আজকের খবর - 25-04-2024
আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১১৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ভারতের দিল্লি, মিশরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
খাগড়াছড়িতে তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ
তীব্র তাপদাহে খাগড়াছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে নিম্নআয়ের যেসব মানুষকে বাইরে রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। যেখানে-সেখানে পানি, শরবত ইত্যাদি পান করে অনেক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীও বেড়েছে খাগড়াছড়িতে।
বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ মৌসুমি রোগবালাই। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা মেলে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মেঝেতে রোগীর সেবা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে বহিঃবিভাগেও।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে একটি বেডে বিপরীতে ২ জনেরও বেশি শিশু। ইদানীং প্রতিনিয়ত জেলা আধুনিক হাসপাতালে ১৫ বেড থাকলেও চিকিৎসাধীন ৪০ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০টি বেডের বিপরীতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে ২০২ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১ ২৯ জন রোগী আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ মাসে নিউমোনিয়ায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, আউটডোর ও ইনডোরে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছেও বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা