শিক্ষা
আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে, আন্দোলন করছে নির্বাচন করতে দেবে না বলে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল দিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। এবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, হরতাল ও যা খুশি তাই করতে চাইলে, তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুঃস্থ, অসহায় ও যুব মহিলাদের মাঝে ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় এদেশে ছনের-খড়ের-পাটকাঠির ঘরই বেশি ছিল, আবার এসব ঘর নির্মাণেও অনেকের সামর্থ্য ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে ছন-খড়-পাটকাঠির ঘর আজ প্রায় দেখাই যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে দেশের একটি মানুষও ঘরহীন থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১০ ভাগ মানুষের ঘর-বাড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ ঘরহীন, ভূমিহীন থাকবে না। তিনি গৃহহীনদের পর্যায়ক্রমে জমিসহ পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। আগামী ২ বছরের মধ্যে কেউ ঘরহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
১৫০ উপজেলায় চালু হচ্ছে স্কুল ফিডিং: গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, নতুন আঙ্গিকে দেশের ১৫০ উপজেলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি চালু হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। এটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভিত রচনা করবে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি হোটেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট-২০২২’ এর প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, এবারে শিশুদের পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুটের পাশাপাশি ভিন্ন রকমের খাবারও পরিবেশন করা হবে। যা হবে শিশুর কাছে আকর্ষণীয়।
তিনি আরও বলেন, এসব খাবার শিশুর চাহিদা পূরণ ও শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সচিব বলেন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধ হবে, স্কুলে আসার সংখ্যা বাড়বে। যা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিক, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা উপদেষ্টা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহীনুর শাহীন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের মধ্যে নতুন বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্ত
যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্তএবছর এসএসসিতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ।
এবছর ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় যশোর প্রেস ক্লাবে এক ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি।
ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানান, খুলনা বিভাগের ২ হাজার ৫৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৯ জন। যাদের মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ২১৩ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭। এবছর ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে, অর্থাৎ শতভাগ পাস করেছে। আর শতভাগ ফেল করেছে ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- সাতক্ষীরার তালা উপজেলার উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল সদর উপজেলার মুলাদী তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও যশোরের শার্শা উপজেলার সাড়াতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪ জন, মুলাদী তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩ জন ও সাড়াতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তাদের জবাবের উপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেনি
জিপিএ-৫ এ প্রথম স্থানে চট্টগ্রামে কলেজিয়েট স্কুল
এসএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এ বছর সেরা দশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল।
১ হাজার ১০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করল। তবে প্রতিষ্ঠানটির এবারও জায়গা হয়নি শতভাগ পাসের তালিকায়।
কলেজিয়েট স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৪৭২ জন। যাদের মধ্যে একজন অকৃতকার্য হওয়ায় শতভাগ পাসের তালিকা থেকে সরে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
কলেজিয়েট স্কুলের পরেই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪৭৩ জন এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬৮ জন। ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ পাসের হার নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৪ জন।
এরপরেই ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৩১ জিপিএ-৫ পাওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুসলিম হাই স্কুল। তবে, এবার এই স্কুল শতভাগ পাসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৫১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ছে ২৬০ জন।
আরও পড়ুন:জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
নৌ-বাহিনী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ২৫৭ জন। এই প্রতিষ্ঠান জিপি-৫ প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সেরা তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন।
চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩২ জন জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় রয়েছে সপ্তম স্থানে। বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৫ জন। সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ২২৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে নবম স্থানে। দশম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার বাইরের কক্সবাজার গভর্নমেন্ট হাই স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৮৯ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ৭০৭ জন বেশি।
এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটোই কম। গত বছর পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ সুরক্ষিত রাখতে শিশুদের আহ্বান
জাতীয় বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ সুরক্ষিত রাখার জন্য শিশুরা ও ইউনিসেফ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ইউনিসেফ ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের (পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটস) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২০২৪ এবং শিশু অধিকার- শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানানো হয়।
সারাদেশ থেকে আসা শিশু এবং ককাস ও অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা থেকে আসা ১৪ বছর বয়সী শিশু সাংবাদিক মাইশা আঞ্জুম আরিফা বলেন, ‘আমি অনেক শিশুর সঙ্গে কথা বলেছি যাদের দিনে তিনবেলা খাবারের জন্য কাজ করতে হয়। তাদের বেশিরভাগই আর স্কুলে যায় না এবং অনেককে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’
গত কয়েক দশক ধরে শিশুদের জন্য সরকারি অর্থায়নের কল্যাণে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে অপুষ্টি কমিয়ে এবং টিকাদানের মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত করে লাখ লাখ শিশুর মৃত্যু ঠেকিয়েছে। তবে এই অগ্রগতি বজায় রাখার জন্য সরকারের আরও লক্ষ্যকেন্দ্রীক বিনিয়োগ প্রয়োজন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ার শামসুল হক টুকু বলেন, ‘আজ শিশুদের কথা শুনে এটা পরিষ্কার যে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। আমি তাদের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং তাদের মতামত তুলে ধরতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। একই কাজ করার জন্য আমি আমার সহকর্মীদের প্রতিও আহ্বান জানাই।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় আনুপাতিকভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুদের অধিকার পূরণে এবং তাদের সার্বিক কল্যাণে/ উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি করেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক খাতে বিনিয়োগ বজায় না থাকলে এই অগ্রগতি পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
ইউনিসেফের বিশ্লেষণ তুলে ধরে, স্বাস্থ্য খাতের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ এ বছর জিডিপির ০ দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত অর্থবছর ছিল ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সর্বজনীন স্বাস্থ্য কাভারেজ বা সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ২ শতাংশ বাড়ানোর দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন হবে।
এ ছাড়াও, ইউনিসেফের উপস্থাপনা তুলে ধরে, বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত অর্থবছর ছিল ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তবে, বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়ার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়ানো।
প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিসেফ। পাশাপাশি সুবিধার প্রকৃত মূল্যের উল্লেখযোগ্য পতন রোধে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
শিশুদের স্বার্থে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য সরকার ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেলডন ইয়েট তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। বাজেটে শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ইউনিসেফ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানায়।’
আরও পড়ুন: অপর্যাপ্ত শিক্ষা বাজেট প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে, বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি শিক্ষার্থীদের
বাজেট: নাগরিকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
অপর্যাপ্ত শিক্ষা বাজেট প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে, বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি শিক্ষার্থীদের
২০২৩-২৪ অর্থবছর যতই ঘনিয়ে আসছে, শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। এবারের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি), কারিগরি প্রতিষ্ঠান এবং মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে কথা হয়।
বাজেট প্রসঙ্গে কথা হয় ঢাবি’র একাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমন ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “গত বছরের পরিসংখ্যানের তুলনায় শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় আর্থিক মূল্য বৃদ্ধি পেলেও প্রকৃত অর্থে তা বাড়েনি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির আশংকাজনক ঊর্ধগতির সময়ে শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির ওপর বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।”
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক রিয়াদ বলেন, “বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষাখাতকে আরও ভালো করে সাজাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তাই অন্যান্য খাতের পাশাপাশি এই খাতকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বাড়াতে হবে বাজেট বরাদ্দ।”
ঢাবি’র তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সিদ্দিক ফারুক জানান, “একটি দেশের মোট বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা উচিত। বিপরীতে আমাদের দেশের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ১০ শতাংশ। এটিকে আরও বাড়ানো উচিত। আমাদের দেশের যে অর্থনীতি তাতে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা অসম্ভব। তবে ধীরে ধীরে এটি বাড়বে বলে আশা করা যায়।”
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ অনেক কম। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেশি গবেষণা হবে। সামনের দিনের অর্থনীতি হবে 'নলেজ ইকোনমি' অর্থাৎ ‘জ্ঞানভিত্তিক’। আর জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে রাখতে হলে আমাদের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ শুধু সাধারণ শিক্ষাকেই প্রভাবিত করে না, কারিগরি শিক্ষাকেও বাধাগ্রস্ত করে।”
চট্টগ্রাম পলিট্যাকনিকাল ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য ডিপ্লোমা শেষ করা কাজী শাহাদাত হোসেন সাকিব বলেন, “বর্তমান সময়ে যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হলে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে এই খাতটি।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা তথা বাস্তবমুখি করার জন্য এই কারিগরি সেক্টরে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো ও বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা অবশ্যক।”
তিনি আরও বলেন, “বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক যন্ত্রপাতি অনেক পুরানো আমলের। এছাড়া অর্থ সংকটের কারণে সেগুলা নতুন করে কেনা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়েই। আর এজন্য আরও বেশি বাজেটের প্রয়োজন এই খাতে।”
আরও পড়ুন: গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
ঈদুল আজহায় যশোর মাতাবে ‘ভাইজান’
বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিতে পারে অনেক দেশ: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট
দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসেবে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেছেন যে তারা বাংলাদেশকে সমর্থন করবে কারণ এটি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের অবস্থানে পৌঁছানোর পথে চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশে যাত্রা করবে।
১ মে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে সঠিক নীতিমালা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির আকাঙ্খা অর্জন করতে পারবে।’
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অদম্য শক্তি ও সহনশীলতা এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জাতীয় ইচ্ছাশক্তির কারণে বাংলাদেশের অসাধারণ যাত্রা সম্ভব হয়েছে।
উদযাপনের পরে, মালপাসও টুইট করেছেন, ‘অনেক দেশ বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উদ্ভাবনী পদ্ধতি থেকে শিখতে পারে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে উদযাপনে বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারিত্বের জন্য গর্বিত এবং আপনার সঙ্গে একসঙ্গে পরবর্তী অধ্যায় খোলার জন্য উন্মুখ।’
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে তিনটি পাঠ আলাদা এবং অন্যান্য দেশকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন, মানুষ ও সংযোগে বিনিয়োগ এবং জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতার বিষয়ে সিদ্ধান্তমূলকভাবে এগিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: বহিরাগত চাপে পদ্মা সেতু থেকে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক: ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এই অংশীদারিত্ব লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করেছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করতে, অভ্যন্তরীণ বন্যা মোকাবিলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি বাড়াতে, সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে রূপান্তর, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সবুজ বিনিয়োগ জোরদার করতে এবং আরো জলবায়ু সহনশীল এবং ক্ষুদ্র-উদ্যোগ খাতকে কম দূষণমুক্তকরণে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে সোয়া দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি থেকে রূপান্তরিত হয়েছে৷ দেশটি এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্কুরিত আকাঙ্ক্ষা এবং আমাদের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে যে দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে কঠিন চ্যালেঞ্জকেও অতিক্রম করা সম্ভব। বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করেছে এবং কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন এটিকে আরও সহনশীল করেছে।’
তিনি বলেন ‘যাত্রা সবসময় সহজ ছিল না, কিন্তু আমরা কখনো সাহস হারাইনি। বিগত ৫০ বছরে, বিশ্বব্যাংক একটি অবিচল উন্নয়ন অংশীদার থেকেছে এবং আমাদের আকাঙ্খাকে সমর্থন করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আশা করছি।’
মালপাস বাংলাদেশ এবং এর জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেছে কারণ দেশটি অভূতপূর্ব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
ম্যালপাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে, আমরা আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে এর অগ্রগতিকে স্বাগত জানাই। আমরা বেসরকারি খাতকে সক্ষম করতে, নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করতে, করের ভিত্তি প্রসারিত করতে, আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও জলবায়ু ধাক্কাগুলোর প্রতি সহনশীলতা তৈরি করতে আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্য থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে। রেকর্ড সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, বিস্তৃত বিদ্যুৎ অ্যাক্সেস অর্জন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য দেশটি তার উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প তুলে ধরা একটি মাল্টিমিডিয়া ফটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের প্রতিফলন ঘটাতে একটি সেমিনারে যোগ দেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা এক দশমিক এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের আশ্রয়ের ব্যবস্থা হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানে আপনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’ বিশ্বব্যাংক কানাডার সহায়তায় এবং জাতিসংঘ পরিবার এবং অন্যান্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় সহায়তার জন্য ৫৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের অর্থ সংগ্রহ করেছে। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, মৌলিক সেবা এবং অবকাঠামো প্রদান করে।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বেশ কিছু পদক্ষেপ কর্মসূচির স্থায়িত্ব এবং প্রভাবকে উন্নত করতে পারে। উন্নত জীবিকা ও শিক্ষার সুযোগ, সহনশীল আশ্রয়, সেবা প্রদানের জন্য জাতীয় ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের শক্তিশালী অন্তর্ভুক্তি এবং ভাসানচর দ্বীপে সরকারি বিনিয়োগের।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: শিক্ষা উপমন্ত্রী
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার মানোন্নয়নে স্থানীয়ভাবে মেধাবীদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে শিক্ষক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান হবে।
শুক্রবার খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক পরীক্ষা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়ন করা হবে। একই সঙ্গে পদায়নকৃত শিক্ষকরা যাতে ইচ্ছা হলে বদলী হতে না পারেন, সেজন্যও কঠোর ব্যবস্থা নিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
অনুষ্ঠানে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।
এর আগে, রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আজ সন্ধ্যায় তারকা শিল্পী পড়শিসহ স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পর্দা নামবে এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলার।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৩ নারী ফুটবলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ মঙ্গলবার বঙ্গভবনের মন্ত্রিসভা হলে বঙ্গভবন তোশাখান জাদুঘরের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে কতটা এগিয়ে নিতে পারব তা নির্ভর করবে প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং এর সঠিক ব্যবহারের ওপর। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী।
তিনি আরও বলেন, যদি তাদের সঠিক সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তারা যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
আবদুল হামিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে; বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের, প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অংশীজনদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিতে বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিআর এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সঠিক বিকাশের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা, মৌলিক গবেষণার সুযোগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে প্রযুক্তির যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভিআর প্রযুক্তি সত্যিকার অর্থে মানুষের জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করবে। আমাদের এখন থেকে এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হবে।
সংস্কারের পর রাষ্ট্রপতি হামিদ চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং ম্যাজিক সফটওয়্যার লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, বঙ্গভবনের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন ও এশিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই করছেন। ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল এক শতাংশেরও কম।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী মেধা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের স্মার্ট ক্লাস রুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা ১২ বছরে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭ শতাংশ উন্নীত করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে সঠিক নেতৃত্বের কারণে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আজকে যারা টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনালে শিক্ষায় পড়ছে, অনেক সময় সমাজের আশপাশে দেখবেন অনেকে বলে ‘তুমি ভোকেশনালে পড়ছ? ’ তার মানে ভোকেশনালে যারা পড়ে তাদের মেধা কম বলে মনে করে। আবার মনে করে তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না।কথাটা একেবারে সঠিক নয়। সারা পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশি উন্নত হয়েছে, সে দেশ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পারদর্শী হয়েছেন। আমাদের পিছিয়ে থাকার কোন উপায় নেই। তাই আমাদের কারিগরি বিদ্যায় আরও জোর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সারাবিশ্ব এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। এখন শিখতে হবে। তাই আমরা এই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছি। আমাদের আরও অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে দেশের সব স্কুলগুলো ডিজিটাল করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা দিতে চাই। যেন তারা উন্নত বিশ্বে সমান তালে চলতে পারে। বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান ও চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান।
হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজিয়া শামান্তা ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের সিইও পেন জুনপেং।
পরে মন্ত্রী অতিথিদেরকে নিয়ে ফিতা কেটে ক্লাস রুমের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ