বন্যা
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে
উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে ও প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার সকালের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও কাজিপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা কবলিত এলাকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিয়ারঘাটের বাঁধ অভ্যন্তরের একটি কাঁচা রাস্তার ৩০ ফুট ভেঙ্গে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চলের তিন শতাধিক বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসময় একটি দোকান ও তিনটি টিনের ঘর ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পানি কমছে, খাবার ও পানির সংকট
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে চরাঞ্চলের বাদাম ও পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে এবং অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। এ ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এনায়েতপুরসহ অনেক স্থানে এ ভাঙন রোধে স্থানীয় পাউবো জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করছে। যমুনায় পানি বাড়তে থাকায় বিশেষ করে শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং চরাঞ্চলের অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে যমুনার পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ শাখা নদী ও চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার করতোয়া, বড়াল, ইছামতি, ফুলজোড় নদীতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলও।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
১১ জেলায় বন্যার্তদের জন্য অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ
বন্যায় বড় ক্ষতি হবেনা, মোকাবিলার ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড . মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন মাঠে বড় ধরনের কোন ফসল নেই। এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। সেজন্য ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে। ফলে এ বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতি হবেনা।রবিবার সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আয়োজনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হবেনা। সারাদেশে খুব বেশি বীজতলা করা হয়নি এখনো। যা হয়েছে সেটাও নষ্ট হলে খুব সমস্যা হবে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষিত আছে, পরবর্তীতে সেগুলো চাষীদের দেয়া হবে।তিনি বলেন, আউশের ক্ষতি একটু বেশি হতে পারে। এখন ১৩ লক্ষ হেক্টর আউশের টার্গেট করেছিলাম, লাগানো হয়েছে ১১ লক্ষ হেক্টর। এর মধ্যে ২২ হাজার হেক্টর এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া তিন লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন শাকসবজি আছে, সেগুলোর কিছু ক্ষতি হবে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এই মৌসুমির ফসলগুলো প্রায় সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেভাবে প্রস্তুতি কৃষকও রাখে। আমরাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সে ক্ষতি পূরণ করব।তারপরও যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা ধেঁয়ে আসছে, আকস্মিক বড় ক্ষতি হবে কিনা সেটা জানিনা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ষড়যন্ত্র রুখতে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা বসান: কৃষিমন্ত্রীতিনি বলেন, এজন্য আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছি। যদি বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেটা পুষিয়ে নেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।এ সময় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নানাবিধ সমস্যার কারণে এ দেশে বহুবার খাদ্য সংকটের নজির রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে কখনও খাদ্যের অভাব হয়নি। এমনকি খাদ্যের জন্য হাহাকার ও করতে দেখা যায়নি কখনো।তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে সেটা এ দেশেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তারপরও আমরা পরিকল্পিত কর্মসূচি নেয়ার চেষ্টা করছি। কৃষি উৎপাদনে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য এ বছর ২৮ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দিয়েছি। যেটা অন্যান্য দেশও পারেনি। সেজন্য বিশ্ববাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও এদেশে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যামেরিটাস অধ্যাপক ও বাকৃবির সাবেক উপাচার্য এম. এ. সাত্তার মণ্ডল।
কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠের চিফ রিপোর্টার কাওসার রহমান, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড . সুরজিত সাহা রায়।
আরও পড়ুন: কৃষি পদ্ধতির যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সিলেটে বন্যার পানি কমছে, খাবার ও পানির সংকট
বৃষ্টি কম হওয়ায় সিলেটে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি পানি কমছে নগরীর আশপাশ এলাকায়। টানা বৃষ্টিপাত আর উজানি ঢলে ইতোমধ্যেই সিলেটের সব কটি অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত। পানিবন্দি থেকে জীবনযাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। তবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) বিকাল থেকে রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় রবিবার সকালেও সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি এক থেকে দেড় হাত কমেছে।
পানি কমায় বাসা-বাড়িতে একটু স্বস্তি ও আশার আলো খুঁজে পাচ্ছেন বন্যাকবলিত মানুষেরা। তবে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুব কম পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা আমরা রেকর্ড করতে পারিনি। বৃষ্টির পরিমাণ নিম্ন পর্যায়ে থাকলে তা রেকর্ড করা সম্ভব হয় না। সোমবার থেকে আকাশে মেঘের পরিমাণ কমে আসবে। বৃষ্টিপাতও তুলনামূলক কমে যাবে। সেই সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেখুন:
পড়ুন: পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
এদিকে, আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি কমতে থাকবে এবং টানা তিনদিন কমবে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে আমরা যে বার্তা পেয়েছি সেখানে বলা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে থাকবে এবং টানা তিনদিন কমবে।’
রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকে পড়ে আছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে কিন্তু সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত আছে। একই সাথে হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বন্যাকবলিত এলাকায় জরুরি ব্যাংকিং সেবা দেয়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
বন্যার কারণে ব্যাংকের যেসব শাখা, উপশাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না, বিকল্প উপায়ে সেখানে জরুরি ব্যাংকিং কার্যক্রমের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির কারণে এসব এলাকার অনেক ব্যাংক এবং এটিএম শাখা খুলতে পারেনি।
তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট শাখা ও উপশাখা থেকে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। এ দুই জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
মধ্য রাত থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোড, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, মেয়েদের দুই হল, প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। আর যেসব জায়গায় কোমড় পানি ছিল তা এখন হাঁটু পানিতে চলে এসেছে।
শিক্ষাভবন ‘বি’, চেতনা-৭১’র সামনে, শিক্ষক কোয়ার্টারের সড়ক, সিরাজুন্নেসা চৌধুরি হলের সামনে হাঁটু পানি রয়েছে। তাছাড়া আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক। তবে পানি কমে গেলেও চারপাশের পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে ও দুর্গন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
মেয়ে শিক্ষার্থী যারা হল ছাড়তে পারিনি তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়াকৃত হোস্টেল আমির ও ফজল কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ইতোমধ্যে বন্যার পানি অনেকটা নেমে গেছে। আজকে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। এই পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকছে কিনা তার জন্য কমপক্ষে আরও দুই দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আমরা চারদিকে খোঁজখবর রাখছি। সবাই চারদিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছে। হলের চারপাশের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছনতার পরেই শিক্ষার্থীদের হলে উঠার আহ্বান জানাবো।
আরও পড়ুন: বন্যায় আটকে পড়া শাবিপ্রবি ছাত্রীদের উদ্ধারে বিজিবি
গত ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বন্যার পানির কবলে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ সকলেই চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের জন্য আর্তি জানাচ্ছেন অনেকেই। এতে বাদ যাননি দেশের শোবিজ তারকারাও।
শোবিজ তারকাদের অনেকে নিজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। পাশাপাশি ফেসবুক পোস্টের মধ্য দিয়ে সবাইকে বানভাসি মানুষে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বন্যা কবলিত মানুষে পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
শাকিব তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সংবাদমাধ্যম ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ বলে জেনেছি। বন্যাকবলিত মানুষের দুর্দশা আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া মানুষের পাশে আছি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমার সামর্থ্যের মধ্যে অর্থসহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
শাকিব লেখেন, ‘সেই সঙ্গে একটি তহবিল গঠনেরও কথা ভেবেছি, যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা কষ্টে থাকা সেই সব বানভাসী মানুষের সাময়িক সংকট মোকাবিলায় পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশ ও প্রবাসে থাকা আগ্রহী বিত্তবানদের কাছে আহ্বান, আপনারাও নিজেদের সামর্থ্যের মধ্য থেকে বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোক। সবার জন্য প্রার্থনা।’
অভিনেত্রী জয়া আহসান লিখিছেন, ‘দেশের একটি বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ ডুবে যাওয়ার মতো বন্যা এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ছবি এবং ভিডিও দেখে শিউরে উঠছি। বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি দেশের অন্যান্য জায়গা থেকেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।’
মানুষ-পশুপাখি সবার সুরক্ষা কামনা করে জয়া লেখেন, ‘এই পরিস্থিতিতে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সবার জন্য প্রার্থনা করছি। শিগগির প্রকৃতির এ ভয়াবহতা কেটে যাক। সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব মানুষ, পশুপাখি সুরক্ষিত থাকুক।’
দেশবাসীকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও যেন সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকতে পারি সেই প্রচেষ্টা করতে হবে। দেশের সবাই এগিয়ে আসুন। সবাই মিলে একসঙ্গে ভয়াবহ এ পরিস্থিতি যেন কাটিয়ে উঠতে পারি সেই প্রার্থনা করি।’
চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী লিখেছেন, ‘ছবি বা ভিডিওতে আমরা যা দেখছি, সিলেটের বন্যাপরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ। তাদের দুর্দশা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমন মানবিক বিপর্যয়ে আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমি বন্যাকবলিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমার দর্শক-বন্ধুদের যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ রইল। দেশে বা বিদেশে, যে যেখানে আছেন সামর্থ্য অনুযায়ী বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন প্লিজ। সবার তরে সবাই আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন ‘৮৮, ’৯৮ এর মতো এবারের বন্যাও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অস্থির লাগছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে থাকবো, আপনিও প্রস্তুত থাকুন। বেঁচে থাকার লড়াই চলবে। আল্লাহ ভরসা।’
সাইমন সাদিক ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই পাশের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যা এর আগে দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় পানিবন্দীদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই সবার তরে। আমরা সবাই সবার বিপদে পাশে দাঁড়াতে চাই। এর আগে আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনা পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এখন সিলেটে ২০ লাখ মানুষ। তাদের সবার হয়তো সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না। সংবাদ পড়ে জানতে পেরেছি কেউ কেউ দু-তিনদিন ধরে খেতে পারছেন না। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নেই। গবাদি পশু-পাখি সব ভেসে যাচ্ছে। এমনকি শেষ সম্বল বাড়িও ভেসে যাচ্ছে ঢলে। তাদের এখন বেঁচে থাকাই দায় হয়েছে।’
চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘আমার এখনও মনে আছে টাঙ্গুয়ার হাওরের সেই জলরাশি, সেই ট্রলারের কথা। বন্ধুদের নিয়ে গিয়েছিলাম হাওর দেখতে। যেন হাওরের চেয়েও বেশি মুগ্ধ করেছিল সুনামগঞ্জের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসা। সেই সুনামগঞ্জ আজ কাঁদছে। বন্যায় ডুবে গেছে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি। আমরা সুউচ্চ দালানে বসে ওয়েদার ডিমান্ড ও ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে যখন লিখছি তখন সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ লড়াই করছেন বন্যার সঙ্গে।’
সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিয়াম লিখেছেন, ‘সবাই মিলে চলুন এখনই পাশে দাঁড়াই, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই সুনামগঞ্জ ও সিলেটবাসীর জন্য। সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই আশু পদক্ষেপ নেয়ার। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে যেন একটি প্রাণও না হারায়। জলের স্রোতে না ভেসে যাক একটি স্বপ্নও আর...’
আরও পড়ুন: ৫০ প্রেক্ষাগৃহে আসছে বুবলি-আদর জুটির ‘তালাশ’
অভিনেত্রী তানজিন তিশা ফেসবুক আইডিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম লিডারদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে লিখেছেন, ‘বানভাসি মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে তাদের কল দিতে পারেন।’
অভিনেতা অপূর্ব লিখেছেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নগরীর বাড়িঘর, দোকানপাট, হাসপাতালসহ প্রধান এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট নগরীর বাসিন্দারা।
মানুষকে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত গভীর পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়াও শনিবার শহরের লোকজনকে বাড়ির প্রবেশপথে অস্থায়ী বাঁধ হিসাবে ইট ও সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের দেয়াল তৈরি করতে দেখা গেছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পানি প্রবেশ করায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয় প্রশাসন বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করলেও সেখানে এখন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং পশুখাদ্যের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
প্রায় সব উপজেলা ও পৌর এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শনিবার জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, যদিও পরে শহরের আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১১ জেলায় বন্যার্তদের জন্য অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ
বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ: সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করা এবং পানি ব্যবস্থাপনা ও বিধিবিধানের জন্য একটি উন্নত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার নয়াদিল্লিতে ডব্লিওওএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মোমেন বলেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের ৫৪টি নদী আছে যেগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। এবং এই মুহূর্তে, আসাম ও মেঘালয় থেকে আসা পানির কারণে আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা সিলেটে এক বিধ্বংসী বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষতা ও ডেটা শেয়ার করার মধ্য দিয়ে তারা এই ধরণের বিপর্যয় সম্পর্কে প্রাথমিক সতর্কতা পেতে চান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান হওয়ার আগে আমাদের বন্যা হতো, কিন্তু এখনকার মতো বিধ্বংসী নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন তার ভারতীয় সমকক্ষ ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম বৈঠকের সহ-সভাপতি করতে দিল্লিতে আছেন।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১১ জেলায় বন্যার্তদের জন্য অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ
বন্যার পানি নামতে রাস্তা কাটার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সড়ক বাধা হয়ে থাকলে তা কেটে পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।এছাড়া, সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পানি ঢুকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সিটি করপোরেশনকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।শনিবার বিকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত সরকারি বাসভবনে সিলেট অঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে যে সকল রাস্তার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না, সেসব রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে কাটার ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এই বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্যার কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা। আটকে পড়া মানুষদের কাছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: বাজেট শুধু বাৎসরিক দলিল নয়, আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীএ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী নৌবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে বন্যা কবলিত লোকজনদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করছে। এছাড়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের আগাম প্রস্তুতি ছিল বলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে। বন্যায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজসহ অন্যান্য যে ক্ষয়-ক্ষতি হবে তার জন্য সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করবে।যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিডিয়া কর্মীদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেয়ার ফলে সরকার জানতে পারে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের উদাহরণ বেমানান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
‘১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যা কবলিত’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের ১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যা কবলিত। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা ভয়াবহ। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।
শনিবার বিকালে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং এ মন্ত্রী এসব জানান।
তিনি বলন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে সেনাবাহিনী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে আগামী দুই দিনে বন্যার আরও অবনতি হবে। মঙ্গল ও বুধবার থেকে পানি কমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দিবে। এই সময়ে ওপরের পানি নেমে যাবে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ: সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, এক লাখ মানুষ পানিবন্দি