কারাদণ্ড
খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার শেখ আজিজুল ইসলাম হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আসামিরা হলো- শেখ মশিউর ওরফে মশি, মো. আসলাম হোসেন লিটন, মো. সুইট, আশ্রাফুল ওরফে গাজা আশ্রাব, মো. সহিদ ও মো. মিন্টু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আজিজুল ইসলামকে খালিশপুর নয়াবটিস্থ তৈয়েবের মোড়ে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরেরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই শেখ জালাল উদ্দিন রাজু বাদী হয়ে থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ. রহমান আসামি ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এক বছরের শিশু মরিয়ম হত্যা মামলায় মায়ের প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে শিশুর মাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উভয়কেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, অপর একটি ধারায় এই দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন-জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকার লিচু আকন্দের ছেলে সোলাইমান এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত শিশুর মা পটুয়াখালির গলাচিপার এলাকার নয়া হওলাদারের মেয়ে বিলকিস।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহমেদ বলেন, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় নন্দলালপুর এলাকার বেকারির গলি থেকে এক বছর বয়সী অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর হত্যাকাণ্ডের স্থান শনাক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত দম্পতির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। শিশুটির মায়ের খালা জবানবন্দির প্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রেমিকসহ শিশুর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেছেন। উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল রাখেন আমরা সেই প্রার্থনা করছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ১০ বছর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তহসিলদার হত্যার ২৫ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্লা (৩২), সুজা মোল্লা (৩৩), নজরুল মোল্লা (৫৫) এবং দুই সহোদর ফিরোজ মোল্লা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্লা (৩২)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষক কামরুল বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছেলেন। তিনি চতুল চিতা ঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্লার দোকানের সামনে পৌঁছালে পাঁচ আসামিসহ মোট ১২ জন স্থানীয় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে কাঠের লাঠি, বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় ওই শিক্ষকের কাছে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়।
আহত শিক্ষক কামরুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেয়ার পথে ওইদিন (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিপুণ মজুমদার এহাজারভুক্ত ১২ জন আসামিকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি সানোয়ার হোসেন জানান, আদালত এ হত্যা মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বাকি সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালতকে বেআইনিভাবে বাধা দওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন- ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক আছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
আরও পড়ুন: প্রেমিকসহ স্ত্রীকে খুন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৫ সালের ১৯ মে জাতীয় পাটির এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আটজনকে।
আসামিরা হচ্ছেন-এম এ হান্নান, এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
একই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেপ্তার হন বাকি তিনজন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর মধ্যে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা গেছেন। বাকি জীবিত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন কারাগারে বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শেষে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। আর ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে উপজাতি এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় মো. রফিক নামে এক মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রফিক (৩৮) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পূর্ব সোনাই গ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী বলেন, মামলাটিতে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নে পূর্ব সোনাই এলাকার ওই (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) তরুণীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে মো. রফিক মুদির দোকান করতেন। সেখান থেকে তরুণী বিভিন্ন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার জন্য আসা-যাওয়া করতেন। ২০১৭ সালে ২৬ মার্চ থেকে অনুমানিক ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সকালে দোকানে জিনিসপত্র কিনতে গেলে দোকানে কোন লোকজন না থাকায় তরুণীকে মুখ চেপে ধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। দোকানের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে আসামি। তরুণীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং গোপন রাখলে তরুণীকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে দোকানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একসময় গিয়ে তরুণী মানসিকভাবে বিমর্ষ ও মন খারাপ করার কারণ জিজ্ঞেস করে মা। তরুণীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে একপর্যায়ে সে জানায় বাড়ির পাশের মুদির দোকানি মো. রফিক ধর্ষণ করেছে। তখন তরুণী পাঁচ থেকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এই ঘটনায় তরুণীর জেঠাতো ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট ভুজপুর থানায় মামলা করেন।
এই মামলায় আদালত আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড
রংপুরের পীরগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা করে উসকানিমূলক পোস্ট দেয়ার মামলায় পরিতোষ সরকার নামে এক যুবককে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক ড. মো. আবদুল মজিদ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
এ সময় আসামি পরিতোষ সরকার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি রুহুল আমিন তালুকদার জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি পরিতোষ সরকারকে চারটি ধারায় একবছর, দুই বছর, তিন বছর ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
তবে সকল সাজা একত্রে চলায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম আল মামুন বলেন, এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিতোষ সরকারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন পীরগঞ্জ থানার এসআই ইসমাইল হোসেন।
আরও পড়ুন: বেলকুচিতে অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, ২ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ৫ লক্ষাধিক টাকার নকল প্রসাধনী ধ্বংস, ম্যানেজারের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ৫ লক্ষাধিক টাকার নকল প্রসাধনী ধ্বংস, ম্যানেজারের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযানে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে একটি কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় কারখানার ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া, কারখানাটিতে তৈরি ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি দল এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
কারদণ্ডপ্রাপ্ত ম্যানেজারের নাম মো. খায়রুজ্জামান রাজু।
জানা যায়, বিএসটিআই’র সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানকালে বায়েজিদ এলাকার শাহ হাবিবুল্লাহ রোডে জে বি কেয়ার বাংলাদেশ নামক এ ফ্যাক্টরি থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, গ্লিসারিন, ফেসওয়াস, সেক্সুয়াল ট্যাবলেট, ব্রেস্ট ক্রিম, ব্যাথ্যানাশক ক্রিমসহ বিভিন্ন ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কাঁচাবাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
এছাড়া, বিভিন্ন সাবানে বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে এসকল পণ্য তৈরির দায়ে কারখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কারখানার ম্যানেজার মো. খায়রুজ্জামান রাজুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া, ফ্যাক্টরিতে আটক তিনজন শ্রমিককে বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে টাইলে জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার বা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেবার ক্ষমতা মোবাইল কোর্টের নাই। আমরা যাকে হাতেনাতে আটক করেছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। যেহেতু মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি সেহেতু মালিকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানা পুলিশ নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নেবে।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভেজাল বিরোধী এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রেয়াজ উদ্দীন বাজার সহ অন্যান্য যেসকল বাজারে এগুলো বিক্রি হয় সে সকল জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের অভিযান: আসামির রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামে ৯ ঘন্টার মাথায় অপহৃত শিশু উদ্ধার, যুবক আটক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফারাবীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় শফিউর রহমান ফারাবীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে জানান ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক ধর্মীয় কটূক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় থাই যুবকের ২৮ বছরের কারাদণ্ড
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলা প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানো ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন শফিউর রহমান ফারাবী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০১০ সালে তিনি হিযবুত তাহরীরে সক্রিয় হয়ে পড়েন। বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে ২০১৫ সালের ২ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনাল।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় রফিজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামির উপস্থিতিকে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন (৫৫) মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সঞ্জিব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত রফিজ উদ্দিন ও আসামি শামসুদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশি।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১০ মে রফিজ উদ্দিন আসামি প্রতিবেশী শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনায় রফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করে। এতে রফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে শামসুদ্দিন শাবল নিয়ে পালাতে চাইলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ঘটনার পর ওই দিন শামসুদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন। মামলার সাত বছর পর আসামির উপস্থিতিতে আদালত শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাঁজা দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আসামি আব্দুল আজিজ (৫৮) ওই উপজেলার সোয়াইর গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি আজিজ পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামী হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,২০১৮ সালে ১৩ মার্চ সিংড়া উপজেলার সোয়াইর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশি ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ। সে সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে আজিজ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে এজাহার নেয়নি পুলিশ। পরে ওই মাসেরই ১৮ তারিখে ভূক্তভূগী তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এ মামলায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজিজকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড