জবি শিক্ষার্থী
জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজের সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিবৃতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে লেখা সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য দুই ব্যক্তিকে দায়ী করেন। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
তার দেওয়া ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো:
‘আসসালামু আলাইকুম,
আমি দ্বীন ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক,
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথমত আমি একজন মানুষ, দ্বিতীয়ত আমি একজন শিক্ষক, তৃতীয়ত আমি দুইজন কন্যা সন্তানের বাবা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং প্রকৃত ঘটনা জানুন। দয়া করে আমার জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে আমার সন্তানদের এতিম করবেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার অকাল মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। অবন্তিকার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
আমাদের ছাত্রী অবন্তিকা ও তার সহপাঠীদের নিয়ে প্রকৃত ঘটনা নিচে তুলে ধরলাম:
ঘটনা প্রায় দেড় বছর আগের। অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে, সেখানে অবন্তিকাও উপস্থিত ছিল। জিডিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেউ একজন ফেইসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে তাদের হয়রানি করে। পুলিশ তখন উচ্চতর তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইডিটা কে চালায় সেটা বের করে দেবে। এই কথা শুনে অবন্তিকা থানা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথেই তার বন্ধুদের কাছে স্বীকার করে যে, আইডিগুলো (ফেইক একাউন্টসগুলো) সে নিজেই চালায়।তখন তার বন্ধুরা তাকেসহ প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ০৮.০৮.২০২২ ইং তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার আমাকে এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা (গণিত বিভাগ) স্যারকে গত ১১.০৮.২০২২ তারিখে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পরবর্তীতে গত ১৬.০৮.২০২২ তারিখে প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা অবন্তিকা এবং অবন্তিকার অভিভাবকদের প্রক্টর অফিসে আসার জন্য আহ্বান করি। পরে অবন্তিকার মা মিটিং এ আসে এবং এখানে অবন্তিকার ক্লাসমেইটস সহ (অভিযোগ কারীরা) সবাই উপস্থিত ছিল। তখন অবন্তিকার মা তার ব্যাচমেইট (যারা এ অভিযোগ করেছে) তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা শুনে বলে যে, আমার মেয়ে যা করেছে ভুল করেছে, ঘটনার জন্য অভিযোগকারী সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আমার মেয়ে আর এই ধরনের কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বলে, যদি করে তার দ্বায় আমরা নেব। এবারের মতো বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান এবং বলেন, আমার মেয়ে ভালো শিক্ষার্থী কিন্তু সে কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ওষুধ খাচ্ছে।
তখন তার ব্যাচমেইটরা বিষয়টা মানবিক এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। এভাবে বিষয়টা প্রাথমিকভাবে মিমাংসা করা হয়। মিমাংসার পরে অবন্তিকার মা জিডিটা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীদের বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা জিডি তুলে নিতে অসম্মতি জানায়, কারণ তাদের ধারণা অবন্তিকা ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আবারও করতে পারে।
তখন আর জিডিটা সাথে সাথেই তোলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা তাকে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণ করব এবং যদি অবন্তিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে আমরা ৩ মাস পরে জিডিটা তুলে নেব। ঝামেলা এখানেই প্রাথমিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এর কিছুদিন পরে অবন্তিকা ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমাকে প্রক্টর অফিসে না পেয়ে আমার বিভাগে আসেন। যেহেতু আমার এলাকার আমি তাদের আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। যেহেতু তিনি আমার এলাকার এবং তিনি একজন অভিভাবক আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে আপ্যায়ন করি। ওইদিন অবন্তিকার মা আমাকে জানান অবন্তিকার হলের বন্ধুরা ওর সাথে ভালো ব্যবহার করছে না, এতে অবন্তিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
তখন আমি তাদের প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। তখন অবন্তিকার মা বলে যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না এবং বলেন আমি আমার মেয়েকে হলে রাখবো না, এতে করে তার পড়াশুনা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। তখন আমি তাকে বলি আপনি অভিভাবক যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির ৩ মাসেরও কিছুদিন পরে অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসে কিন্তু তার ব্যাচমেইটরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানায়।তখন অবন্তিকার মা-বাবা ও অবন্তিকা আবার আমাকে ফোন করে আমার বিভাগে দেখা করতে আসে।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
আমি তখন ক্লাস নিচ্ছিলাম এবং পরে ক্লাস থেকে বের তাদের আমার রুম এ নিয়ে আমার সাধ্যমত আপ্যায়ন করি। তখন তারা জিডি তুলার বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করে। আমি তখন তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি যে বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমাদের কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা এবং আমরা তাই করি। জিডির বিষয়ে প্রক্টর স্যার এবং অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেই।
তৎক্ষনাৎ অবন্তিকার মা কিছুটা হতাশার ভাষায় বলেন, আমি দুজন (অবন্তিকা এবং ওর বাবা) ডিপ্রেশনের রোগীকে নিয়ে এত বছর সংসার করে আসছি। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছি।এবং বলেন আমার মেয়েটা মারাত্মক ডিপ্রেশনে পড়ে গেছে। এরপরে অবন্তিকা ও তার পরিবারের কারো সাথে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
এ ছাড়া মৃত্যুর আগে ফেইসবুকে দেওয়া অবন্তিকার স্ট্যাটাস নিয়ে তিনি লেখেন:
‘প্রথমত আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, আম্মানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা, যা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ ঘটনা নিস্পত্তি হয় ১৬-০৮-২০২২ সালে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আর কারো সাথে কোনো আলোচনা হয়নি কখনোই।
প্রক্টর অফিসে অবন্তিকা ও তার মাকে একবারই ডাকা হয়েছিল। সেই সময় প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার সহকারী প্রক্টর গৌতম সাহা স্যার এবং অভিযোগকারী তার বন্ধুরা উপস্তিত ছিলেন। একাধিকবার ডেকে হেনস্তা করার বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ বিষয়টি ওইদিনই মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল।
সুইসাইড নোটে প্রক্টর অফিসে আম্মানের বিরুদ্ধে আনিত যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতির অভিযোগের বিচার না পাওয়ার বিষয়টি তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার ভালো বলতে পারবেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।
সুইসাইড নোটে আনিত অভিযোগ অবন্তিকাকে বহিষ্কার করার বিষয়ে পরবর্তীতে আমি কখনো কিছুই বলিনি। কারণ বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পরে অবন্তিকার সাথে বিগত দেড় বছরে একবারের জন্যেও অবন্তিকা বা তার পরিবারের সাথে আমার কোনো কথা বা যোগাযোগ হয়নি।’
এ বিষয়ে তিনি আরও কিছু কথা বলেন।
তিনি লেখেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। দীর্ঘ ১১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।’
‘শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। সবাই ভালো থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মো. নুরুল ইসলাম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শিক্ষার্থীর মো. নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী। বাবুবাজারের বাসিন্দা মো. মুসলিম ও রেশমা বেগমের ছেলে তিনি। তিনি সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এ খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এরপর ঢাকা মেডিকেলে দগ্ধ লাশের পকেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পাওয়া যায়। তার বন্ধুরা হাসপাতালে এসে লাশটি শনাক্ত করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
এছাড়া বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
নওগাঁয় আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকার ধুপখোলা বাজারে তিতাসের গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ মে) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান শাওন (২২)। তিনি নাটোর জেলার সদর উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান শাওনের শরীর ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
এর আগে, সোমবার রাজধানীর ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে ৯ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- মো. সোহেল (৪২), মেহেদী হাসান শাওন (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), সাহারা বেগম (৬৫), আব্দুর রহিম (৫০), মিম আক্তার (২২), আলিফ (২২), মিজানুর রহমান (৩২)।
এদের মধ্যে আব্দুর রহিম ও শাওনের শরীর যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ শতাংশ পুড়েছিল।
আহত সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকালে ওই এলাকায় পানি সরবরাহের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করছিলেন ওয়াসার এক ঠিকাদার।
সকালে ওয়াসার ঠিকাদার কর্তৃক খননের সময় গ্যাসের পাইপলাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে।
পরে তিতাস গ্যাসের একটি জরুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত শিক্ষিকার মৃত্যু
রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে জবি শিক্ষার্থী আহত
রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লক্ষ্মীবাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত সুমাইয়া মোস্তফা প্রাপ্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবাইল বিপনন কোম্পানি স্যামসাংয়ের বিলবোর্ডটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা দুজন আহত হন। পরে তারা আহত দুজনকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আহত প্রাপ্তীর বন্ধু মুন হাসান বলেন, প্রাপ্তি রাতে তার মেসের সামনেই একটি দোকান থেকে খাবার কিনতে গিয়ে ছিল। ফেরার সময় হঠাৎ করেই বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে এবং আহত হন।
এই বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক নিউটন হাওলাদার বলেন, আমরা ন্যাশনাল মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। নিরিবিলি পরিবেশের জন্য তাকে আমরা ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। আপাতত সে আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
তিনি বলেন, পরবর্তীতে এমন ঘটনা যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমরা বিলবোর্ডের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার সহপাঠীরা ফোনে যোগাযোগ করলে আশেপাশে অবস্থান করছে বলে জানান। সর্বশেষ রাতে যখন তার সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি একটু পর বাসায় ফিরবে বলে তার বড় বোনকে জানান। রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যান এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার ও পুলিশের তদন্ত ও প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে এটি স্পষ্টত হয় যে, এটি কোন আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনার কেইস নয়। কারণ তাকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়া হয় বলে সূত্রমতে জানা যায়। এমনি আরো অনেক সূত্র পুলিশের কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় আকবরের পরিবার একটি মামলাও করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবরের অবস্থা ছিল খুবই আশঙ্কাজনক এবং পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
আকবরের সহপাঠীরা জানান, তাদের ধারণা তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই সহপাঠী হত্যার দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে মানববন্ধনসহ আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
আরও পড়ুন: টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই থানায় কথা বলেছি। ঘটনার দিন ও (আকবর) হোয়াটস অ্যাপ এবং ইন্সট্রাগ্রাম ব্যবহার করে কথা বলেছে। কিন্তু ওইগুলা ফোনে ডিলেট করা। চট্টগ্রাম খুলশি থানা পুলিশ সেগুলো উদঘাটন করার জন্য ঢাকায় ডিবিতে পাঠাইছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বুথ স্থাপন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফি হ্রাস ও ছাত্রী হলে এলটমেন্টের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: জবিতে সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি
ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলিম দেওয়ান বলেন, দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এতো দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে খোলা যায় সেজন্য একটি যৌক্তিক রোডম্যাপ তৈরি করা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া আর পরীক্ষা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনেরই নেয়া উচিত। প্রশাসন চাইলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বুথ চালু করতে পারে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা মেঘলা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রী হলের বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন লুকোছাপা করছে৷ দুইবার প্রভোস্ট বদল, উদ্বোধনের এতোদিন পরেও হলের বরাদ্দ ও নীতিমালা ঠিক করতে না পারা প্রশাসনের দৈন্যতাকে সামনে এনেছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলের নীতিমালা ও বরাদ্দ চাই, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীরাও পাচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, আব্দুর রহমান ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা সরকার।
ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ব্লাড ক্যান্সারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বধুবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত রবিন কুমার হালদার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবির আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রবিনের সহপাঠী সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রবিনের জ্বর ছিল অনেক। জ্বর না কমায় রাত ২টার দিকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল। পরে রাত ৪টায় তিনি মারা যান।
এদিকে মেধাবী এই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টার দিকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) চিকিৎসাধীন অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
জবি শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।