স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
মার্কিন ডলারের জন্য খোলা বাজারে জনসাধারণের নির্ভরতা বাড়ায় প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকায়।
সম্প্রতি খোলা বাজারে বেশি দামে ডলার বিক্রির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর খোলা বাজারে ডলারের সংকট আরও তীব্র হয়।
এ অবস্থায় অনেকেই তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি ডলার ১২০-১২১ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন। সূত্র জানিয়েছে, যারা চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণ করছেন তাদের জন্য তারা ডলারের একমাত্র উৎস হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
জানতে চাইলে ঢাকার মতিঝিল এলাকার একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মালিক জামাল (ছদ্মনাম) আজ ইউএনবিকে বলেন, আমরা ১১৫ টাকায়ও ডলার কিনতেও পারি না। ‘আমরা কীভাবে প্রতি ডলার ১১৩ দশমিক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারি।’
অন্যান্য অনেক মানি চেঞ্জার ও মার্কিন ডলারের স্বতন্ত্র ভাসমান ব্যবসায়ীরা মুদ্রার সরবরাহ সংকটের কারণে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
এক মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১১২ টাকা থেকে ১২০-১২১ টাকায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি করতে বলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে মার্কিন ডলারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে এবং টাকার মান কমছে। ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে বেশিরভাগ মানি চেঞ্জারের কাছে ডলার নেই।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ হেলাল সিকদার বলেন, মানি চেঞ্জারদের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১১ দশমিক ৮০ টাকা এবং ১১৩ দশমিক ৩০ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, ‘এই দামে কেউ ডলার পাচ্ছে না, তাই মানি চেঞ্জাররা এখন খালি হাতে বসে আছে।’
খোলা বাজারে ডলারের ঘাটতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ডলার লেনদেন হচ্ছে, কিন্তু সবাই তা বিক্রি করছে না।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদের হার ৫০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যাংকগুলোর ঋণের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যে পদ্ধতির ভিত্তিতে এখন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, তা 'স্মার্ট' বা ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের চলমান গড় হার নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকগুলো এখন রেফারেন্স লেন্ডিং রেটের সঙ্গে সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে, যা ৭ দশমিক ২০ শতাংশের স্মার্ট রেট নামেও পরিচিত।
প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো স্মার্টের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করতে পারে, যা আগে ছিল ২ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় পলিসি রেট (রেপো রেট) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পর ঋণের হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সেপ্টেম্বরের 'স্মার্ট' রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে অক্টোবর মাসে ঋণ দিতে পারবে।
চলতি মাসে বড় ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ সুদ নেওয়া যাবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার হবে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে আগের মতোই সর্বোচ্চ সুদ নেওয়া যাবে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে দেশের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল।
আইএমএফ ঋণের একটি শর্ত ছিল যে গত জুন পর্যন্ত প্রকৃত (নিট) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে পারেনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রগতি, সাফল্য ও বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও বৈঠকে জানানো হয়।
আইএমএফ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবে। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারদরের লেনদেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করবে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বিবি আইএমএফকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কিছু পূরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
দু’টি ব্যর্থতা আছে - রিজার্ভ সংরক্ষণ সামান্য কম এবং রাজস্ব সংগ্রহ কম। তবে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে। মুদ্রার একটি বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হারও চালু করা হয়েছে। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
মেজবাউল বলেন, ‘আমি আইএমএফের দেওয়া শর্তাবলি উল্লেখ করেছি যা অর্জন করা হয়েছে এবং যেগুলো অর্জিত হয়নি। কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার দেশে প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার প্রকৃত হিসাব মেলে না।
তিনি বলেন, অর্থ পরিশোধের ভারসাম্য বা লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতির কারণে রিজার্ভ কমছে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে জাহিদ এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে ভার্মা।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রি: ১০ ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ কী?
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূলে রয়েছে বহিরাগত কারণ। এই বহিরাগত পরিমাপের প্রধান দিক হলো ডলারের দাম।
২০২১ সালে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০০ টাকার নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তা ১০০ টাকার উপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমে গেলেও তা ১১০ টাকার উপরেই রযেছে।
জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রবেশ করছে আর কী পরিমাণ মুদ্রা বাইরে যাচ্ছে তার হিসাব রিজার্ভের সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, সাধারণত এই হিসাব কখনো ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই এই হিসাবটি নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে। ‘এর মানে হলো, কিছু ঘটছে যা আমাদের জানার বাইরে।’
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কারণে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের আমদানি-রপ্তানির বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
ফলে বন্দরের দুই পাশে হাজার হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে। বেশিরভাগই বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কাঁচামাল বহনকারী যানবাহন।
ইন্ডিয়ান পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, ভারতের অহিংস আন্দোলনের প্রবর্তক ও শান্তিকামী নেতা মহাত্মা গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আজ বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টযাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করছেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকালে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবার শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩ দিনে ১৭৩ টন ইলিশ রপ্তানি
স্বর্ণের ভরিতে কমল ১৭৫০ টাকা, রবিবার থেকে কার্যকর
সর্বশেষ দাম পরিবর্তনের মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শনিবার স্বর্ণের দাম আবারও কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে, বাজুস সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছিল, যা গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হয়।
আগামীকাল রবিবার (১ অক্টোবর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে। ভালো মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ১৭৫০ টাকা কমে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ছিল ৯৯৯৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
২১ ক্যারেটের সলিড স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৮০ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং সনাতন স্বর্ণের দাম ৬৬ হাজার ৯৫১ টাকা।
আজ পর্যন্ত ২১ ক্যারেটের সলিড স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং সনাতন স্বর্ণের দাম ৬৮ হাজার ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
অনলাইন জুয়া ও হুন্ডিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মোবাইল অর্থনীতি পরিষেবার (এমএফএস) ২১ হাজার ৭২৫টি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউর উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। এমএফএস অপারেটরদের ভবিষ্যতে এই ধরনের লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
বিএফআইইউ চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন জুয়া ও বাজি লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেন থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়াও, ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং অবৈধ হুন্ডি, গেমিং ও বাজি সম্পর্কিত লিঙ্কগুলোর একটি তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
সংস্থাটি ২১টি মানি চেঞ্জারের বিবরণ এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিএফআইইউ।
আরও পড়ুন: ১৫ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করল বিএফআইইউ
বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম, বিএফআইইউর পরিচালক, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের চিফ অব মানি লন্ডারিং এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, অপরাধী ও অর্থ পাচারকারীরা যেন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে সংসদে অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং
ভারতে রপ্তানির উদ্দেশে বরিশাল ছেড়েছে ১৯ টন ইলিশের প্রথম চালান
সরকার মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় ১৯ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতের উদ্দেশ্যে বরিশাল ছেড়ে গেছে।
আগের দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
বরিশাল থেকে পাঁচ রপ্তানিকারক-মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, মাসফি এন্টারপ্রাইজ, এআর এন্টারপ্রাইজ এবং সি গোল্ডকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বরিশাল মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মহিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক নিরব হোসেন টুটুল জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মহিমা এবং তানিশা এন্টারপ্রাইজ বুধবার বরিশাল শহরের তাদের গুদাম থেকে যৌথভাবে ভারতে ১৯টন ইলিশ রপ্তানি করেছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ইলিশের প্রথম চালান যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পৌঁছাবে।
সরকারিভাবে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগের প্রশংসা করে মাছ ব্যবসায়ী জহির সিকদার বলেন, রপ্তানির অনুমতি পেলে জাতীয় মাছের চোরাচালান কমবে এবং স্থানীয় বাজারে মাছের প্রাপ্যতাও বাড়বে।
তিনি বলেন, মনিটরিংয়ের অভাবে নিয়মিত যশোর, সাতক্ষীরা ও আগরতলা দিয়ে প্রচুর মাছ ভারতে পাচার হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩ ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ১৪ লাখ কর্মসংস্থান হবে: মুখ্য সচিব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) ১৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, বিএসএমএসএন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিএসএমএসএন-এ সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুখ্য সচিব।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ৩ হাজার ৪০০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে বিএসএমএসএন।
পাঁচটি কোম্পানি ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও তিনটি কোম্পানি শিগগিরই উৎপাদনে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে তোফাজ্জল বলেন, উন্নয়নের কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে আরও কারখানা নির্মাণ করা হবে এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশি সহায়তা বাড়াতে হবে। একটি থানা তৈরি করা হবে। তাদের চলাচল এবং অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের প্রায় ১৫২টি কোম্পানি ইতোমধ্যে এই শিল্পনগরীতে (বিএসএমএসএন) বিনিয়োগ করেছে।
তিনি স্থানীয় জনগণের ত্যাগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একসময় এখানে ১৩৯টি পরিবার ছিল। শিল্পায়নের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তাদের বাড়ি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ দেওয়া হবে।’
তোফাজ্জল পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়ে বলেন,‘আমরা উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষা চাই। এখানে পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে সব উন্নয়ন প্রকল্প করা হবে। একটি সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (সিইটিপি) থাকবে। যদি কারও নিজস্ব ইটিপি থাকে, তবে এটিকে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, তাদের সিইটিপি-তে আসতে হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি নূর-ই আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির
বেশি দামে ডলার বিক্রি: ১০ ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ কী?
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মার্কিন ডলার বিক্রির অভিযোগে ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাস্তির নির্দেশনাসহ অপরাধের কথা উল্লেখ করে এসব ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কোষাগার প্রধান এ ধরনের অপরাধের দায় উপেক্ষা করতে পারেন না।
অর্থ ও ডলারের চাহিদা ও সরবরাহের বিষয় পরিচালনা করে ব্যাংকের কোষাগার বিভাগ। কিছু ব্যাংকে কোষাগার বিভাগের প্রধান হিসেবে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের ডাটাভোল্ট
একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ১০টি ব্যাংক হলো- মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক।
এসব সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
একই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের আগস্টে দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের কোষাগার বিভাগের প্রধানদের অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে পারেনি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ‘এ ধরনের চিঠি নিয়মিত আসে। তাই এ বিষয়ে আমি সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক