বিদ্যুৎ
আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাংলাদেশ সরকারকে আদানি গ্রুপের সঙ্গে অস্পষ্ট এবং বৈষম্যহীন বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিকে পুনর্বিবেচনা করতে এবং প্রয়োজনে বাতিল করতে বলেছে। এটি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতের আদানি থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সই করা অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এই বিতর্কিত কোম্পানির কাছে জিম্মি হতে পারে।
এই সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে এর শর্তাবলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করতে বলেছে। একই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থে বিশেষ করে এই চুক্তির চূড়ান্ত বোঝা দেশের জনগণকে বহন করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়ে প্রয়োজনে চুক্তিটি বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি হবে। আবার, বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে (পিপিএ) আদানি পাওয়ার থেকে এই উচ্চ মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণে এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য অসাম্য ও অস্পষ্ট এবং নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে চুক্তিটি বাংলাদেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে আদানি গ্রুপের স্বার্থকে এমনভাবে সমর্থন করেছে যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এই কোম্পানির হাতে জিম্মি হয়ে যেতে পারে। এই বোঝা এদেশের মানুষকেই বহন করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ‘আদানি ওয়াচ’ সহ নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সূত্রে প্রকাশিত তথ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহৃত হবে তা আসবে আদানির মালিকানাধীন ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত খনি থেকে। এগুলো আদানির জাহাজে ও রেলে করে পরিবহন ও খালাস হবে আদানির মালিকানাধীন বন্দরে। আবার উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিবহন করা হবে আদানিরই নির্মিত সঞ্চালন লাইনে।
আরও জানা যাচ্ছে, জ্বালানি খরচসহ এই পুরো প্রক্রিয়ার ব্যয় বইতে হবে বাংলাদেশকে। যেটি বৈশ্বিক বিদ্যুৎ খাতের অভিজ্ঞতায় অভূতপূর্ব।
ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য দেশের অন্য যে কোনো সরবরাহকারী থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি হারে মূল্য দিতে হবে।
একইভাবে, আদানির গোড্ডা প্রকল্পের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দিতে হবে দেশি-বিদেশি উদ্যোগে পরিচালিত অন্য যে কোনো প্রকল্পের তুলনায় অগ্রহণযোগ্য বেশি হারে।’
আরও পড়ুন: নেপাল, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: পররাষ্ট্র সচিব
গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ পরিশোধ করতে হবে।
রবিবার ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ‘বিনিয়োগ ভবন’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে যদি সবাই ক্রয়ের খরচ দিতে সম্মত হয়। কতটা ভর্তুকি দেয়া যেতে পারে? আর আমরা কেন ভর্তুকি দিতে থাকব? সরকার দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে ভর্তুকি দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
বিনিয়োগ ভবনটি তিনটি সংস্থার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে, সেগুলো হল- বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)।
শেখ হাসিনা বলেন যে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ১২ টাকা, কিন্তু দাম মাত্র ছয় টাকা। এর পরও বিদ্যুতের শুল্ক নিয়ে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের দাম দেড়শ’ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি (এমন খারাপ পরিস্থিতি)।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে বলেছেন, যা এখন সারা দেশে গড়ে উঠছে। কোভিড-১৯ মহামারি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খরচ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস
সাশ্রয়ী নীতি অনুসরণ করে খরচের লাগাম টেনে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিস। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিল ও আপ্যায়ন খরচ কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে; আর জ্বালানি তেল খরচ কমানো হয়েছে প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ।
এছাড়া, বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সংসদীয় বাজেট থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ ফেরত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গত অর্থবছরের জুন-সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয়ের হিসেব থেকে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল হ্রাস পেয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, জ্বালানি তেল অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার কমানো হয়েছে ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমানো হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
পযার্য়ক্রমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমিয়ে আনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
২০২২ সালের জুন মাসে বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় ছিল ২৩ লাখ আট হাজার ৮৩৮ টাকা। জুন থেকে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিয়ে জুলাইয়ে হয় খরচ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ টাকা। জুন থেকে খরচ ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের ব্যয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৩ টাকা। জুন থেকে খরচ ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ (প্রায় অর্ধেক) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০২২ এর জুনে পরিবহনের জন্য জ্বালানি খাতে অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪১ হাজার ৪০২ লিটার। জুন থেকে চার হাজার ৪০০ লিটার (১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ) কমিয়ে জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৭ হাজার ২ লিটার। জুন থেকে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ ব্যবহার কমিয়ে আগস্টে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৪ হাজার ৮৪১ লিটার। আর জুন মাস থেকে ৯ হাজার ৬৬৬ লিটার তেল (২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ) কম ব্যবহার করে সেপ্টেম্বরে তেলের মোট ব্যবহার ৩১ হাজার ৭৩৬ লিটারে নামিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
জুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ছিল তিন লাখ ২১ হাজার ৬৬৫ টাকা। জুন থেকে ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ কমিয়ে জুলাইয়ের আপ্যায়ন ব্যয় দুই লাখ ৬৭ হাজার ৫৭০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। জুন থেকে ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের আপ্যায়ন ব্যয় দুই লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টাকা। জুন থেকে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ খরচ কমিয়ে সেপ্টেম্বর আপ্যায়ন ব্যয় এক লাখ ৭৪ হাজার ১২০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সেপ্টেম্বর পরবর্তী মাসগুলোতেও ব্যয় সাশ্রয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় কমানোর কাজটি অনেক আগে থেকে শুরু করেছি। বস্তুত দেশে যখন সকল মানুষকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যেখান থেকে টাকা বাঁচানো যায় সেই টাকা বাঁচিয়ে আমরা যেন অর্থবিভাগকে বলি ওই টাকাটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে। সেই কাজটি আমরা ২০২০ সাল থেকে শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হলো এবং ঢেউটা বাংলাদেশ পর্যন্ত আসলো তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আমাদের অফিসের ব্যয় আরও কমানোর কাজ শুরু করলাম। প্রথমত আমরা বিদ্যুতে হাত দিলাম। তারপরে আমরা পেট্রোল এবং লুব্রিকেন্টের খাত, সেখানেও খুবই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাড়িগুলোকে একটু রেশনিং করে আমরা সেটাও কমিয়ে এনেছি। একই ভাবে আপ্যায়ন খাতেও আমরা ব্যয় কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যে আপ্যায়নের মেনুটি করেছি সেটি খুবই সাদামাটা।
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সংসদীয় বাজেট থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে আহসান কিবরিয়া বলেন, এবার বাজেট সংশোধন করতে গিয়ে আমরা দেখলাম বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা আমরা সরকারকে দিয়ে দিতে পারি। একই ভাবে আমরা যখন বাজেটের মিটিং করলাম অর্থ বিভাগের সঙ্গে, তখন আমরা দেখালাম কিছু খাত থেকে আমরা ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবো। এভাবে আমাদের ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বের হলো এবং এ টাকা আমরা সংসদীয় বাজেট থেকে আমরা অর্থবিভাগের কাছে সমর্পণ করেছি। এ টাকা সরকারের কোষাগারে চলে গেছে।
চলতি অর্থ বছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে আমরা একটা পরিকল্পনা ধরে, অর্থ বছরের শুরু থেকেই আমরা এই ব্যয়টি পর্যায়ক্রমে কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা চেষ্টায় আছি যেন অর্থবছরের শেষান্তে অর্থাৎ জুলাইতে গিয়ে আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমিয়ে ফেলতে পারি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
জরুরি সেবা চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৬ নির্দেশনা
নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন, বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় বিদ্যুতের পাওয়ার সাপ্লাই স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফলে শহরের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খানপুরে অবস্থিত ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের মন্ডলপাড়া ও হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের ৫টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর ছয়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, খানপুরে ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লেগেছে বলে আমরা ভোর পাঁচটায় খবর পাই। পরে আমাদের দুইটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। ভোর ছয়টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পাটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক ট্রিপ ফল্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। আগুনে বিদ্যুৎ সরবরাহের বেশ কিছু তার, প্যানেল বোর্ড ও সরঞ্জাম পুঁড়ে গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে বলতে পারবেন।
ফখরুদ্দিন আরও বলেন, অগ্নিকান্ডের পর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা মেরামত করতে সময় লাগবে। তবে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বলে জানতে পেরেছি।
ডিপিডিসির নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) এর নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন ফকির জানান, অগ্নিকান্ডের মাত্রা বেশি পরিমাণ ছিল না। যে কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়েছে। আনুমানিক সকাল সাতটার দিকেই সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় সচল করা গেছে। এখন স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ৮
ভোলায় নর্থ-২ কূপে গ্যাসের সন্ধান
ভোলা জেলার নতুন কূপ নর্থ-২ এ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ভোলা নর্থ-২ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কাজ শুরু হয় এবং মাটির নিচে তিন হাজার ৪২৮ মিটার গভীরে পৌঁছে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়। আজ (সোমবার) ড্রিল-স্টেম টেস্টিং (ডিএসটি) শেষ হওয়ার পর এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি হল তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের শেষ ধাপ।
‘চূড়ান্ত উৎপাদন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গ্যাস উৎপাদনের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। তবে বাপেক্স আশাবাদী যে ক্ষেত্রটি প্রতিদিন ২০ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন করবে’, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নতুন গ্যাস পাওয়ায় বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং ওয়ার্ক-ওভার কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
নসরুল হামিদ চলমান গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য তার মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, সরকার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানোর কার্যক্রমের পাশাপাশি কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ব্রুনাইয়ের মতো তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রণালয় একটি ফেসবুক পোস্টে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানের ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে ক্ষেত্রটি প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) উৎপাদন করবে।
এই গ্যাসক্ষেত্র খনন কাজের সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের এই মুহুর্তে ভাল খবর নিয়ে এসেছে।’
এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর ভোলার গ্যাসক্ষেত্রে নতুন গ্যাসের সন্ধানের বিষয়ে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের অধীনে অনুসন্ধান কূপ নং-টগবি-১ থেকে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন কাঠামোর ঘোষণা দেন।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘সুসংবাদ’ ভাগ করে নেয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তবে কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু করতে এবং জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে সরবরাহ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয় করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি’।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানির কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: বিইআরসি খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সিদ্ধান্তে বিলম্ব করলে, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন,‘বিইআরসি তার নিজের কাজ করবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বিইআরসি নিয়ম সংশোধন করেছি যাতে আমরা প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলো মাসিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। ‘সুতরাং, আমাদের সামঞ্জস্যের দিকে যেতে হবে’।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিইআরসি আইন সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেয়া।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে কারণ সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি খাতের সম্পূর্ণ ক্ষতি পূরণ করবে না।
তিনি বলেন, দাম সমন্বয় করা গেলে অন্তত গ্যাস আমদানিতে আর্থিক ক্ষতির কারণে যে ব্যাকলগ তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার আশা করছে গত গ্রীষ্মের মতো আগামী গ্রীষ্মে খুব বেশি লোডশেডিং হবে না।
এদিকে, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনের সিএমসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিআরইসিএল) বাংলাদেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) এবং একটি বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) স্বাক্ষর করেছে এবং সরকার সিরাজগঞ্জে ৬৮ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বিপিডিবি ২০ বছরের মেয়াদে প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ইউনিট ১০ দশমিক ২০ ইউএস সেন্টে বিদ্যুৎ কিনবে।
বিসিআরইসিএল প্ল্যান্টটি স্থাপনের জন্য ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যেখানে জেডটিইএনসিও লিমিটেড বাংলাদেশ পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে এবং চীনের পেরিওশেন-ফেডি-সিনোহাইড্রোর কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের জন্যে ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে নসরুল বলেন, সরকার আগামী এক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে ভূ-বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে: নসরুল হামিদ
গণশুনানি: খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের গড় দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
রবিবার সকাল ১০টায় নগরীর বিয়াম মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানিতে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ করা হয়।
কমিটি প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা) ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে প্রতি ইউনিট এক টাকা ১০ পয়সা বাড়িয়ে গড় খুচরা মূল্য আট টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে।
তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন বিইআরসি আইন ২০১০-এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা- বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলএস (নেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিইআরসি-এর সিদ্ধান্তের পরে ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকরীভাবে বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর পরে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দেয়।
একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রান্সমিশন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)ও হুইলিং চার্জ বাড়ানোর জন্য একটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিডিবি প্রথমে ২৩ নভেম্বর খুচরা পর্যায়ে শুল্ক ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রস্তাব দেয় এবং পরবর্তীতে অন্যান্য সমস্ত বিতরণ সংস্থাগুলোও প্রায় অভিন্ন প্রস্তাবের জন্য তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব দেয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সমস্ত ভোক্তা অধিকার গ্রুপ গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিতরণ এবং ট্রান্সমিশন সংস্থাগুলির প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
ক্যাবের সহ-সভাপতি এএসএম শামসুল আলম বলেন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ জনস্বার্থ পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সিস্টেম লস কমানোর পরিবর্তে সরকার শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে সহজ সমাধানের চেষ্টা করছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের শুল্ক আরও বাড়ানো হলে এটি ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। যা জনদুর্ভোগকে তীব্র করবে এবং সাধারণ মানুষ এর চূড়ান্ত শিকার হবে; কারণ তাদেরই শেষ পর্যন্ত মূল্য দিতে হবে।’
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের প্রধান সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের একক ক্রেতা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) আর্থিক ক্ষতি ১৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বাড়তে পারে।
বিপিডিবি এর নিজস্ব সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ২৯ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করবে, যা প্রায় ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র জানায়, বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় ও কম দামে বিক্রি, পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপিডিবির রাজস্ব ঘাটতি আরও বেড়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে বাল্ক ট্যারিফের সাম্প্রতিক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি বিপিডিবিকে মাত্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা লোকসান কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে একটি বিশাল রাজস্ব ঘাটতি একটি বড় বোঝা হয়ে থাকবে।
অন্যদিকে, বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব রাজস্ব ঘাটতি মেটানোর জন্য বিইআরসিতে তাদের খুচরা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণশুনানি চলছিল। রবিবার শুনানি শেষ করা সম্ভব না হলে সোমবার দ্বিতীয় দিনের জন্য শুনানি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে বলে বিইআরসি থেকে একটি তফসিল রয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু
আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের আদানি গ্রুপের ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে পাওয়ার ডিভিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ২২ টাকা হবে। এই বছরের মার্চ থেকে আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান ও বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
সফরকালে নসরুল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের মার্চ থেকে বিদ্যুৎ পাবে যার জন্য একটি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
পাওয়ার ডিভিশনের বিবৃতিতে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,‘আদানির ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ আমদানি মার্চ থেকে সম্ভব হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট পাব। আগামী গ্রীষ্মে আমাদের চাহিদা মেটাতে আমাদের আরও বিদ্যুতের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আদানির ঝাড়খণ্ড কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটির প্লান্ট থেকে ৮০০ মেগাওয়াট করে মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।
নসরুল বলেন, ‘আমরা শক্তির বিকল্প উৎস খুঁজছি। আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
আদানি গ্রুপ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার জন্য ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর সই হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন এবং বিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে।
এদিকে, বিপিডিবি-এর কর্মকর্তারা ঝাড়খন্ড প্ল্যান্ট থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের শুল্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এর দাম বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত পায়রা পাওয়ার প্লান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় দ্বিগুণ হবে।
তারা জানায়, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বেসরকারি ভারতীয় কোম্পানি আদানি ১৬০০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করলে, সরকারের সঙ্গে সই হওয়া 'ত্রুটিপূর্ণ' চুক্তির কারণে বাংলাদেশ প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার বিদ্যমান দাম বিবেচনা করে ৭৫ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে আদানির প্ল্যান্ট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট আমদানি করতে, কয়লা পরিবহনের খরচসহ আমাদের প্রতি মাসে ২১০০ কোটি টাকা দিতে হবে। অনুরূপ অন্যান্য লেনদেনের কিছু নিয়ম ও কানুন যদি এখানে মানা হতো, তবে খরচ প্রতি মাসে ১৪০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির ত্রুটির জন্য দেশকে প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে এবং বছরে আট হাজার ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হবে।’
আরও পড়ুন: আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু
সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুৎ ৯.০৩ টাকা করার প্রস্তাব বিপিডিবি’র
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ উন্নয়ন বোর্ড(বিপিডিবি) খুচরা পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা (প্রতি ইউনিট) এক দমমিক ৪৭ টাকা বৃদ্ধি চেয়ে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
বুধবার অফিসিয়াল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বিপিডিবি’র একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, ‘আমরা খুচরা শুল্ক প্রতি ইউনিট ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যমান সাত দশমিক ৫৬ টাকা থেকে ৯ দশমিক ০৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বাড়াতে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল
বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরদিনের মধ্যেই বিপিডিবি খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক প্রস্তাব পেশ করে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে দেশে মোট ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা রয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের সকলকে নতুন বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ঘোষণার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে।
সোমবার বিইআরসি বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে বিদ্যমান প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় (প্রতিটি ইউনিট) পাঁচ দশমিক ১৭ টাকার পরিবর্তে ছয় দশমিক ২০ টাকা করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত দিয়ে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল নিষ্পত্তি করে।
বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, বিপিডিবি বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপিডিবি’র খুচরা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দেয়ার আগে দেখেছেন।
তবে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেছেন, তিনি এখনও প্রস্তাবটি দেখতে পাননি।
বিইআরসি আইন-২০০৩ অনুযায়ী, শুল্ক সমন্বয়ের বিষয়ে কোনও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত শোনার জন্য শুনানির পদ্ধতির আলোকে একটি গণশুনানি করবে এবং তারপরে এটি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
বাল্ক শুল্ক বাড়ানোর পর নসরুল হামিদ বলেছেন, এখনই বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনসাধারণের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।
তবে তিনি বলেন, সরকার গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। ‘তাই বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল।’
তিনি আরও বলেন যে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিইআরসিতে জমা দিতে তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিইআরসি ভবিষ্যতে খুচরা গ্রাহকদের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরীক্ষা করবে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এএসএম শামসুল আলম বলেন, গণশুনানির জন্য অধিকার গোষ্ঠীটি তাদের মতামত উপস্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমি আশাবাদী এবং আপনাদের হতাশ করতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার ব্র্যাক ইন সেন্টারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে আগস্টে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন যে সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং পরে আবার বলেছিলেন যে অক্টোবর থেকে লোডশেডিং কমবে।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের পরে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আপাতত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল: রাষ্ট্রদূত
জ্বালানি আমদানি কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য সরকার জুলাই মাসে সব ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে। আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিও একই উদ্দেশ্যে স্থগিত করা হয়, ফলে সারা দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু করতে এবং উচ্চ মূল্যে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধের কথা উল্লেখ করে নসরুল বলেন, সরকার সব বিকল্প মূল্যায়ন করছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন যে তার মন্ত্রণালয় এলএনজি আমদানির বিষয়ে ব্রুনাইকে একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং এখন তাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ব্রুনাই থেকে প্রতিক্রিয়া পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী