আমীর খসরু
চট্টগ্রামে সংঘর্ষ : আমীর খসরুসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামশুল আরেফীনের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর আগে আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি কাজীর দেউড়ির নুর আহমদ সড়কের বিএনপির মহানগর কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ৩৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে ২০১৭ সালের ২৭ জুন পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আরও ৭৬ জনকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওই সময় মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয় ১২ জনকে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মফিজুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে বিস্ফোরক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল বুধবার। আমরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সেটি না মঞ্জুর করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ড. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে।’
আগামী জুনে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল গেটে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের রিমান্ডের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমিত কুমার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ৩ নভেম্বর সহিংসতার সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পুলিশ কনস্টেবল হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নেতাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে আমীর খসরু মাহমুদকে খুঁজছিলাম।’
তিনি জানান, ‘তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আমরা গত রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, আমির খসরু পুলিশ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি এবং পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করবে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন যে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও অনেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মামলার আসামিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে সহিংস সংঘর্ষের পর রবিবার দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তো কোনো সময় বলি না তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তারেক রহমান সবচেয়ে ডায়ানামিক লিডার। কারও উপর নির্ভর করতে হবে না বিএনপিকে। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর কাজির দেউরি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা করে একটি উপায় বের করা উচিত' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি বিষয় না। বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়ার বিষয়। তার ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। এখানে কোনো দলের বিষয় না। সেটা একমাত্র সম্ভব আজ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছিল। সেটা ফেরত এনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কাদের মধ্যে সমঝোতা হবে এটা কোনো আলোচনার বিষয় না। বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একমাত্র সমঝোতা হবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতাশা প্রয়োগে।
আমীর খসরু বলেন, বলেছিলাম ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড মার্চে সুনামি হবে। সেদিন চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। সুনামির থেকেও বেশি কিছু করেছে। চট্টগ্রামে সেদিন মানুষের ঝড় তুলেছে। আমাদের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বিএনপির একদফা আন্দোলনের শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের রোডমার্চের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই (শেখ হাসিনার পদত্যাগ)। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না কেউ। এ ছাড়া ভোট চোরদের দিন শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোট চোরদের বিদায় করতে ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সুনামি তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনা বিদায় হও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও।
তিনি বলেন, এই বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোট চোরদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদের এবার ছাড় দেওয়া যাবে না।
আমীর খসরু বলেন, রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামে একটি হবে। আর মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতোই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীর কী পর্যায়ে এভাবে এসেছে এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের জেলের ভেতরে কী হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো জনমনে এসেছে আজ।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ভোট কারচুপির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দলের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি (আগামী সাধারণ) নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ অন্তত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আয়োজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ একটি বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা অবস্থায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট কারচুপি চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী দিনে নির্বাচনী কারচুপি বন্ধে একটি বড় বার্তা।
খসরু বলেন, জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার না করে ক্ষমতাসীন দল আবারও ভোট কারচুপিতে লিপ্ত হলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের প্রতিফলন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ অন্যান্য দেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। মার্কিন ভিসা নীতি শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং এর নির্দিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের লক্ষ্যে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেন, ‘এই নীতির অধীনে আমরা কোনো ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় বসতে বিদেশিদের অনুগ্রহ খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সফরে বেরিয়েছেন। যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন তারা এখন (ক্ষমতায় থাকার জন্য) বিদেশিদের আনুকূল্য খুঁজছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রের কিছু যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এবং ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য অন্যান্য শক্তির উপর নির্ভরশীল। সুতরাং, তারা দেশ থেকে দেশে এবং দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে একটি অনুগ্রহের জন্য। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শেরেবাংলা জাতীয় যুব স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে চার দিনের সরকারি সফরের শুরুতে মঙ্গলবার টোকিও যান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানোই সরকারের মূল পরিকল্পনা: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রীর দুই সপ্তাহের তিন-দেশীয় সরকারি সফরের সময় টোকিও হলো প্রথম স্টপেজ। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে যাবেন।
খসরু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনি যত দেশেই যান না কেন, রাজনৈতিক কোনো লাভ করতে পারবেন না। ‘আপনাকে পরাজিত হতে হবে। দেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজনৈতিক অবস্থান নেয়, তখন কোনো শক্তি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের চলমান আন্দোলন জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অবশ্যই সফল হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের জনগণ সব কিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে তারা সরকার ও ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
দেশের জনগণ বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অতিসত্বর বিদায় দেখতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে পথে,মাঠে ও সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটাই প্রশ্ন; এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কবে বিদায় দিবেন? আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারছিনা। আরও কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না।’
শনিবার নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটিদিন অতিবাহিত করছি। আমাদের মুক্তি দিন, দেশকে মুক্ত করেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ। পরিষ্কারভাবে এটা জনগণের সিদ্ধান্ত এবং তারা অতিসত্বর সরকারের বিদায় দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে, এগুলোকেও তারা রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একটা সরকারের আমলে যখন এগুলো ঘটে, তখন বোঝা যায় সে সরকার দেশ পরিচালনাতে ব্যর্থ। তারা রাজনীতি করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরশাদের পতনের সময় মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল। স্বৈরাচারেরা যখন পতনের অবস্থানে চলে যায়, তারা তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে; তারা এগুলো আরও করবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। এ দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়ে গেছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী অংশ নেন।
নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কের মূল অংশ থেকে শুরু হয়ে একদিকে কাজীর দেউরি মোড়,অন্যদিকে লাভলেইন হয়ে জুবলী রোড পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশের মানুষ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। এই অবৈধ সরকার দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি অবনতির মূলে রয়েছে বিনা ভোটে নির্বচিত অবৈধ সরকারের এমপি, মন্ত্রী ও আমলারা। যার ফলে গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় গ্রেডে। এটি একটি হাইব্রিড সরকারের শাসন ব্যবস্থা। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ কথা বলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আর ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবেননা। বিএনপি ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য রাজপথে আছে। প্রয়োজনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অ্যাড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নছরুল কদির, জেলা ড্যাব এর সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম জানে আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজ এতিম হয়ে গেছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। পুলিশের পিছে পিছেও ঘুরছে। আর ছুরি, লাঠি, দা নিয়ে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। ওরা নাকি জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খসরু বলেন, ঢাকায়ও আমাদের সমাবেশ হয়েছে। লোকে লোকারণ্য ছিল সেই পদযাত্রা। এছাড়া তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত হলো ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনো পন্থা নেই। রাজপথে জনগণকে নিয়ে এ ফ্যাসিস্টকে হটাতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে। লাখো জনতা রাস্তায় নেমে গেছে। এরা কেউ বাড়ি ফিরে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে তারা বিদায় করবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ এই ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে জবাবদিতামূলক সংসদ ও সরকার আনবে।
কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে লাভলেইন মোড়, জুবলী রোড়, তিনপুলের মাথা, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, বৌদ্ধ মন্দির, লাভলেইন হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবার রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
বিএনপির ২৭ দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ: আমীর খসরু