নদী
সন্তানদের পাড়ে রেখে নদীতে নেমে লাশ হয়ে ফিরলেন মা
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে এক গৃহবধূর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কৃষ্ণপুর এলাকার ধরলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খোদেজা বেগম (২৭) সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. খয়শের আলীর মেয়ে। তিনি ওই গ্রামের দিনমজুর মো. ছয়ফুল ইসলামের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পাড়ে রাসেল ভাইপার
মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, খোদেজা বেগম দুই শিশু সন্তানসহ ধরলা নদীতে গোসল করতে যান। শিশুদের নদীর পাড়ে বসিয়ে রেখে গোসলে নেমে তিনি নিখোঁজ হন। এ সময় পাড়ে বসে থাকা তার সন্তানরা মাকে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয়রা এসে পানিতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ফুট দূরে ঝাঁকি জালের সাহায্যে খোদেজা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সুরমা নদীর পাড় থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
নদীর পাড়ে পড়েছিল হরিপদের নিথর দেহ!
বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়াই কাল হলো মাদরাসা ছাত্রের
কুষ্টিয়া শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধের কাছে নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো হাসান (১৫) নামের এক মাদরাসা ছাত্র।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গড়াই নদ থেকে হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাসান শহরের কমলাপুর ওয়াজেদ আলী নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ শাখার আবাসিক ছাত্র এবং শহরতলীর বটতৈল এলাকার রাশিদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
জানা যায়, মাদরাসা পড়ুয়া চার বন্ধু পদ্মার শাখা গড়াই নদে গোসলে নেমেছিল। তিন বন্ধু সাঁতরে পাড়ে উঠলেও ওঠতে পাড়েনি এক বন্ধু।
এদিকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় চার ঘন্টা পর তাকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।
একসঙ্গে গোসল করতে নামা সহপাঠী আব্দুল আহাদ জানায়, শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধের কাছে তারা চার বন্ধু মিলে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে একসঙ্গে গোসল করতে নামে। তারা সবাই সাঁতার জানতো। একযোগে সবাই নদী সাঁতরে এপাড় থেকে ওপাড়ে যায়। কিন্তু এপাড়ে ফিরে আসার সময় হাসান পানিতে তলিয়ে যায়। তারা খুঁজে না পেয়ে আশপাশের লোকদের খবর দেয়। পরে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, নিজস্ব ডুবুরি দল না থাকায় খুলনা থেকে ডুবুরি দলকে তলব করা হয়। ডুবুরি দল পৌঁছার আগে তাঁরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিখোঁজ ওই মাদরাসা ছাত্রের লাশ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালায়।
একপর্যায়ে বিকাল ৪টার দিকে ওই এলাকা থেকেই ডুবন্ত অবস্থায় হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পূণর্ভবা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ১
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন ২০২৩ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ডিসিদের নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি বলেন।
আরও পড়ুন: অবাধে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে গড়াই সেতু
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে নির্মিত বাঁধগুলো ভেঙে পড়ে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বালু প্রয়োজন বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড যেসব স্থানকে ‘বালু মহল’ (বালি কোয়ারি) হিসেবে ঘোষণা করেছে কেবল সেখান থেকেই বালু উত্তোলন করা যাবে। এভাবে আমরা বালুর চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নদী ভাঙন রোধ করতে পারব।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে নদীভাঙন ও বন্যা বেড়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে প্রথম দিকে বন্যা দেখেছি। তারপরও আমরা ফসলের ক্ষতি হতে দিইনি। আমি সতর্কতা অবলম্বন করেছি।’
কয়েকজন ডিসি তাদের এলাকায় নদী ভাঙনের সমস্যার কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি, কিন্তু বৈশ্বিক মন্দার কারণে গতি মন্থর।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো এলাকা থেকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমরা জরিপ করে ব্যবস্থা নিই।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কৃষি জমি
যশোরে প্রভাবশলীর বিরুদ্ধে পুকুর থেকে জোরপূর্বক বালু উত্তোলনের অভিযোগ
হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অপরাধে মো. আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্রশাসন। শুক্রবার সকালে ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে হালদা নদীর হাটহাজারী অংশের গড়দুয়ারা হালদা রিসোর্স সেন্টারের পাশে গচ্ছাখালী খালের পশ্চিম পাশে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের সময় আলমগীরকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডিত মো. আলমগীর উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ইউএনও শাহিদুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মাছ শিকারীরা। পরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইস্কান্দার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত আলমগীরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাই। এ সময় তার কাছে বিষ দিয়ে শিকার করা বেশকিছু চিংড়ি পাওয়া যায় ও তা জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গড়দুয়ারা ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার মোর্শেদ তালুকদার ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজা পরোয়ানামূলে আসামি আলমগীরকে কারাগাড়ে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে তরুণীকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঢাকার নদীমুখী গোড়াপত্তন দৃশ্যমান হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, নদীকে কেন্দ্র করে যে ঢাকার গোড়াপত্তন তা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে।
তিনি বলেন,‘আমরা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে। নদীমুখী ঢাকার যে আবির্ভাব, যে গোড়াপত্তন তা আবার দৃশ্যমান হবে, ফিরে আসবে।’
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট ও দখল করার আর কোনও সুযোগ থাকবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এখানে শুধু খনন না, আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি। এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় ছিল। কিন্তু কোনও সংস্থা এর আগে এটা করতে পারেনি। আমরা এই দায়িত্বটা নিয়ে একে একে খুব সুন্দরভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন খনন করছি। একই সঙ্গে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করছি এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও আরম্ভ করছি।
আরও পড়ুন: সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: ব্যারিস্টার তাপস
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। কীটপতঙ্গের বা এডিস মশার বিবর্তনের পরিবর্তন দেখছি এবং সময়সীমার পরিবর্তন দেখছি। এ সম্পর্কে আমাদের পূর্বাভাস পাওয়া প্রয়োজন। আপনার লক্ষ্য করছেন যে, এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অক্টোবর ছাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চলমান রয়েছে। এখন কার্তিক মাসের শেষ দিন। এতদিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা ছিল না। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও আমরা এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করছি। ফলে এডিস মশা নিধনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে। আমরা চলমান রাখছি। যে কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ড এলাকার মধ্যে মাত্র ৩৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তো আমরা মনে করি যে, এটা আমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমরা লক্ষ্য করছি এটা বাংলাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বাইরে এটার প্রাদুর্ভাব এখন আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তাপস বলেন, মৌসুমের পরেও এডিস এবং মৌসুমের আগে কিউলেক্স মশার বিস্তার হওয়ার কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের আরও কার্যকর গবেষণা করা প্রয়োজন এবং এ ধরনের গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে। প্রয়োজনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত আছে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার নয়: মেয়র তাপস
রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
খুলনার রূপসায় নদীর চরে বড় আকৃতির একটি কুমির দেখতে পেয়েছে এলাকাবাসী। রবিবার উপজেলাধীন চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে কুমিরটি দেখতে পায় এলাকাবাসীরা।
এই প্রথম রূপসা নদীতে কুমির দেখতে পাওয়া যায় বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চররূপসার মাছ কোম্পানি এলাকায় কম্পিউটার দোকানদার মো. রফিকুল ইসলাম প্রথমে কুমিরটি দেখতে পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কুমিরের ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ছবিটি পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিরের ছবিটি ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক
কুমিরটি দেখার জন্য স্থানীয়রা ও দূর-দূরান্তের মানুষ এসে ভীড় জমাতে থাকে।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম কুমিরটি দেখতে আসেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের সতর্ক করার জন্য বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে সঙ্গে নিয়ে চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রূপসা নদীর পাড়ে গিয়ে কুমিরের দেখা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, উৎসুক জনতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে কয়েকটি মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে।
বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি রূপসা নদীর পাড়ে অবস্থিত। জোয়ারের সময় বারান্দা পর্যন্ত পানি হয়। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা খুবই ঝুঁকিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে নদীর পাড়ে চর এলাকায় কুমির দেখতে পাওয়ায় শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এতে অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সীমানা প্রাচীর যদি শিগগিরই না দেয়া হয়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও হ্রাস পেতে পারে।
চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা খাতুন বলেন, সকালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নদীর চরে কুমিরটি দেখতে পাওয়া যায়। অল্প সময় কুমিরটি চরে ছিলো। এরপর নদীতে চলে যায়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দিলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে তারা কুমিরটি দেখতে আসেন। তারা শিক্ষার্থীসহ উৎসুক জনতাকে সতর্ক থাকতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, কুমির আতঙ্কে বিদ্যালয়ের ক্লপ শিকল গেট আটকিয়ে শ্রেণিতে পাঠদান দেয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থীকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির
করমজল পর্যটন কেন্দ্র: প্রজনন হচ্ছে লবণ পানির কুমির ও ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ
সিরাজগঞ্জে যমুনায় তীব্র ভাঙনে বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী গ্রামের নদীপাড়ের প্রায় দুইশ’ মিটার যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
হঠাৎ করে এ নদী ভাঙনে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গনের মুখ থেকে অনেক ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রবিবার সকাল থেকে আকস্মিক ভাবে ভাঙন শুরু হয় এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী গ্রামে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে প্রায় দুইশ’ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যমুনার পানি দ্রুত কমতে থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙন রোধে সেখানে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। একারণে বর্তমানে ভাঙন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়রায় নদীভাঙন: ১১ বছরে বাড়ি ছেড়েছে ১৬ হাজার পরিবার
তিনি আরও বলেন, গত বছর পাচঁঠাকুরী গ্রামের সিমলা স্পারের পাশে পাঁচঠাকুরীর অনেক অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছিল। স্থায়ী মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হলেও কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। এ অবস্থায় সেখানে আবারও ভাঙন দেখা দেয় এবং ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে নদীতীর রক্ষা বাঁধের ওপরে নির্মিত রানীগ্রাম-রতনকান্দি আঞ্চলিক সড়ক। এছাড়া যমুনা তীরবর্তী অনেক স্থানেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এনায়েতপুরে ভাঙন রোধে কাজ চলছে।
এদিকে পাঁচঠাকুরী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই বলেন, একাধিকবার যমুনার ভাঙনে সর্বশান্ত হয়েছি। গত দুই দিনের ভাঙনেও ৫/৬টি বাড়ি, বসতভিটা ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
একটি প্রভাবশালী মহল যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এ তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন পালন করা হলেও এখনো অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।
তারা আক্ষেপ করে আরও বলেন, এ বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে এলাকার অনেকেই এখন কোটিপতি হয়েছেন আর ভাঙনে এলাকার অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। তবে অজ্ঞাত কারণেই এ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে পানি কমতে থাকায় এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নদীর তলদেশে ঘূণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে মাটি সরে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: নদীভাঙন: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে সহস্রাধিক পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন
কয়রায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলোতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইতোমধ্য সেই ইলিশ বাজারে বিক্রিও শুরু হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাটকা সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সুফল মিলেছে।
শনিবার দুপুরে বরগুনার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মাছ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগর মোহনায় জাল ফেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।
এবারে ইলিশ বিক্রির টাকায় বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ
মাছের আড়ৎ সূত্রে জানা যায়, ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার প্রথম দিনের মতো জেলেরা নদীতে জাল ফেলে প্রত্যাশারও বেশি মাছ পেয়েছেন। বড় ইলিশ ছাড়াও সম্প্রতি বড় বিষখালী নদীতে ৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের কোরাল, বোয়াল, পাঙাশ, বাঘাইড়সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা নদী থেকে বাজারে মাছ আনতে শুরু করছেন দুপুর ১২ টা থেকে। বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকার কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত মাছ সরবরাহ হলে দামও কমে যাবে।
আড়ৎদার কামাল বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে এ অবস্থায় মাছ ধরা পরলে জেলেরা বিগত দিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পর বাজারে শনিবার প্রথম বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাই চাহিদাও প্রচুর। চাহিদার তুলনায় মাছের যোগান কম থাকার কারণে দাম একটু চড়া।
মাছের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা এক কেজি, এক কেজি থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা দরে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা কেজি, আর তারও ছোট ২২০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৬০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। এ কারণে নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে। ফলে নদীতে টানা ও বসানো জালে বড় ইলিশ মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর সমুদ্রে ও সুন্দরবনে এখন দস্যুতার ভয় বিগত বছরগুলো তুলনায় কমেছে। তাই অনেকটা স্বস্তি নিয়েই সাগরে যাচ্ছে জেলেরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভের পাল্লা ভারী করেই মৌসুম শেষে বাড়িতে ফিরতে পারবেন উপকূলীয় জেলা বরগুনার জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, জেলেরা ২২ দিনের সরকারি নির্দেশনা পালন করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ট্রলার সাগরে যেতে দেয়া হয়নি। তাই নিষেধাজ্ঞার পরপরই জেলেরা গভীর সাগরে মাছ শিকারে যেতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৬ জেলের কারাদণ্ড
কুশিয়ারা নদী থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেটের বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে অজ্ঞাত এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বালাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সাজ্জাদ আবাসিক এলাকার কুশিয়ারা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
অজ্ঞাত লাশটি একটি মেয়ে শিশুর। এখনও তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে আনুমানিক তার বয়স আড়াই থেকে তিন বছর।
বালাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুর লাল বলেন,খবর পেয়ে আমরা শিশুর লাশটি উদ্ধার করেছি। এখনো লাশটির কোন পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনুমানিক আড়াই থেকে তিন বছরের মেয়ে শিশুটির লাশটি নদীতে ভেসে এসে বালাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সাজ্জাদ আবাসিক এলাকায় আটকে যায়।
শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
মাগুরায় শিশুর লাশ উদ্ধার
আড়িয়াল খাঁ নদে গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি, ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে একটি মাছ ধরার জাহাজ ডুবে ক্যাপ্টেনসহ সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামের সি রিসোর্স কোম্পানির জেটি এলাকায় এমভি মাগফিরাত নামে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজডুবি, ১২ নাবিক নিখোঁজ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেরামত করতে সি রিসোর্স কোম্পানির ডক ইয়ার্ডে তোলার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে উল্টে অল্প সময়ের মধ্যে নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার পরপর জাহাজে থাকা প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ সাত জন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া নাবিকরা হলেন-জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলাইমান, সহকারী প্রকৌশলী আসলাম, গ্রিজার মো. মনির এবং সেলার বশর, আনোয়ার, রাকিব, বাচ্চু ও সাইদুল।
নিখোঁজরা হলেন-ট্রলারের চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, স্কিপার ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী, ফিশ মাস্টার মো. জহির উদ্দিন, ডক মেম্বার রহমত মিয়া নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ অন্য জনের নাম জানা যায়নি।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, জাহাজ ডুবতে শুরু করলে প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে পাশ্ববর্তী নৌকার সাহায্যে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়।
কিন্তু বাকিরা জাহাজের ভেতরে আটকা পরে। নিখোঁজদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল যৌথভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্রোতের কারণে ডুবুরীরা কাজ করতে পারছে না। উদ্ধারকারী জাহাজ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য ট্রলার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি।
তারা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপ করছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজডুবি: নিখোঁজ ৮
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ড থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার