%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের অর্থ পরিশোধে ২৪টি ব্যাংক ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল বাবদ সরকারের বকেয়া ছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বেশি বা ২৩ হাজার কোটি টাকা।
আর্থিক সংকটের কারণে সরকার টাকা দিতে পারছে না। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। ওইসব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে দেওয়া এমন ঋণের অনেকগুলোই খেলাপি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নেওয়া ঋণের বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে।
ইতোমধ্যে ২৪টি ব্যাংক ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বন্ড ইস্যুর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হতে পারে।
এরপর ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বন্ড ইস্যু করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
'ইনসেপশন অব সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সংলাপে বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির পরিবর্তে সামাজিক বিমা চালুর সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জিআইজেড এ সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পারভীন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তারা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখলেই চলবে না।
বক্তারা বলেন, এখনই সময় সামাজিক বিমা চালুর। সরকারের অ্যাকশন প্ল্যানে বিষয়টি তুলে আনা উচিত বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন, অনেক দেশ ১০০ বছর আগে সামাজিক বিমা চালু করলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেসব দেশ এখন এই ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের উচিত সেসব দেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
মূল প্রবন্ধে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, জ্ঞানের ঘাটতি দূর করা, ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সহজতর করা, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং থিম্যাটিক ক্ষেত্রগুলোতে অগ্রগতি ট্র্যাক করার লক্ষ্যে কাজ করে এসআইএফ (সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম)।
বোধগম্যতা ও বাস্তবায়ন বাড়ানোর জন্য সাংগঠনিক ও অপারেশনাল কর্মপ্রবাহের স্পষ্টতার উপর জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, আর যাদের সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার কথা, তারা তা পায় না। যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা পায়।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
এ বাস্তবতায় সামাজিক বিমা চালু হলে এসব ফাঁকফোকর দূর করা সম্ভব হবে।
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বিমা না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন আইএলওর ঢাকা অফিসের চিফ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানি।
এর জন্য তিনি মন্থর আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। সরকার আট বছর আগে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করে। তবে তা বাস্তবায়নের গতি খুবই কম বলে জানান তিনি।
এর জন্য তিনি মূলত আমলাতন্ত্রের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেন।
‘সামাজিক বিমা সবার জন্য; এটি কেবল দরিদ্রদের জন্য নয় কারণ আমাদের প্রত্যেকে বেকারত্ব, অসুস্থতা ও বার্ধক্যের অভিজ্ঞতা হতে পারে', টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্পের (ইআইপিএস) শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান আঘাত সুরক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড সিলবিয়া পপ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা বলেন, দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিমা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং অনেক পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিমা কোম্পানিগুলোরও নিয়মিত মিনি ইনস্যুরেন্স প্রোডাক্ট থাকে।
এসব প্রকল্প ও কাজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, তাহলে সামাজিক বিমার কাজে গতি আসবে বলে জানান বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
বিদ্যুৎ খাতকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ড বিষয়ক চুক্তি করেছে সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভর্তুকির টাকা দিতে সরকারের অক্ষমতার কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তাদের দেনা শোধ করতে পারছে না। যার ফলে কেউ কেউ ঋণখেলাপি হওয়ার পথে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি'তে রাশিয়ার রোসাটম থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ
এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর, বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।
চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ১১ নভেম্বর
পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে পাট ও চামড়া খাতে বিনিযোগ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
এ ছাড়া পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটোরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সব মিশনের প্রধান এবং ট্রেড বা কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান।
যেসব পণ্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যানু্ফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবীতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার কামনা করেন।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বর্তমানে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি অংশীদারিত্বের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাদারী খাতে সার্টিফিকেশন ও অ্যাক্রিডিটেশন সমতায়নে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
এছাড়া, সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা দূরীকরণ, সেবা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মেধাস্বত্বের প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উদারীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা সত্যিই প্রসংশনীয় উল্লেখ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগের আগ্রহ প্রকাশ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
এসময়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রবিবার
রাজধানীর পূর্বাচলে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে
মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে।
ডিআইটিএফ সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলা স্থগিত করে ইপিবি।
বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। বরাবরের মতো এবারও দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ২১ জানুয়ারি ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন জয়শঙ্কর
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানী থেকে ১৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার পূর্বে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি। বাণিজ্য মেলা সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা পিছিয়ে দেয় ইপিবি।
আরও পড়ুন: শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি
মেলায় ২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। যথারীতি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ সারা দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়ছে। আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের কার্গো শাখায় কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ বলেন, খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, বিশ্ব বাজারের অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন, জলবায়ু কর্মকাণ্ড এবং ইএসজি অগ্রাধিকার এবং সরবরাহ চেইন বা ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট আগামী বছরে প্রধান সমস্যা হতে পারে।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল বলেন, ‘আমাদের জন্য পরবর্তী দশকের কৌশলটি হবে পশ্চাৎপদ সংযোগ, প্রযুক্তি, জটিল দক্ষতা উন্নয়ন এবং টেকসই গতিতে বিনিয়োগ করা।’
তিনি বলেন, সবুজ রূপান্তরের উদ্যোগকে ত্বরান্বিত ও সমর্থন করতে হবে।
রুবেল তার ‘বিয়োন্ড চ্যালেঞ্জেস: কম্প্রেহেনসিভ রিক্যাপ অব বাংলাদেশ রেডি-মেড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ইন ২০২৩’-শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘বৈশ্বিক হওয়া আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা, যেখানে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস একটি কৌশলগত উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে এসএমইগুলোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২৪ সালে পদার্পণ করতে প্রস্তুত, একটি নতুন অধ্যায়ে শুরু করার জন্য প্রস্তুত; আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি ২০২৩ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে সেগুলো অতিক্রম করেছি এবং শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
রুবেল বলেন, ‘শুধু ২০২৪ সালে নয়, আগামী দশকেও আমাদের অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
পণ্য, ফাইবার ও বাজারের বহুমুখীকরণ এবং মূল্য সংযোজনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এই সেক্টরের মূল সুযোগ।
রুবেল বলেন, ‘ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপ-গ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।’
তৈরি পোশাক শিল্পের এই নেতা বলেন, অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে, কারণ উন্নত অর্থনীতিগুলোও মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে। সেইসঙ্গে মহামারির সংকট এখনও আমাদের অর্থনীতিকে তাড়িত করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা প্রতিকূলতার একটি বাড়তি স্তর তৈরি করেছে।
মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ২০২২ সালে ৮ দশমিক ৮ শতাংশসহ রেকর্ডের শীর্ষে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
এর প্রভাবে ২০২৩ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ অব্যাহত ছিল, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পোশাকের জন্য ভোক্তাদের চাহিদাকেও প্রভাবিত করেছে।
২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামগ্রিক আমদানি ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ আমদানি হ্রাস রেকর্ড করা হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আমদানিতে ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং মার্কিন বাজারে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই চাপটি প্রধান পোশাক আইটেমগুলোর মূল্য নির্ধারণের গতিশীলতায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে আমাদের গড় ইউনিটের দাম উল্লেখযোগ্য ৭-৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মূল্য সংযোজন পোশাক উৎপাদন শুরু করেছে, একটি কৌশলগত পদক্ষেপ যা আমাদের গড় ইউনিট মূল্য বজায় রাখার অনুমতি দিয়েছে।
একইভাবে, প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের সাফল্যের তালিকায় যোগ হয়েছে বেশ কিছু অর্জন।
ইউএসজিবিসির লিড প্রত্যয়িত সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেডসহ ২০৬টিতে পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২২ সালে ডব্লিউটিও’র ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ারসহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে র্যাংকিং পুনরুদ্ধার করেছে।
রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা ইইউ বাজারে চীনের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগিতায় আছি।
আরএমজি সেক্টরের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে, গত অর্থবছর ২০২২-২০২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এটি আমাদের আরএমজি উৎপাদনের ইতিহাসে একটি নতুন অর্জন, কারণ ৪০ বছরের যাত্রায় আমরা ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছি।
প্রধান বাজার ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে পদ্মাসেতু ও রেলওয়ে সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল (কর্ণফুলী), ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রুবেল বলেন, ‘বছরজুড়েই চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত দাম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।’
মার্কিন প্রকাশনা এবং ইউরোপীয় শ্রম নিয়ন্ত্রণের উপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা জোর দিতে চাই এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখেও আমরা যেন শিল্পকে টেকসই করতে এবং আমাদের কর্মী ও সম্প্রদায়ের আরও ভালো যত্ন নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফ আহমেদ।
জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিমার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল বারী। আর সহসভাপতি হিসেবে পুণঃনির্বাচিত হয়েছেন হাইটেক স্টিল অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড ও জাবের স্টিলের চেয়ারম্যান এবং জে এন কর্পোরেশন ও ট্রেড ল্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. জুনায়েদ ইবনে আলী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বারের ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আশরাফ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান ডিসিসিআইয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসান ফজলে রাব্বি।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত অন্য পরিচালকরা হলেন- মো. সালিম সোলায়মান, মো. সিয়াম আল-দ্বীন মালিক, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাইফ, নাইমুর রহমান ও সাইফ উদ্দৌলাহ্।
আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ
ঢাকা চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আশরাফ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত জেষ্ঠ সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন থেকে ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় স্নাতক এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
জুনায়েদ ইবনে আলী বাংলাদেশ সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্লেট ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস্ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেষ্ঠ সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন:সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু