ঐতিহাসিক
পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৬.৩২ কোটি টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি সিন্দুকে পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিন্দুকগুলো খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ, চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এতে প্রায় ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে বলে পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়। এতে ২৩ বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনা করা হয়।
টাকা গণনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে টাকা গণনায় উপস্থিত ছিলেন শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ১১২ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা মিলল!
চলতি বছর ১৯ আগস্ট মসজিদের ৮টি দানবাক্সে ২৩ বস্তায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণের গহনা ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই পরিমাণকেও ছাড়িয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে ৮টি সিন্দুক থাকলেও এবার আরো একটি বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মসজিদের দান থেকে প্রাপ্ত টাকা সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৮ দানবাক্সের ২৩ বস্তা টাকা গণনা চলছে
পাকিস্তানকে হারিয়ে বাঘিনীদের ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ২০ রানে হারিয়ে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল তারা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় স্কোয়াডে যোগ দেবেন সাকিব
রবিবার (২৯ অক্টোবর) একই ভেন্যুতে আরও একটি ম্যাচ বাকি রেখে বাঘিনীরা স্মার্টভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে।
এর আগে বুধবার একই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২০ রান তোলে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে অপরাজিত ২৭ রানের অবদান রেখে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন স্বর্ণা আক্তার।
এছাড়া ওপেনার মুর্শিদা খাতুন (২০), রিতু মন্ডল (১৯), শামীমা সুলতানা (১৮), সোবহানা মোস্তারি (১৬) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১০) এবং বাংলাদেশের পক্ষে দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্কোরার।
ডায়না বেগ ৩৪ রান দিয়ে দুই উইকেট, উম্মে হানি, নাশরা সান্ধু ও সাদিয়া ইকবাল যথাক্রমে ১২, ১৬ ও ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন।
১২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে বাধ্য হয় পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের।
বিসমাহ মারুফ ৪৪ বলে দুটি বাউন্ডারি সহ ম্যাচের সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন এবং ইরাম জাভেদ (১৫) এবং উম্মে হানি (১৪) দুই অংকে পৌঁছান।
নাহিদা আক্তার ১৫ ও রাবেয়া খান ২১ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন এবং মারুফা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন ১৫ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন।
একই ভেন্যুতে রবিবার অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বোলিং করছে বাংলাদেশ
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হার, আধিপত্য শ্রীলঙ্কার
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদের জামাত সকাল ৯টায়
প্রতিবছরের মতো এবারও সকাল ৯টায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। এদিন পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
এছাড়া ৬টি এ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিয়ন সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে জানান, এ বছর ১৯৬ তম ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ১৯৬ তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত করতে পারব।
এ ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। ৪টি ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই তা চলমান রয়েছে। আমাদের এই দুই দেশের সম্পর্ক আত্মত্যাগের সম্পর্ক।
তিনি বলেন, দুই দেশের নাগরিকদের বন্ধন ব্যক্তিগত সম্পর্কের। যা দুই দেশের নাগরিকদের অটুট সম্পর্কের ধারাবাহিকতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ের মতো এমন অটুট সম্পর্ক বজায় থাকলে দুই দেশই বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকাটিকে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে উল্লেখ ভারতীয় হাইকমিশনারের
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা উভয় দেশের সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নে আমরা যা প্রত্যাশা করি, সে অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন যাতে আরও অগ্রসর হয়, সেলক্ষ্যে কাজ করছে দুই দেশের সরকার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সহধর্মিণী মানু ভার্মা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শিমুল আহমেদ শিমুল, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) মনোজ কুমার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদসহ অন্যান্যরা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ'র সঙ্গে মতবিনিময় করে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
বঙ্গবন্ধু বিংশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী ও সাহসী নেতা: ভারতীয় হাইকমিশনার
সৌদির রাজধানী রিয়াদে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। মঙ্গলবার সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করেন চার্জ দ্যা এফেয়ার্স আবুল হাসান মৃধা।
এরপর দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদস্থ বিভিন্ন সংগঠন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আবুল হাসান মৃধা বলেন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অন্যতম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল প্রাজ্ঞ ও কৌশলী ভাষণ।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হবে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হবে।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। সে দিনটি থেকে নতুন করে অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তানি শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন. যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করতেই হবে...প্রতিটি ঘরকে দুর্গে পরিণত করব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ২০২২’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল,রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতার যাত্রাকে বাস্তবায়িত করার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা। ‘আমাদের মহান নেতার সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি, আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গর্বের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছর আমরা ৭ই মার্চের এই মহান ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও মুজিববর্ষ উদযাপন করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’
তিনি জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার করারও আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে, তাই দিবসটি এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে: মন্ত্রী উশৈসিং
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বুধবার বলেছেন, পাবর্ত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কোন্নয়নে ডিসেম্বরে একাধিক কর্মপরিকল্পনা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ‘রক-সলিড ও ঐতিহাসিক’ সম্পর্ককে পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে নিতে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতিবেশী দুই দেশ ডিসেম্বরে বেশ কিছু কর্মযজ্ঞের পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি অনন্য এক দিন।