শিক্ষা
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তৈরি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বর্তমান শিক্ষাক্রম সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘৪র্থ সমাবর্তন-২০২৩’- অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল উপাদানগুলো হবে-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। আমাদের ডেমোগ্রাফিক যে ডিভিডেন্ট রয়েছে, সেটি আর ৯/১০ বছরের রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে উপযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করতে হলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজন হয় উদ্যোক্তা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে। এটা সত্যিই খুশির খবর।
দীপু মনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করেছি, তারা কাজও শুরু করেছে। এছাড়া শিক্ষাকে সহজলভ্য করার জন্য সকল জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে আমাদের যে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে, তারা যেন তাদের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করেন। কারণ ধারণ ক্ষমতার বাইরে নানা সমস্যা তৈরি হয়, অসন্তোষ তৈরি হয়।
এছাড়াও গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপানদের যাত্রাপথকে অসততা দিয়ে কলুষিত করবেন না। এটি খেয়াল রাখতে হবে। সত্যের পথ একটু কঠিনই হয়। তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর প্রথমে তিনি যবিপ্রবির প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সমাবর্তনের শোভাযাত্রা সহকারে তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। এবারের সমাবর্তনে যবিপ্রবির স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করে।
তাদের মধ্যে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন্স অ্যাওয়ার্ড পান।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে ইকমার্সের ৮০ শতাংশ ব্যবসা পরিচালনা করছে নারীর। ফ্রিল্যান্সিং এ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত উপজেলা পর্যায়ে ইনকাম জেনারেটিং একটিভিটিজ (আইজিএ) প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
এছাড়া নারীদের কম্পিউটার ও আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে প্রকল্প রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।
মতবিনিময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল কাদির মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, প্রকল্প পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম, পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিনা ফেরদৌস ও সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি সংখ্যক নারী ও মেয়েদের বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিতে সবার মানসিকতা পরিবর্তনে এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বব্যাপী মাত্র ১২ শতাংশ নারী বিজ্ঞানী এবং ২০ শতাংশ নারী গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের অবশ্যই মানসিকতা এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে আরও বেশি নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারে।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সমাবেশে অষ্টম আন্তর্জাতিক নারী ও বালিকা দিবসে প্রদর্শিত এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সেই নারী ও মেয়েদের নিয়ে গৌরব করি যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের নিজেদের পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ নারী ও মেয়েদের মনে রাখতে হবে যে তারা একা নন। তারা যে পদক্ষেপগুলো নেয়, তা তাদের সারা বিশ্বের বোনদের জন্য আরও দুয়ার (সুযোগ) উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নারীরা খুব ভালো করছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি- সব ক্ষেত্রে গবেষণা করার জন্য মেয়েদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের উত্সাহিত করার জন্য সারা বাংলাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ছেলে ও মেয়েদের জন্য সারা দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। হাই-টেক পার্কগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে দেশের ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও উন্নতি করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনাপূর্ণ নারী ও মেয়েদের দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের জন্য থাকা সুযোগের অসামঞ্জস্যতাগুলো অবশ্যই আমাদের পূরণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের মেয়েরা স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশগ্রহণ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যাশিশু দিবসে সকল নারী ও মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (আরএএসআইটি) এবং সহ-সংগঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করেছে।
এবারের সমাবেশের প্রতিপাদ্য হল- ‘ইনোভেট. ডিমোন্সস্ট্রেট. এলেভেট. এডভান্স. (আই.ডি.ই.এ.) টু ব্রিং কমিউনিটিস ফরওয়ার্ড ফর সাসটেইনেবল এন্ড ইকুইটেবল ডেভেলপমেন্ট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যে এতোরকমের কথা বলা হচ্ছে, তারমধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে সেখানে আমরা নিশ্চয়ই সংশোধন করেছি এবং করবো। যেখানে চিহ্নিত হবে ভুল, তখনই তা সংশোধন হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে, সেটিতো উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি)) দুপুরে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এ ডামাঢোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও সেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে এবং সত্যিকার অর্থে ‘করে করে’ (ব্যবহারিকভাবে) শিখছে। যেটি তারা সারাজীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজন মতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মিলাচ্ছেন। এরতো কোনো অর্থ নেই।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে এবং সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যেগুলো নিয়ে বরং কথা বলা উচিত। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, এগুলো অন্যদেরকে আরও উসকে দিবে। বরং এই শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই কিভাবে শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায় সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারেক হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
শিক্ষাকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।আর এই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বলতেন তাই করতেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও যা বলেন তাই করেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গঠন করবেন বলেছিলেন এবং তিনি তা করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে আমরা তার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তার নেতৃত্বে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ আমাদের সামনে ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যা আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার ৪ নম্বরে অর্থাৎ কেন্দ্রে অবস্থান করছে শিক্ষা।
মন্ত্রী আরও বলেন, সেই শিক্ষায় যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, শিক্ষাকে যদি আমরা জীবনব্যাপী করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি হয় অন্তর্ভুক্তিমূলক, তাহলে তাহলে বাকি যে ১৬টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা সহজেই অর্জন করতে পারবো।
শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ, বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর।
এছাড়া এই স্বল্প সময়ে জাতির পিতা বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সফল ভাবে অবদান রেখেছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের সূত্রপাতও হয়েছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ, বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন শুরু করেছেন গ্রাম থেকে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাড়া বিশ্বের অন্য কোন নেতা এখনো বুঝতে পারেননি যে, উন্নয়ন গ্রাম থেকে শুরু করতে হয়।
তিনি বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, ১০০ টির বেশি হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।
যার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন নাগরিকও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনির সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ থেকে ২০২২ সালে মাত্র এক বছরে গ্লোবাল নলেজ ইন্ডাস্ট্রিতে ১৪ ধাপ এগিয়েছে।আমি মনে করি এটি আমরাদের জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
অনুষ্ঠানে নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদয়ন স্কুল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
শিক্ষা, জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শিক্ষা, জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
এজন্য গবেষণায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এখনও বাংলাদেশ সম্পর্কে গুগলে সার্চ করলে অনেক ক্ষেত্রে দারিদ্রতার ছবি পাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অনেক উন্নয়ন ঘটে গেছে। সেগুলো অনেকে তুলে ধরেন না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর ২০২২) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি হলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট (বিএসটি) এর ২য় সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসহ অনেক দেশের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট তাদের গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে এগুলো তুলে ধরবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) সাধারণ সভায় বিগত দিনের সংগঠনের কার্যক্রম পেশ করেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আগামী দিনের কর্মসূচি বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রস্তাবনায় ও সাধারণ সভায় উপস্হিত সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুণ-অর-রশীদকে চেয়ারম্যান, খ্যাতিমান সামাজিক সংগঠক, গবেষক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর নির্বাহী সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীরকে সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারি প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নান ভাইস-চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী ভাইস-চেয়ারম্যান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী শিপা হাফিজা ভাইস-চেয়ারম্যান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ভাইস-চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ভাইস-চেয়ারম্যান, দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত ভাইস-চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জাহাঙ্গীর হাবিব উল্লাহ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দি বাংলাদেশ ডাইরির সম্পাদক ও প্রকাশক ড.খান আসাদুজ্জামান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সমাজকর্মী ও গবেষক হেলাল উদ্দিন মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, হিসাব টেকনোলজিস্ট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদান হোসাইন ফারাবী অর্থ সম্পাদক, চিকিৎসা বিষয়ক গবেষক ডা. সামিয়া আহমদ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাংবাদিক আনহার সামশাদ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তেজগাঁও কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ফ্যাশন ডিজাইনার বদরুন নাহার রক্সী দপ্তর সম্পাদক।
নির্বাহী সদস্যরা হলেন-পাওয়ারসেল-এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, সাবেক জেলা জজ মাহমুদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. নিলুফার নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ চৌধুরী, প্রকাশক ও গবেষক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবী আব্দুল খালিক, ফরাজী হাসপাতাল-এর ব্যবস্হাপনা পরিচালক ডা. মোক্তার হোসেন, সংগঠক ও গবেষক রোমানা আফরোজা, চ্যানেল এস-এর সিইও সুজিত চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিক্ষার জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পুরানা মোগলটুলী স্কুল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, শিক্ষার জাগরণে পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ সিটির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ তলা ভিত্তিসহ চার তলাবিশিষ্ট শিক্ষা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এই পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় একটি জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ছিল। অত্র এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় চার কোটি ব্যয়ে আমরা চারতলা ভবন করে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদীমুখী গোড়াপত্তন দৃশ্যমান হবে: ডিএসসিসি মেয়র
অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার জন্য সম্পদ ব্যবহার করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকল ডায়াবেটিস রোগী এবং সেবাকারীদের পক্ষ থেকে আমি বিশ্ব নেতাদের প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।’
মঙ্গলবার পর্তুগালের লিসবনে ‘ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে বিশ্ব ডায়াবেটিস কংগ্রেস-২০২২-এ প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ডায়াবেটিস এবং সংশ্লিষ্ট সহ-অসুস্থতায় আক্রান্ত প্রত্যেকের জন্য সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি শান্তিময় বিশ্ব থাকা দরকার।’
শেখ হাসিনা ইনসুলিন ও অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। ‘দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইনসুলিন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রকাশ করেছে। ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য এনসিডিগুলোর জন্য আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে এমন বৈষম্যগুলো মোকাবিলার জন্য জাতিগুলোকে সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: চলমান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করুন: সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে কার্যকর করতে হবে।
তিনি আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিশ্ব স্বাস্থ্য ক্রীড়ানকদের সঙ্গে গ্লোবাল ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়নের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লুএইচও) উদ্ধৃত করে বলেন যে বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে এবং এই রোগে প্রতি বছর প্রায় এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন প্রাণ যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুসহ ৮ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সহ-অসুস্থতায় বসবাস করে।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের ফলে হওয়া জটিলতা ও অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মতো কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন অনেক পরিবর্তন আনতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঠিক ওষুধ ও সতর্কতার মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য প্রধান এনসিডি থেকে অকাল মৃত্যুহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়ন করছে, যা কমিউনিটি সচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশের সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে এবং সরকার সম্প্রতি বিনামূল্যে ইনসুলিন প্রদান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত পেশাদার এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ দেশব্যাপী ডায়াবেটিস যত্ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষাকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষার আলো জ¦লবে প্রতিটি ঘরে ঘরে।
বুধবার বিকালে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়ায় ডা. মশিউর রহমান মহিলা কলেজের আমেনা খাতুন একাডেমি ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশ একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইরাবের বার্ষিক প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, ড. মশিউর রহমান সহ স্থানীয় নেতারা।
বক্তারা বলেন, নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়ন সুশাসনসহ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে শার্শা ঝিকরগাছা, কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজনৈতিক নেতারা ও সাধারণ মানুষের আগমনে শিক্ষা ও মানব মেলায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
সাংবাদিক নির্যাতনে জাবির ১১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে ১১ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. আসাদুল হক, আরিফুজ্জামান সিজান, রায়হান হাবিব, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মির্জা শাহনূর উল হক জিয়ান, মীর হাসিবুল হাসান রিশাদ, মুনতাসির আহমেদ তাহরিম, মো. জাহিদ নজরুল, ইমরান বাশার, জায়েদ-বিন-মেহেদী এবং এএস নাফিস হোসেন।
আরও পড়ুন: জাবির নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী
এর মধ্যে আসাদুল হককে ছয় মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বাকি ১০ জনকে একই সময়ের জন্য সাময়িক বহিষ্কার এবং প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জাবি সিন্ডিকেট সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার।
তিনি বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে জাবি শিক্ষার্থীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
গত ২ আগস্ট অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা একটি অনলাইন পোর্টালে কর্মরত এক সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের একটি গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে।
পরে রাতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) জাবি শাখা আট নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে ।