রয়েছে, পত্রিকার পাতায় দেখলাম বিএনপি নেতারা সেটি নিয়েও সমালোচনা করছে। সবকিছুতে ‘না’ বলা বিএনপি, যারা এই কল্যাণমূলক প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করছে, আশা করি তারা ‘না’ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।’মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করার বাতিক থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটিতে আপনাদের কোনো ‘সাজেশন’ থাকলে বলুন। পরিকল্পনা যখন প্রকাশ করা হবে সেখানে কোনো ভালো ‘সাজেশন’ থাকলে অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এরকম একটি ভালো উদ্যোগের কেন সমালোচনা করছেন? সবকিছুতেই না বলার যে বাতিক, সেটাই তাদেরকে পেয়ে বসেছে, তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না। আশা করবো তারা এই না বলা রোগ থেকে মুক্তি পাক।’
আরও পড়ুন: বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকরা মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারে, যে মানুষটি স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় তাকেও সাংবাদিকরা স্বপ্ন দেখাতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন এবং হুমকির সম্মুখিন হয়েও সমাজে অবহেলিত, উপেক্ষিত মানুষকে নিয়ে লেখেন, আমি তাদেরকে ‘স্যালুট’ জানাই, কারণ এ ধরনের রিপোর্ট দরকার। এ ধরনের রিপোর্ট সমাজকে পথ দেখায় এবং দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্ববান হতে তাগাদা দেয়। গণমাধ্যমে আজকে যে অগ্রগতি সেটি এবং কোনো অসঙ্গতি থাকতে সেটিও তুলে ধরুন। আমাদের সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করে।সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম জগতে বিরাজমান কয়েক দশকের পুঞ্জিভূত বিশৃঙ্খলা দূর করে ধীরে ধীরে শৃঙ্খলা আনতে আমার চেষ্টায় অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটররা টেলিভিশন মালিকের কাছে দাবি করতো যে বেশি টাকা না দিলে সিরিয়াল যাবে পঞ্চাশে, টাকা দিলে সিরিয়াল যাবে পাঁচে। সেখানে সিরিয়াল ঠিক করে দেয়া হয়েছে। এখন টেলিভিশন মালিকদের আর অপারেটরদের দারস্থ হতে হয় না। বিদেশি মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন চলে যাওয়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেছে বিদেশি টিভি’র ক্লিনফিড বা বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার কখনোই সম্ভব না, সেটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনেকে বাস্তবায়ন করেছে, আবার অনেকেই করে নাই। নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে। আমি মনে করি যে সবার নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা উচিত। আমরা এ নিয়ে কাজ করবো।’
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবরা আবার সরব হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন। আজ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সমস্ত সাংবাদিক সাহায্য পাচ্ছে, অনুদান পাচ্ছে। এক্ষেত্রে কে কোন দলের কে কোন মতের সেটি দেখা হচ্ছে না। যারা সরকারের সমালোচনা করেন তারাও সাহায্য পাচ্ছেন। করোনাকালে দেশের সকল অঞ্চলের সাংবাদিকরা সহায়তা পেয়েছে। সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েরাও যাতে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পায় তার জন্য নীতিমালা হচ্ছে, সেই নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে, জানান তিনি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু’র পরিচালনায় দ্যা ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য প্রমুখ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির নাম জমা না দিলেও দেশের মানুষের কোনো যায় আসে না: তথ্যমন্ত্রী
শার্শায় সাংবাদিক ও বাবাকে কুপিয়ে জখম
যশোরের শার্শায় এক সাংবাদিক ও তার বাবাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মেহেদী হাসান মোল্লা (৩০) যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে মেহেদী হাসান ও তার বাবা আজিজুর হক এলাকার চায়ের দোকানে বসে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় একই এলাকার সুমন হোসেন, ফাইমুর, রাব্বি, সোহেল ও নুরুদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন বাবা ও ছেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, এ ব্যাপারে হামলার শিকার ব্যক্তিরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। হামলার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, কিশোরকে কুপিয়ে জখম
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে কৃষককে কুপিয়ে জখম
সাংবাদিক কাজলের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সাংবাদিক কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ওই বছরের ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিনে তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
এরই মধ্যে কাজলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।
পরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন কাজল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৪ মার্চ ও ৪ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের মাধ্যমে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ৯ জন সাংবাদিককে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস প্রকল্পের আওতায় এই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করা হয়। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একটি দেশকে যথাযথভাবে উন্নত করতে হলে জোর দিতে হবে সামাজিক উন্নয়নের দিকেও। বাল্যবিয়ে এই পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়। বাংলাদেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অনেকটা পথ এগোলেও করোনা আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, সমাজের চিন্তাচেতনা সহসা পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে পরিবর্তন আসছে, সবাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছি। কিন্তু মূল কারণের সমাধান না হলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আরও পড়ুন: ব্রাক অভিবাসন মিডিয়া পুরস্কার পেলেন ১৭ সাংবাদিক
সাংস্কৃতিক কর্মী শাহনাজ খুশি বলেন, মেয়েরাই এখন নিজেদের অধিকার নিশ্চিতে সচেতন। তারা নিজেরাই এখন পারছে নিজেদের বাল্যবিয়ে রুখে দিতে। গণমাধ্যম ও সংস্কৃতির এখানে আরও জোরালো ভূমিকা রয়েছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক (গার্লস রাইটস) কাশফিয়া ফিরোজ জানান, আমরা সারাদেশে জরিপ চালিয়ে দেখেছি, অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩৫ শতাংশের মতে যৌন হয়রানির ভয় বাল্যবিয়ের অন্যতম মূল কারণ। ২৫ দশমিক ৬ শতাংশের মতে সামাজিক বিভাজন জনিত উদ্বেগের কারণে বাবা-মা মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন।
এই ভয় দূর করতে হবে। বিয়ে যে সমাধান নয়, এই বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে পারে গণমাধ্যম, বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকার, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে। মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারি অনেক উদ্যোগ রয়েছে। অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন করে তোলা, তাদের ক্ষমতায়ন করা জরুরি যেন তারা অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে না দেয়, মেয়েদের কোনভাবেই বোঝা না মনে করে এবং মেয়েদের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। আর এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম কাজ করে আসছে।
সাংবাদিক জ ই মামুন জানান, বাবা-মায়ের অনেকের ধারণা বিয়ে সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। এই অনিশ্চয়তা থেকে বাবা-মা’দের মুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রসহ সবাইকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন হেড অব সেন্ট্রাল অ্যান্ড নর্দান রিজিওন আশিক বিল্লাহ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
পুরস্কার পেলেন যারা
আঞ্চলিক বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন জহিরুল ইসলাম (এস এ টিভি), শাকিল মুরাদ (একাত্তর টিভি), সফি খান (প্রথম আলো) ও মাসুদুর রহমান (আজকের পত্রিকা)। জাতীয় বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন শাহেদ শফিক (বাংলা ট্রিবিউন), নীলিমা জাহান (দ্য ডেইলি স্টার), সাজ্জাদ পারভেজ (যমুনা টিভি), নাজনীন আখতার (প্রথম আলো) ও জাহাঙ্গীর আলম (জাগো নিউজ ২৪)।
আরও পড়ুন: চার সাংবাদিক পেলেন অ্যাকশন এইড ইয়াং জার্নালিস্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস (বিবএফজি) প্রকল্পটি কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা, ৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে বাল্যবিবাহের সংখ্যা ১৮ বছরের নিচে এক–তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা এবং ১৫ বছরের নিচে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
বাল্যবিবাহ কমিটি শক্তিশালী প্রকল্পটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করে। প্রতি মাসে কতসংখ্যক বাল্যবিবাহ হচ্ছে—তার তথ্য সংগ্রহ করে। ঘটক, কাজিসহ বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা গেলে বাল্যবিবাহ কমিয়ে আনা সম্ভব। কুড়িগ্রাম জেলায় বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয় হাজার ১২ জন ব্যক্তির তালিকা তৈরি এবং তাদের প্রশিক্ষণ আওতায় নিয়ে আসে এই প্রকল্পটি।
এফইআরবি’র নতুন চেয়ারম্যান শামীম, নির্বাহী পরিচালক রিশান
বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোটার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। নয় সদস্যের কমিটিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের মো. শামীম জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান এবং টেলিভিশন বাংলাভিশনের রিশান নাসরুল্লাহ নির্বাহী পরিচালক (ইডি) নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা দুই বছর নিজ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে সাধারণ সভা শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কমিটির নয়টি পদের মধ্যে পাঁচটি পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিনিয়র সাংবাদিক শামসুল আলম বেলাল মারা গেছেন
শামীম জাহাঙ্গীর ও রিশান নাসরুল্লাহ ছাড়া বাকি নির্বাচিতরা হলেন- ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেরাজুল ইসলাম সিরাজ (বার্তা২৪.কম), পরিচালক (উন্নয়ন ও অর্থ) লুৎফর রহমান কাকন (আমাদের সময়), পরিচালক (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) হাসনাইন ইমতিয়াজ (সমকাল), পরিচালক (ডাটা ব্যাংক) মাহবুব রনি (ইত্তেফাক), পরিচালক (বিনোদন ও কল্যাণ) মুজিব মাসুদ (যুগান্তর) এবং সদস্য দুজন আশরাফুল ইসলাম (নয়াদিগন্ত) ও সদস্য আজিজুর রহমান (ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস)।
নির্বাচন পরিচালনা করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এসএম বজলুল হক ও দুই কমিশনার সাইফুল হাসান চৌধুরী (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক) ও কমিশনার তারিকুল ইসলাম খান (পেট্রোবাংলার উপ মহাব্যবস্থাপক, জনসংযোগ)।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্ত দাবি
ডিআরইউতে শ্রদ্ধায় সিক্ত সাংবাদিক হাবীবুর রহমান
সাতক্ষীরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার ২
সাতক্ষীরায় ফেসবুকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখার অভিযোগে ডিডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহুরুল হক (৪৫) পাটকেলঘাটা থানা প্রেসক্লাব সভাপতি ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার থানা প্রতিনিধি এবং পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার বলেন, ফেসবুকে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী
মামলার বাদী ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান জানান, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অধস্তনদের বিরুদ্ধে বেনামী দরখাস্ত, স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বক্তব্য লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় পাটকেলঘাটার জহুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় জহুরুল ও আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
চলতি মাসেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চলতি মাসেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। বুধবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত তিন উপজেলার নবনির্বাচিত ২৯জন চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকে রাতে জাতীয় পরামর্শ কমিটির সঙ্গে সভা আছে। আমরা করোনার অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। তারপরে খুব শিগগিরই আমরা মনে করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। নির্ধারিত তারিখ বলতে না পারলেও আমরা আশা করছি চলতি মাসেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যেভাবে যতটুকু ক্লাস নেয়া সম্ভব আমরা ততটুকু করবো। যতদ্রুত করোনা পরিস্থিতি থেকে আমরা স্বাভাবিকে যেতে পারবো তত দ্রুত আমাদের সকল ক্লাস স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য ড. মহিউদ্দীন খাল আলমগীর ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ৩১ জন চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
চাঁদপুর স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক আখতার জাহান সাথীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান।
এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ: দীপু মনি
সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
শুক্রবার ডিআরইউ সদস্য সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা একই দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দেব।
গত ১০ বছরে ৮৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পরিবর্তন করায় হতাশা প্রকাশ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই।’
তারা বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তারা বারবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
এছাড়া অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিআরইউর সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৮৫ বার পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজনে বৃহস্পতিবার রাতে ডিআরইউ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ ও রুনির ভাই নওশের রোমান।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় তাদের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে হত্যা করা হয়।