%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
সয়াবিনের খোলা তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাত তেলের
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়াতে পরিশোধনকারীদের দাবি জানানোর একদিন পরই এ দাম নির্ধারণ করা হলো।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেলের দাম পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে একজন ভোক্তাকে এখন পাঁচ লিটারের ভোজ্যতেলের বোতল কিনতে অতিরিক্ত ১৮ টাকা দিতে হবে অর্থাৎ ৮১৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আগে এর দাম ছিল ৮০০ টাকা।
আরও পড়ুন: খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৭ টাকা।
এর আগে গত বুধবার ভোজ্যতেল শোধনাগার কোম্পানিগুলো লিটারপ্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, গত দুই মাস ধরে যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানো হয়েছিল, তা গত সোমবার শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের
গত ১৫ এপ্রিল ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার(১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএর নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা চিঠিটি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতি থাকায় গত ১৫ এপ্রিল ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
তবে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দিনেই পুঁজিবাজারে বড় পতন
ঈদের পাঁচ দিনের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস সোমবারে বড় পতনের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আবারও ৫ হাজার ৮০০ এর নিচে নেমেছে। বৈশ্বিক জ্বালানি লেনদেনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত মধ্যপ্রাচ্যে অনিশ্চয়তার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। সে কারণেই লোকসান এড়াতে শেয়ার বিক্রি শুরু করায় শেয়ারবাজারে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিন শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।
ঈদের ছুটির আগে প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৮৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৭৭৮টিতে স্থির হয়।
ঈদের ছুটির আগের ৩ দিনে ডিএসইতে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছিল।
এছাড়া শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৬ এবং শীর্ষস্থানীয় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেন হওয়া প্রায় ৮৫ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমেছে ৩৩৬টির, বেড়েছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির শেয়ার দর।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মূল্য সূচক ১৯৮ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৩৪ পয়েন্টে এবং সিলেক্টিভ ক্যাটাগরি ইনডেক্স (সিএসসিএক্স) ১১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে।
শেয়ারবাজারের শুরু তীব্র নিম্নমুখী হয়ে দিন শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি।
বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ঈদ উদযাপন শেষে এখনো ঢাকায় ফিরে না আসায় লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে: বিবিএস
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রাক্কলন মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২ দশমিক ২০ শতাংশ ছিল।
শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১০ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।
এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে বিবিএস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিবিএসও উৎপাদন পদ্ধতিতে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে।
উৎপাদন ও ব্যয়ের উপর নির্ভর করে বার্ষিক জিডিপি অনুমান করা হয়।
চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশে প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশ ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংক শাখাগুলোতে আসে।
রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অর্থাৎ, প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রাম এবং সিলেট ও কুমিল্লা তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিতে সবাইকে আরও আন্তরিক হতে হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
এর মধ্যে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।
এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছর ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন।
বরং তারা (প্রবাসীরা) সম্পদ দেশে বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আরও আন্তরিক ও স্মার্ট সেবা প্রদান করা হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য
এখন থেকে চালের বস্তা বাজারজাতকরণের আগে বস্তার গায়ে ধানের জাত, মিল গেটের মূল্য এবং বস্তার ওজন লিখতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করতে হবে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এরই মধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের আগে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।
চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব ধরনের চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
নির্দেশনাগুলো মেনে না চললে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বাজারে দাম বৃদ্ধির দ্রুততম গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
বৈশ্বিক এই প্রবণতার ধারাবাহিকতায় সোমবার একই দিন বিকাল ৪টা থেকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস।
শনিবার স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা বা প্রতি গ্রামের দাম ১০ হাজার ৮০ টাকা; ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য সমন্বয় দেখা গেলেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যার মধ্যে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রতি আউন্স (৩১.১০৩ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩২৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণের দাম বাড়ার জন্য মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে দায়ী করা হয়েছে যে কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে।
বৈশ্বিক আর্থিক বাজার এবং পণ্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বাংলাদেশে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণের কৌশলকেও প্রভাবিত করে।
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চলেছে বেসিক ব্যাংক।সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং সিটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিনের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এই কৌশলগত একীভূতকরণের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়।
বেসিক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের মধ্যে একীভূতকরণ স্বেচ্ছায়ই হতে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়। গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের সুপারিশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও উভয় ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সংযুক্তিকরণ সত্ত্বেও আগামী তিন বছর দুই ব্যাংক আলাদাভাবে তাদের আর্থিক হিসাব দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দেশে ব্যাংক একীভূতকরণের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক সম্ভাব্য সংযুক্তিকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর জনগণকে জানানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের মধ্য দিয়ে কৌশলগত একীভূতকরণের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তার মধ্যেই এই নতুন পদক্ষেপ এলো।
বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকে এবং রাকাব বিকেবির সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে
ব্যাংকিং খাতকে সুশৃঙ্খল করার অংশ হিসেবে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অধিগ্রহণ করবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বৈঠকে এই একীভূতকরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
বিকেবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক উভয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে এবং ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে সোমবার বিকেবি ও রাকাবের মধ্যে একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
এছাড়াও বিডিবিএলকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ না হলে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মার্চে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ: ইপিবি
চলতি বছরের মার্চে ৫১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায় যায়, গত চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ মাসে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি এখন পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ফলে সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৭৯ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চ মাসের শেষে পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি