%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
বাংলাদেশের ৩০ হাজারেরও বেশি পোশাক শ্রমিকের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বাড়াতে আয়াত এডুকেশন এবং ইন্টিগ্রাল গ্লোবালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
ফেসবুকে পোস্টে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশি সংস্থা আয়াত এডুকেশন বৃহস্পতিবার বলেছে যে ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন কারখানা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত এবং করোনার ঝুঁকি কমিয়ে গার্মেন্টস কর্মীদের সুস্থতা ও উৎপাদনশীলতা জোরদার করা।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান এবং আইজির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ত্রি-পক্ষীয় অংশীদারত্ব আয়াত এডুকেশন পাঁচটি পোশাক কারখানার সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতা, করোনা টিকা (দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ) সম্পূর্ণ করতে তাদের অনুপ্রাণিত করা এবং সহায়তা করা এবং সেরা কারখানা পরিচালনার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাসহ একটি ডিজিটাল টুলকিট (ওয়েবসাইট) প্রস্তুত কবরে।
ডাচ ডিজাইন উইকে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা
বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নেদারল্যাণ্ডে আইন্ডহোফেন শহরে মর্যাদাপূর্ণ ‘ডাচ ডিজাইন উইকে’ অংশ নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি নির্মাতা ও উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশকে ডাচ উদ্যোক্তাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য দিনব্যাপী একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ডাচ ডিজাইন উইকে অংশ নিচ্ছেন। আর এই ইভেন্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে আগ্রহী ডাচ উদ্যোক্তা এবং ডিজাইনারদের সঙ্গে কিছু নেতৃস্থানীয়, উদ্ভাবনী বাংলাদেশি নির্মাতাদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করা।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ব্যাংকগুলোকে সিটিজেন’স চার্টার প্রস্তুতের নির্দেশ
আয়োজিত ইভেন্টে এপেক্স ফুটওয়ার, এসিআই, নারিশ, মুন্নু সিরামিক, ওয়ালটনের মতো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো যোগ দিবে।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী জাহাজে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি নিষিদ্ধের দাবি
প্রতি বছর শত শত ডিজাইনার, উদ্ভাবক উত্তর ইউরোপের বৃহত্তম ডিজাইন ইভেন্টে একত্রিত হন, যেখানে উদীয়মান চিন্তাভাবনা বা ডিজাইন, উদ্ভাবন, নতুন উপকরণ, স্থায়িত্ব ধারণাগুলো ইউরোপ এবং তার বাইরের উদ্যোক্তাদের কাছে প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
ইউরোপ সার্কুলার ইকোনমির দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইইউ গ্রিন ডিল দ্বারা চালিত হওয়ায় ভোক্তারা ন্যূনতম কার্বন ফুট প্রিন্ট মার্ক সংবলিত পণ্যগুলোর প্রতি ক্রমাগত আকৃষ্ট হচ্ছে এবং নতুন ধরনের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করছে।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (২ থেকে ৬ অক্টোবর) দেশে ৩৫৭ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এতথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়ানো সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহ কমে যায়। অক্টোবরেও এই প্রবণতা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছিল গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর অক্টোবরেও রেমিটেন্স প্রবাহের ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ৩৫৭ দশমিক সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় বাংলাদেশে এসেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাচ্ছে। এই বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এক দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া যাবে।
অথচ অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়।
আর্থিক খাতের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন,কারণ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ১৫ অক্টোবর থেকে পণ্য বিক্রির জন্য একটি নতুন প্রচার শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারি, আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আমরা প্রথম দিন থেকেই লাভে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শামীমা বলেন, ইভ্যালি এক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা চালাতে পারলে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি গ্রাহকদের ইভ্যালিতে বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন মঞ্জুর
শামীমা বলেন, ‘আমাদের অপারেশন পরিচালনার জন্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক আছেন।’
যেকোনো শর্তে রাসেলের জামিন চাইবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভ্যালির জন্য এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ইভ্যালি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রেপ্তারের পর অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এখন আবার ব্যবসা শুরু করলে নতুন বিনিয়োগকারী আসবে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শামীমা বলেন, ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা (ব্যবসায়িক সহযোগী) তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনা সহজ হবে।
তিনি বলেন, জামিনে মুক্তির পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে হলফনামার মাধ্যমে চার শতাধিক বিক্রেতা ইভ্যালিকে নতুন পণ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ইভ্যালি পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছে হাইকোর্ট।
ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ই-ক্যাবের মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. কাজী কামরুন নাহার বোর্ডে রয়েছেন।
শামীমা বলেন, ‘আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি, পিক অ্যান্ড পে এবং ডেলিভারির আগে নগদ পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইভ্যালি লাভ ছাড়া একটি পণ্যও বিক্রি করবে না।’
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
টানা ৮ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা আট দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শনিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, দুর্গাপূজার উৎসব পালনে আট দিন ধরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি কাটিয়ে শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ পুলিশ কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, ছুটিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে চালু ছিল হিলি ইমিগ্রেশন বিভাগ।
পার্সপোটধারী যাত্রী পারাপার স্বভাবিক ছিলো। তবে ভারতে গমনকারীদের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কিছুটা বেশি।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
এখনও আগের দামেই লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে যে দামে কেনা হয়েছিল, মঙ্গলবার তারা সেই দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। তাই বাজারে কম দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রূপক সাহা ইউএনবিকে বলেন, সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে কম দামে সয়াবিন তেল পেতে আগামী দুই দিন সময় লাগবে।
রিফাইনাররা মঙ্গলবার (আজ) থেকে খোলা ও বোতলজাত তেলের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও এখনও বোতলজাত তেল লিটারপ্রতি ১৯২ টাকা এবং খোলা তেল লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমল
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম নিশ্চিত করতে তাদের মনিটরিং টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে ইতোমধ্যেই মিল গেটে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে এবং এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরবিএমএ) সোমবার থেকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ৮৮০ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রতিকেজি পাম তেলের দাম ১২ টাকা ও চিনির দাম ৬ টাকা কমল
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
রপ্তানি কমেছে সেপ্টেম্বরে: ইপিবি
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।
রবিবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, বাইসাইকেল ও আসবাবপত্রের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবি’র প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ গত মাসে (সেপ্টেম্বর) তিন দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
যাইহোক, চলতি অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এর প্রথম তিন মাসে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যার মূল্য ছিল ১১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার।
মূলত পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় গতমাসে সামগ্রিক রপ্তানি কমেছে। আগের মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে তিন দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের। যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় সাত দশমিক ৫২ শতাংশ কম। গত মাসে বোনা ও নিট উভয় পোশাকের রপ্তানি কমেছে।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানকার মানুষ গাড়ি এবং মুদির জন্য জ্বালানি ছাড়া অন্য সব কেনাকাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
সে কারণে বিদেশি ক্রেতারা দুই থেকে তিন মাস কম অর্ডার দিচ্ছেন। অনেক কোম্পানি ক্রয় আদেশের পণ্য প্রস্তুত হওয়ার পরও চালানের অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানান তারা।
বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল রবিবার বলেছেন যে বিজিএমইএ ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে প্রবৃদ্ধি মন্দার প্রাথমিক ইঙ্গিত শেয়ার করেছে, যা সেপ্টেম্বরের রপ্তানি ডেটাতে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজার কোভিড-পরবর্তী কনটেইনার ফ্রেইট এবং সাপ্লাই চেইন সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং তারপরে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত মন্দা থেকে শুরু করে অনেক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ব্যাহত হয়েছে, যা খুচরা বিক্রয় এবং পোশাকের চাহিদাকে স্থগিত করছে।
রুবেল বলেন, ক্রেতারা তাদের ইনভেন্টরি এবং সাপ্লাই চেইনকে সর্বোত্তম করার জন্য সতর্ক পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনকি উৎপাদন ও অর্ডার আটকে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এটি বেশ নরম এবং দুর্বল পরিস্থিতি হয়েছে, যেখানে আমাদের স্থায়িত্ব এবং প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতির কারণে আমাদের বেড়ে ওঠার সমস্ত শক্তি এবং সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ২০২২ সালের শেষ সময়ের জন্য আশানুরূপ কিছু অনুমান করা কঠিন করে তোলে’।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বেতন না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও
দুর্গাপূজা: হিলি স্থলবন্দরে ৮দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার ছুটি উপলক্ষে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আটদিন বন্ধ থাকবে। তবে এসময় সচল থাকবে হিলির ইমিগ্রেশন বিভাগে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত ।
হিলির কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ১লা অক্টোবর থেকে সাত অক্টোবর পর্যন্ত পূজার ছুটিতে হিলি বন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি করা হবেনা।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছুটির ওই সিদ্ধান্ত ভারতীয় হিলি এক্সপোর্টার এন্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অশোক কুমার চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনকে।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে আবার সচল হয়ে উঠবে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম।
হিলি কাস্টমস ও স্থল শুল্ক স্টেশন এর ডেপুটি কমিশনার বায়োজিদ হোসেন জানান, বন্দরে ছুটি পালনের কারণে কাস্টমসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ অক্টোবর শনিবার থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরুর সঙ্গে কাস্টমসের সকল কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে চালু হবে।
এদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ বদিউজ্জামান জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের পারাপারে সচল থাকবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি ছুটি উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন এবং ভারতের ফুলবাড়ী এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল খালেকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম চালু থাকবে।
পোশাক শিল্প উন্নয়ন তহবিলে ঋণের সুদের হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক
পোশাক কারখানার উন্নয়নে বিশেষ তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারের সহায়তায় ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তা সংস্কার, প্রতিকার ও পরিবেশগত উন্নয়নে সহায়তা’- শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে আগের ৭ শতাংশের বিপরীতে বর্তমানে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ। নতুন ও পুরাতন সব ঋণেই ৫ শতাংশ সুদের হার প্রযোজ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ জন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আড়াই শতাংশ সুদে তহবিল পাবে, যা আগে ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিনিয়োগ অনুদান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যার লক্ষ্যগুলো হলো- অগ্নিনির্বাপণ, কর্ম পরিবেশের উন্নতি, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশ বান্ধব বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৬ দশমিক ৪২ কোটি ইউরো প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থা এএফডি থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঋণ রয়েছে। বাকি অর্থ আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কেএফডব্লিউ, জিআইজেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে।
এ পর্যন্ত ১৭টি কারখানা এই তহবিল থেকে ১৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে এবং দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা অনুদান বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, পোশাক খাতকে চাঙ্গা করতে ঋণের সুদের হার কমানো হয়েছে। যাতে আরও বেশি কারখানা এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কার্যক্রম বিকাশে এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের