শিক্ষা
বাংলাদেশের উন্নয়নে নারী শিক্ষা অন্যতম: সমীক্ষা
বাংলাদেশের উন্নয়নে ৫টি মূল বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো নারী শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষণা সহযোগী মাহির এ রহমান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিআইডিএস আয়োজিত এক সেমিনারে ‘অ্যাস্পিরেশনাল মোমেন্টাম: দ্য ডেভেলপমেন্ট স্টোরি অব বাংলাদেশ’- শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, মেয়েদের স্কুলে শিক্ষা বৃদ্ধি, বিদ্যুত সরবরাহ, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অবকাঠামোতে খাতে বিনিয়োগ এই পাঁচটি বিষয় বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
এ বিষয়ে মাহির এ রহমানের সঙ্গে যৌথ উপস্থাপনা করে তৌফিক ইলাহী বলেন, মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
সেমিনারে তিনি বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া যখন একটি জাতির উচ্চাকাঙ্খার গতির সঙ্গে মিলে যায় তখন তা এটির উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
তিনি বলেন,‘দেশের ক্ষেত্রেও অনুরূপ।’
মাহির বলেন, গবেষণায় ২৬টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের মতো, সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মশিউর বলেন, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভালো কিছু করতে না পারলেও অবকাঠামোতে সরকারি বিনিয়োগ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে শুধুমাত্র চিরাচরিত অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূলনীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। বরং এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনায় নেয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, নারীরা চাকরির জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছে, শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে এবং কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়নি-এসব বিষয় সম্মিলিতভাবে উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
বিনায়ক বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই উন্নয়নে কিছু সাধারণ নীতি অব্যাহত রেখেছে, যা (সামগ্রিক উন্নয়নে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক বরকত-ই-খুদা ও অধ্যাপক আবুস সাত্তার মণ্ডল।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিকশিত নারী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
নারী শিক্ষায় অবদান রাখছে হুয়াওয়ে
দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চাই। শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে, যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে, প্রযুক্তিবান্ধব নয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহারে চার বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, বিতর্কচর্চা মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখায় এবং ভাষার ওপর দক্ষতা বাড়ায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিতর্ক একজন মানুষকে পরম সহিষ্ণু হতে শেখায়।
এর আগে তিনি তাঁর বাবা ‘ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বির্তক উৎসব-২০২২’ এর উদ্বোধন করেন এবং এ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাউশি’র মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ, ড. আব্দুল নূর তুষার, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাস, পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সম্পাদক কাজী শাহাদাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশাসহ চাঁদপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, ১৩-১৫ অক্টোবর চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বির্তক প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ৩২ বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই হাজার বিতর্কিত ও বির্তক অনুরাগী অংশগ্রহণ করেন। এ ধরনের অনুষ্ঠান চাঁদপুরে এটাই প্রথম।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমের সুফল পেতে ১০ বছর সময় লাগতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে চলমান অবরোধ প্রত্যাহার করেছে শিক্ষার্থীরা। অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করে।
মঙ্গলবার সকালে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ধানমন্ডির মিরপুর সড়ক অবরোধ করেছিল বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্কুলের ধানমন্ডি শাখা থেকে একটি মিছিল বের করে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে। এতে ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রযুক্তির ব্যবহারে চার বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এবছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আমরা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেয়ার কারণে গত চার বছরেও কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।’
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার দিনাজপুরে বোর্ডে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব অনেকগুলো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট একসঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। এটি কি কারণে হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এবং সেই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৬ নেতাকর্মী স্থায়ী বহিষ্কার
এর আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আমরা একে অপরের কাজে সহযোগিতা করবো। যারা ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি করে তারা কোনো ধর্মের মানুষ নয়। তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকবেন। দুর্গা পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে চাঁদপুর জেলাসহ সারাদেশে উদযাপিত হবে। এজন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে. আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ আহমদ।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ৬ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হল কমিটিতে
নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নীতিমালা করছে ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে। সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদ্যস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে: ইউজিসি
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন এবং ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ।
কমিটিকে শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির বিষয়ে ইউজিসি জানায়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,অধিকাংশ নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এছাড়া,ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এজন্য নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, অবকাঠামো ও কারিকুলাম চূড়ান্ত না করে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিমালা করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে শুরু করবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হলে দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি হবে। এছাড়াও তারা বৈশ্বিক বাজার উপযোগী হিসেবেও গড়ে উঠবে।
সভায় কমিটির সদস্যরা জানান, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সংকট রয়েছে এবং জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্লান তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নীতিমালাটির খসড়া তৈরি হবার পর কমিটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সভা ও সেমিনারের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা তৈরি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার মান দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইউজিসি সদস্য এ কথা বলেন।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, উচ্চশিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে হলে এ বিষয়ে আসন সংখ্যা কমাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি ক্লাসে ৩৫-৫০ জন শিক্ষার্থী থাকা উচিত। প্রয়োজনে বেশি সেকশন করে কম করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশে কখনও কখনও একটি বিভাগে ২০০০-৩০০০ শিক্ষার্থী থাকে, যা শিক্ষার মানকে অনেকাংশে ক্ষুণ্ন করে। আমরা যদি আসন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারি তবে উচ্চশিক্ষার মান উন্নত হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বজিৎ বলেন, শিক্ষার কোয়ালিটি ধরে রাখতে হলে যেমন ভালো শিক্ষক প্রয়োজন তেমন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও জরুরি। পাশাপাশি আসন সংখা কম থাকতে হবে। বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকলে কোয়ালিটি ধরে রাখা কঠিন।
তিনি বলেন, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিত এবং বেশি সেকশন রাখা উচিত। এছাড়া প্রত্যেকটি শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি শিক্ষা অর্জনে কারিকুলাম থেকে শুরু করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত জরুরি। দক্ষ ও ভালো শিক্ষককের পাশাপাশি অবকাঠামো এবং শিক্ষকদের ট্রেনিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, একটি ভালো শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
ইউজিসির মনিটরিং সিস্টেম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, আমরা সব সময় গুণগত মান বজায়া রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে বলছি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষায় কোয়লিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেখানেই আমরা সতর্ক করেছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ ইউজিসির
তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখতে আমরা সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করছি। বিশেষ করে আমি যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখি সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকগুলো ভালো মানের পড়াশোনা চালাচ্ছে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ রয়েছে। যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে কঠোর বার্তা দিয়ে মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে।
বিশ্বজিৎ আরও জানান, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে, যাতে শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান এর সমস্যা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে এবং আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার চিন্তাভাবনা করছি, তবে আমাদের দেশে যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা রয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের ইউজিসির জনবলের সংখ্যা কম, সে কারণে হয়তো মনিটরিং ব্যবস্থা সেরকম হয়নি এটা আমাদের দুর্বলতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা যুক্ত করার আহ্বান ইউজিসির
অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে কেমন শিক্ষার কোয়ালিটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা শিক্ষায় কতটুকু কোয়ালিটি এটি আসলে নির্ভর করে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। আমাদের দেশে যেমন কিছু পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের পড়াশুনার মান অনেক ভালো, যা বিদেশ থেকেও কম নয়। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সবক্ষত্রে আমরা এখনো অন্যান্য দেশ থেকে ভালো না হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা অনেকদুর এগিয়েছি। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো পড়াশোনার মান রয়েছে আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় খারাপ হয়েছে তবে এটি পর্যায়ক্রমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ডে একত্রিত করা যাবে না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান ভালো জানতে চাই বিশ্বজিৎ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি ভাল এটা আলাদা পার্থক্য করা বিষয় না। একেকটি একেক ধরনের শিক্ষা অর্জন করা হয় সেটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভাল শিক্ষা অর্জন করা যেতে পারে আবার এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অর্জন করা যেতে পারে হয়তোবা সেইক্ষেত্রে কোন কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো করছে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো করছে। সেটি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় ওপর।
আরও পড়ুন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রস্তুত করা সংশোধিত পাঠ্যক্রম অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বাংলাদেশ আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পড়ুন: জাবি’র নতুন ভিসি প্রফেসর নূরুল আলম
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি স্তরে শুধুমাত্র আইসিটি পরীক্ষা ৫০ নম্বরের হবে এবং অন্য সব পরীক্ষা (১০০) পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।
এইচএসসি স্তরের পরীক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের জন্য তিন ঘন্টা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভাবনার বিষয় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা। বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার সাথে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমানো যায়। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া এমনকি অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশগুলো এমন শিক্ষার্থীদের আশাকে সাধুবাদ জানিয়েই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফি সহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যায়। আজকের নিবন্ধে এমন কিছু দেশের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচের সাথে মানিয়ে নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করছে। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সেরা ১০টি গন্তব্য।
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন
জার্মানি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোন ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়।
পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সাথে টিউশন ফি-এর কোন সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহণ, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি ব্যায়-ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯,৬৫০ থেকে ৩৩,৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯,৯০০টাকা) মত হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম; সবই অন্তর্ভুক্ত।
নরওয়ে
এখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র একটি শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরো (প্রায় ২,৮৯০ থেকে ৫,৭৮০ টাকা)-এর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহণ, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলো সহ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১,৪০০ ইউরো (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ১,৩৪,৯০০ টাকা) এর মত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোতে গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।
ফ্রান্স
বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়; বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সমগ্র ইউরোপীয় বাজারে তাদের রয়েছে অভিজাত পদচারণা। স্নাতক করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার আশা করতে পারে। সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য এবং জীবনধারা; জীবনের প্রায় সবকিছুর একটি আনন্দদায়ক মিশ্রণের নাম ফ্রান্স।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে প্রতি বছর খরচ হতে পারে ২,৭৭০ ইউরো (প্রায় ২,৬৭,০০০ টাকা)। মাস্টার লেভেলে খরচ আছে বছর প্রতি ৩,৭৭০ ইউরো যা প্রায় ৩,৬৩,৪০০ টাকার সমান।
পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মত অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য শহরগুলোকে বাছাই করলে, ৬৫০ ইউরো (প্রায় ৬২,৬৫০ টাকা)-এর নিচেই দিন যাপন করা যাবে।
অস্ট্রিয়া
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ইউ(ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ(ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।
কিন্তু নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১,৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬.৭২ ইউরো (প্রায় ৭০,০০০ টাকা) ধার্য করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অপরূপ দেশটিতে অতি প্রত্যাশিত জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১,৩০০ ইউরো (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ১,২৫,২৩০ টাকা)-এর বাজেট ভিয়েনা এবং সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কার্যকলাপ এবং পাবলিক পরিবহণ সহ সমস্ত খরচ কভার করতে পারে। অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজ ৯০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ হয়ে যায়।
তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক, রন্ধনসম্পর্কীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সহ যাবতীয় অভিজ্ঞতার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার এই দেশটি। এখানে ইংরেজি-ভাষায় অধ্যায়নের জন্য প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। বহুসাংস্কৃতিক এবং সমৃদ্ধ পুরনো ইতিহাস পরিদর্শনে তাইওয়ান বিদেশী শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। ফলে খুব সহজেই সাবলীল হয়ে ওঠা যায় অপরিচিত এই দেশেও। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দারুণ স্বীকৃতিও পেয়েছে।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়ন খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২,৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫,০০০ টাকা থেকে ১২,২৪,০০০ টাকা)। এখানে নূন্যতম জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫,৫৪০ থেকে ৮৪,৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
তুরস্ক
এশিয়া এবং ইউরোপ; দুই মহাদেশকে স্পর্শ করেই গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় এবং হট-এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানকার যে বিষয়টি বিশ্বে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, তা হলো দেশটির মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা বোলোগনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত। এতে করে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সমস্ত ইউরোপে স্বীকৃতি পায়।
তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের। সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর(প্রায় ৯,৬৪০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) মত খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীকে। বিশ্বের অন্যান্য অধ্যয়নের গন্তব্যের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো (৩৮,৫৬০ থেকে ৬২,৬৫০ টাকা) বাজেটের মধ্যে তুরস্কে থাকতে পারেন।
পোল্যান্ড
৪৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে বক্ষে ধারণ করে আছে। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাডমিশন পরীক্ষা না থাকার কারণে এই অধ্যয়নের গন্তব্য দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য সর্বসাকূল্যে প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষার একটি শংসাপত্র, একটি আর্থিক কার্যকারিতা শংসাপত্র এবং ইংরেজি বা পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
পড়ুন: জাপানকে উচ্চশিক্ষার জেডিএস বৃত্তির পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ
প্রথম, দ্বিতীয় এবং দীর্ঘ-চক্র অধ্যায়নের জন্য টিউশন ফি ২,৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২,২৮,১১০ টাকা)। পোল্যান্ড বেশ স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। তাই বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩,৭৩৪ থেকে ৫৩,০০০ টাকা)-এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শহরের সীমারেখা ও নগরায়নের অবস্থার উপর নির্ভর করে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।
মালয়েশিয়া
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১,১৬১ আন্তর্জাতিক আবেদনকারী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০টি সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রীতে খরচ পড়ে গড়ে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৪,৫০০ ইউরো (১,৯২,৭৬০ থেকে ৪,৩৩,৭২০ টাকা)। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,১৯০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) লেগে যায়।
পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরোর (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) মত বাজেটের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
গ্রিস
ঈশ্বরের দেশ নামে খ্যাত অধ্যায়নের এই গন্তব্যটি শুধুমাত্র তাদের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সে ঐতিহ্যকে উন্নতও করে। দেশ জুড়ে প্রচুর গ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভের সুবিধা রেখেছে। ইইউ-দেশ হিসাবে গ্রীস বোলোগনা প্রক্রিয়ার সদস্য, তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোন বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।
নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ইউরোর (১,৪৪,৬০০ থেকে ১,৯২,৭৭০ টাকা) মত অর্থ খরচ করতে হয়। গ্রীসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বাজেট প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭২,২৮৭ টাকা) হয়ে থাকে। এটি স্পেন, জার্মানি, বা ইতালির মত প্রধান ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্যতা ও বহুসংস্কৃতির এক চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। পাশাপাশি এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। পাবলিক হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি-এর দিক থেকে তাদের পশ্চিমা সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে অধিকাংশ ডিগ্রির জন্য প্রতি বছর ১,২০০ থেকে ৫,০০০ ইউরো (প্রায় ১,১৫,৬৬০ থেকে ৪,৮১,৯০০ টাকা) মত খরচের প্রস্তুতি নিতে হয়। আর
বসবাসের জন্য বাজেট করতে হয় ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরোর (প্রায় ৩৬,১৪০ থেকে ৬৭,৪৭০ টাকা) মধ্যে। তবে তা অবশ্যই শহরের ধরনের উপর নির্ভর করে। আবাসন, খাবার, পরিবহন সহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৫৭,৮৩০ টাকা) যথেষ্ট। আর ছোট শহরগুলোতে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,২০০ টাকা) নিচে জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
শেষ কথা
স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমস্ত উপলব্ধ তহবিল বিকল্পগুলো ভালো ভাবে যাচাই করে নেয়া উচিত। চাহিদা, সামর্থ এবং লক্ষ্যগুলোর সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য করে চুড়ান্ত ভাবে সেরা বৃত্তির জন্য চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ নির্দিষ্ট বৃত্তিমুলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর করা যেতে পারে। গন্তব্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট; এমনকি সেখানকার অধ্যায়ন উপদেষ্টার সাথে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট লোনের ব্যাপারে কথা বলাটা উত্তম। বিদেশে স্নাতক অধ্যায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল এবং ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, যেগুলো এই দেশগুলোতে জীবনযাত্রার খরচের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশে ইরাসমাস প্লাস রোডশো শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন ইইউ রাষ্ট্রদূতের
দেশে ইরাসমাস প্লাস কর্মসূচি প্রসারে রবিবার ‘ইরাসমাস প্লাস রোডশো ’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার উদ্বোধনের পর এক টুইটে দূত জানান, ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-তে ইইউ-এর স্কলারশিপ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম 'ইরাসমাস প্লাস রোডশো' চালু ও প্রচার এবং বাংলাদেশে ইইউ স্কলারশিপের সংখ্যা গত বছরে রেকর্ড ১৫১ জন শিক্ষার্থী বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ইরাসমাস প্লাস কর্মসূচির সুবিধাগুলোর বিষয়ে ঢাকা ও রাজশাহীর ১৩টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে।
ইরাসমাস প্লাস হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত ছাত্র, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ফ্ল্যাগশিপ শিক্ষাগত বিনিময় কর্মসূচি।
প্রোগ্রামটির একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক মাত্রা রয়েছে। এটি হলো সারা বিশ্ব থেকে ৩৩টি ইউরোপীয় দেশে পড়াশুনা ও শিক্ষকতার জন্য আসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের অর্থায়ন বৃত্তি।
প্রোগ্রামটি ইউরোপ ও বিশ্বের বাকি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচার ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা প্রকল্পগুলোকে অর্থায়ন করে।
আরও পড়ুন: ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে
রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার
কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর বর্তমান সংখ্যা ১৭ শতাংশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
একটি সরকারি নথি অনুসারে, সেই লক্ষ্যে সরকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিষয় পড়ানোকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি-তে বাজেট বরাদ্দ করছে।
এছাড়া দক্ষ আইটি জনবল তৈরির লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ইতোমধ্যে ৩৬ হাজারের বেশি লোককে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) আয়োজিত প্রকল্পটি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার লোককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং তাদের বেশিরভাগই দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন আইসিটি কোম্পানি-প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।
উদ্দীপিত বাস্তবতা এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে নথিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে এবং এ ধরনের ৫৭টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।
৬৪টি জেলায় এবং ১৬টি ডিজিটাল ভিলেজে শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে যাতে তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া যায়।
পাশাপাশি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক-চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ লোক চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এই বিশাল জনশক্তিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে তোলা গেলে তা দেশের জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনবে।
তিনি আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্সূচিতে মনোযোগ দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সরকারি নথি অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ১২ বছর আগে ছিল ১ দশমিক শুন্য শতাংশের কম, বর্তমানে এখন ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষার তালিকাভুক্তির হার হল শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ কারিগরি-বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে নথিভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের শতকরা হার।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী প্রাক-ভোকেশনাল কোর্সে নথিভুক্ত হয়েছে এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৪টি কারিগরি স্কুল ও কলেজের ৯ম শ্রেণির ২০ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিতের সুপারিশ কারিগরি কমিটির
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির ৫ সুপারিশ
প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী