কারাদণ্ড
ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: মাহবুবুল হক চিশতী, স্ত্রী ও ছেলের কারাদণ্ড
ফারমার্স ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত।
মানিলন্ডারিং আইনের এ মামলার রায়ে বাবুল চিশতীর স্ত্রী রোজী চিশতী ও ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানকেও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ রায় দেন।
এ ছাড়া বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার দ্বিগুণ ৩১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ইলিশ ধরায় ১২ জেলের কারাদণ্ড
অনাদায়ে বাবুল চিশতী ও রাশেদুল চিশতীকে দুই বছর ও রোজি চিশতীকে এক বছরের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মাসুদুর রহমান খানকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারও সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার আগে বাবুল চিশতীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাশেদুল হক জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। তবে রোজি চিশতী ও মাসুদুর রহমান এদিন আদালতে হাজির হননি।
আদালত জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রায় শেষে বাবুল চিশতী ও রাশেদুল হককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
গত ৫ অক্টোবর দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন।
২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
ভোলায় ইলিশ ধরায় ১২ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ২০ হাজার মিটার সুতার জালসহ ৬০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল থেকে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ.এম.এম হারুন অর রশীদ জানান, মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কোস্টগার্ডের একটি দল এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে জব্দ করা জাল মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: দিনাজপুর পৌর মেয়রের কারাদণ্ড
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে আপিল বিভাগের এক বিচারপতি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে সৈয়দ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য জুড়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তার ওই বক্তব্য ইউটিউবে প্রচার হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমানসহ আরও ৩ আইনজীবী। মামলায় সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাকে ক্ষমা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঘোষিত ওই রায়ে মেয়রকে এক মাসের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ।
দণ্ড ভোগ করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল মেয়রকে। রায় অনুযায়ী বুধবার ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানো হয় মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে।
অন্যদিকে ঘোষিত জরিমানার ১ লাখ টাকা সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান গাউসুল আযম চক্ষু হাসপাতালে গতকাল বুধবার জমা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় ফাতেমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাতেমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় তার বসত ঘরের একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর বাজারের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০৬ অ্যাম্পুল নেশার বুপেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ একই বছরের ২২ জুন ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলায় তাদের এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১২টায় জেলার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের ভ্রাম্যামান আদালত এ কারাদণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার মানিক মজুমদারের ছেলে আরাফাত মজুমদার (২৬), কাউনিয়া থানার চুরামন এলাকার মোতাহার মৃধার ছেলে রুবেল মৃধা (৩০) ও রহমান মৃধার ছেলে আজিজুল মৃধা (২৭)।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
ইউএনও মনিরুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নদী থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তিন জনের বয়স কম হওয়ায় তাদের পরিবারের লোকজন ডেকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার জালগুলো জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মা ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় বেলাল হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আলাদত।
এই মামলায় অপর আসামি টিটু সাহাকে (৪৬) তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে এবং টিটু সাহা একই উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামের রঞ্জিত মাস্টারের বাড়ির নেপাল সাহার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু জানান, এ মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৭ মে চট্টগ্রাম সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসায় খুন হন নাছিমা বেগম (৩৭) ও তার মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী (১০)। হত্যাকারীরা ঘর থেকে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শাহ আলম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
৮ বছর আগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকন রয়েছেন।
দণ্ড প্রাপ্তদের এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। আরেক ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন ও মোজাম্মেল হক।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন। আসামিদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে আব্দুর রাজ্জাককে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ দিন মো. শাজাহানের পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। তবে এ দিন আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। এ জন্য আদালত তার আবেদনটি নাকচ করেন। হাবিবুর রহমান ও আহসান হাবিবের পক্ষেও সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাসহ হত্যা করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
রাজশাহীতে বিএনপি নেতা চাঁদের ৩ বছরের কারাদণ্ড
২০০৭ সালের প্রতারণার মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম এ রায় ঘোষণা করেন।
২০০৭ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি করেন মাসুদ রানা নামের এক শিক্ষক
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে আসামি আবু সাঈদ চাঁদ, আলিম উদ্দিন এবং ওয়াজনবী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বামনদীঘি চরঝিকড়া টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ওই স্কুলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে বাদী ও সাক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন।
২০০৪ সলের ডিসেম্বর মাসের বিভিন্ন তারিখে তাদের কাছ থেকে আসামিরা মোট ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নেন। পরে নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে তারা ওই স্কুলে যোগদান করেন। এরপর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের অনুকূলে কোনো বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদেরও কোনো নিবন্ধন হয়নি।
কিছুদিন পর তারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, স্কুলটির কোনো অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আসামিরা জেনেশুনে তাদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
পরে ২০০৭ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি করেন ওই প্রতিষ্ঠানের মাসুদ রানা নামের এক ভুক্তভোগী শিক্ষক। তবে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তিনি মামলা তুলে নেয়ার আবেদন করেন। যেহেতু এই বিদ্যালয়ের ২২ জন প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেহেতু মামলা চলমান রাখার নির্দেশ দেন আদালত। ১৬ বছর ধরে চলমান মামলায় সাক্ষ গ্রহন করা হয় নয়জনের।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী বলেন, আবু সাঈদ চাঁদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার কথা বলে। তিনি ১৩ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে তারা এ নিয়ে মমলা করেন। সেই মামলায় আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেন, ‘এ মামলার সঙ্গে আবু সাঈদ চাঁদ কোনোভাবে জড়িত না। এ মামলায় অন্য দুজন শিক্ষকও অভিযুক্ত ছিলেন। এটি একটি ভোকেশনাল স্কুলের নিয়োগের মামলা। এখানে তার কোনো সই-সাক্ষ্য কিছুই ছিল না। তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন এটাই তার অপরাধ। এজন্যই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য আবু সাঈদ চাঁদ রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং রাজশাহী-৬ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়াসহ চাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহী ও দেশের বিভিন্ন আদালতে ৩৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চাঁদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্র ফয়স লেক থেকে তুলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ব্রাক্ষণবাড়িয়োর সাবেক ওসি (বরখাস্ত) মিজানুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।
একই মামলায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) অনুসারে আসামির হাজতবাস সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে বলে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।
রায়ের সময় আসামি মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে নিয়ে ফয়’স লেকে ঘুরতে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলে মেয়ে দুজনকে আলাদা কক্ষে আটকে রেখে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাথরুমের কাঁচ ভেঙে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে হোটেলের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা হুমায়ন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাকি দুই আসামি হোটেলের কর্মচারী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, হুমায়ন কবিরের দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে একটি ছিল নারী নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ ধারায়। আরেকটি মামলা ছিল, জোরপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় দায়ের করা।
প্রথম মামলায় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে ওসি মিজানসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিন মাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওসি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নাছির হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাছিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাছির জামিনে ছিলেন। গত ৩০ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিনে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাছির ঝালকাঠির কোলাবানিয়ার মদিপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসামি ও ভুক্তভোগীর পরিবার বাড্ডার সেকেন্দারবাগ এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নাছির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
বিষয়টি পরিবারকে জানায় সেই ছাত্রী। তার পরিবার বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে জানালে তিনি নাছিরকে মৌখিকভাকে সতর্ক করেন। তারপরও নাছির ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী কলপাড়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় নাছির ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ১৫ এপ্রিল বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ