আন্তর্জাতিক-ব্যবসা-বাণিজ্য
কাতারের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত ও জোরদার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল (জেবিসি) প্রতিষ্ঠায় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়। দুই দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কিউসিসিআই)।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং কিউসিসিআই চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। মূলত বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে এই চুক্তি সই হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে জেবিসি প্রতিষ্ঠা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। এ চুক্তির আওতায় কাতারের ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষেও কাতারের রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করা আরও সহজতর হবে। এছাড়া কাতার থেকে জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিও সহজ হবে। একইসঙ্গে জেবিসির মাধ্যমে কাতারের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই ও কিউবিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও কাতারের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সেবা ও অন্যান্য শিল্প খাতে বাণিজ্য কার্যক্রম জোরদারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল।
এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই উভয়ই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও পরিষেবা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উপকৃত হবে। পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসায়িক তথ্যের আদান-প্রদান, সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করাসহ অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেবিসি।
এছাড়া উভয় পক্ষই বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ বৈঠক আয়োজন করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজনে এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই সাব-কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করতে পারবে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করেনি।
তবে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে সকাল থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
কোকা-কোলা বাংলাদেশকে কিনে নিল তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক
দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে উপস্থিতি জোরদারে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের চুক্তি সই করেছে তুরস্কের কোকা-কোলা ইসেক (সিসিআই)।
সিসিআইয়ের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এবং কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) একটি সহায়ক সংস্থার মধ্যে শেয়ার ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সই হয়।
আরও পড়ুন: সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে
চুক্তিটি সিসিবিবির শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের রূপরেখা দেয়, সিসিআইএইচবিভি প্রাথমিক সরাসরি শেয়ারহোল্ডার হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সিসিবিবি বাংলাদেশে কোকা-কোলা কোম্পানির অধীনে ঝকঝকে এবং স্টিল উভয় ব্র্যান্ডের উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিপণনের অন্যতম প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, সিসিআই ১৩০ মিলিয়ন ডলারের এন্টারপ্রাইজ মূল্য থেকে সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির আনুমানিক নিট আর্থিক ঋণ বিয়োগ করে নির্ধারিত ইক্যুইটি ভ্যালুতে (ইক্যুইটি ভ্যালু) সিসিবিবির সম্পূর্ণ শেয়ারহোল্ডিং অর্জন করতে চলেছে।
সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির সুনির্দিষ্ট নেট আর্থিক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি বিস্তৃত সমাপনী নিরীক্ষণের পরে একটি পরবর্তী সমাপনী মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
অধিগ্রহণটি সিসিআইএইচবিভির বিদ্যমান নগদ সংস্থানগুলোর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি সিসিআইয়ের নেট লিভারেজের উপর একটি পরিমিত প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কেবল সিসিআইয়ের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে প্রসারিত করে না বরং উদীয়মান বাজারগুলোতে বৃদ্ধির সুযোগগুলোকে পুঁজি করার প্রতিশ্রুতিকেও জোরালো করে। অধিগ্রহণটি নিয়ন্ত্রক অনুমোদন এবং প্রথাগত বন্ধের শর্ত সাপেক্ষে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের পানীয় শিল্পে একটি প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে সিসিআইয়ের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিসিআইয়ের সিইও করিম ইয়াহি বলেন,‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তি সই করতে পেরে খুবই আনন্দিত, যা আমরা ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার সঙ্গে বাজারে প্রবেশের একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসাবে দেখি। এর মাধ্যমে সিসিআইয়ের মূল ক্ষমতা স্থাপন করে বৃদ্ধি এবং মান উৎপন্ন করা যেতে পারে। এই অধিগ্রহণটি সিসিআইয়ের জন্য আরও বৈচিত্র্যময় ভৌগলিক গুরুত্ব তৈরি করে এবং টিসিসিসির সঙ্গে এর প্রান্তিককরণকে দৃঢ় করে।
আরও পড়ুন: কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়: হাইকোর্ট
২০২৬ সাল পর্যন্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
রপ্তানি খাতে নগদ প্রণোদনা সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘যেহেতু ২০২৬ সাল পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই এটি বজায় রাখা প্রয়োজন।’
সম্ভব হলে কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনা বাড়াতেও তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
৩ ফেব্রুয়ারি এফবিসিসিআই সভাপতি মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি দেন।
এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ ৪৩টি রপ্তানি খাতের নগদ সুবিধা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের এক নম্বর ই-কমার্স ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এর পাশাপাশি গত বছর সর্বোপরি দ্বাদশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলেও, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি সকল ব্র্যান্ডের মাঝে সপ্তম সর্বপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’-এর ১৫ তম আসরে দারাজ এই স্বীকৃতি পায়।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে বাজারে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এ বছর সারাদেশের ১০ হাজার ভোক্তাদের উপর চালানো এক জরিপ অনুসারে দেশের ১৫টি সেরা ব্র্যান্ডকে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ও অবদানের জন্য স্বীকৃতি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
সব গ্রাহক ও অংশীদারদের তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে দারাজ অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে এমন একটি সেক্টরে যেখানে বিশ্বাস নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। এর মাঝেই আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের জন্য সর্বোত্তম গুনমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় মনোভাব। সেরাদের সেরার পুরস্কার পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণার ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে।’
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) তালাত রহিম বলেন, ‘এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য বিনোদনমূলক করার লক্ষ্যে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে। এছাড়াও আগামীর দিনে ই-কমার্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতেও উদ্বুদ্ধ করে।’
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৮ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে আলিবাবার মালিকানাধীনে, দারাজ গত নয় বছরে অসাধারণ ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে ১ দশমিক ৫ কোটিরও বেশি পণ্য রয়েছে যার মাঝ থেকে গ্রাহক তার পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে পারে। এছাড়াও তিন হাজারেরও বেশী রাইডার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৬৪টি জেলায় ২ কোটির অধিক গ্রাহকের কাছে সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত
বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিম্নোক্ত ৩টি শর্তের যে কোনো একটি পূরণ হলে পেঁয়াজের চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে:
- এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে যেসব জায়গার জন্য জাহাজে পেঁয়াজ তোলা হয়েছে।
- শিপিং বিল জমা দেওয়া হয়েছে; পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজ ইতোমধ্যে ভারতীয় বন্দরে এসে নোঙর করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপনের আগে সেগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ার পরেই এ ধরনের জাহাজে লোডিংয়ের অনুমোদন প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
- পেঁয়াজের চালান এই প্রজ্ঞাপনের পূর্বে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে রপ্তানির জন্য চালান কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশকরা পণ্যগুলোর তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণসহ কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
এর আগে ২০ আগস্ট ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
পরে ভারত সরকার ২৯ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে টন প্রতি ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ফিকির নতুন সভাপতি হচ্ছেন জাভেদ আখতার
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৪-২০২৫ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার।
এছাড়া, জৈষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম. ওয়াকার এবং সহসভাপতি হয়েছেন গ্রামীনফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ফিকির ৬০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফিকির ২০২২-২০২৩ মেয়াদের বর্তমান সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন জাভেদ আখতার।
আজ ফিকি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নবনির্বাচিত ১৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে আসছে ফিকি। বিশেষ এ চেম্বারের সভাপতির পদ গ্রহণ করা আমার জন্য একইসঙ্গে অত্যন্ত সম্মানের এবং গভীর দায়িত্ববোধের। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বাংলাদেশেকে বিনিয়োগের বাতিঘরে পরিনত করতে চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে ফিকি এবং ৯০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আনার মাধ্যমে একটি ব্যবসা-বান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার পূর্বসূরি নাসের এজাজ বিজয়কে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত দুই বছরে ফিকির সাফল্যকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে ফিকির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে ফিকিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই।’
শুধুমাত্র চেম্বারের বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরা নয়, বরং ফিকির ভুমিকাকে আরও শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতিতে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করার আশাবাদ জানান তিনি।
ফিকির বর্তমান সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় পরিচালনা পর্ষদের প্রতি তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় এ চেম্বারের নেতৃত্ব দানে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য আমি ফিকির সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গত দুই বছরে চমৎকার এ পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। এছাড়া, ফিকি তার গৌরবময় যাত্রার ৬০ বছর পূর্ণ করায় ২০২৩ সাল ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানান আয়োজনে আমরা এ বর্ষপূতি উদযাপন করেছি।’
তিনি জানান, ‘আমি নবনির্বাচিত সভাপতি, জৈষ্ঠ সহসভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদকে অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি, নতুন বোর্ড স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। নতুন পরিচালনা পর্ষদ আগামী দিনে ফিকিকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।’
এজেএমে ফিকির বিদায়ী এবং নতুন নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’র আয়োজনে ৭-৯ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী নির্মাণ সামগ্রী, নির্মাণ প্রণালী ও সরঞ্জামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সুপ্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘২৮তম বিল্ড বাংলাদেশ ২০২৩’ চলছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘২২তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো ২০২৩’।
একই তারিখে ওয়াটার প্রযুক্তি ও সমাধান সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘৫ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৩’।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন ও নবায়নযোগ্য শক্তির উপর ভিত্তি করে আরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাওয়ার সিরিজ অফ এক্সিবিশন সংশ্লিষ্ট ‘২৫তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৩’, ‘২০তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৩’, এবং ‘৫ম ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৩’।
৭-৯ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী চায়না চিত্র ও ফটো প্রদর্শনী শুরু
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীগুলো, উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও অগ্রগতির এক দারুণ সংযোগস্থল হয়েছে। এতে আমরা নেটওয়ার্কিং, জ্ঞান বিনিময় এবং নতুন অংশীদারিত্ব গঠনের জন্য একটি অবিশ্বাস্য সুযোগ পেয়েছি। যা, প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট পেশাদার, ব্যবসায়ী এবং উদ্ভাবকদের নিজ সেক্টরে অগ্রসর হতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।’
মেহেরুন এন. ইসলাম বলেন, ‘বহুমাত্রিক শিল্পক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীগুলো বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী। একাধারে নির্মাণ ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, প্রদর্শনীগুলো একটি ফলপ্রসূ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যের প্রসারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (আরপিই অ্যান্ড ডি) ড. মো. মিজানুর রহমান এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টেক্সটাইল-গার্মেন্টস-প্রিন্টিং খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে সৌদি আরব থেকে ৩১ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে।
সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আবদুল আজিজ আল ফালিহ এবং ইনভেস্টরস আউটরিচ উপমন্ত্রী বদর ইব্রাহিম আল বদর পৃথকভাবে ঢাকায় এসেছেন।
উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি), সৌদি চেম্বার এবং আরএসজিটিআই, অ্যাকওয়াপাওয়ার, সৌদি এক্সিম ব্যাংক, আল-জোমাইহ এনার্জি অ্যান্ড ওয়াটার, ডেজার্ট টেকনোলজি, ডাটা ভোল্ট, রাসি ইনভেস্টমেন্ট, এসএএল লজিস্টিকস, ফ্লাই ন্যাস, ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন কনট্রাক্টিং, আল-জামিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল, আল-হোরাইশ ফর ট্রেডিংসহ শীর্ষস্থানীয় সৌদি কোম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি নেটওয়ার্কিং সেশন করেন। তারা আজ একটি ব্যবসায়িক সেমিনারে যোগ দেবেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সৌদি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটিআই) লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক বৈঠকে যোগ দিতে সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এই উচ্চ পর্যায়ের সফরের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।
সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। তবে আগের মাসের (অক্টোবর) তুলনায় বেড়েছে।
সোমবার (৪ ডসেম্বর) প্রকাশিত ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আয় করেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
তৈরি পোশাকের (আরএমজি) চালান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি কমেছে। আরএমজি সেক্টর নভেম্বরে ৪ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিটওয়্যার সাবসেক্টরে পোশাকের চালান বিশেষভাবে কমে গেছে। গতমাসে যা ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের চেয়ে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। ওভেন পোশাক থেকেও আয় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে, চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ সালের ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সামগ্রিক রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রধান খাতগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া বাকি সব খাতে রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত খাবার অন্তর্ভুক্ত; চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটজাত পণ্য; কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১.৪৭%