ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে।
তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার কথা অনেকে ব্যক্ত করেছিল। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবে কি না- সে নিয়েও নানাজনের নানা মত ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, অনেক দেশ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসার আগ্রহ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অর্থাৎ সবসময় যেভাবে পর্যবেক্ষকরা আসে ঠিক একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা আসবে। এতেই প্রমাণ হয় দেশে নির্বাচনী ঢেউ বয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চীনে আঞ্চলিক ও দেশীয় অধ্যয়নের উন্নয়ন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগ্রহ প্রমাণ করে দেশে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবং তাদের আগমন ভালো নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে দোলাচলের মধ্যে ছিল, তারাও এখন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ, সুন্দর, ভালো নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।’
নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালীভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বলিষ্ঠ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন থানার ওসিদের বদলি, ইউএনওদের বদলি এমন কী ডিসি বদলি করছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে, পরিপূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে সেটিই প্রমাণ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন; যাতে করে স্বচ্ছ, সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’
নির্বাচনে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে নির্বাচনী খবরাখবর প্রচার করলে উৎসবের মাত্রা আরও বাড়বে। নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানি ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। তবে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো ইইউ অঞ্চলের কিছু প্রধান বাজারে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার, ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার ও ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৯ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৩’ অর্থবছরে আরএমজি পণ্য রপ্তানি আয় ৪৭ বিলিয়ন ডলার, মোট আয়ের ৮৫%
একই সময় প্রচলিত রপ্তানি বাজারের বাইরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
নিয়মিত বাজারের বাইরে আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছিল ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে
এক-দুই শতবর্ষ নয়, কয়েক দশকও নয়, কয়েক বছরের মধ্যেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার কর্মী ও জেনোসাইড বিশেষজ্ঞগণ।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২৩’ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রবাহমান সংগঠন আমরা একাত্তর, ডায়াসপোরা সংগঠন ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম’ ৭১ যৌথভাবে এ মিট দ্যা প্রেস-এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। আমরা একাত্তরের চেয়ারপার্সন মাহবুব জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, ‘স্বাধীনতার একান্ন বছরেও ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চালানো জেনোসাইডের স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশ। এর অন্যতম কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় চলমান স্নায়ুযুদ্ধ এবং পাকিস্তানের ওপর তখনকার বৈশ্বিক সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হ্যারি বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল তখন স্নায়ুযুদ্ধের জন্য বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করে। অন্যদিকে ভারত তখন রাশিয়ার পক্ষে। তাই সঙ্গত কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে জানলেও না জানার ভান করে। পশ্চিমারা পাকিস্তানকে বন্ধু ভাবায় এতদিন ধরে বাংলাদেশে সংগঠিত জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায় করা যায়নি।’
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' ঘোষণার আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আর্মেনিয়ান জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে একশ’ বছর লাগলেও বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেতে অত সময় লাগবে না বলে আশা করি। কয়েক দশকও নয়, আমরা কয়েক বছরের মধ্যেই এটি পেতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ জেনোসাইডের পক্ষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিশ্বব্যাপী জনমত আদায়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে একদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরমা দত্ত বলেন, ‘আমি নিজে একজন শহীদ সন্তান। বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ও ন্যাক্কারজনক গণহত্যা ঘটে, যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করে। জাতিসংঘ এই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য। আমাদের দাবি আদায়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বন্ধুদের ধন্যবাদ।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের প্রতিটি ঘটনাই গণহত্যার, যা দেশে-বিদেশে দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন। বাংলাদেশি গণহত্যা নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট ও ইউএস কংগ্রেসে আলোচনা হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আমস্টারডামের ভ্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধাপক ড. এ্যানথনি হলসল্যাগ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশে জেনোসাইডের বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ এখনও চলমান। এটি শেষ হলে স্বীকৃতি আদায়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
মাহবুব জামান বলেন, বাংলাদেশ জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ২০২০ সাল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে কাজ করছে আমরা একাত্তর। এ উপলক্ষে তারা বাংলাদেশে দূতাবাস আছে এমন সবগুলো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, যাতে সেসব দেশের সংসদে এটি নিয়ে আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। যেখানে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরাও অংশ নিচ্ছেন যারা এই জেনোসাইডের স্বীকৃতি চান।
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
বিদেশি প্রতিনিধিরা আগামী এক সপ্তাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগ ঘুরে দেখবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যালের প্রধান প্রসিকিউটর, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করবেন। এছাড়াও তারা রায়েরবাজার ও মিরপুর জল্লাদখানা, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং পরে চট্টগ্রাম ভ্রমণ করবেন। চট্রগ্রামে ও তারা বিভিন্ন বধ্যভূমি পরিদর্শন, শহীদ স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করবেন। দুই দিনের সফরে সেখানে তারা সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নেবেন।
যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সাংবাদিক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘আমি আমার জীবনের ২০ বছর কাটিয়েছি বাংলাদেশের জেনোসাইড বিষয়ে পড়াশোনা করে। এই সম্মেলন ও ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে কী ঘটেছিল তা আরও ভালোভাবে জানতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের মাধ্যমে যুদ্ধাপরধীদের বিচার প্রক্রিয়ার ফলে এক ধাপ এগোনো গেছে। এখন পরবর্তী ধাপ পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’
ইবিএফ-এর যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ বলেন, ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য গণহত্যার শিকার ব্যাক্তিদের সাক্ষাৎকার নেবেন। পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন পার্লামেন্টে স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরা হবে।’
ইবিএফ এর নেদারল্যান্ডস শাখার সভাপতি ও প্রবাসী সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) এর চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া বলেন, ‘আর্মেনিয়ান গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে একশ’ বছর লেগেছে। আমরা এতদিন লাগুক তা চাই না। বাংলাদেশের জন্মের ৫১ বছরেও গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি, তার অন্যতম কারণ আমাদের রাজনৈতিক বিভেদ; যা বিদেশেও বিদ্যমান। সব পক্ষ মিলে চাইলে এই কাজ আরও দ্রুত হবে বলে আশা করি।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ সন্তান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ত কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট এবং দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রভাব পড়ার কথা স্বীকার করে এই অনুরোধ জানান।
শনিবার বিজিএমইএ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম(অর্থ) এবং সংগঠনটির পরিচালকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১২-১৮ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজন করা হবে। যাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চিত্তাকর্ষক গল্পসমূহ ও উৎকর্ষ সাধনের ক্রমাগত প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ -এর উদ্বোধন করবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই শিল্প ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক বছর নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে ধীরে ধীরে আমাদের কাজের আদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে,’ উল্লেখ করে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে সম্ভাব্য মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী বছরের কার্যাদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে এসেছে।
ফারুক হাসান বলেন, অনেক খুচরা বিক্রেতা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে এবং অনেক ব্রান্ডের পণ্যের বিক্রির হার কমে যাওয়ার ফলে অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় সামনের মাসে আমাদের রপ্তানির ধারাবাহিকতায় নেতিবাচকতা দেখা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি মুনাফার ওপর ১ শতাংশ উৎস কর আরোপ করেছে সরকার। বিজিএমইএ প্রধান সরকারকে বিগত বছরের মতো (০.৫ শতাংশ) রাখার অনুরোধ জানান।
সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের এই আয়োজনে মেলা, প্রদর্শনী, পুরস্কার, কারখানা ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিংসহ শারীরিক ইভেন্ট উপস্থাপন করা হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এটি একটি সাংকেতিক ঘটনা। বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক রপ্তানি করে দেশটি।
মেড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতা শুরু করতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সকল মালিকদের একত্রিত করা।
এছাড়াও, টেকসই এবং দায়িত্বশীল ব্যবসা সম্প্রসারণে সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির জন্য আয়োজনটি কাজ করবে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, দেশের পোশাক শিল্পের প্রশস্ততা প্রদর্শনের পাশাপাশি, এই সপ্তাহের লক্ষ্য ভবিষ্যতের অগ্রাধিকার এবং অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার
সুযোগগুলো চিহ্নিত করা। যাতে বিশ্বব্যাপী পোশাকের সোর্সিংয়ের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ থাকে, তা নিশ্চিত করা।
এতে বলা হয়েছে, মেড ইন বাংলাদেশ উইক হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক ঘটনা।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি জোরদার করার গুরুত্ব এবং টেকসই উৎপাদন ও সোর্সিংয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সূচনার জন্য, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ বাংলাদেশে ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন কনভেনশনের আয়োজন করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরামকে(আইএএফ) সুপারিশ করেছে।
আইএএফ সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এবং ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন সম্মেলন বাংলাদেশে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ -এর সহযোগিতায় ২০২২ সালের ১২-১৫ নভেম্বর -এর মধ্যে ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যা অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে পরিবর্তন নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। কিন্তু এখন অনেক বাংলাদেশি দক্ষ মানুষ উন্নত দেশে কাজ করায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পেয়েছি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৩.২৫ বিলিয়ন ডলার
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্নত দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কারণে রেমিট্যান্স আয় বৈচিত্র্যময় হবে।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে যা এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
মার্চে বাংলাদেশ সৌদি আরব থেকে ৩৭৭ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ২১৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন, কুয়েত থেকে ১৪৪ দশমিক ৪৮, কাতার থেকে ১১৯ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন, ইতালি থেকে ৮৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন, মালয়েশিয়া থেকে ৮১ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৭৪ দশমিক ৩০ ও বাহরাইন থেকে ৮৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বলছেন অর্থনীতিবিদরা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রবাসীরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন।
ইউক্রেনে ১৬ শিশু নিহত ও ৪৫ জন আহত: প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে ১৬ ইউক্রেনীয় শিশু ও আরও ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ‘প্রতিটি অপরাধ, দখলদারদের প্রতিটি গুলি আমাদের ও আমাদের সহযোগীদের আরও কাছে নিয়ে আসে।’
এ সময় তিনি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করেছেন এবং দাবি করেন এগুলো রুশ মুদ্রার মান কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির সদস্য পদের জন্য বিশেষ ও দ্রুত পথের আহ্বান জানান।
সাড়ে চার হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে রুশ সেনাদের আত্মসমর্পণ ও দেশ ((ইউক্রেন) ত্যাগের আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের কমান্ডারদের বিশ্বাস করবেন না; অপপ্রচারণায় বিশ্বাস করবেন না; শুধু জীবন বাঁচান।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ান হামলায় বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান পুড়ে ছাই
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
সৃজনশীল উদ্দীপনার নেপথ্যে পরিবেশের প্রভাব অনস্বীকার্য। সেই সূত্রে প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে জীবনযাপনের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনের মানোন্নয়নের নিমিত্তে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভিড় করে নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়েতে। পূর্বে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোটা থাকলেও এখন আর সে সুবিধা নেই। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য এই দেশটি। চলুন, নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়গুলো জেনে নিই।
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষায় স্কলারশিপ
নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষায় স্কলারশিপের জন্য গত কয়েক শিক্ষাবর্ষ ধরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি যে স্কলারশিপ প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে তা হলো- ইরাসমাস মুন্ডাস। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের যৌথ প্রোগ্রামে মাস্টার্স বা ডক্টরেট প্রোগ্রামের সুবিধা দিয়ে থাকে।
গত বছর তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৪৫০টি বৃত্তি বরাদ্দ করেছিলো। চলতি বছর তারা ২ হাজার ৭৫৬টি স্কলারশিপ প্রদান করবে। প্রায় প্রতিটি বিষয়েই পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে ইউরোপের এই উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপটি।
মাস্টার্স প্রোগ্রামের ২ বছর বা ডক্টরাল প্রোগ্রামের ৩ বছরের পুরো অধ্যায়নকালের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে থাকে ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ। সম্পূর্ণ খরচটি পরিচালিত হয় ইউরোপীয় কমিশন দ্বারা।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা
ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য তিনটি ভিন্ন ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশে অধ্যয়ন করতে পারবে। অর্থাৎ প্রতিটি সেমিস্টার তারা কাটাতে পারবে আলাদা দেশে। প্রোগ্রাম শেষে তারা ইউরোপের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দ্বৈত ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে।
মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে প্রায় ১১০০ থেকে ১২০০ ইউরো, যার মূল্যমান ১২০০ থেকে ১৩০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি।
আন্তর্জাতিক বিমান ভাড়ার টিকিট ও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিউশন ফি’র পাশাপাশি আছে অধ্যয়নকালীন যাতায়াত ভাতা। সেমিস্টার শেষ হলে দেশ থেকে দেশে ভ্রমণ খরচ দেয়া হয়। পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার জন্য কোন সীমাবদ্ধতা নেই। মাস্টার্স/পিএইচডি করার পর জব ভিসা দেয়া হয়। ডিগ্রির পর থাকছে ইউরোপে চাকরির সুযোগ।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্কলারশিপের জন্য যোগ্যতা
ব্যাচেলরে থাকা তৃতীয় বর্ষের বা ফলাফল প্রতীক্ষিত শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে এই স্কলারশিপের জন্য। কোন প্রফেসরের সাথে বা অন্য কোন যোগাযোগের প্রয়োজন নেই। ফলে বাদ থেকে যাচ্ছে জিআরই’র প্রয়োজনীয়তা।
আবেদনের সময় ব্যাচলরসহ ন্যূনতম ১৬ বছরের অধ্যয়নকাল দেখাতে হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যাপার হলো, এখানে কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই এবং সিজিপিএ’র ক্ষেত্রে বেশ শিথিলতা আছে। ২.৫ থেকে ৩ সিজিপিএ প্রাপ্তরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারছে। এছাড়া থাকছে না বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা।
তবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতায় প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য গড়ে আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৬.৫ চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে যে ইনস্টিটিউটে আবেদন করা হচ্ছে তার ওয়েবসাইটে ভালোভাবে খোঁজ করতে হবে ভাষাগত কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি না। সম্প্রতি আইইএলটিএস-এর বিকল্প হিসেবে ডুয়োলিঙ্গো নামে একটি ইংরেজি দক্ষতা টেস্ট চালু করা হয়েছে। এটাও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে থাকে। ডুয়োলিঙ্গো টেস্ট অনলাইনে ঘরে বসেই দেয়া যায়।
আরও পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ইইউ চলচ্চিত্র উৎসব
বাংলাদেশের ও ইউরোপের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে গুরুত্ব দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ইইউ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।
বুধবার বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলচ্চিত্র উৎসব (বিইইউএফএফ) শিরোনামে অনলাইনে এই উৎসব শুরু হয়েছে।
জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, স্পেন, গোথে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল সদস্য রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলির অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিল গেটসের সাবেক প্রেমিকা ও বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রেমকাহিনী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে উপলক্ষে ইইউ প্রথমবারের মতো এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করলো। অনুষ্ঠানটি চলবে ৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ ও ইউরোপের মোট ২১টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
আরও পড়ুন: সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে আবারও আলোচনায় ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ জুটি
উৎসবে বাংলাদেশি তরুণ সাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাতটি চলচ্চিত্র, ৭ টি ইইউ চলচ্চিত্র এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সাতটি আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশে থাকা দর্শকরা অনলাইনে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন চলচ্চিত্রগুলো।
ইউরোপীয় চলচ্চিত্রগুলো বাংলা সাবটাইটেলসহ দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালের অন্যরকম ৭টি বাংলা থ্রিলার সিনেমা
ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কার্যালয় আরও জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছে। নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা এবং সুশাসনসহ অনান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ইইউ এবং এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো টিম ইউরোপ গঠন করে ডিসেন্ট ওয়ার্ক (ভালো কাজ/ কার্যকরী পদক্ষেপ) এবং গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন (সবুজ শক্তি বিনিময়) নামে দুটি নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
রোহিঙ্গা মানবিক সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অব্যাহত সমর্থন দেয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।