সাংবাদিক
‘আমি আপনাদের সঙ্গে আছি’: সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি অতীতের মতো সবসময় সাংবাদিকদের পাশে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বলুন, আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) জন্য কি করতে পারি? আমি সবসময় আপনাদের সঙ্গে আছি।’
সোমবার ত্রিদেশীয় সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কল্যাণ ও মহার্ঘভাতা ঘোষণা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের নস্যাৎ করতে দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখুন: প্রধানমন্ত্রী
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে ৯ মে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিছুদিন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করায় সাংবাদিকদের প্রতি তার বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার সাংবাদিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাদের উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ধিত মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৫ সালে তার সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে। তবে সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তারা এ সুবিধা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, কিন্তু সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল চলছে ব্যক্তিমালিকানায়।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া হাউসের মালিকরা এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সরকার কী করতে পারে তা তিনি জানেন না।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে তার সরকার তাদের জন্য কী করতে পারে এবং তিনি এসময় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
গণমাধ্যমের মালিকরা ধনী এবং তাদের আলাদা ব্যবসা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সরকার বিরোধী দলের এমপিদের সংসদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
চীন সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক কারাগার: প্রেস গ্রুপ
প্রেস ফ্রিডম গ্রুপের মতে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার সমাজের উপর নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করায় চীন গত বছর ১০০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে কারান্তরীণ করে। ফলে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক কারাগার ছিল চীন।
রিপোর্টার্স উইদাউট বোর্ডার্সের মতে, শি’র সরকার গুজব ছড়ানোর জন্য অন্যতম বড় রপ্তানিকারক ছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গ্রুপের বার্ষিক সূচকে প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার পরই চীন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি চীনে গণমাধ্যমের ওপর ইতোমধ্যেই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। যেখানে সমস্ত সংবাদপত্র এবং সম্প্রচারকারী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে সেন্সরশিপ প্রয়োগ করতে হবে যা একদলীয় শাসনের বিরোধিতা ছড়াতে পারে এমন উপাদান নিষিদ্ধ করে।
কয়েক দশকের মধ্যে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব শি ২০১৬ সালে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ডেকেছিল। যারা ‘জনমতের সঠিক অভিযোজন’ মেনে চলার জন্য তাদের জন্য সরকারি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, শি ‘সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় চীনের পতনকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছে।
বেইজিং পরিচালনা করে যা বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। এর ফিল্টারগুলো চীনা জনসাধারণকে নিউজ আউটলেট, সরকার এবং মানবাধিকার এবং অন্যান্য কর্মী গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত বিদেশের ওয়েবসাইটগুলো দেখতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
চীনা সাংবাদিকদের গুপ্তচরবৃত্তি, জাতীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং ঝগড়া বাছাই করার অভিযোগে বিচার করা হয়েছে, যা ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাগারে ব্যবহৃত একটি অস্পষ্ট অভিযোগ। অন্যরা নজরদারি, ভয়ভীতি এবং হয়রানির শিকার হয়।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ফেলো এবং ক্ষমতাসীন দল-অধিভুক্ত সংবাদপত্রে কাজ করা সাংবাদিক ডং ইউয়ু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকার পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। গত সপ্তাহে তার পরিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছিলেন, ২০২২ সালে চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক চেং লেইকে জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে চীনে বিচার করা হয়েছিল কিন্তু এখনও রায় জানা যায়নি।
বিদেশি দর্শকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত ইংরেজি ভাষার রাষ্ট্রীয় টিভি সিজিটিএন কাজ করেন চেং। তাকে ২০১৯ সালের আগস্টে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা শেয়ার করার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।
হংকং-এ, কমিউনিস্ট পার্টি গণতন্ত্রপন্থী অনুভূতির উপর ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে একটি বিশিষ্ট সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলিকে বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল।
অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই গত বছর প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। যেটিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন তার সমর্থকরা। পত্রিকাটির আরও ছয়জন সাবেক নির্বাহী দোষ স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনকারী সংস্থাগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী ও কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এমএসএফ বলেছে, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানবাধিকার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
এর আগে লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং শেমাইয়ের প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় 'শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস'-এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন; ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি গাজী ফরহাদ; দৈনিক পত্রদূতের হোসেন আলী; দৈনিক মুক্ত খবরের হাবিবুর রহমান; এবং দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার শাহীন বিশ্বাস।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন গত ২৯ মার্চ শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টের লাচ্ছা সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার মেজর জেএম গালিবের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা তৈরি এবং এর প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় কারখানাটি বন্ধ করে দেয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে ২৩ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
দুইপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার।
আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মার্চ সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৩ এপ্রিল ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এরপর সোমবার তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, পরে ৩১ মার্চ সাংবাদিককে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে ০১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়।
একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এক যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্যদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআরে এই আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: মন্ত্রী
প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় সৌমিক বাগচী বলেন, সাংবাদিক শামস ভাই দিনমজুর জাকিরের বরাতে যে কথা লিখেছেন, তা এদেশের কোটি কোটি মানুষের মনের কথা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ ও ইয়াহিয়ার শাসনামল দেখিনি। কিন্তু আমরা আজকে তাদের প্রেতাত্মার আমল দেখছি।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের গলা টিপে ধরার সাহস দেখালে দেশ আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী হবে বলে হুমকি দেন এই প্রগতিশীল নেতা।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের ঘটনায় ইরাব’র উদ্বেগ
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের এবং পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ইরাব)।
একই সঙ্গে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিম ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন এক বিবৃতিতে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সব সাংবাদিকের মুক্তি এবং বিভিন্ন সময়ে দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনার বিচারের দাবি জানান ইরাব’র নেতারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
সাংবাদিক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর সদস্য এবং দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বিএসআরএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসআরএফ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছে, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যেভাবে স্থানীয় দৈনিক ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর বিশেষ প্রতিবেদক লাভলুর বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তা সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে গত বুধবার (২৯ মার্চ) মাহবুব আলম লাবলু’র বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’- শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনটি তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ারও করেন।
প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে ভুক্তভোগীর মানহানি করায় হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাদী যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে যুবলীগ নেতার মামলা
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিক শামসকে ছেড়ে দেওয়া হয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘এরপর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি মামলা হওয়ার পর তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিককে আটক রাখা এবং ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো তথ্য না পাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল স্পষ্ট করে বলেছি, একটা সংবাদের ভিত্তিতে দুই-একটা মামলা হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। কিন্তু মামলাগুলো কোথায়-কখন হচ্ছে সেটার বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে এখন পর্যন্ত নেই।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক সত্য তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকে সিআইডি তুলে নিয়ে যায়।
বিকালে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত শামসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, একটি মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায় এবং থানায় মামলা করে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর গুলিস্তানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি পরিষ্কার নই। তবে মামলাকে কেন্দ্র করে কিছু ঘটেছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আপনাদের একাত্তর টিভির সাংবাদিকরা বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সব কিছু জানার পর বিস্তারিত জানাব।
এর আগে বুধবার শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার তার বাসা থেকে সাদা পোশাকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ১৬ সদস্য তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী