শিক্ষা
ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯০ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রবিবার শিক্ষক সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম আব্দুস ছোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন শনিবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ৪২৭ নম্বর কক্ষে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম আব্দুস ছোবহান জানান, নির্বাচন সু্ষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
জবি কলা অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কলা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন।
সোমবার নিযুক্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
এসময় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. মো. রইছ উদদীন আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য কলা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশে ‘মানসম্পন্ন’ শিক্ষায় মেয়েশিশুদের সুযোগ দিতে যুক্তরাজ্যের অনুদান
মানসম্পন্ন শিক্ষায় মেয়েশিশু ও তরুণদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু সব স্তরে সমান সুযোগ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে জটিল কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের এই উদার অবদান ইউনিসেফকে বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সাথে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে এবং বিশেষ করে যে সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোভিড-১৯ মহামারির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা করতে বড় ভূমিকা রাখবে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সকল মেয়ে শিশুর ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষার অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার উন্নতি করতে, কিশোরী মেয়েদের স্কুলে থাকতে সহায়তা করতে এবং সবচেয়ে প্রান্তিক শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা ইউনিসেফ, ব্র্যাক ও বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে ইউনিসেফের এই যৌথ উদ্যোগ স্কুল ব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিবে। তাছাড়া এই ব্যবস্থা মেয়ে শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষাকে উন্নত করবে। এটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিশুদের ভর্তি, তাদের স্কুলে ধরে রাখা এবং শিক্ষা সমাপনীর হার উন্নত করার ওপরও জোর দেবে। ইউনিসেফ বরাবর বাংলাদেশ সরকার এবং শিশু ও তাদের বাবা-মাসহ সকল অংশিদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এই সহায়তার মাধ্যমে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সকল শিশুর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়ন ইউনিসেফকে সহায়তা করবে।
প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ সীমান্তে শান্তিডাঙা-দুলালপুরে নিভৃত জনপদে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলায় এটিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪২ বছর পূর্ণ করবে।
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন ও সুবৃহৎ প্রধান ফটক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। সেখানে দাঁড়িয়ে ডানে তাকালেই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’। আর বাঁয়ে সততার স্মারক ‘সততা ফোয়ারা’। পাশেই রয়েছে ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে তৈরি ক্যাম্পাস ভিত্তিক বৃহৎ শহীদ মিনার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের ‘স্মৃতিসৌধ’।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
আছে বিস্তৃত সবুজে ঘেরা ‘ডায়না চত্বর’ যা ক্যাম্পাসের প্রাণ। শিক্ষার্থীদের আড্ডায় সব সময় মুখরিত থাকে। ডায়না চত্বরের বা দিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল আর ডানে শিক্ষক- কর্মকর্তাদের ডরমিটরি। এই দুয়ের মাঝে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো। পশ্চিমে ছাত্রীদের হল ঘেষে উত্তর দিকে বয়ে গেছে মনোরম লেক। সকাল থেকে দুপুর শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর একাডেমিক এলাকা আর বিকালে কোলাহল বাড়ে লেক আর হল এলাকা।
সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষিক জমিলা খাতুন মৌলভী পদে আস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সনদ ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
অভিযোগে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরের বার তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম দেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর জায়গায় ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন। মূলত তিনি তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে সেই চেষ্টা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নিয়ে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণি, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণি (দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করেননি। এত অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিস্ট্রিতে অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে শাবি শিক্ষকের নিজের লেখা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা
জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
রুশ ফেডারেশন সরকার প্রদত্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত রুশ ফেডারেশনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০২০-২০২১ সালে নির্বাচিত সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার রাশিয়ান হাউসে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতোভ উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নেয়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্তের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালু হচ্ছে রাজশাহীতে
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তারা অবশেষে রাশিয়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। তাদের সবার জন্য তার শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে সোভিয়েত/রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্নাতক দেশে ও বিদেশে মর্যাদাপূর্ণ এবং ভালো বেতনের চাকরি পেয়েছেন যারা এখন উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।’
এ সময় সভায় বলা হয়, মহামারির করোনা কারণে প্রায় অনেক দিন লকডাউন ছিল।
বৈঠকে বাংলাদেশস্থ রুশ ফেডারেশনের দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর মিসেস একাতেরিনা এ. সেমেনোভা এবং সেকেন্ড সেক্রেটারি মিখাইল ভি. কাত্সুরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
এর মধ্যে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রাশিয়ায় তাদের থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কিছু দিক সম্পর্কেও কথা বলেন।
জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (গানিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
কৃর্তপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই ইউনিটের ৭ নভেম্বরের পরীক্ষা ২০ নভেম্বর ও ৮ নভেম্বরের পরীক্ষা ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মহিউদ্দিনের স্বাক্ষরিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
তবে ‘এ’ ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত 'সি' ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সি' ইউনিটে মোট ১৩৯৯ জন পরীক্ষার্থীর প্রায় শতভাগ অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম পরীক্ষা হলগুলো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
এই সময় তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
হল পরিদর্শনকালে উপাচার্যের সাথে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারই প্রথমবারের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে একযোগে সম্পন্ন হলো।
এসএসসি পরীক্ষা: ৮ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর কোচিং সেন্টার বন্ধ
এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে ৮ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।
বুধবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর শুরু হবে। এই বছর এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা করেনা মহামারির কারণে সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হতে পারেনি এবং তারপর সরকার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসসহ পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি নিয়ে তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে গ্রুপভিত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সূচি অনুযায়ী, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ নভেম্বর।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং কয়েকবার বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
অবশেষে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর স্কুল ও কলেজ পুনরায় চালু করেছে।
গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তাদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছিল, যা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সরকার আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না: শিক্ষামন্ত্রী
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস প্রথম পেশাগত পরীক্ষা শুরু রবিবার
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সিলেট বিভাগের ৬টি সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা রবিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী জানান, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা এ বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের মোট ৬৫৫ জন শিক্ষার্থী নিজ নিজ কেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। পুরো বিষয়টি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক।
আরও পড়ুন: সংসদে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন
এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সিলেটবাসীর দাবি ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। এ জনদাবিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর অনুমোদন হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন। একই বছরের ২০ নভেম্বর আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হচ্ছে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারব। সেই সাথে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
প্রসঙ্গত, দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে অনুমোদন হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৮। একই বছরের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী যোগদান করেন।
উপাচার্য নিয়োগের পর নগরীর চৌহাট্টায় স্থাপিত অস্থায়ী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। মাত্র তিন বছরে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যান্য নবপ্রতিষ্ঠিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।