কৃষি
বার্ষিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৬ অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কৃষি খাতের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
'মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়।
জিডিপিতে একটি হ্রাস প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এটি বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিনির্ভর সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গৃহীত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, যান্ত্রিকীকরণ-সেচ সম্প্রসারণ এবং বীজ ও সারের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের প্রাপ্যতা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
নীতি নথিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উপর সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ফসল পরিচর্যার জন্য রিমোট সেন্সিং নিয়োগ করা।
সরকার একটি টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে ভর্তুকি, আর্থিক প্রণোদনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এটি কেবল জিডিপি যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯১ শতাংশই বৃদ্ধি করে না, বরং জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং জীবিকার সংস্থান করে। এই ক্ষেত্রগুলোর অর্জনসমূহের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এসব খাত অত্যাবশ্যক।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় জিরা চাষে সফলতা, জহুরুল ইসলামের দৃষ্টান্ত
ভবিষ্যতে এসব খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিশেষ করে ছোট ইলিশ মাছের ('জাটকা') জন্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
টেকসই কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরেকটি মৌলিক ক্ষেত্র। আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ন্যায়সঙ্গত পানির হিস্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলাশয় খনন ও উপকূলীয় বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকির মধ্যে - ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার এই প্রভাবগুলো হ্রাস করার বিস্তৃত কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাটি জলবায়ু সম্পর্কিত বাধাগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীলতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত এবং সম্প্রদায়গুলোকে সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষি ঐতিহ্যকে কেবল সুরক্ষাই নয়, বরং এগিয়ে নিতেও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।
তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
চুক্তিতে আগেই সই করেছিলেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, যুগ্ম সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের উপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষিপণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা পাব। ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আর্জেন্টিনার সহায়তা পাব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে। এছাড়া, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তা নেওয়া যাবে।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রযেছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যেদিয়ে সেসব খাতে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়ল।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়নসহ প্রভৃতি বিষয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা বুধবার রাতে এক নৈশভোজে রপ্তানি সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেছেন, নৈশভোজের সময় রাষ্ট্রদূত লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) সুরক্ষাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন।
মুখপাত্র বলেছেন, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেনস (একটি আমেরিকান কোম্পানি) আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত, মার্কিন দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্টাফ সদস্য। সেখানে তারা প্রধান বেসরকারি খাতের কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে।
দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি ব্যবসাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবান অংশীদার। কারণ দেশটি সয়াবিন, গম, তুলা ও পশুসম্পদ উন্নয়ন থেকে তৈরি পোশাক খাত পর্যন্ত অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে চায়। যেগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সসহ অন্যান্য দেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিক নৈশভোজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আলু আমদানির পরিকল্পনার বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের আলু আমদানির অনুমতি দিতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার (৭ অক্টোবর) ইউএনবিকে জানান, আগামী দুই মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য দেশীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। তাই আলু আমদানির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ফের রাশিয়ায় আলু সরবরাহ করবে বাংলাদেশ
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে নতুন জাতের আলু বাজারে আসতে শুরু করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসব জেলা থেকে আগাম জাতের আলু পুরোদমে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দেশে কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে আলুসহ অন্যান্য কিছু কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন: আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
কৃষি জমি বাঁচাতে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার সংসদ ভবনে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে ফসলি ও চরের জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে জমিতে নির্মিত সোলার প্যানেলের উচ্চতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিগত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চরাঞ্চলে ভুট্টা, সূর্যমুখী ও সয়াবিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোসলেম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম, হোসনে আরা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার বিষয়েও আরেকটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকও সই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় দেশটির বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের প্রবেশ সহজ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আধুনিক ও নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎস এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য প্রচলিত জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী বিক্রি ও সরবরাহ প্রসার করা।
কৃষির উদ্দেশ্য হলো উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানো।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে।
আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এখনও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আহ্বান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল এবং জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়া, মন্ত্রীরা জ্বালানিও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপরও জোর দেন।
৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট-এশিয়া সামিটে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জাকার্তা সফর করছেন।
তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন।
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় ২ লাখ বেল।
তিনি আরও বলেন, ‘চাহিদার কমপক্ষে ২০ শতাংশ বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। সে লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় সফল, রাজপথেও সফল: কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার দু’টি জাতের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে দেশেই চাহিদার ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন করা যায়।
দেশে বিটি তুলার দু’টি জাত অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি দেশ ভারত রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও দেশে পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না।
তিনি আরও বলেন, ‘শুল্ক আরোপের ঘোষণায় এখন দাম কিছুটা বাড়লেও কয়েকদিন পর কমে আসবে।’
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি। দেশে এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন। এর অর্থ হলো দেশেও পেঁয়াজ আছে।
মন্ত্রঅ আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের কৃষকদের কাছে এখনো পেঁয়াজের মজুদ আছে। এছাড়া তুরস্ক, মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জি২০’কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশের কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি হুমকিস্বরূপ। সেজন্য, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও বৈশ্বিক সংকট, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমসহ যে কোন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জি২০'র স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।
শুক্রবার সকালে ভারতের হায়দরাবাদে জি২০ কৃষিমন্ত্রীদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কার্যকর কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি কমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও, ফসলের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধির কারণেই ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার সকল স্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের কোন সংকট নেই, বরং খাদ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও গরীব মানুষকে খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে ও কমমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
'খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য টেকসই কৃষি'- শিরোনামের এ সেশনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া, ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার, জি২০ভুক্ত ১৯টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, বাংলাদেশসহ আমন্ত্রিত ১০টি দেশের কৃষিমন্ত্রীগণ বক্তব্য রাখেন। এতে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার শীর্ষ সংগঠন জি২০'র এবারের সম্মেলনের আয়োজক ভারত। নয়াদিল্লীতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন, যেখানে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিলবে কৃষির ৪৫টি সেবা
এখন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ৪৫টি নাগরিক সেবা মিলবে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। যেখান থেকে কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি এসব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (moa.gov.bd) থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস (http://service.moa.gov.bd/portal/home) ট্যাবে ক্লিক করলেই এসব সেবা মিলবে।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ডিজিটাল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: আমনে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জিত: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
এ সময় কৃষি-সচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থা প্রদত্ত নাগরিক সেবাসমূহ এক জায়গায় খুব সহজেই পাওয়া যাবে, সেবা প্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ হ্রাস পাবে।
এই পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমান নাগরিক সেবাসমূহকে (যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে) খাত, ধরন দপ্তর/অধিদপ্তর অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে।
কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, শস্য, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, সার, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ এবং কীটনাশক বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও সকল সংস্থা প্রদত্ত সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে।
এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সন্নিবেশ করা হয়েছে। এতে কী প্রক্রিয়ায়, কত খরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবাসমূহ পাওয়া যাবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবার পদ্ধতির ধাপসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনো পিছিয়ে আছেন। এ খাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়।
বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি