ক্রিকেট
প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ওভার রেট, ভারতকে গুনতে হল জরিমানা
প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ওভার রেটের কারণে দলটিকে তাদের ম্যাচ ফি’র ৮০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
সোমবার বিকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচ রেফারিদের এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলের রঞ্জন মাদুগাল সময় বিবেচনায় গত খেলায় ৪৬ ওভার করতে চার ওভার পিছিয়ে থাকায় এই জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী সময়ের বিচারে প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশের ইনিংসের সিংহভাগ ম্যাচে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও, ভারত শেষ পর্যন্ত এক উইকেটে পরাজিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের কারণে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
সাকিব পাঁচ ও এবাদত চারটি উইকেট নেন। অন্যদিকে মেহেদীর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে। কারণ হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট, প্রয়োজন ৫১ রান। এই লক্ষ্যকে তাড়া করেই জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।
অন্যদিকে ভারতের হয়ে মোহাম্মদ সিরাজ তিন উইকেট নিলেও হারের স্বাদ নিতে হয়।
সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় ৭ ডিসেম্বর এবং চট্টগ্রামে ১০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতকে ১ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতকে ১ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১ উইকেটের কাঙ্খিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ও দৃঢ়তায় আর সাকিব আল হাসানের বোলিং এ ধরাশায়ী হয়েছে ভারত।
১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩৬ রানেই ৯ম উইকেট হারায় টাইগাররা। তখনও প্রয়োজন ৫১ রান। উইকেটে তখন মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজকে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রেখে পারতপক্ষে সিঙ্গেল না নিয়ে মিরাজ আজ খেলেন এক অতিমানবীয় ইনিংস। আজকের ম্যাচের জয় স্বাগতিকদের সিরিজে এগিয়ে রাখবে।
২৭ বলের ব্যবধানে ১২৮ থেকে ১৩৬ পর্যন্ত রানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল। ৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের জন্য এই জয় তাই অপ্রত্যাশিত ছিল।
কিন্তু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে স্বাগতিকদের স্মরণীয় জয়ে নেতৃত্ব দেন মিরাজ ও মুস্তাফিজুর।
মিরাজ ৩৯ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজও।
১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৯৫ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে শুরুটা মন্থর করে। লিটন দাস টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৩ বলে ৪১ রান করেন, আর নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম বলেই আউট হন।
এরপর বিজয় ও অধিনায়ক লিটন ২৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
তবে বিজয় তার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি, অবশেষে ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন। ২৯ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের দ্বিতীয় শিকার সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম টাইগারদের পথ দেখালেও ৬৯ বলে ৩৩ রান যোগ করতে সক্ষম হন তারা।
তাদের অতি-ধীরগতির ব্যাটিং বাংলাদেশকে বড় সমস্যায় ফেলেছিল। ৩৫ তম ওভারের শেষ বল এবং ৩৬ তম ওভারের প্রথম বলে এই অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার আউট হলে চাপ আরও বেড়ে যায়।
এরপর আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে একটা জুটির আশা করছিল সমর্থকেরা।
আফিফ হোসেন ৬ রানে অভিষেককারী কুলদীপ সেনের বলে আউট হয়ে গেলেও শেষ বিকালে ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখান মিরাজ।
তিনি সাহসিকতার সঙ্গে তার লক্ষ্যে অবিচল থাকেন এবং বলতে হবে ভাগ্য আজ তার সাহসের পক্ষে ছিল। কারণ ভারতীয় উইকেটরক্ষক যখন মেহেদীর একটি ক্যাচ মিস করেন, এটিই ছিল বাংলাদেশের জয়ের টার্নিং পয়েন্ট ।
মিরাজের এই লাইফের কল্যাণেই বাংলাদেশ আজ ৪৬ ওভারেই ১৮৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবং অবশেষে এক উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায়।
১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। কুলদীপ ও ওয়াশিংটনও দারুণ বোলিং পারফরম্যান্স দেখান এবং প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে কারিশমা দেখায় তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে তার প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতীয় ব্যাটারদের কেউ লাইনের ভেতর থেকে সাকিবের মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করেন, কেউ লাইনের বাইরে চলে যান। কিন্তু সাকিবের দক্ষ বোলিং মোকাবিলা করা তাদের জন্য সহজ ছিল না।
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব তার প্রথম ওভারেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং তাদের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেন।
সাকিব আজ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপকে শাসন করেন এবং তার সপ্তম ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে ওডিআইতে ভারতের বিরুদ্ধে সেরা বাঁহাতি স্পিনারের পারফরমেন্সের রেকর্ড করেন।
এর মধ্যদিয়ে সাকিব সাবেক ইংলিশ স্পিনার অ্যাশলে গাইলসকে ছাড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং ইনিংসের রেকর্ড গড়েন।
২০০২ সালে দিল্লিতে ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন গাইলস।
সাকিব একটি সোজা ডেলিভারি দিয়ে রোহিতকে অবাক করে দিয়ে তার উইকেট তুলে নেন। ৩১ বলে ২৭ রান করে ফেরেন রোহিত। একই ওভারে সাকিবের আরেকটি বলে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত ওয়ানডে অধিনায়ক লিটন দাস তার ডানদিকে লাফিয়ে পড়ে বিরাট কোহলির উইকেট শিকারে সাহায্য করেন। এই অবিশ্বাস্য ক্যাচটি মিরপুরের দর্শকরা বহু বছর মনে রাখবে। বিরাট স্পষ্টতই লিটনের অসাধারণ ফিল্ডিং দক্ষতায় বিস্মিত হয়েছিলেন। অবশেষে ১৫ বলে ৯ রান করে ঘরে ফেরেন কোহলি।
ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন ৪৭ রানে ৪টি উইকেট নেন। যা তার সংক্ষিপ্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা।
বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে শুধুমাত্র লোকেশ রাহুল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তিনি ৭০ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রান করেন।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে ভারত অল-আউট হয়েছে।
মিরপুরের মাঠে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট ভারতীয় দলকে নাস্তানাবুদ করে। ওয়ানডেতে সাকিবের এটি চতুর্থবার পাঁচ উইকেট শিকার।
সাকিব তার প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উইকেট নেন। এরপর থেকে সাকিবের আক্রমণ চলতেই থাকে। সপ্তম ওভারে তিনি আবারও দু’টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
সাকিবের বলে বাকি যে তিনটি উইকেটের পতন হয়- ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর ও দীপক চাহার। মাত্র ছয় ওভার ৪ বলেই তিনি এই কৃতিত্ব দেখান।
এর আগে সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’টি ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি পাঁচটি করে উইকেট নেন।
ভারতীয় ব্যাটারদের সাকিবের স্পিন দক্ষতায় বেশ কঠিন সময় পাড় করতে হয়েছে। অন্যদিকে এবাদত হোসেন চারটি উইকেট নিয়েছেন। আর একটি উইকেট নেন মেরাজ।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া সুযোগ পেয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ লিটন
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রবিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে লিটন দাস বাংলাদেশের ১৫তম ব্যক্তি হিসেবে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব শুরু করেন। কুঁচকির ইনজুরির কারণে নেতৃত্ব দেয়া থেকে পিছিয়ে গেলেন বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
এক বছরেরও বেশি সময় পর ঢাকায় এটাই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া সুযোগ পেয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ লিটন
এই ম্যাচে তিন পেসার হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেনকে মাঠে নামিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
ভারতের হয়ে অভিষেক হচ্ছে ডানহাতি পেসার কুলদীপ সেনের। এ পর্যন্ত ১৩টি লিস্ট-এ ম্যাচে তার ২৫ উইকেট রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত ৩৬টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়, যার মধ্যে ভারত ৩০টিতে ও বাংলাদেশ মাত্র পাঁচটিতে জয়লাভ করে। একটি ম্যাচ ছিল ফলাফল শূন্য। যা স্বাভাবিকভাবেই দল দুইটির মধ্যে বেশ ব্যবধান প্রমাণ করে। তবে এর আগে প্রেস মিটিংয়ে বলেন যে বাংলাদেশের মাটিতে খেলা হলে বাংলাদেশ দল বেশ শক্তিশালী হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।
বাংলাদেশ একাদশ:
লিটন দাস (অধিনায়ক), এনামুল হক, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও ইবাদত হোসেন।
ভারত একাদশ:
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দর, শাহবাজ আহমেদ, শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার, মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ সেন।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্ব দিবে লিটন
ওয়ানডেতে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত।
সাত বছর পর একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ফিরছে ভারত। এরআগে ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে শেষ লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছিল বাংলাদেশ । বহুল প্রত্যাশিত এই সিরিজটি তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় দলই তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত।
ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল এবং পেসার তাসকিন আহমেদের অনুপস্থিতি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। যদিও ভারতকেও তাদের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামিকে ছাড়াই খেলতে হবে। যা তাদের পেস আক্রমণকে দুর্বল করবে বলেই ভাবা হচ্ছে।
কিন্তু ব্যাটিং লাইন আপে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার উপস্থিতি তাদের প্রধান শক্তি।
বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের ওপর অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, যিনি অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম দায়িত্বের সাক্ষর রেখে যেতে চাইবেন।
আরও পড়ুন: ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে ভারত
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান গত বছর একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। একটি সেঞ্চুরি ও চারটি হাফ সেঞ্চুরি সহ ১০ ম্যাচে ৬২ গড়ে ৫০০ রান করেছেন।
২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে ভারতের বিরুদ্ধে তার একটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। যার ফলে সিরিজের ওপেনার হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ওপরও এবার প্রত্যাশা অনেক বেশি হবে। কারণ তিনি ২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিষেক ওয়ানডে সিরিজে দু’টি পাঁচ উইকেট রেকর্ড করেছিলেন। যা টাইগারদের ভারতের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছিল।
ভারতের হয়ে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ডানহাতি ব্যাটারের তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন,‘আমি মনে করি এটি বরাবরের মতোই একটি উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজ হতে চলেছে। তারা খুবই চ্যালেঞ্জিং দল এবং তাদের হারাতে আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
রোহিত আরও বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উত্তেজনাপূর্ণ।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে গত সাত থেকে আট বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল ব্যাপক উন্নতি করেছে এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা সহজ নয় এবং সফল হতে তাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘এই সিরিজ নিয়ে আমরা উত্তেজিত। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিপক্ষে আমরা কঠিন ক্রিকেট খেলেছি। তারা আমাদের আন্ডারডগ হিসেবে বিবেচনা করবে না, যা আমাদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা।’
ইতোমধ্যে আসন্ন দ্বিপক্ষীয় সিরিজের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। টিকিট ছাড়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সমস্ত টিকিট শেষ হয়ে গেছে।
ভক্তরা পরের ম্যাচের (৬ ডিসেম্বর) টিকিট মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারবেন।
রবিবার সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ও তৃতীয় ম্যাচটি একই ভেন্যুতে ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া সুযোগ পেয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ লিটন
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্ব দিবে লিটন
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া সুযোগ পেয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ লিটন
রাজধানীর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন ডানহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটার লিটন দাস।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন।
তিনি তার অধিনায়কত্বের প্রথম অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেছেন।
তারপরও প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পাওয়া নিয়ে তার উচ্ছ্বাস স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে দেশের পক্ষে অধিনায়কত্ব করার। ‘আমি এই সুযোগের জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি সত্যিই নতুন দায়িত্বের জন্য উন্মুখ।’
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্ব দিবে লিটন
বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে লিটনকে অধিনায়ক ঘোষণা করার পর সমর্থকরা প্রশ্ন তোলেন-গত এক বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে তিনি যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, সেই একই মানের পারফরম্যান্সের ধারা তিনি বজায় রাখতে পারবেন কিনা।
গত এক বছরে তিনি ১০টি ওডিআই খেলেন এবং ৬২ দশমিক পাঁচ গড়ে ৫০০ রান সংগ্রহ করেন। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যাটারের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ স্কোর।
লিটন চাপ সামলে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে তার স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে ভালো করেছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের তুলনায় ভালো দল হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
লিটনের কাছে ভারতকে বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হতে পারে, কারণ নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে খেলার বাইরে রয়েছেন। বাংলাদেশের পেস আক্রমণের ভরসা তাসকিন আহমেদও এই সিরিজে অনিশ্চিত। তাই দু’জনের শূন্যস্থান পূরণের পথ খুঁজতে হবে লিটনকেই।
বাংলাদেশের নতুন এই অধিনায়ক তামিম ও তাসকিনের অনুপস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি আশাবাদী যে যারা দলে জায়গা পেয়েছেন তারাও ভালো ক্রিকেট খেলতে সক্ষম।
লিটন বলেন,‘ আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জয়।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর ওয়ানডে দলে ফিরে আসা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সমর্থনে অধিনায়কত্বের চাপ কমানো যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী লিটন।
আগামী বছর ভারতে আসন্ন আইসিসি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ এই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের বিপক্ষে তাদের প্রস্তুতি শুরু করতে বদ্ধপরিকর।
বিশ্বকাপে তাদের যাত্রা শুরু করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও লিটন এই সিরিজটিকে প্রথম ধাপ হিসেবে মেলে ধরা এবং তাদের খেলাকে ঝালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বেশি মনোযোগী।
লিটন বলেন, ‘বিশ্বকাপ এখন অনেক দূরে। ‘আমাদের সবসময় উন্নতি করার জন্য কিছু ক্ষেত্র আছে। আমাদের ধারাবাহিকতার সঙ্গে ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা যদি ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ভালো খেলতে পারি, তবে এটি আমাদের দক্ষতাকে আরও শাণিত করবে এবং আমাদের পারফর্মেন্স উন্নত করতে সাহায্য করবে।’
লিটনকে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ওয়ানডে সিরিজে তার প্রত্যাশা কী- জানতে চাইলে তিনি হেসে চাতুর্যতার সঙ্গে উত্তর দিলেন,‘একটি ট্রফি হলে দুর্দান্ত হবে; আর কিছুই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না।’
আরও পড়ুন: ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে ভারত
বিসিএল ওয়ানডে শুরু ২০ নভেম্বর
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্ব দিবে লিটন
ভারতের বিপক্ষে ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন প্রথম সারির ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
২৮ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০১৫ সালে অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে ৫৭ ওয়ানডেতে ১৮৩৫ রান করেছেন। কুঁচকির আঘাতের কারণে বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দল থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার পর এই দায়িত্বটি অর্পণ করা হয়েছে।
বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘লিটন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং নেতৃত্বের গুণাবলী দেখিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: স্টোকসের নেতৃত্বে শিরোপা জয়ী ইংল্যান্ড
জালাল আরও বলেন, ‘তার একটি তীক্ষ্ণ ক্রিকেটিং মন আছে এবং খেলাটি ভালভাবে উপলদ্ধি করে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে চোটের জন্য তামিমকে হারানোটা খুবই দুঃখজনক। বিশেষ করে তার অধিনায়কত্বে দল গত কয়েক বছরে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। এই ফরম্যাটে সে আমাদের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান। তাকে মিস করা হবে। কিন্তু আমরা এটাও মনে করি যে লিটনের ক্যাপ্টেন হিসাবে ভালো কাজ করার গুণ রয়েছে।’
তামিমের পাশাপাশি তাসকিন আহমেদও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন। তবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য তাকে পাওয়া যেতে পারে।
ডিসেম্বর মাসের ৪ ও ৭ তারিখ প্রথম দুটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তৃতীয়টি হবে ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড:
লিটন দাস (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে ভারত
বিসিএল ওয়ানডে শুরু ২০ নভেম্বর
ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে ভারত
স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
গত সাত বছরে বাংলাদেশের মাটিতে এটিই হবে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে ভারত ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল ২০১৫ সালে। সেবার বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে ২-১ ফলাফলে সিরিজ জয়লাভ করে।
৩৬টি ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে। যার পাঁচটিতে জয়লাভ করে এবং একটি ফলশূন্য ছিল।
আরও পড়ুন: বিসিএল ওয়ানডে শুরু ২০ নভেম্বর
এই সিরিজে ভারতের দলের নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা ও সহ-অধিনায়ক থাকবেন লোকেশ রাহুল।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে ঢাকায় ৪ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয়টি একই ভেন্যুতে ৭ ডিসেম্বর। আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
ওয়ানডে সিরিজের পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম টেস্টটি ১৪ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় ও শেষটি ২২ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়ানডের জন্য ভারতীয় দল
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রজত পতিদার, শ্রেয়াস আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠী, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ আহমেদ, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, মোহাম্মদ শামি, মোহাম্মদ সিরাজ, দীপক চাহার ও কুলদীপ সেন
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: স্টোকসের নেতৃত্বে শিরোপা জয়ী ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: ইংল্যান্ডের টার্গেট ১৩৮
বিসিএল ওয়ানডে শুরু ২০ নভেম্বর
বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণ ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে।
মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবারের আসরে মোট চারটি দল অংশ নেবে বলেও জানানো হয়।
২৭ নভেম্বর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ছাড়া সব ম্যাচ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি দল অন্যদের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচে মুখোমুখি হবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে লড়াই করবে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল: প্রথমে ব্যাট করছে পাকিস্তান
মঙ্গলবার মিরপুরে খেলোয়াড় বাছাইয়ের খসড়া পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপী এই আসরে জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় অংশ নেবেন। এই ইভেন্টের পর বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলবে।
১ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে ভারতীয় দলের।
ঢাকায় ওয়ানডে ম্যাচ ৪, ৭ ও ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামে ১৪ ডিসেম্বর এবং শেষ টেস্ট ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: স্টোকসের নেতৃত্বে শিরোপা জয়ী ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: স্টোকসের নেতৃত্বে শিরোপা জয়ী ইংল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে জিতেছে ইংল্যান্ড লায়ন্স।
ম্যাচের শেষ পাঁচ ওভারে ৪০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে পাকিস্তান তাদের প্রধান বোলারকে হারায়।
মাঠ ছাড়ার আগে শাহীন আফ্রিদি তার প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১৩ রান দেন। তিনি তার তৃতীয় ওভার বল করতে নেমে মাত্র ১ বল করেই হাঁটুর ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ইফতেখার আহমেদ সেই ওভারের শেষ পাঁচটি বলে ১৩ রান দেন এবং তখন থেকেই পাকিস্তান ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড পাঁচ উইকেট ও এক ওভার খেলতে নেমে ম্যাচ শেষ করে। বেন স্টোকস টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে লায়ন্সদের পথ পরিষ্কার করেন। ৫২ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৬ সালের ফাইনালে ২৪ রান ডিফেন্ড করতে না পারার জন্য স্টোকস একটি দুর্দান্ত সুযোগ মিস করেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেনের সেই দুঃস্বপ্নের ছয় বছর পর স্টোকস আজ মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পথ দেখালেন।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: ইংল্যান্ডের টার্গেট ১৩৮
ইংল্যান্ড এখন প্রথম ও একমাত্র দল যারা একই সময়ে সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে।
এর আগে টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড।
বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়।
ইংল্যান্ডের স্পিডস্টার স্যাম কুরান চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পান। ফাইনালে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের শীর্ষে ছিলেন তিনি।
আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডানও বল হাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারিয়েছিল, এবং মুহাম্মদ হারিসও খুব শিগগিরই সাজঘরে ফেরেন। ইনিংসের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ স্লো মনে হচ্ছিল।
স্যাম কুরান কুরান রিজওয়ানের প্রথম উইকেট নেন এবং রশিদ পরবর্তীতে হারিস ও বাবরের উইকেট তুলে নেন।
বাবর তার হাতের কারিশমা দেখাচ্ছিলেন, কিন্তু আদিল রশিদের একটি গুগলিতে তিনিও সাঁজঘরে ফেরেন। ২৮ বলে ৩২ রান করে মাছ ছাড়েন বাবর।
বাবরের আউটের পরে ম্যাচ টেনে নেয়ার দায়িত্ব ছিল ইফতেখার আহমেদ ও শান মাসুদের ওপর। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন শান মাসুদ। ১টি ছয় ও ২ চারে ২৮ বলে ৩৮ রান করেছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
তবে বেন স্টোকসের বলে শূন্য রানে ফিরে যান ইফতেখার।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল: প্রথমে ব্যাট করছে পাকিস্তান
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচ লাইভ, সম্ভাব্য একাদশ