%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থা চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কাউন্টার-ট্রেড আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পারস্পরিক বিনিময় পদ্ধতি যেখানে পণ্য বা পরিষেবাগুলো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে অন্যান্য পণ্য বা পরিষেবাদির জন্য বিনিময় করা হয়।
এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। অর্থাৎ বিদেশে কোনো কোম্পানি থেকে ১০০ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওই কোম্পানির কাছে টাকা পরিশোধ না করেই, তারা একই মূল্যের আরেকটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসব লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রয়োজন হবে না।
রবিবার(১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দামের সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের দাম সমন্বয় করা যাবে।
এক্ষেত্রে এ দেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীরা কাউন্টার-ট্রেড প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে দেশে এসক্রো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে, যাতে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমদানি মূল্য জমা দেওয়া হবে।
এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য আমানতের স্থিতির বিপরীতে স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে।
এসক্রো হিসাবের অবস্থা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের মতো বিদেশি ব্যাংকে এসক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
আসন্ন রমজানে মরিচ, আলু, শসা, বেগুনসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল জাতীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এই খাতের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, কোনো অসাধু ব্যক্তি যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
রবিবার(১০ মার্চ) সকালে কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স বিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। এ মাসকে কেন্দ্র করে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজি যেমন বেগুন, মরিচ, আলু, শসা ইত্যাদির সরবরাহ ও মূল্য যেন স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে কেউ যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এই খাতের ব্যবসায়ীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি, পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে এই খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দেশে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগই সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থার উন্নয়নে সঠিক পরিসংখ্যান ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে পথে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হাজী আবুল হাসেম বলেন, কাঁচামাল নিয়ে সাধারণ ভোক্তারা সব সময় আগ্রহী হলেও রমজান মাস এলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অহেতুক দাম বাড়িয়ে বা সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে বিপদে না ফেলার আহ্বান জানান তিনি।
হাসেম বলেন, মানুষ যেন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে কটু কথা বলার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. এমরান মাস্টার।
তিনি বলেন, বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা বা সংকট এড়াতে সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের বিপণন ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু ও আধুনিক করতে আড়ৎদারদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল গঠন ও সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়াও পণ্যের সংকট যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কাঁচামাল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি দেশের কোন জেলায় কী পরিমাণ ফসল ও শাকসবজি উৎপাদিত হচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার, শহিদুল হক মোল্লা, আমির হোসেন নূরানী, তপন কুমার মজুমদার, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী
এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এস আলম গ্রুপের চিনিকলে অগ্নিকাণ্ডে চিনির সরবরাহ ও দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বুধবার (৬ মার্চ) প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর ওপর এক কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা আগুনে কী পরিমাণ চিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রাথমিক নিরূপণ সম্পন্ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, এই পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ হাজার টনের মধ্যে হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
তিনি আরও বলেন, ‘রমজানে প্রায় ৩ লাখ টন চিনির প্রয়োজন হলেও কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনির পরিমাণ চাহিদার ১০ শতাংশের কম। এ ঘটনায় চিনির বাজার দরে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানে উচ্চ চাহিদা রয়েছে এমন বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে খেজুরসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা এলিজাবেথ গাচুরি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতি লিটারের দাম ১৬৩ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী উদ্যোক্তাদের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য ১.১০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে টিসিবি
সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দিতে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল তারা সেই চিঠি পেয়েছেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে দেশে পেঁয়াজ আসবে।
শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর আছে। এর মধ্যে বস্তায় বস্তায় আসা জায়েদি খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
পবিত্র রমজানের আগমন ও মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে চিনির দাম বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতি কেজি চিনির খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা আগের মূল্যের ভিত্তিতেই বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
এর আগে সকালে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) চিনি উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়ল ২০ টাকা
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পের জন্য ১০ বছরের কর মওকূফ এবং সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
দেশের জুয়েলার্সদের শীর্ষ সংগঠন বাজুস এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয়।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ বাজুস নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
বাজুস স্বর্ণের ওপর ৩ শতাংশ ভ্যাট, অলঙ্কারের ওপর কর অব্যাহতি এবং অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক ইউএনবিকে বলেন, পর্যটকদের জন্য স্বর্ণের বার আনা বন্ধে তারা স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে স্বর্ণ আমদানির করমুক্ত সীমা ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যাগেজ নিয়মের সমন্বয় সাধন করে যাত্রীকে ওয়ান টাইম ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাজুস।
এর আগে এনবিআর কর মওকূফ স্বর্ণ ২০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ১০০ গ্রাম করে। এনবিআরের এ সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখনও সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা আবারও ভ্রমণকারী ও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য করমুক্ত স্বর্ণ আমদানির সীমা কমাতে চান।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়ল ২০ টাকা
চিনি উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। ফলে কেজিপ্রতি চিনির দাম বাড়ল ২০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চিনির নতুন দর নির্ধারণ করে একটি আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিএসএফআইসি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পণ্যটির আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এখন থেকে মিল গেটে করপোরেশনের ৫০ কেজির বস্তা চিনির বিক্রয়মূল্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা (প্রতি কেজি ১৫০ টাকা) এবং ডিলার পর্যায়ে ৭ হাজার ৮৫০ টাকা (প্রতি কেজি ১৫৭ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।
করপোরেশনের মিল গেট বা করপোরেট সুপার শপগুলোতে এক কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির হার ১৫৫ টাকা এবং চিনি শিল্প ভবনের সুপার শপ, বেজমেন্ট ও মার্কেটে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির সর্বোচ্চ মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
চাল বিপণনের আগে সব চালের বস্তায় চালকল মালিকদের নাম, ঠিকা, উৎপাদনের তারিখ, মূল্য ও জাত সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে এ ধরনের তথ্য ছাপাতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি দেশের কয়েকটি চাল উৎপাদনকারী জেলা পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল বিভিন্ন নাম ও দামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে চলে গেলে বা হঠাৎ করে বেড়ে গেলে মিল মালিক, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে কাঙ্ক্ষিত জাতের ধান-চাল কিনতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চালের বাজার মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চাল উৎপাদনকারী মিলারদের গুদাম থেকে বাজারে চাল সরবরাহের আগে উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলা, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেটের মূল্য ও চালের বস্তায় ধান/চালের প্রকারভেদ এবং প্রকৃত ওজন অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বস্তা/ব্যাগের গায়ে উল্লেখিত তথ্য হাতে লেখা যাবে না, বরং প্রিন্ট করার কথা বলা হয়েছে। এমনকি সকল চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকদের (অটো/হাসকিং) সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটে (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) উপরোক্ত তথ্যাদি মুদ্রণ করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
যে কোনও কর্পোরেট সংস্থার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে কোম্পানি মিল গেট মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারে।
অত্র পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনের সময় এটি নিশ্চিত করবেন।
লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে খাদ্য উৎপাদন, মজুদ, হস্তান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং ব্যাংক কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের ইউএনবিকে বলেন, রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় ব্যাংকগুলোতে করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়েছে এবং খেলাপি ঋণ কমানোর একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
নাসের বলেন, ঋণখেলাপিরা নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যেমন- নতুন জমি, বাড়ি, গাড়ি কেনা এমনকি নতুন ব্যবসা খোলার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।
নাসের বলেন, ‘সামগ্রিক খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ কমানো এবং জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে বেনামী ঋণ বিতরণ ও সীমার অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
রাইট অব (অবলোপন) ঋণ ৩ বছর থেকে ২ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে খেলাপি হওয়ার আগে শতভাগ প্রভিশন রাখার নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ৪ হাজার ৩৩০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে যাবে।
তিনি বলেন, রাইট অব ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সমন্বয়ে একটি ইউনিট গঠন করতে হবে।
ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রেসড অ্যাসেট (খেলাপি ঋণ) আলাদা ব্যালেন্স শিটে দেখাতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমের জন্য নতুন এআই রোডম্যাপ প্রকাশ করল ইউনেস্কো
অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হতে এনবিআরের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
রাজস্ব আদায় বাড়াতে অসাধুদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে এবং সৎ ব্যবসায়ীদের কর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআরকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করলেও এখনো আমাদের কর জিডিপি অনুপাত সন্তোষজনক নয়। আশা করি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করের জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর চেষ্টা করবে।’
আলী বলেন, ‘কাস্টমসের অন্যতম প্রধান কাজ বাণিজ্য সহজীকরণ। আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাস্টমসকে সত্যিকারের স্মার্ট, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কাস্টমসের অন্যতম দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কাস্টমসের সক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা বিশেষ নজর দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার ও কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এ ছাড়া এনবিআর সদস্য জাকিয়া সুলতানা, মো. মাসুদ সাদিক, হোসাইন আহমেদ ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির বক্তব্য রাখেন।