%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
নারী এশিয়া কাপ: বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত, ছিটকে গেল বাংলাদেশ
সিলেটে টানা বৃষ্টিতে মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় নারী এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের কাছে একটাই পথ ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারানো। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে ম্যাচ মাঠেই গড়ায়নি। ফলে নিগার সুলতানা ও তার দল টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিল।
বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এর মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে গেল ঘরের মাঠে বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: ভারতকে ১৩ রানে হারাল পাকিস্তান
এর আগে সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শোচনীয়ভাবে হারে বাংলাদেশ। সাত ওভারে ৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে থাইল্যান্ড।
এর আগে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: সিলেটে পৌঁছেছে ৬ দল, আজ আসছে ভারত
নারী এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল থাইল্যান্ডের মেয়েরা
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
দামামা বাজছে আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এর। আগামী ১৬ অক্টোবর এ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যাশিত উৎসবটির উদ্বোধনের অপেক্ষায় এখন গোটা পৃথিবী। যাদেরকে ঘিরে এই অনুষ্ঠানের এতো আবেগ-উৎকন্ঠা, সেই ১৬টি দলের মধ্যেও পুরোদমে চলছে প্রস্তুতির তোড়জোড়। সুপার ১২ পর্বের আটটি দলের তালিকায় ইতোমধ্যে নিজের নামটি উঠিয়ে নিয়েছে গর্বিত বাংলাদেশ। পুরো সুপার ১২ জুড়ে বাংলাদেশের একে একে খেলা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ বি বিজয়ী, ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু এই ক্রিকেট লড়াইয়ে বাংলাদেশের অবস্থানটা ঠিক কোথায়? চলুন, বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা জেনে নেয়া যাক।
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এ বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলা টাইগারদের টি-২০ বিশ্বকাপের এই অষ্টম আসরে যাত্রা শুরু হবে আগামী ২৪ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডে গ্রুপের রানার্স-আপ দলের বিপক্ষে হোবার্টের ব্যালেরিভ ওভালে নামার মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি ) কর্তৃক নির্ধারিত বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট স্কোয়াডে থাকছে তিন জন ব্যাট্সম্যান, দুজন উইকেট কিপার, পাঁচ জন অল রাউন্ডার এবং পাঁচ জন বোলার। অভিজাত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য থাকছেন বিশ্বমানের অল রাউন্ডার শাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান। ১৫ সদস্যের বাইরে অপেক্ষমান হিসেবে দলের সফর সঙ্গী হবেন সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন এবং মেহেদি হাসান।
মূল বিশ্লেষণে যাবার আগে চলুন এক নজরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এবারের স্কোয়াডটি দেখে নেয়া যাক।
সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নুরুল হাসান, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন এবং নাসুম আহমেদ।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
শক্তি (Strength)
অস্ট্রেলিয়ায় পেস বোলিং পিচের জন্য মুস্তাফিজ, তাসকিন, সাইফুদ্দিন, এবাদত এবং হাসানের বোলিং অর্ডারটা বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেডের মত পিচের জন্য রীতিমত বুদ্ধিদ্বীপ্ত নির্বাচন বলা যেতে পারে। সুপার ১২ পর্বের দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য ব্যাপারটি খুব আশ্চর্যজনক না হলেও, এ কথা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশ দ্রুত গতি বোলিংয়ে দক্ষ হয়েছে।
অন্যদিকে, স্পিনারদের সংখ্যা লঘিষ্ঠতাটি পূরণ করে দিতে পারে অলরাউন্ডাররা। নাসুম, মিরাজ এবং শাকিবের সমর্থনে, আফিফ এবং মোসাদ্দেক বেশ ভালো স্পিন বুহ্য তৈরি করতে পারে।
এশিয়া কাপ স্কোয়াডের অন্যতম স্পিনার ছিলেন হলেন মাহেদী হাসান। কিন্তু এবার ১৫ তে তিনি জায়গা করে নিতে পারেননি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোচ শ্রীরামের মতে নাসুম এবং মেহদির মাঝে অনায়াসেই অদল-বদল করা যায়। এবারো সে সুযোগ থাকায় নিদেনপক্ষে অফ-স্পিন নিয়ে বাংলাদেশকে তেমন মাথা ঘামাতে হবে না।
তাছাড়া বিশাল সাপোর্ট হিসেবে সাকিব তো থাকছেই। এবারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি সাকিব আর মুস্তাফিজু। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য চড়াই-উৎড়াই থাকলেও, দলে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অল-রাউন্ডার থাকা মানে এক বিরাট নির্ভরতা। যে কোন সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন ব্যাট ও বল উভয় হাতেই ম্যাচজয়ী এই ক্রিকেটার। অধিনায়কত্বের চাপ সামলিয়ে নিজের সেরাটা উপহার দিতে পারলে তিনি একাই যথেষ্ট সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সাকিবের মতো মুস্তাফিজও বল হাতে ম্যাচজয়ী। তার মাঝারি পেস বোলিংয়ের নৈপুণ্যে তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে দেখতে অভ্যস্ত তার ভক্তরা। এছাড়া তার কম ডেলিভারি দেয়া দ্রুত গতির বলগুলোও বেশ বিধ্বংসী হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় পিচে বল হাতে মুস্তাফিজের ঝলসে ওটা শুধু দর্শকদের জন্যই নয়; দলের জন্যও দারুণ চমক হতে পারে। সম্প্রতি কয়েকটি ম্যাচে তার যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমিরা এও বুঝে গেছে যে যেকোন পরিস্থিতিতে দল তার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে।
সাইফুদ্দিন, মেহেদি ও আফিফরা ফুল ফর্মে থাকায় শাকিবের নেতৃত্বে চমৎকার কোয়াড্রুপলেট তৈরি হতে পারে ব্যাটিং ও বোলিং দুই ইনিংসেই। পাওয়ার প্লেতে তাদের সাম্প্রতিক বোলিং ও ব্যাটিং আক্রমণগুলো বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
দুর্বলতা (Weakness)
মেধা বা অভিজ্ঞতা; বাংলাদেশের এর কোনটার কমতি আছে বলা হলে ভুল হবে। সাব্বির, মিরাজ, আফিফ, মোসাদ্দেক, লিটন দাস, তাসকিন আর এবাদতকে অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ একাদশে দেখা যাচ্ছে। তাই বেশ তরুণ হলেও তাদের কেউই অনভিজ্ঞ নন। তবে সমস্যা হলো এ দীর্ঘ সময়ে তাদের পারফরম্যান্স এখনো নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে দাঁড়ায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই অসংলগ্নতা বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরায়ত সঙ্গী।
প্রতিবারই দুর্দান্ত সূচনাকারি খেলোয়াররা নানা ধরনের আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সৃষ্টি হয়েছে ফুলেল সম্ভাবনার। অথচ এই সম্ভাবনাগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ পারফরম্যান্সে রূপান্তর হয়নি। আগে বলা হয়েছিল তাদের অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। কিন্তু সেই অজুহাত এখন দেয়া যাবে না, কারণ তারা বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যেকেরই নামের পাশে দুয়েকটি সেরা ম্যাচ থাকছে, কিন্তু সেগুলোকে ছাপিয়ে সামনের খেলাগুলোতে তারা অধিক ভালো করা তো দূরে থাক; বিগত পারফরমেন্সটিই ধরে রাখতে পারছে না। ফলে ম্যাচ জিততে এখনও নির্ভর করতে হচ্ছে শুধু শাকিব ও মুস্তাফিজের ওপর।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাদের ব্যাটিং অর্ডার। মুলত দলের প্রয়োজনের সময় টিকে থাকতে না পারলে পাহাড়সম স্ট্রাইক রেট কোনো কাজে আসে না। পাশাপাশি টাইগারদের স্পিনার ভীতি আছে। তাই তারা অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় বড় বাউন্ডারির সুবিধা নিতে পারবে না।
এশিয়া কাপ মিস করায় অস্ট্রেলিয়ায় টুর্নামেন্টের জন্য নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৫ জনের দলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিং অর্ডারে তার দুর্দান্ত রেকর্ড নেই। আর সর্বসাকূল্যে ৯টি টি-২০ তে তার সংগৃহীত রানের গড় ১৮ দশমিক পাঁচ, যেখানে একটিও ৫০শের বেশি স্কোর নেই।
নুরুল হাসান এবং ইয়াসির আলী মিডল-অর্ডারে যোগ হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের কাছে ওপেনিং অর্ডারে বিকল্পের অভাব পড়ছে। নাজমুল অথবা এশিয়া কাপের সময়ের ন্যায় মিরাজ লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করতে পারে। কিন্তু তাতে নির্ভরযোগ্য কোনো ইনিংসের সূচনা হবে কিনা তা দেখার বিষয়।
নাজমুল বেশ ভালো বিকল্প, কিন্তু এশিয়া কাপে বাদ পড়ার কারণে বাংলাদেশের শীর্ষ একাদশে তার অবস্থানটা একটু নড়বড়ে হতে পারে। আর মূল স্কোয়াডের বাইরে থাকায় ওপেনার সৌম্য সরকারের কথা ভাবার কোনো অবকাশই নেয়।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সম্ভাবনা (Opportunity)
সাম্প্রতিক মাসের ম্যাচগুলোর কথা ধরা হলে দল হিসেবে বাংলাদেশ খুবই হতাশাজনক। তাদের জিম্বাবুয়ে সফরের অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল এবং আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ফিরে আসাটা খুব ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড রাখেনি। সেই হিসেবে অবশ্য এবারে বিশ ওভারের বিশ্বকাপে সুপার ১২ স্টেজে তালিকাভুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য বিরাট পাওয়া।
কিন্তু দর্শকদের আকস্মিক চমকে দেয়াটা বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। বরঞ্চ বাংলাদেশের বর্তমান দলটি সেই চমক দেয়ার জন্য পুরোদস্তুর ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। খেলার ফরম্যাট যখন ২০-২০, তখন আকাশচুম্বী স্ট্রাইক রেট আর বলের ভেল্কিতে ব্যাট্সম্যানকে ধরাশায়ী করাটাই আসল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
হুমকি (Threat)
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স ধস হয়েছে তার একটি প্রধান কারণ হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব। মাঠে নামাকালীন তাদের বিভ্রান্তিকর চেহারা শুধু তাদের ভক্তদেরই কষ্ট বাড়ায় না, অপর পক্ষের সমর্থকদেরও বুঝিয়ে দেয় যে তারা হয়ত চমকপ্রদ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছে না। এছাড়া সমসাময়িক খেলাগুলোতে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাড়তে থাকা জটিলতা এই সমস্যাগুলোকে আরও বেগবান করেছে।
বর্তমান সময়কার তাদের স্পিন বোলিংয়ের রেকর্ডগুলো ক্রমেই অবদমিত হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক মানসিকতায় বাংলাদেশিদের নিজের জায়গায় শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। এ অবস্থায় বিশাল রানের টার্গেট তাদের ব্যাটিং অর্ডার সুসজ্জিত থাকলেও নিমেষেই ভেঙে গুড়িয়ে যেতে পারে।
আশা করা হচ্ছে যে তাসকিন, মুস্তাফিজ এবং সাইফুদ্দিন শীর্ষ একাদশে থাকবেন আর এই থাকাটা অবশ্যই তারা নিজের সেরাটা দিয়ে আরও মজবুত করবেন। কিন্তু তাদের কাছাকাছি সময়ের আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ইনিংসগুলো তেমন ভালো আশা দেখায় না।
আর বাংলাদেশি পেসারদের অস্ট্রেলিয়ার পিচ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। তবে পৃথিবী কাঁপানো কিছু পাওয়ার হিটারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
পরিশিষ্ট
গত ৫ অক্টোবর এই বিশ্বনন্দিত স্পোর্টস ইভেন্টটির জন্য বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডও ঠিক হয়ে গেলো। এবার শুধু মাঠে নামার পালা। ২০-২০ ওভারের দুই ইনিংসে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি এও ঠিক যে সারা পৃথিবীর কোটি জোড়া চোখ তাকিয়ে এই ২২ গজের মঞ্চে। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বহুজাতির বিশ্বকাপ চলছে, সে চাপটিকেও সুনিপুনভাবে সামলানোর গুরুদায়িত্বটা পালন করতে হবে টাইগারদের। ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণের নির্যাসে যে কথাটি উঠে আসে তা হচ্ছে পুরোনো অভিজ্ঞতাকে ছাপিয়ে যেতে হলে দলের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত ভূমিকা অবধারিত।
আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম পরাজয়ের পর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে তাদের উন্নতি করতে হবে।
এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় হারের পর বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও সোহানের সুর মিলিয়ে বলেন, ‘আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী দলগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু যখন টি-টোয়েন্টির কথা আসে তখন বাংলাদেশকে এমন একটি দল মনে হয় যাদের কী করা উচিত সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে মনে হয়।
ম্যাচ শেষে সাকিব সম্প্রচারককে বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম বটে কিন্তু আমরা তাদের মানসম্পন্ন স্পিনারদের সামলাতে পারিনি এবং কোনো ম্যাচে কোনো গতিও পাইনি।
আশ্চর্যজনকভাবে দলের সেরা তিন ব্যাটার ব্ল্যাকক্যাপদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরির জন্য যা করা প্রয়োজন ছিল তা করতে পারেনি এবং তারপরও সাকিব ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে নামেন। এর কারণ কী হতে পারে? সাকিব জানান, ইনিংসের মাঝপথে ডানহাতি-বামহাতির সমন্বয়ের জন্য তিনি এমনটা করেছিলেন।
সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিং এমন একটি অন্যতম ক্ষেত্র যেখানে আমাদের উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে এবং সেটা নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। দুটি ম্যাচ হারলে নিজেদের শক্তি ধরে রাখা কঠিন, কিন্তু বিশ্বকাপ আসছে, তাই পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব
গত দুই বছরে ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও স্থায়ী ওপেনিং জুটি নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি থেকে তামিম ইকবালের অবসরের পর সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে।
সাম্প্রতিক ম্যাচে বাংলাদেশ পরীক্ষামূলক ওপেনিং জুটি হিসেবে মেহেদী হাসান ও সাব্বির রহমানকে মাঠে নামিয়েছে। নতুন অবস্থানে এখন পর্যন্ত ভালো করছে মেহেদী। কিন্তু সাব্বির এরই মধ্যে প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রকৃতপক্ষে তার কাছে দেয়ার মতো তেমন কিছু নেই। এখন, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে এনেছে। অথচ এই ফরম্যাটে জায়গা পাওয়ার মতো কিছুই করেননি তিনি।
সামগ্রিকভাবে, বিশ্বকাপ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করার জন্য একটি পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসানদের দেয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আট উইকেট ও ১৭ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে কেন উইলিয়ামসনের দল।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
কিউদের হয়ে ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৫১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩০ রান করেন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে শরিফুল ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে।
দলের পক্ষে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। এছাড়া নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ২৫ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ইস সোধি দুটি করে উইকেট নেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি ২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
নিউজিল্যান্ডকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আট উইকেটে ১৩৭ রান করেছে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। এছাড়া নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ২৫ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ইস সোধি দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২২-আইসিসি-পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ:-ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটি দলের জন্য শেষ প্রস্তুতির সুযোগ।
বাংলাদেশের একাদশে আজ তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। একাদশে ফিরেছেন বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একটি পরিবর্তন করেছে, ব্লেয়ার টিকনারের পরিবর্তে অ্যাডাম মিলনে দলে ফিরেছেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ:-পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজ:-টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে টাইগাররা।
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটি দলের জন্য শেষ প্রস্তুতির সুযোগ।
বাংলাদেশের একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। একাদশে ফিরেছেন বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একটি পরিবর্তন করেছে, ব্লেয়ার টিকনারের পরিবর্তে অ্যাডাম মিলনে দলে ফিরেছেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, জেমস নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ইস সোধি, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম মিলনে
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম
পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
নারী এশিয়া কাপ: ভারতকে ১৩ রানে হারাল পাকিস্তান
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সময় ঘনিয়ে এসেছে আইসিসি ২০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের। নয়নাভিরাম দ্বীপদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে বিশ্বনন্দিত এই স্পোর্টস ইভেন্টের অষ্টম আসর। ২০২১ এর ১৫ নভেম্বর আইসিসি থেকে ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ভেন্যু নিশ্চিত করা হয়। আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়াই এবার আয়োজন করবে পুরো ইভেন্টটি। ১৬ অক্টোবর, ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট উৎসব। আজকের নিবন্ধটিতে এই ভেন্যুগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার সাথে সাথে আইসিসি পুরুষ টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি সম্বন্ধেও আলোচনা করা হবে।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের ৭টি ভেন্যু
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন
ধারণ ক্ষমতা: ১,০০,০২৪
১৮৫৩ সালে নির্মিত এমসিজি বা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম এবং গোটা বিশ্বে ১০তম বৃহত্তম স্টেডিয়াম। এটি একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ স্টেডিয়াম, যা অস্ট্রেলিয়ান খেলাধুলার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হয়ে আছে। এমসিজি-তে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচটি খেলা হয় ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৮৫৬ সালের মার্চ মাসে প্রথম আন্তঃ-ঔপনিবেশিক ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভিক্টোরিয়া ও এনএসডব্লিউ (নিউ সাউথ ওয়েলস)।
এমসিজি টেস্ট ক্রিকেট (১৮৭৭) এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের (১৯৭১) জন্মস্থান। এছাড়া এএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালের জন্য সব সময় এই ভেন্যুটি নির্ধারিত থাকে। ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক গেমস এবং ২০০৬ এর কমনওয়েলথ গেমস সহ বিভিন্ন বড় আন্তর্জাতিক স্পোর্ট্স ইভেন্ট ও কনসার্টের আয়োজন করেছে এমসিজি।
আরও পড়ুন: আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
নারী এশিয়া কাপ: ভারতকে ১৩ রানে হারাল পাকিস্তান
থাইল্যান্ডের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর শুক্রবার সিলেটে চলমান নারী এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ছয় উইকেটে ১৩৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে। দলের পক্ষে নিদা দার ৩৭ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ৩২ রান করেন।
ভারতের হয়ে দীপ্তি শর্মা তিনটি ও পূজা ভাস্ত্রকার দুটি উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: সিলেটে পৌঁছেছে ৬ দল, আজ আসছে ভারত
জবাবে ভারতের অধিকাংশ ব্যাটাররা ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিচা ঘোষ ১৩ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন দয়ালান হেমলথা।
শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৪ বলে ১২৪ রানে অলআউট হয় তারা।
পাকিস্তানের হয়ে নাশরা সান্ধু চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিনটি এবং সাদিয়া ইকবাল ও নিদা দুটি করে উইকেট নেন।
এই পরাজয় সত্ত্বেও চার ম্যাচে তিন জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত। পাকিস্তান একই পরিমাণ পয়েন্ট অর্জন করলেও রান রেটে ভারতের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয়েরই চার পয়েন্ট। তবে ভালো রান রেটের কারণে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যথাক্রমে চার এবং দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ এবং ছয় নম্বরে রয়েছে। মালয়েশিয়া এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেও কোনও পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল থাইল্যান্ডের মেয়েরা
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের
ত্রিদেশীয় সিরিজ: পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে শুক্রবার পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৬৮ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো না হলেও দুই উইকেটে ৮৭ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশে। এরপর বাকি ছয় উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০১ রান।
ক্রাইস্টচার্চের এ ম্যাচে বাংলাদেশ জেতার মতো অবস্থায় ছিল না। টাইগারদের নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের জন্য অনুমেয় ফলাফলই দেখতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বাংলাদেশ দলের পরীক্ষামূলক ওপেনিং জুটি মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান ২৬ বলে ২৫ রান যোগ করেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের হাতে শিকার হওয়ার আগে মেহেদি ১১ বলে ১০ রান করেন।
১৪ রান করতে মেহেদির চেয়ে সাত বল বেশি খেলেন সাব্বির। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের উইকেট নেন হারিস রউফ। রউফের ছোঁড়া বল সাব্বির লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে একটু আগেই ব্যাট ঘুরিয়ে বলারের হাতেই বল পাঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে আসা নিয়ে সাব্বির আবারও প্রশ্ন করার জায়গা তৈরি করলেন।
আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তৃতীয় উইকেটে তারা ৫০ রান যোগ করলেও জুটি ভেঙে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়তে হয় বাংলাদেশকে।
পরপর দুই বলে লিটন ও মোসাদ্দেককে সরিয়ে দেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। নুরুল হাসান ছয় নম্বর উইকেটে খেলতে নেমে ৯ বলে মাত্র আট রান করেন।
ইয়াসির আলি ২১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে হ্যারিসের বলিংয়ে আলি ২০ রান করলেও পরাজয় ঠেকাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
পাকিস্তানের হয়ে ওয়াসিম জুনিয়র তিনটি ও নওয়াজ দুটি উইকেট নেন।
এর আগে,ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ৭৮ রান পাকিস্তান বাংলাদেশের ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট এনে দিতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে শুক্রবার ঢাকা ছাড়বে টাইগাররা
মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেটের বিনিময়ে আট ওভারে ৯০ রান দেন। এদিকে, ম্যাচটিতে তাসকিন আহমেদ ছিলেন অসাধারণ। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তিনি।
টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বলে ২২ রান করা বাবরকে সরিয়ে দেয়ার আগে রিজওয়ান ও বাবর আজমের ৫২ রানের ওপেনিং স্থায়ী ছিল।
পাকিস্তানের তিন নম্বর উইকেটে শান মাসুদ ২২ বলে ৩১ রান করেন। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের শিকার হন তিনি।
উইকেটের একপাশে রিজওয়ান শক্ত অবস্থানে থাকলেও অপরপাশ থেকে বাংলাদেশ উইকেট পাচ্ছিল। ম্যাচের অর্ধেক যেতে না যেতেই বাংলাদেশ হায়দার আলী (৬), ইফতিখার আহমেদ (১৩) ও আসিফ আলীর (৪) উইকেট নিজেদের দখলে নিয়ে আসে।
রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে শনিবার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
নারী এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল থাইল্যান্ডের মেয়েরা
সিলেটে চলমান নারী এশিয়া কাপে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে চার উইকেটে হারিয়েছে থাইল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি থাইল্যান্ডের প্রথম জয়।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১১৬ রানের মাঝারি মানের স্কোর করে পাকিস্তান। ওপেনার সিদরা আমীন ৬৪ বলে ছয় চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন।
থাইল্যান্ডের পক্ষে সোর্ননারিন টিপ্পোচ দুটি এবং থিপাচা পুত্থাওং একটি উইকেট নেন।
থাইল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন ন্যাথাকান চান্থাম। তিনি ৫১ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৬১ রান করেন।
ম্যাচটি শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নেয় পাকিস্তানের বোলাররা। তবে মাত্র এক বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় থাইল্যান্ড।
নিদা দার এবং তুবা হাসান দুটি করে উইকেট শিকার করলেও হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
চলমান এশিয়া কাপে এটি ছিল পাকিস্তানের তৃতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। তিন ম্যাচে তিনটি জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় নারী দল।
শ্রীলঙ্কাও তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতে জয়লাভ করেছে। বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলে একটি জিতেছে। আজ দুপুরে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের