উন্নয়ন
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। আর উন্নয়নের মূলমন্ত্র হচ্ছে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা। তাই দেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করতে হবে।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে ‘দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগসংক্রান্ত আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। তারা অযথা লবিং করে বেড়াচ্ছে। এগুলো ঠিক নয়। কারণ বাস্তব অবস্থা সবাই জানে। কাজেই কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা কারো প্রোপাগান্ডায় কোনো কিছু হবে না। বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো তাদের কথায় প্রভাবিত হবে না।
তিনি সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১৫ বছরের মেয়াদে সিলেটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে সিলেটের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীমহল উপকৃত হয়েছেন। আগামীতেও নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন।
তাহমিন আহমদ সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সালের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতসংক্রান্ত গবেষণাপত্র এবং সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৬টি প্রস্তাব লিখিতভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল- সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ইন্টার কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) স্থাপন, ইসলামপুরে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলের জমি প্লট আকারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ প্রদান, সিলেট থেকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানির লক্ষ্যে সিলেটে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ৬ লেনে রূপান্তর, সিলেটে এনআরবি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটাতে “সিলেট পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” গঠন, সিলেটে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন, ভোলাগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু, সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু।
সিলেট চেম্বারের সিনিয়র কর্মকর্তা মিনতি দেবীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক 0মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।
আরও পড়ুন: মোড়েলগঞ্জে নৌকা প্রতীকের অফিসে অগ্নিসংযোগ
পাঁচ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিসিক ঝিনাইদহ
উদ্যোক্তা উন্নয়নে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহ।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন মো. মাহবুবুর রহমান, আঞ্চলিক পরিচালক, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়, খুলনা।
বিসিক জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহের উপব্যবস্থাপক সেলিনা রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পনগরী কর্মকর্তা অর্ণব কুমার পোদ্দার এবং সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারিক।
পাঁচ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে ঝিনাইদহ জেলার ২৫ জন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে বিসিক এস্টেটে ৩ হাজারের বেশি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে: শিল্পমন্ত্রী
উদ্ভাবন প্রদর্শনীতে বিসিক ওয়ানস্টপ সার্ভিসের প্রথম স্থান অর্জন
টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
উচ্চতর গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৩)’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করে।
শুক্রবার রাতে কুয়েটের টিচার্স ক্লাবে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও সাইবার বিষয়গুলো একীভূত করে বর্তমান যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের যুগের চাহিদা অনুাযায়ী গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবী তৈরি করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। গবেষণা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ৪৭২টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাই করা ১৩৮টি টেকনিক্যাল পেপার ২৭টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৮টি কি-নোট সেশন ও একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমেরিকা, বেলজিয়াম, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৩০০ গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ অন্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
চুক্তিতে আগেই সই করেছিলেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, যুগ্ম সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের উপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষিপণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা পাব। ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আর্জেন্টিনার সহায়তা পাব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে। এছাড়া, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তা নেওয়া যাবে।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রযেছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যেদিয়ে সেসব খাতে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়ল।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়নসহ প্রভৃতি বিষয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে চারটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই করা হয়।
চুক্তি চারটি হলো- টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্যা ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইম্প্রোভড ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট (রেইনস-টিএ), একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন (অ্যাক্সেস), জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এফএও-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি আর্নউ হ্যামিলার্স।
৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর।
সর্বমোট ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএএফএসপি) থেকে অর্থায়িত এবং এর তত্ত্বাবধানে আছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
রেইনস এর কারিগরি সহায়তার বাজেট ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিএএফএসপি থেকে অর্থায়নকৃত একটি অনুদান। এর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইফাদ এবং কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এফএও।
বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিরসন
একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন ( অ্যাক্সেস ) প্রকল্পটি জিএএফএসপি’র অধীনে ৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান পেয়েছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এফএও এবং উৎপাদক সংস্থাগুলোর একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক- সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি (এসবিকেএস)।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে সহায়তা প্রদান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রকল্পটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের মধ্যে জলবায়ু-স্মার্ট, পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি সম্পর্কে প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের জীবিকার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
প্রকল্পটি এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ, যা অর্থায়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ম্যাকগভর্ন-ডোল ফুড ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম এবং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
ধানী জমির জন্য আঞ্চলিক প্রকল্প
জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা একটি আঞ্চলিক প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে; এবং এর অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বাজেটের এই প্রকল্প একটি নতুন মিশ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল ধানী জমি, মূল্য শৃঙ্খল এবং জীবিকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এশিয়া মহাদেশের ধানী জমির অভিযোজন এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও সহায়তা করবে।
এফএও’র সহকারী প্রতিনিধি (কর্মসূচি) নূর আহমেদ খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহনশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাই আবারও তারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন জেলা রিটানিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটানিং অফিসে যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করবে: মোমেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী জোয়ার বইছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। উৎসবমুখর পরিবেশেই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব জ্বালাও-পোড়াও না করে, সম্পদ ধ্বংস না করে নির্বাচনে আসুন, জনসমর্থন প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই অবরোধ-হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তারা পরিহার করেছেন।
এ সময় নিজের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, সেই ভাষণে- বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সব নেতৃত্বের প্রতি সব সম্পদ, কারিগরি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সবার জন্য সঠিক ও সমান ব্যবহার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করার উপর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
রবিবার (১৯ নভেম্বর) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) ফ্লোরে এটুআই এর উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদান শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষ মানবসম্পদ, সবার জন্য সুলভমূল্যে ইন্টারনেট, প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানো; এই চারটি মূল লক্ষ্যে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ এ চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। স্মার্ট বাংলাদেশের এ চার পিলার নির্ধারণ করে দিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে, তা এ চার স্তম্ভের কথা চিন্তা করলেই বোঝা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে একজন স্মার্ট নাগরিক হবে- বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবন নির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, আরও বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সরকার-ব্যবস্থায় সব ধরনের সেবা প্রদান ও কার্যসম্পাদন করা হবে- কাগজবিহীন, ডেটানির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত এবং স্বয়ংক্রিয়, অর্থাৎ যখন যেখানে দরকার, সেখানেই থাকবে সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে সব ধরনের বৈষম্যবিহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও সহনশীল, সমাজ হবে উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেমিনার
জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জনগণ আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে। এ ছাড়া যারা পুলিশ হত্যা করে তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবার আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মারধর করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার (৫ নভেম্বর) বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘাটনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এই অত্যাচার নির্যাতন ও আগুন সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করে তাহলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মাথানত হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন- ‘আমার জীবন যেতে পারে কিন্তু আমি সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দিয়ে যাব না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শান্তি চাই, এই দেশটাকে সুখি সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। আর সেজন্য জনগণের সমর্থন চাই।
দেশকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেবেন নাকি যিনি বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করেছেন তার পক্ষে থাকবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের দানিপুকুর হাইস্কুল মাঠে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। কে কোন দল করেন সেটি দেখা হয়নি। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শুধু মূল সড়ক নয়, এখন মানুষের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও পাকা হচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনা যা কিছু করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ করেনি। দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ হাজার হাজার রাস্তা করেছেন। তিনি বা তার দল ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই আস্থা আমাদের রাখতে হবে।
আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আবারও ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও পোড়াও ও মানুষ হত্যা শুরু করেছে। এই দেশের শান্তি প্রিয় মানুষ বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কখনো মেনে নেয়নি, নিবেও না।
তাই বিএনপি যেখানেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে সেখানেই তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক পথচলা বাধাগ্রস্ত করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে: খাদ্যমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরও জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা দিতে ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খামারি মাঠ স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে এলডিডিপি খামারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্তপূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য দূরদর্শী পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। কীভাবে একটি দেশ পরিচালিত হবে, কীভাবে দেশের জনগণ কাজ করবে, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে, কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে, এর সবকিছুর পরিকল্পনায় রয়েছে।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, উন্নত, উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য নয় বরং সবার জন্যই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বিশ্বের মানুষের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন করা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সীমানা আমাদের আলাদা পরিচয় দিতে পারলেও আকাশ, পানি, সমুদ্র, জলবায়ু আমরা আলাদা করতে পারি না। এজন্য সমগ্র বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বঞ্চিত, অনুন্নত, দরিদ্র দেশসমূহের প্রতি বিশ্বব্যাংক, এফএও ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা অনুন্নত, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং যারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তাদের জন্যও আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে তাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী