কৃষি
কুড়িগ্রামে বৃষ্টিতে ৪শ’ হেক্টর কৃষি জমির ক্ষতি
কুড়িগ্রামে বৃষ্টিতে ৪১২ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি টাকার অংকে কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য হাতে পেয়েছি। যার ষাট ভাগ পুরোটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা পরবর্তীতে আমরা টাকার অংকে বের করতে পারবো।
এদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক মো. আব্দুর সবুর জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পূবালী বায়ু চাপের কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এপ্রিল ও মে মাসে সর্বাধিক ৯৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা জুন মাস পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৭২ মিলিমিটার। এছাড়াও মে মাসে সোমবার (২৩ মে) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫১৮ মিলিমিটার। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নীচু জমিতে লাগানো বোরো ধান ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরিসংখানে জানা যায়, গত দুই মাসে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ৪১২ হেক্টর ফসলাদি পানিতে নিমজ্জিত হয়। এরমধ্যে বোরো ধান ২৬৫ হেক্টর, পাট ৯৫ হেক্টর, চিনা ২০ হেক্টর, শাকসবজি ১২ হেক্টর, তিল ১০ হেক্টর, কাউন ৫ হেক্টর এবং রাধুনী হর্স ৫ হেক্টর।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারজান এলাকার শিয়ালকান্দা গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষক সুমন জানান, রোদ না ওঠার ফলে আমার ঘরে রক্ষিত প্রায় ৩০মন ধানে পচন ধরেছে। পাইকাররা এসে ধান দেখে না কিনেই চলে যাচ্ছেন। ৬০০ টাকাতেও তারা ধান কিনতে চাইছেন না।
সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালিরভিটা গ্রামের কৃষক জিতেন জানান, বৃষ্টি এবার কৃষকদের সর্বনাশ করেছে। আমার জীবনে এমন অসময়ে বৃষ্টি আর দেখিনি। একটু বৃষ্টি থামলেই শুকনো উঠোন নিয়ে লংকাকাণ্ড বেঁধে যায় গৃহিণীদের মধ্যে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত ৮৩ ভাগ বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। রোদ না থাকায় কৃষকদের একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন আশানুরূপ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে নগরবাসী
নদীর পানি কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তুলনামূলক পরিস্থিতিতে দেশগুলোর সঙ্গে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিনি আরও স্থিতিস্থাপক খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থা তৈরি করতে জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
শুক্রবার ‘সংঘাত ও খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে বক্তব্য দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার নিউইয়র্ক থেকে প্রাপ্ত এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে: শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী কৃষি খাতে রূপান্তর এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন, গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরেন।
২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রত্যেকের সর্বত্র নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য।
প্রতিমন্ত্রী উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিতের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এছাড়াও তিনি উন্নত দেশ থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সংঘাতের সময় খাদ্য সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ক্ষতির হাত থেকে দূরে রাখতে বিশ্ব সংহতির আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের মানবাধিকারের ঘাটতি পূরণে বিশ্বব্যাপী সংহতির আহ্বান বাংলাদেশের
সিঙ্গাপুরে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
আগাম আম পেড়ে বিপাকে সাতক্ষীরার চাষিরা
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে আম চাষিরা আগে ভাগে গাছ থেকে আম পেড়ে ফেলায় সাতক্ষীরার পাইকারি বাজারে অপরিপক্ক আমের সয়লাব হয়েছে।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের মতে, বিশ্বে সাতক্ষীরার আমের সুনাম রয়েছে। আবহাওয়া আর মাটির গুনাগুনের কারণে দেশের অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগে ভাগেই পাকে। তবে এ বছর ঘূর্ণিঝড় অশনি থেকে বাঁচাতে কৃষকরা ইতোমধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ এবং বোম্বেসহ অনেক জাতের আম পেড়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
সদর উপজেলার কুকরালী গ্রামের আম চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বছর ১৮ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছি। মুকুল আসার আগে থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে আম উৎপাদন কম হয়েছে।
তার দাবি, ঘূর্নিঝড় আশনি’র আঘাত হানার খবর শুনে আম চাষিরা অপুষ্টি আম আগে ভাগে পেড়ে ফেলেছে। মৌসুম শুরুর আগেই বাজারে অপুষ্টি আমে সয়লাব। ফলে আমের চাহিদা কম এবং আমেরও ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজ্জাক বলেন, গত বছর যে আম ২৮’শ টাকা মণে (৪০ কেজি) বিক্রি হয়েছে সেই আম চলতি বছর সর্বোচ্চ ১৬ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আর এবছর লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে চলতি মাসের ৫ তারিখে গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ, ১৬ মে থেকে হিমসাগর এবং মে মাসের শেষের দিকে নেংড়া আম পাড়ার জন্য আদেশ দিয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিপুল পরিমাণ হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম পেড়ে ফেলেছেন চাষিরা।
তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও দাম অস্বাভাবিক কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা খুলনার তরমুজ চাষিরা।
লাভের বদলে চাষিরা এখন তাদের উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তিত। তারা তরমুজের দাম কম হওয়ার জন্য আংশিকভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের জোটকে দায়ী করছে।
তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট খুব কম দামে ফল কিনে বেশি মুনাফা নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে।
মধ্যস্বত্বভোগীদের ফাঁদ এড়ানোটা যতটা সহজ ভাবা হয়, আসলে বিষয়টা ততটা সহজ নয়। কিছু কৃষকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে, তাদের তরমুজ পরিবহনের জন্য ট্রাক ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন দিতে হয় ১৪-২৫ হাজার টাকা। অধিকাংশ চাষিই এই খরচ বহন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
রমজান মাসের পর তরমুজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং স্থানীয় বাজারে তরমুজের বিক্রি কম হয়।
লোকসান পুষিয়ে নিতে কয়েকজনকে তাদের পণ্য ঢাকা ও খুলনা শহরে নিয়ে যেতে দেখা গেলেও কাঙ্খিত দাম পেতে ব্যর্থ হয়।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কৃষকরা ১৩ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
সবচেয়ে বেশি দাকোপে সাত হাজার ৬২৫ হেক্টরে। এছাড়া বটিয়াঘাটায় তিন হাজার ৬০০, পাইকগাছায় এক হাজার ৫১০, কয়রায় ৮৯৫, ডুমুরিয়ায় ৩৫০, রূপসায় পাঁচ, তেরখাদায় তিন ও ফুলতলা উপজেলায় এক ও মেট্রো থানায় আরও এক হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।
২০২১ সালে মোট সাত হাজার ৫১২ হেক্টর জমি তরমুজ চাষের আওতায় আনা হয়েছিল এবং তরমুজ চাষ লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় কৃষকরা তাদের চাষ সম্প্রসারিত করেছে।
এ বছর জেলায় আনুমানিক চার লাখ ১৫ হাজার টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।
রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু
রাজশাহীতে শুক্রবার থেকে আম পাড়া শুরু করেছেন আম চাষিরা। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় জাতভেদে আম পাড়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক জানান, শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে সব ধরনের গুটি জাতের আম পাড়া যাবে। এছাড়া ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা, ২৮ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারী-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে।
তিনি জানান, বাজারে যেন অপরিপক্ব আম না যায় তার জন্য ফল গবেষক, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করেই আম পাড়ার সাম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে অপরিপক্ব আম পাড়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: অপরিপক্ক আম পাড়ায় মালিকের কারাদণ্ড
রাজশাহী মহানগর ও ৯ উপজেলায় এই বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এ বার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, কিছু কিছু গাছে আম কম হলেও এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করছি। কারণ গাছে আম কম থাকলে তা বড় হয় এবং ঝরে পড়েও কম।
বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের হঠাৎ করে গ্রামে কাছে সাতটি স্থানে মরিচের আড়ৎ বসা।এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মিও হতে হচ্ছে না কাউকে। খেত থেকে মরিচ তুলে সরাসরি বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের আড়তে কৃষকরা জানান, আগে খেত থেকে মরিচ তুলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের মধুপুর গ্রাম থেকে আড়তে যেতে পাঁচ কিলোমিটার এবং শহরে যেতে ২৬ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হতো। এতে গাড়িতে করে আড়তে নেয়া, আড়তদারদের টোল দেয়াসহ দর-কষাকষির ঝামেলা ছিল। কিন্তু এখন বাড়ির কাছে আড়ৎ হওয়া সকল ঝামেলা এড়িয়ে ভালো দাম পেয়ে খুশি মরিচ চাষিরা।
আরও পড়ুন: এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক
জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মহাজনহাট থেকে মধুপুর গ্রাম পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের রাস্তায় মহাজনহাটে দুটি, লালাপুর জঙ্গলবাড়ী গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে একটি, কাঁচনা মধুপুর গ্রামের পুকুরপাড়ে দুটি ও মধুপুর গ্রামের ভেতরে দুটি স্থানে প্রতিদিন আড়ৎ বসিয়ে কাঁচা মরিচ কেনাবেচা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আড়ৎ বসিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন এখানে প্রায় ৬০ লাখ টাকার মরিচ কেনাবেচা হচ্ছে ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, খেত থেকে তুলেই ন্যায্যমূল্যে সরাসরি বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরছি। ঝামেলামুক্ত হওয়ায় দিন দিন এসব আড়তে মরিচ বিক্রির চাহিদা বাড়ছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা সরাসরি টাটকা মরিচ কিনে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে গাড়িতে তুলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মিও হতে হচ্ছে না কাউকে।
কৃষকরা জানান, প্রযুক্তি কৃষকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাওয়ায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এমন কার্যক্রম কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
মধুপুর গ্রামের ভেতরে সবচেয়ে বড় আড়ৎ বসিয়েছেন জয়নুল হক, আজিজুল হক, দুলালসহ পাঁচ জন ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
তারা জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদের আড়তে প্রায় ৬ হাজার কেজি মরিচ কেনা হয়। এসব মরিচ বিকেল ৪টার মধ্যে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঢাকার ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে যা কমিশন দেন, তা নিয়েই আড়তের সবাই খুশি। আজকে প্রতি কেজি মরিচ কেনা হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৭ টাকা দরে।
মধুপুর গ্রামে বসা আড়তে ২০ কেজি মরিচ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ওই গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, এই মরিচ বালিয়াডাঙ্গী কাঁচামাল আড়ৎ অথবা ঠাকুরগাঁও রোড আড়তে নিয়ে গেলে গাড়িভাড়া ১০০ টাকা এবং আড়তদারকে ৯০ টাকা টোল দিতে হতো। ৩ ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হতো। সময় ও খরচ দুটোই বাঁচছে বাড়ির পাশে ব্যবসায়ীদের কাছে মরিচ বিক্রি করে।
ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাজারগুলোতে সকাল ৮টার মধ্যেই আড়ৎ বসে। আমরা মোবাইলে সেখানকার দাম শুনে একই দামে বাড়ির পাশে মরিচ কিনছি। ঢাকার ব্যবসায়ীদের ভিডিও কলে মরিচের কোয়ালিটি দেখানোর পর তারা পরিমাণমতো অর্ডার করছেন। আমরা গাড়িতে করে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
বালিয়াডাঙ্গি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সীমান্ত এলাকার কৃষকেরাও এখন প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাজারদর জানতে পারছে। বাড়ির পাশে ফসল বিক্রি করে ন্যায্যমূল্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচছে। কৃষকেরা দুই দিক দিয়েই উপকৃত হচ্ছেন।
এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক
বৈরী আবহাওয়ার শঙ্কায় আগেভাগেই বোরো ধান ঘরে তোলা তোড়জোড় চলছে উপকূলীয় নদী বেষ্টিত ফেনীর সোনাগাজীর কৃষকদের মাঝে। তবে এখনও কাটার উপযোগী ৭০ শতাংশ বোরো ধান জমিতে রয়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যেই বৃষ্টি সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চরম শ্রমিক সংকট।
শ্রমিক সংকটের কারণে সময় মতো ধান কাটতে পারছেন না অনেক কৃষক। শুধু তাই নয়, এক মণ ধানের দামে মিলছে না একজন শ্রমিকও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষককে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেনীতে গত এক সপ্তাহ ধরে এক মণ ধান ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু তার বিপরীতে একজন শ্রমিক ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকা চাওয়ায় কৃষকেরা চরম লোকসানের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
পরশুরাম উপজেলার পৌর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়। কিন্তু শ্রমিকদের জনপ্রতি এক হাজার থেকে ১২’শ টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। অন্যান্য খরচ যেমন জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচতো আছেই। এতে আমার ৪০ শতক জমিতে প্রায় ২-৩ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছে।
সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় চর চান্দিয়া এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, এক সময় মঙ্গা প্রবল রংপুর অঞ্চলের ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া গেলেও এখন আর নেই। ফলে এলাকার শ্রমিকরা কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত মুজুরি হাকাচ্ছে।
ধান কাটা শ্রমিক কবির আহাম্মদ বলেন, ‘আমি আবুল খায়েরের সঙ্গে (মালিক) ধান কাটার জন্য দৈনিক ১ হাজার টাকা করে পাঁচ দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। দুপুরে-রাতে ভাত খাওয়া ও সকালের নাশতাও মালিক বহন করবেন।
পরশুরাম ডাকবাংলা মোড় এলাকার ধান ব্যবসায়ী আবদুল কাইয়ুম জানান, তিনি প্রতিমণ ধান ৬৮০ টাকা করে কিনছেন। ধানের চাহিদা না থাকায় দাম হঠাৎ কমে গেছে। এ ছাড়া শ্রমিক খরচও ওই টাকা থেকে বাদ যাবে।
আরও পড়ুন: হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সত্যনগর গ্রামে দেখা গেছে, কৃষক আবুল কাশেম ছয় জন শ্রমিক নিয়ে বোরো ধান কাটছেন। তিনি বলেন, ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া খুব কষ্টের। পেলেও তাদের মজুরি উচ্চমূল্যের। তাই আগামী মৌসুমে আর বোরো চাষাবাদ করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পরশুরাম উপজেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবার বাম্পার ফলনও হয়েছে।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব রঞ্জন বণিক বলেন, বোরো আবাদের জন্য সবকিছুই অনুকূলে ছিল। বিদ্যুৎ, পানি, সার, বীজ কোনো কিছুরই সমস্যা ছিল না। চলতি মৌসুমে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সচল গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প
ফেনীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তারেক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ৩০ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। বোরো ধানের দাম কম থাকায় আমরা কৃষকদের ধান ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে করে তারা সংরক্ষিত ধান পরে বিক্রি করে দামটা ভালো পান। একই সঙ্গে শ্রমিক সংকট থাকায় কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনে কৃষকদের সহজভাবে ধান কাটা, মাড়াই, বস্তা প্যাকেটজাতকরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, শ্রমিক সংকট ও বৈরী আবহাওয়ার শঙ্কায় কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনে সমতল ভূমিতে ৫০ শতাংশ ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ সরকারিভাবে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৩৮ শতাংশ, নেত্রকোণায় ৭৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৯, সিলেটে ৩৭, মৌলভীবাজারে ৩৬, হবিগঞ্জে ২৫ ও সুনামগঞ্জে ৪২ শতাংশ ধান কর্তন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর দেশের হাওরভুক্ত সাতটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের হাওরে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। আর হাওর বাদে চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট আবাদের শতকরা এক ভাগ।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
এদিকে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বৈরি আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৮০ শতাংশ পাকলেই হাওরের ধান কাটার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া, পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
এই মুহূর্তে হাওরে প্রায় এক হাজার ৭০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটছে। যার মধ্যে এক হাজার ১০০ কম্বাইন হারভেস্টার স্থানীয় আর ৩৫০টি কম্বাইন হারভেস্টার বহিরাগত বা অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে শ্রীলঙ্কার সংবিধান পরিবর্তন
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে সংবিধান পরিবর্তন করা হবে।
মঙ্গলবার তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সংসদকে আরও ক্ষমতায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সংসদকে বলেছেন, দেশকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল করতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনায় সহায়তা করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
রাজাপাকসে বলেছেন, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আছে। সংসদে সাংবিধানিক ক্ষেত্রে আরও কিছু সংস্কার শুরু করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভাই, প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ২০১৯ সালে আবারও নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য তাকে দায়ী করে মঙ্গলবার ১১ তম দিনের মতো হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রবেশপথ দখল করে রেখেছেন।
এদিকে গোটাবায়া রাজাপাকসে সোমবার স্বীকার করেছেন তিনি শ্রীলঙ্কার কৃষিকে সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে রূপান্তর করার লক্ষ্যে সাহায্যের জন্য আইএমএফের কাছে যেতে দেরি করেছেন। যেটা দেশটিতে সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪৩
ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমনি ফসল উৎপাদনের খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ এই জেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।
জানা গেছে, গত বছর ঠাকুরগাঁও সদরের বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার ১০-১৫ জন চাষি কেঁচো সংগ্রহ করে জৈব পদ্ধতিতে সার উৎপাদন শুরু করেন। আর তাদের বিনা মূল্যে সার তৈরির উপকরণ দিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতা করে। কৃষকদের উৎপাদিত সেই সার জমিতে ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা
বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান, হামিদুর রহমান, রইস উদ্দীনসহ একাধিক কৃষক বলেন, সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের তিন থেকে চার গুন বেশি টাকা গুনতে হয়। তাছাড়া এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।