জেলা প্রশাসক
দেশের ১০ জেলায় নতুন ডিসি
দেশের ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, টাঙ্গাইল, পাবনা, শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে গত ১২ মার্চ ৮ জেলায় ডিসি পদে রদবদল এনেছিল সরকার।
গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানকে রাঙ্গামাটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব (উপসচিব) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনকে বান্দরবান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. কায়ছারুল ইসলামকে টাঙ্গাইল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামানকে পাবনার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) আরিফুজ্জামানকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব সুরাইয়া জাহানকে লক্ষ্মীপুর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানকে কুমিল্লা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ফেনী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার ডিসি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফেনীর ডিসি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব, লক্ষ্মীপুরের ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব, রাঙ্গামাটির ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, বান্দরবানের ডিসি ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিকে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব এবং পাবনার ডিসি বিশ্বাস রাসেল হোসেনকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
চট্টগ্রামে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর গ্রেপ্তারের পর হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরে রশি বাঁধায় ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামানের সঙ্গে বিএসবিআরএ’র নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে রাতে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানানো হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান বলেন, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সঙ্গে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো শিল্প মালিকের সঙ্গে না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএসবিআরএ'র সভাপতি আবু তাহের জানান, ‘আমাদের সম্মানিত সদস্য সীমা গ্রুপের পরিচালক জনাব পারভেজ উদ্দিন সান্টু সাহেবের পুলিশের কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় চট্রগ্রাম জেলা ও শিল্প পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বিএসবিআরএ'র দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে একইসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানববন্ধন স্থগিতের অনুরোধ জানালে আমরা উনার কথায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করছি।’
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলমসহ বিএসবিআরএ-এর নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
দেশের বায়ুদূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেশের সকল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ থেকে পাঠানো চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে দেশের সকল অবৈধ ইটভাটা, বিশেষ করে অধিক ক্ষতিকর ইটভাটাসমূহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কোনও লাইসেন্স ছাড়াই নতুন তৈরি ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়েছে।
যে জেলাগুলোতে বৈধ ইটভাটার চেয়ে অবৈধ ইটভাটা বেশি, সে জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকগণকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
আজ জারীকৃত অপর এক চিঠিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জেলার সকল সরকারি অফিসসমূহে এবং উপকূলীয় এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ রোধকল্পে মাসিক সভা ও অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভা আয়োজন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাসমূহের হালনাগাদ অবস্থা, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধকল্পে গৃহীত কার্যক্রম এবং পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
২৯ ইঞ্চির নাইমার বড় স্বপ্নের পাশে জেলা প্রশাসক
ফরিদপুরের নাইমা সুলতানা পাখি। বয়স ২২ বছর। উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি। ওজন ২০ কেজি। তার স্বপ্ন স্বাবলম্বি হওয়া। এই জন্য অভাব অনটনের সংসারে প্রতিনিয়ত করছেন জীবনযুদ্ধ।
ঠিক এসময় তার পাশে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
পাখির ইচ্ছা ছিল পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটারের কোর্সটি শেষ করে কম্পিউটার পরিচানায় আরও দক্ষ হবে। কিন্তু নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। একসঙ্গে এত টাকা দিয়ে কম্পিউটার কেনা সম্ভব নয়। ফলে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল তিনি।’
ঠিক এমন সময়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
মঙ্গলবার সকালে পাখি ও তার পরিবারকে ডেকে নেয় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। শোনেন তার ইচ্ছার গল্প। তার উচ্চকাঙ্খা শুনে হতবাক হন জেলা প্রশাসক। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাখিকে তার পড়াশোনা এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তাদের দেয়া হয় একটি আধুনিক মানের ল্যাপটপ, শুধু তাই না তার পড়ালেখার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
নাইমা সুলতানা পাখি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের উলুকান্দা গ্রামের নাদের মাতুব্বর ও সাহিদা বেগম দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে পাখি সবার বড়। গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন পাখি। বর্তমানে ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অনার্স (বাংলা) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
বাবা নাদের মাতুব্বর একসময় পাট-ভুষামালের ব্যবসা করতেন। ১২ বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন তিনি। একেবারেই চলাফেরা করতে পারেন না।
উদ্দীপ্ত এই নাইমা সুলতানা পাখি জানান, ‘বাবা অসুস্থ। সংসারে রোজগারের মতো কেউ নেই। পড়াশোনা তো দূরে থাক ঠিকমতো সংসারই তো চলে না। এরপরও কষ্টের মধ্য দিয়ে পড়া চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ছোট হলেও আমার স্বপ্নটা বড়। চাই লেখাপড়া করে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি একটা চাকরি করে পরিবারের হাল ধরতে। বাবা-মা, বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে। কারও করুণা কিংবা ভিক্ষা করে নয়, মাথা উঁচু করে বাঁচবো। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজের দৃষ্টান্ত হতে চাই।’
জেলা প্রশাসকের এই সহায়তার বিষয়ে পাখি বলেন, আমার পাহাড় সমান স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেবতার মতো হয়ে পাশে দায়িছেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান স্যার । তার এই সহযোগিতা হয়তো আমাকে আমার লক্ষে নিয়ে যাবে।
পাখির মা শাহিদা বেগম বলেন, ‘স্বামী অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন ঘরে পড়ে আছে। তিন মেয়ের পড়াশোনাসহ সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতে খুবই কষ্ট হয়। পাখির স্বপ্ন পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য নেই।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই, আমার এই অবহেলিত মেয়েটির পাশে দাড়িয়েছেন।
নাইমা সুলতানা পাখির প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, পাখির স্বপ্ন ও তার পরিবারের অভাব অনাটনের খবর পাওয়ার পর তাদেরকে অফিসে ডেকে নিয়ে আসি। শুনে আমি হতবাক মেয়েটির স্বপ্ন কত বড়। এত কষ্টের মধ্যেও সে নিজেকে স্বাবলম্বি করতে চায়। এই কারণ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি কিছুটা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং তার পড়ালেখা শেষ হলে যোগ্যতানুযায়ী চাকরি ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
ফরিদপুরে ২১ দিনব্যাপী জসীম পল্লী মেলা শুরু
প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আইইবি'র প্রতিবাদ
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বার্ষিক সম্মেলনে তাদের জেলার প্রকল্পগুলোর নকশা ও বাস্তবায়ন তদারকির ক্ষমতা চেয়ে যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শিবলু বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডিসিদের প্রস্তাব অবাস্তব ও অযৌক্তিক। এ ধরনের প্রস্তাব উত্থাপন করে ডিসিরা বিদ্যমান ক্রয় বিধি লঙ্ঘনের চেষ্টা করছেন।’
আরও পড়ুন: টেকনিক্যাল পদে নন-টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নিয়োগ প্রত্যাহারের দাবি আইইবির
তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর ১২নং বিধি অনুসরণ করে ভূমি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়।
‘প্রকৌশলীদের দ্বারা করা অনুমান, নকশা ও মনিটরিং গুণমান বজায় রেখে প্রকল্পবাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে’ ডিসিদের এমন মন্তব্যকে আইইবি দুঃসাহসিক উল্লেখ করেছে।
তারা আরও জানিয়েছে, ডিসিরা তাদের কাজের সমন্বয় করতে পারলে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সরকারের কাছে ডিসিদের প্রস্তাব বিবেচনা না করার জোরালো দাবি জানিয়েছে আইইবি।
আরও পড়ুন: ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের পাঁচ প্রকৌশলীকে সম্মানিত করল আইইবি
তিতাস গ্যাসের ৪ প্রকৌশলী গ্রেপ্তারে আইইবির নিন্দা
জেলা প্রশাসকদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে ও জনগণের সেবা করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকদের দুর্নীতিমুক্ত থাকতে বলেছেন, যাতে কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ না পায়।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। অন্যরাও যাতে দুর্নীতির সুযোগ না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।’
দুর্নীতিকে টেকসই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন জেলায় সরকারের বহুমুখী কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্ব আপনাদের। দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ডিসিরা সচেতনভাবে কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব ও ক্ষমতার পার্থক্য বজায় রাখবেন। আপনার পদবি জেলা প্রশাসক হলেও আপনারা শাসক নয় উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিসিরা জনগণের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবেন। জেলা প্রশাসনের নেতা হিসেবে আশা করি আপনারা এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
উন্নয়নকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের মূল লক্ষ্য মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, বরং জনগণকে সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য এবং এর সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘মানুষের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। করুণা বা অনুগ্রহ বলে কিছু নেই। আপনি যেমন একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মজীবন পরিকল্পনা করেন, তেমনি আপনি কর্মক্ষেত্রেও পরিকল্পনা করবেন।’
তিনি প্রয়োজনীয় আবাসন, শিক্ষা, কৃষিভিত্তিক শিল্প, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ইসি’র, নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি
বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনটির উদ্বোধন করা হয়।
বৃহস্পতিবার শেষ হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এ এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০টি ওয়ার্কিং সেশনসহ মোট ২৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
সম্মেলনে ডিসিরা সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় তারা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, মাঠ পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।
কর্মকর্তারা জানান, এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, নরসিংদী ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু মঙ্গলবার
আগামী মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন। রবিবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রতি বছরই জেলা প্রশাসক সম্মেলন হয়ে আসছে। কোনো কোনো বছর দু’বারও হয়। তবে করোনার কারণে দুবছর করতে না পারলেও পরে আমরা এটি চলমান রেখেছি।
দুটো বিষয় সামনে রেখে এ সম্মেলন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ
প্রথমটি হলো-সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের জেলা প্রশাসকরা মতবিনিময় করবেন। এরপর তাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা, অনুশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দ্বিতীয়টি হলো-সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা, নীতি ও অনুশাসন মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে গেলে যে চ্যালেঞ্জের তারা সম্মুখীন হন, যে অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করেন বা মাঠপর্যায়ে যে বাস্তবতার সম্মুখীন তারা হন, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব তারা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে।
এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মোট ২৬টি অধিবেশন থাকবে। তার মধ্যে ২০টি থাকবে কার্য অধিবেশন। অর্থাৎ এসব বৈঠক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করবেন বলে জানান মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব পেয়েছি। তার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কিত ২৩টি, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ১৫টি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ১৩টি, সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ১১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণায় থেকে ১০টি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১০টি প্রস্তাব এসেছে।’
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতার ঐতিহ্য আমাদের আছে। সে অনুসারে সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে বলে আশা করছি। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে এবারের সম্মেলনে ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নির্মাণ শ্রমিকের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক
সন্তানের ফেলে যাওয়া বৃদ্ধ মাকে দেখতে গেলেন জেলা প্রশাসক
ফরিদপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নির্মাণ শ্রমিকের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক
ফরিদপুর সদর উপজেলায় এক নির্মাণ শ্রমিকের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সালমান মৃধা (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় এলাকায় বেশ আলোচনায় এসেছে সে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাকে। সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ইজা দুর্গাপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে সালমানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
সালমান এবার ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
জানা গেছে, সালমানের বাবা মো. বিল্লাল মৃধা অন্যের জমিতে কাজ করে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাদের সংসার। বাবার পাশাপাশি সালমান অন্যের জমিতে কাজও করে। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি চালিয়েছে পড়াশোনা।
সালমান জানান, ‘এসএসসি পাশের পরে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ালেখার খরচ নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তায় ছিলাম। আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় ছিল কীভাবে অভাব মিটবে। হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় আমার পরিবারের সঙ্গে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তার এই সাফল্যে প্রশাসনের পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও তিনি আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন।’
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ‘সালমানের সাফল্য দেখে বেশ আনন্দিত হই। পরে জানতে পারি তার পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় সালমানের লেখাপড়া করার মতো অর্থিক অবস্থা নেই। পরে তাকে অফিসে এনে তার ইচ্ছার কথা শুনে সালমান ও তার ছোট ভায়ের লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন
সন্তানের ফেলে যাওয়া বৃদ্ধ মাকে দেখতে গেলেন জেলা প্রশাসক
সন্তানের ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা মাকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ নিয়ে দেখতে গেলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন। এসময় তিনি বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ও তার চিকিৎসা প্রদানসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
রবিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালিগ্রাম মহল্লায় বৃদ্ধাকে দেখতে গিয়ে ফেলে যাওয়া ছেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
এর আগে বউয়ের সাথে বনিবনা না হওয়ায় মা মর্জিনা বেগমকে রাস্তার পাশের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে যায় তার সন্তান। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালিগ্রাম এলাকায় একটি গলির পাশে অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে ফেলে যায় ছেলে মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে বৃদ্ধাকে সেখানেই একটি ভাড়া বাসায় তার মেয়ের তত্ত্বাবধানে আছেন।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এসময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাইমা হক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
বগুড়ায় মুরগির খামারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত