আন্তর্জাতিক-ব্যবসা-বাণিজ্য
দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ এক্সিভিশন-২০২৩ এর পর্দা উঠল
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এক বিশেষ বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চায়না এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সহযোগিতায় বাংলাদেশে চীনের দূতাবাস এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
তিন দিনের প্রিমিয়াম প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ১৫টি চীনা কোম্পানি, যাদের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সদর দপ্তর বাংলাদেশে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের বাজারে কাজ করছে এমন প্রায় ২০টি অন্যান্য বড় চীনা কোম্পানি এবং বেশ কয়েকটি বড় বাংলাদেশি কোম্পানি ও ব্যাংকও এতে অংশ নিচ্ছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন সিইএবি-এর প্রেসিডেন্ট কে চাংলিয়াং।
এ ছাড়াও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান, অতিরিক্ত সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উইং চিফ মো. আনোয়ার হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইয়ের (এবিসিএ) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ এবং বিসিসিআইয়ের সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তোজা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য চায় চীন
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ, যেটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ যোগদান করে। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে যাতে বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা যায়। এ ছাড়া চীন ও বাংলাদেশি কোম্পানির সহযোগিতার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার আসন্ন ৭৪তম বার্ষিকীতে একটি উপহার উপস্থাপন করা।’
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৩ দশমিক ৭৭ ডলারে মোট ৫৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সমন্বিত একটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৪ দশমিক ৯০ টাকা করে মোট ৬৭৪ দশমিক ৩৫ কোটি টাকায় আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
সিসিজিপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি থেকে ১২৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন (এমটি) এসপি সার আমদানি করবে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদেন থেকে ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
সিসিজিপি (১) দোহওয়া, কোরিয়া (২) এসএমইসি ইন্টারন্যঅশনাল প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া; (৩) প্যান আরব কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, কুয়েত; (৪) এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং (৫) এসিই কনসাল্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ৭২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনারেরপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি রোডের পাণ্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
ক্রমবর্ধমান সুদের হার, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, মুদ্রাস্ফীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাণিজ্য অর্থায়ন সরবরাহের জন্য ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বৈশ্বিক বাণিজ্য আর্থিক ব্যবধান দুই বছর আগে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে রেকর্ড ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রকাশিত ট্রেড ফাইন্যান্স গ্যাপস-২০২৩ এবং গ্রোথ অ্যান্ড জবস সার্ভেতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাণিজ্য আর্থিক ব্যবধান হলো আমদানি এবং রপ্তানি সমর্থন করার জন্য অর্থায়নের জন্য অনুরোধ এবং অনুমোদনের মধ্যে পার্থক্য।
এতে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারির পর শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় ২০২১ ও ২০২২ সালে বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানি যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
জরিপে অনুযায়ী, এই দ্রুত পুনরুদ্ধারের ফলে ট্রেড ফাইন্যান্সের চাহিদা বেড়েছে, তবে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ঝুঁকি অর্থায়নকে আগের চেয়ে সুরক্ষিত করে আরও কঠিন করে তুলেছে।
এডিবি'র প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবুরি বলেন, 'বৈশ্বিক বাণিজ্য অর্থায়নের ব্যবধান এখন ২ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে উন্নীত হয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান ব্যবধান কর্মসংস্থান এবং প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রদানের জন্য বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে দমন করে।’
এই জরিপটি ট্রেড ফিনান্স হেলথের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যারোমিটার। এতে প্রায় ৫০টি দেশের ১৩৭টি ব্যাংক ও ১৮৫টি কোম্পানির তথ্য রয়েছে।
উত্তরদাতারা বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং আর্থিক বাজারের অনিশ্চয়তার কারণে তারা ২০২২ সালে ক্রমাগত সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিক্রিয়াশীল ব্যাংক জানিয়েছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তাদের বাণিজ্য আর্থিক পোর্টফোলিওগুলোকেও প্রভাবিত করেছে।
প্রথমবারের মতো, ২০২৩ সালের বাণিজ্য ব্যবধান জরিপটি প্রাসঙ্গিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং বাণিজ্য আর্থিক ব্যবধানের উপর তাদের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি পরিবেশগত, সামাজিক এবং শাসন (ইএসজি) ইস্যুগুলোতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ ব্যাংক ও কোম্পানি বিশ্বাস করে যে ইএসজি অ্যালাইনমেন্ট সম্ভাব্যভাবে বাণিজ্য অর্থায়নের ব্যবধান হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে।
জরিপে অংশ নেওয়া সংস্থাগুলোর উদ্ধৃত শীর্ষ সরবরাহ চেইন চ্যালেঞ্জটি ছিল অপর্যাপ্ত অর্থায়ন। তারা পর্যাপ্ত অর্থায়ন, নির্ভরযোগ্য সরবরাহ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারকে স্থিতিশীল সরবরাহ শৃঙ্খলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ প্রকল্পে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এডিবি
এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বছরে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি এর তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৫৮বিলিয়ন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
এক পা, দুই পা করে সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নয় বছরে পদার্পণ করল দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মানুষের কেনাকাটার উল্লাসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে দারাজ নিয়ে এসেছে নতুন ক্যাম্পেইন ‘৯-এর উল্লাস’।
অগণিত ক্রেতা ও সহযোগীদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এই ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক আড়ম্বরপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেয়া হয়।
‘এইটা, ঐটা, যেইটা লাগে, সবই কিনুন দারাজ-এ’- স্লোগান নিয়ে এই ক্যাম্পেইনটি শুরু হবে সেপ্টেম্বর ১২ তে, চলবে সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ পর্যন্ত।
ফ্যাশন, বিউটি, মার্ট, মল, হোম এন্ড লিভিং, লাইফস্টাইল, নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসহ দারাজের বিস্তৃত ক্যাটাগরি নিয়ে এই আয়োজনটি করা হয়েছে ক্রেতাদের জীবনযাপনের উপযোগী সকল পণ্য সামগ্রী নিয়ে। যা তাদের দিবে কেনাকাটায় এক ভিন্ন মাত্রা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, গ্রুপ চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লু ইয়াও, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও জনপ্রিয় সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও দারাজের বাণিজ্যিক মুখপাত্রদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
দেশব্যাপী অগণিত শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ দিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই ক্ষণে আমি দারাজের ৯ বছরের যাত্রার কথা স্মরণ করতে চাই। ছোট একটি পরিসর থেকে দেশসেরা ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস হয়ে উঠার গল্পটা অনেক রোমাঞ্চকর।’
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে দারাজ নিজেদেরকে পরিণত করেছে, পেয়েছে আলিবাবার প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিকাল সহায়তা, সঙ্গে দূরদর্শী নেতৃত্বের দক্ষতা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অ্যাপের ব্যবহারকে সহজ করতে সক্ষম হয়েছি আর আমাদের ক্রেতাদের দিয়েছি সর্বোত্তম কেনাকাটার অভিজ্ঞতা। সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
এ প্রসঙ্গে দারাজের গ্রুপ চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লু ইয়াও বলেন, ‘ক্রেতাদের নিত্য নতুন অফার দেওয়ার পাশাপাশি বিক্রেতাদের সব রকমের সহায়তা দেওয়াই আমাদের নবম বর্ষপূর্তির প্রতিশ্রুতি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি আলোকিত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখতে পারি যা দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৯ এর উল্লাসে আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাতে চাই, বর্ষপূর্তির এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের জন্য থাকছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় (নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে), হট ডিলস, ফ্রি ডেলিভারি (নির্ধারিত ক্ষেত্রে), ফ্ল্যাশ সেল, অগণিত নতুন ব্র্যান্ড লঞ্চ, এভরিডে লো প্রাইস, আর্লি বার্ড ভাউচার, মিস্ট্রি বক্স, অ্যাড টু কার্ট সহ আরও অফার। এই অনন্য অফারগুলো আপনার কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে নতুন করে উজ্জীবিত করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাশে থেকে এই যাত্রা উদযাপন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।’
চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, ‘দারাজ সবসময় সমাজকে নিয়ে কাজ করতে চায়। পোস্টঅফিস আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, এর যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং তার উন্নতিকল্পে আমরা কাজ করে থাকি। আমরা আনন্দের সাথে জানাতে চাই, এই বর্ষপূর্তি ক্যাম্পেইনে প্রায় ৫০ টির মত কালেকশন পয়েন্ট চালু হবে যার প্রত্যেকটি হচ্ছে পোস্ট অফিস। আমরা আমাদের দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা দিয়ে পোস্ট অফিসের সঙ্গে একত্রে ক্রেতাদের সর্বোত্তম ডেলিভারি সার্ভিস দিতে পারছি।’
ক্যাম্পেইনটির সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে ইউনিলিভার, রেকিট, নেসলে, নিভিয়া, বাটা, লোটো, ফারনিকম, ইনফিনিক্স বিডি, ওরাইমো, এবং স্পোর্টসহাউস। আর পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে বিকাশ,নগদ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইবিএল যিপ, এইচএসবিসি, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, এন সি সি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্রাক ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় ভারতসহ ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১৮২০ টন, কাতার ১১০০ টন, তুরস্ক ২১১০ টন, মিয়ানমার ২০০টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪টন এবং ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০ আগস্ট থেকে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের পর দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
তা ছাড়া শুল্ক আরোপের পর সারাদেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
গত শনিবার থেকে হঠাৎ করেই ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে। এরফলে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। পরে নতুন শুল্ক দেওয়া হলে আমদানি শুরু হয়।
তবে ভারতের এই নতুন শুল্ক আরোপের কারণে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা কমে গেছে। গত রবিবার বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় পাইকারী বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার আমদানি করা পেঁয়াজের দর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত শনিবার ভারতের এই সিদ্ধান্তের খবরে বন্দরের মোকামে ও খুচরা বাজারে অন্তত কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে শুল্কমুক্তভাবে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এতদিন ভারত সরকারকে কোনো শুল্ক দিতে হয়নি। এখন পেঁয়াজ আমদানি করতে হলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। ফলে প্রতি কেজিতে ১০ টাকার উপরে বাড়তি খরচ হবে। যার ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে বাংলাদেশি টাকায় ৫০ থেকে ৫৬ টাকা পড়বে। এ কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরও বেশি হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
তিনি আরও জানান, আমদানি করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্তের জন্য আমরা আজ সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করিনি।
যেহেতু আগের এলসির পেঁয়াজ সীমান্তের ওপারে এসে আটকে ছিল। তাই ভারতের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শুল্ক দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে। না হলে প্রচন্ড গরমে পেঁয়াজ নষ্ট হতে পারে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, এটা আমাদের জন্য সতর্ক বার্তা। এখন থেকে সরকারকে ভারতের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে হবে। সামনে আরও দাম বাড়বে। ভারত বরাবরই আমাদের সঙ্গে বাণিজ্যের নিয়ম ভঙ্গ করে।
তারা সবকিছুই হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা চাই ভারত সরকার এই শুল্ক প্রত্যাহার করে পেঁয়াজ রপ্তানি স্বাভাবিক রাখবে।
ভারতের হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিকারক অরিন্দম জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছিল। যার ফলে শনিবার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
যা গতকাল রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
কারণ দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক গরম থাকার কারণে পেঁয়াজের মান নষ্ট হওয়ায় ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে সরকার রপ্তানিতে শুল্ক বসিয়ে অভ্যন্তরীণ মজুদ স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, গতকাল রবিবার ভারতীয় ৭টি ট্রাকে দুইশত এগার মেট্রিকটন এবং গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সতেরটি ট্রাকে চারশত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগের চেয়ে এখন কম আমদানি হচ্ছে।
এদিকে শনিবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি অমরিতা টিটুস -এর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতে অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ, মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সহায়তায় সম্প্রতি ‘আস্ক দারাজ’ শীর্ষক একটি এআই চ্যাটবট চালু করেছে।
দারাজ ব্যবহারকারীদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও পার্সোনালাইজড করে তুলতে এই ফিচারটি চালু করা হয়।
যার মাধ্যমে চ্যাটবটে কেনাকাটা বিষয়ক আলোচনা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্যের পরামর্শ পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে দারাজে ৩ কোটির বেশি ক্রেতা রয়েছে, যাদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।
আস্ক দারাজ সার্ভিসটি প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন করবে যা নতুন দারাজ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে সহজে পণ্য খুজে দিতে সাহায্য করবে। যার ফলে ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবে।
জি এস এম এ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ কোটিতে, যা নতুন গ্রাহকদের সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে, এই নতুন মোবাইল গ্রাহকদের অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতার প্রসারে আরও অবদান রাখবে, কারণ এটি নন ই-কমার্স ব্যবহারকারীদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করতে যাচ্ছে দারাজ-ভিসা
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ার্কে মিকেলসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্যিক শক্তি দিয়ে কমিউনিটিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ‘আস্ক দারাজ’ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক কারণ আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নতুন মার্কেট সেগমেন্ট চালু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমাদের মার্কেটগুলোতে ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোন ব্যবহারের হার এবং আমাদের অ্যাপে মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের সাহায্যে তৈরি এই অত্যাধুনিক ফিচারের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও চ্যাটবটের মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট সার্চ করা হবে, ক্রমাগত এর প্রোডাক্ট সাজেশন তত বেশি প্রাসঙ্গিক ও পার্সোনালাইজড হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ই-কমার্স ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তনেও ভুমিকা রাখবে।’
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ টেকনোলজি অফিসার ডায়োমেডিস কাস্তানিস বলেন, ‘মাইক্রোসফট আজুরে ওপেনএআই সার্ভিসের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার রিটেইল খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দারাজ-এর যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স খাতের অন্যতম নাম হিসেবে দারাজ তার ৩০ মিলিয়ন গ্রাহকের কাছে আরও বেশি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তাদের একটি সন্তোষজনক অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত বলে মনে করি। এছাড়াও, ‘আস্ক দারাজ’ ফিচারটি নতুন গ্রাহকদের প্ল্যাটফর্মে আসতে উৎসাহিত করবে। এই পদক্ষেপ খুচরা বিক্রেতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নতুনত্ব আনতে সাহায্য করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গ্রাহকদের একটি পার্সোনালাইজড অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতাও উপহার দিবে।’
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
রুপিতে বাণিজ্য: প্রথম দিনে ৩০টি পিকআপ ভ্যান আমদানি
ভারত থেকে রুপিতে কেনা ৩০টি পিকআপ ভ্যান মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আ. জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
তিনি জানান, বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার নিতা কোম্পানি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরসের কাছ থেকে ১ কোটি ২৪ লাখ রুপিতে এ পিকআপ ভ্যানগুলো কিনেছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরস লি. পিকআপ ভ্যানগুলো রপ্তানি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমদানির পর পিকআপ ভ্যানগুলো বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুলাই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন ২ দেশের বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের ঘোষণা দেয়।
গত ১১ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন ২ দেশের বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আবদুর রউফ তালুকদার ভারতে বাংলাদেশ ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে আগামী সেপ্টেম্বরে 'টাকা-রুপি কার্ড' চালুর সম্ভাবনার কথা জানান।
এই কার্ড দিয়ে দেশে ও প্রতিবেশি ভারতে বিল পরিশোধ করা যাবে।
দেশের আমদানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। তারা প্রতিবেশি দেশ থেকে পণ্য কিনতে রুপিতে এলসি খুলতে শুরু করেছেন। ফলে ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমবে।
ডলারের ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে যাওয়া রোধ করতে সরকার আমদানিবিধি কঠোর করেছে। এক বছর আগের তুলনায় রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
২ দেশের মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের একটি অংশের মূল্য পরিশোধের সুবিধার্থে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে ভারতে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে।
রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে আসা অর্থের তুলনায় আমদানি মূল্যের পরিমাণ বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রুপির মাধ্যমে ভারত থেকে প্রথম চালান আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, রুপিতে পণ্য আমদানি হলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের মাধ্যমে তেল আমদানির নতুন যুগে প্রবেশ করবে দেশ
ভারত থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভি টেস্টের কিট আমদানি
মেলবোর্নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির জন্য সহায়ক নীতির ক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সরকারের চিফ হুইপ জোয়ান রায়ান।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলনে তিনি এ আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সহযোগী পার্টনার ছিল এইচএসবিসি ব্যাংক।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ম্যাট ফ্রেগন এবং এ রাজ্যের বিরোধী দলের বাণিজ্য ও বিনিযোগবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ডেভিড সাউথ উইক।
এ ছাড়াও সম্মেলনে অংশ নেন তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতা, বিক্রেতা, সরবরাহকারী, উন্নয়ন সহযোগী এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের নীতি নির্ধারকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১৩০ জন। সম্মেলনের শুরুতে প্লিনারি সেশন এবং দু'টি প্যানেল আলোচনায় বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্যানেল আলোচনার শিরোনাম ছিল যথাক্রমে ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বাণিজ্য: পরবর্তী দশকের পথ চলার পরিকল্পনা’ এবং ‘টেকসই উপাদান: ভবিষ্যৎ ফ্যাশন সৃষ্টিতে ইএসজির সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পতাকার রঙে সাজল ক্যানবেরা
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অপার সম্ভাবনা ও সরবরাহ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীল সোর্সিং এবং নৈতিক উৎপাদন পদ্ধতিসহ এখাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। সামাজিক পরিবেশ এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আদর্শ ও মানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বিকাশমান ফ্যাশন শিল্পের ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দেন।
এ সম্মেলনে তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক ফলপ্রসু আলোচনার পাশাপাশি তথ্য আদান প্রদান এবং মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে। এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতাদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বাজারের অবদানের উপর আলোকপাত করা হয়। এ ছাড়া দুদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে বাণিজ্যনীতি, বিশেষ করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকালীন সময়ে সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
কেমার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান বেইলি বাংলাদেশের সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্পবিষয়ক তথ্য উপাত্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার উপর জোর দেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের কারখানাগুলোকে প্রথম স্তরে উন্নয়নের বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।
এইচএসবিসি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী অ্যান্টনি শঁ বাংলাদেশের শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এইচএসবিসি গর্ববোধ করে এবং ভবিষ্যতে এ অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও প্রকৃতির উপর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য সামগ্রীর সর্বশেষ সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয় যাতে বাংলাদেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে সক্ষমতার ছাপ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর