ক্রিকেট
ত্রিদেশীয় সিরিজ: দুর্দান্ত দলীয় প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরে ট্রফি তুলল পাকিস্তান
শুরু থেকেই তারা ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের ফেভারিট দল। দাবার শেষ চালে ঠিকই দলটি গুরুত্বপূর্ণ চালে নিজেদের ঘরে ট্রফি তুলেছে। বুঝতেই পারছেন বলা হচ্ছে পাকিস্তানের কথা।
ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার তিন বল হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জয়ী হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফির স্বাদ গ্রহণ করল পাকিস্তান। এই সিরিজে পাকিস্তান মাত্র একবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। কিন্তু সে হারই ফাইনালে শেষ পর্যন্ত নিজেদের স্নায়ু শক্ত রাখতে ভূমিকা রাখে।
সিরিজ জিততে পাকিস্তানকে তাড়া করতে হয়েছে ১৬৪ রানের লক্ষ্য। ওপেনিং জুটিতে তাদের ঝুলিতে আসে ২৯ রান। ধীরগতির এই রান সংগ্রহে কিছুটা নিরাশার পথ দেখালেও নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানেই ছিল পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
বাবর আজম ১৪ বলে ১৫ রান করে প্রথম উইকেটের শিকার হন। অন্যদিকে ওপেনিং জুটির মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। উভয়ই ফাইনালের আগের দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
প্রয়োজনের সময় হায়দার আলীর ১৫ বলে ৩১ রান দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে নওয়াজ ও হায়দার মাত্র ২৬ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচটিকে অনেকটাই পাকিস্তানের অনুকূলে নিয়ে আসে।
ষষ্ঠ উইকেটে নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ ২০ বলে ৩৬ রান করে ম্যাচের ইতি টানেন। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেয়ার টিকনারের ছোড়া বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে জয়সূচক ছয় হাঁকেন ইফতিখার। তিনি ১৪ বলে ২৫ রান করেন।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের কেউই ৪০ রান করতে পারেনি। তবে বড় লক্ষ্য তাড়া করার দলীয় প্রচেষ্টা দেখেছে ক্রাইস্টচার্চ।
পুরো সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানো নিউজিল্যান্ডের মাইকেল ব্রেসওয়েল ফাইনালে দুটি উইকেট পান। তবে পরাজয় এড়াতে তার চেষ্টা যথেষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
এর আগে, টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৩৮ বলে ৫৯ রান নিউজিল্যান্ড সাত উইকেটে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তানকে।
প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনার ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসিম শাহের শিকার হওয়ার আগে তিনি তিনটি চার মেরে ছয় বলে ১২ রান করেন। অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়েও ফাইনালে বড় রান করতে পারেননি।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাসিম ও হারিস রউফ।
অস্ট্রেলিয়ায় চলতি মাসে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের আগে এই জয় নিশ্চিতভাবেই এশিয়ান জায়ান্টদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশের সম্ভাব্য সেরা একাদশ
আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে জয় পেলেও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চার ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। ফলে খেলোয়াড়দের সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিচেনায় টিম টাইগারদের প্রস্তুতি পরিকল্পনা মতো হয়নি বলা যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২-এর জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ তৈরি করতে দলটিকে অবশ্যই তাদের শক্তির দিকে নজর দিতে হবে।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের সেরা একাদশ
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের একাদশে কয়েকজন খেলোয়াড়ের জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে কয়েকজনের মধ্য থেকে বাছাই করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ফাস্ট বোলারদের জন্য সহায়ক হবে। সে কারণেই সঠিক পেস বোলিং ইউনিট বাছাই করা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া দলে কতজন স্পিনার থাকা আদর্শ হবে সেটাও তাদের বের করতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওপেনিং জুটি বাছাই করা যারা বাংলাদেশকে একটি ভালো শুরু এনে দিতে পারে। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পছন্দের একাদশ কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে একটি ধারণা নেয়া যাক।
টপ অর্ডার
সদ সমাপ্ত দুটি আন্তর্জাতিক সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করা খেলোয়াড়দের ওপর ভিত্তি করে অন্তত পাঁচটি বিকল্প রয়েছে। বিশ্বকাপের মূল দলে আছেন লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাব্বির রহমান। অন্যদিকে স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য সরকার।
শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেনারদের মধ্যে লিটন দাস সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত ৬ ইনিংসে ১৪০.৪২ স্ট্রাইক রেটে ১৮০ রান করেছেন। ওপেনার হিসেবে দলে তার জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত।
এখন সবচেয়ে বড় কথা হল লিটনের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে সবচেয়ে ভালো সুযোগ কার। চার ম্যাচে অফ-স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে মিরাজ আশানুরূপ ভালো করতে পারেন নি। তিনি চার ম্যাচে ১০৮.৯৫ স্ট্রাইক রেটে ৭৩ রান করেছেন। মিরাজ কখনই একজন স্বীকৃত ওপেনার ছিলেন না, তাই তাকে ওপেনার হিসেবে বাছাই করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
অন্য তিন ব্যাটারের মধ্যে সাব্বির রহমানের সর্বনিম্ন ৮৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে তিন ইনিংসে মাত্র ২৬ রান করেছেন। এছাড়া সৌম্য সরকারের ১২৮.৫৭ এবং নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রাইক রেট বরাবর ১০০। দ্রুত এবং বাউন্সি পিচে সৌম্যর স্ট্রোক খেলার ক্ষমতা বিবেচনায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন দাসের সাথে ইনিংস শুরু করার জন্য তিনি আদর্শ হতে পারেন। নাজমুল হোসেন ও সাব্বির রহমান দু’জনেই মাঠে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখিয়েছেন।
তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে প্রথমে স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে সৌম্য সরকারকে বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাট করার সম্ভাবনা রয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের।
পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন
মিডল অর্ডার
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের বেশিরভাগই ভালো করছেন না। ব্যাটিং পজিশন ৪ থেকে ৮ এর মধ্যে আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক ম্যাচে অন্যদের তুলনায় সেরা রেকর্ড আফিফ হোসেনের। বাঁ-হাতি আক্রমণাত্মক এই ব্যাটার ১২৪.২১ স্ট্রাইক রেটে ১৫৯ রান করেছেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে কিছুটা আশা দেখিয়েছেন নুরুল হাসান ও ইয়াসির আলি। তাদের ১৩০ এর বেশি স্ট্রাইক রেট রয়েছে। তবে তাদের স্ট্রাইক রেট ১৫০-এ নিয়ে যেতে হবে কারণ উভয় ব্যাটারই ৬ নম্বর এবং ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নামেন।
মোসাদ্দেক হোসেন এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বড় শট খেলার ক্ষমতা রয়েছে এবং তাদের একাদশে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পাঁচজন খেলোয়াড়ের মধ্যে কেউ যদি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয় তবে সাব্বির রহমান মিডল অর্ডারে সুযোগ পেতে পারেন।
লোয়ার অর্ডার
অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পেসারকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে ম্যানজেমন্টে। সাইফুদ্দিন দলে জায়গা পেলে একাদশে আরও দুজন ফাস্ট বোলার নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে পেস বোলিং ইউনিটে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসার তার আগের ৪ ম্যাচে ৭.০৬ ইকোনমি রেটে ৩ উইকেট নিয়েছেন। একাদশে তার খেলা প্রায় নিশ্চিত।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় টাইগারদের প্রাথমিক ম্যাচে হয়তো নাও দেখে যেতে পারে বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। দুই তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলামের মধ্যে যেকোন একজন চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেতে পারেন। হাসান মাহমুদ বিশ্বকাপ দলে থাকলেও স্ট্যান্ডবাই তালিকায় রয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে অংশ নেয়ার জন্য বিসিবিকে প্রথমে মূল দলে শরিফুলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অধিনায়ক সাকিবের দুই স্পিনিং অপশন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। তাকে একজনকে বাছাই করতে হবে এবং মিরাজই প্রথম একাদশে জায়গা পেতে পারেন। তবে কিছু ম্যাচের জন্য নাসুমও ভালো অপশন হতে পারেন।
পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের পছন্দের একাদশ
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ।
উদ্গ্রীব থাকা
অস্ট্রেলিয়ার অপরিচিত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটা খেলোয়াড়দের জন্য প্রথমে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২-এর জন্য একটি কার্যকর একাদশ তৈরি করার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি খেলায় টাইগাররা তাদের সেরাটা দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন
প্রতিটি ম্যাচের হারজিতের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী থাকেন দলনায়ক। খেলার মাঠে জটিল মুহূর্তগুলোতে সিদ্ধান্ত দিয়ে স্কোয়াডের শক্তিগুলো কাজে লাগান তিনি। পাশাপাশি নিজের ভাগের কাজটুকুর প্রতিও তাকে নিরঙ্কুশ খেয়াল রাখতে হয়। টি-২০-এর মত দ্রুততম ক্রিকেট ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কারণ এখানে পুরো ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার ধাক্কাটা আসে প্রতি বল ও ব্যাটে। দলের প্রতিটি খেলোয়ারের সম্মিলিত প্রয়াস স্বাভাবিকভাবেই দলকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। তবে কখনো কখনো একজনের হাতেই পুরো ম্যাচ জয়ের শাতকাহন রচিত হয়। আর সেই একজনটা যদি হয় স্বয়ং দলপতি, তখনি সৃষ্টি হয় ইতিহাস। আজকের নিবন্ধে ২০২২ আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন বাছাই করা হয়েছে, তাদের বিগত জয় এবং নিজ নিজ পারফর্মেন্সের পরিসংখ্যান যাচাই করে।
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ এর শীর্ষ ৬ ক্যাপ্টেন
রোহিত শর্মা | ভারত
অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ২০ ওভারের ম্যাচ জয় এবং ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের পরিসংখ্যানের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় নামটি হচ্ছে মাহেন্দ্র সিং ধনী। তার ৪১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি এখনো স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। ২০০৭ থেকে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করে অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত ৮৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য খেলায় তার সংগ্রহ ছিল গড়ে ৩০.৬১ রান। আর নেতৃত্ব অর্জনের পর থেকে ৪৫টি খেলায় ব্যাট করে তিনি সংগ্রহ করেছেন গড়ে ৩৪.৭১ রান।
আরও পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে তার ভালো দিনগুলোতে তার সমকক্ষ কেউই নেই। চাপ সামলাতে জানা এই ব্যাটসম্যান যে কোন ইনিংসকে বহুদূর টেনে নিয়ে যেতে পারদর্শী। বিরাট কোহলির পর থেকে রোহিতের অধীনে ভারত ৪৫টির মধ্যে জয় পেয়েছে মোট ৩৫টি ম্যাচে। অর্থাৎ জয়ের সংখ্যা শতকরা ৭৭.৭৮ ভাগ। এবার তিনি ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয় হবে।
সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ২০২২ এর ঠিক আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান এ পর্যন্ত ১০৩ ম্যাচে ১২১.৪৯ স্ট্রাইক রেটে ২১৩১ রান করেছেন। বোলিংয়ে ৬.৭১ ইকোনোমির পাশাপাশি ১২২ উইকেট শিকার করেছেন।
সাকিবের নেতৃত্বে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি, বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। তবে সেই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভালো কৌশল কী হওয়া উচিত সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছেন সাকিব।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল ভালো করছে না, ফলে সাকিবের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং বড় দলের বিপক্ষে জয়ের অভ্যাস তৈরি করা। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার একজন স্মার্ট ক্রিকেটার হিসেবে জানেন যে কীভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে অন্যান্য অধিনায়কদের তুলনায় সাকিবকে সম্ভবত খেলোয়াড় হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হবে। তবে বাংলাদেশ যখনই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে তখনই সাকিব তা করেছেন।
বাবর আজম | পাকিস্তান
৫৬টির মধ্যে ৩৪টিতেই জয়; অর্থাৎ জয়ের শতাংশ ৬০.৭১। পরিসংখ্যানটি মধ্যম ক্যাটাগরির জন্য দারুণ একটি রেকর্ড। ২০১৯ থেকে দলের ভার পাওয়ার পর থেকে এই রেকর্ডটাই অর্জন করেছেন বাবর আজম। ২১ শতকে পাকিস্তানের জন্য সেরা উপহার ছিল ২০০৯ এর টি-২০ বিশ্বকাপ জয়।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
কিন্তু ২০১০ এর পর কিছু উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়ের বিদায় গোটা দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০১৬ তে ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখেন আজম। অতঃপর গত ২ বছর ধরে তার অধিনায়কত্বে দলটি মোটামুটি আত্মবিশ্বাসের সাথেই খেলছে। দলের বোলিং সামঞ্জস্যতাকে বাবর খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। হারিস রউফ কোন ওভারে বল করবেন আর কোন ওভারে শাহীন করবে, তা তিনি জানেন। এছাড়া টি-২০ আন্তর্জাতিক র্যাংকিং-এ ৩য় স্থান অধিকার করা তাদের পুনরায় বিশ্বকাপ জয়ের আগ্রহটাকে ন্যায্যতা দিয়েছে।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ৩৩ ইনিংসে বাবরের গড় রান ছিল ৪৯.৬২, যেটি অধিনায়ক হওয়া পর হয়ে যায় ৫১ ইনিংসে ৪১.১১। তাই ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের দিক থেকে একটু শঙ্কা থেকেই যায় এই ডান হাতি ব্যাটসম্যানকে নিয়ে।
অ্যারন ফিঞ্চ | অস্ট্রেলিয়া
স্বল্পদৈর্ঘ্য ম্যাচ জয়ের শীর্ষ তালিকায় ৩য় অবস্থানটিতে রয়েছে এই অসি ক্রিকেটার। ২০১৪ তে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে ৭১টি ম্যাচের ৩৯টিতে জয় পেয়ে তিনি ৫৪.০৫ শতাংশ জয়ের সম্মানজনক অবস্থানটি ধরে রেখেছেন। এছাড়া বর্তমান টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কৃতিত্বটাও এসেছে অ্যারন ফিঞ্চের পরিচালনায়। ব্যাট হাতেও তার জুড়ি মেলা ভার। মাঠ কাঁপানো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি এখনকার সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
২০১১ তে ক্রিকেটের ভূবনে অবতরণ করে অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৭ ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন গড়ে ৪০.১৮ রান। কিন্তু নেতৃত্ব দানের সময় ৭১ ইনিংসে তার গড় রান দাড়ায় ৩২.৫৫। এই ধারাবাহিকতায় স্বাভাবিক ভাবেই তার রানের গ্রাফটা আরো অধ্বঃগামী হওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি মার্কি ইভেন্টের ইতিহাস পুরো বিশ্ববাসীকে একদম ভিন্ন ছবি দেখিয়েছে। আর এই অফুরন্ত সম্ভাবনাটি নিশ্চয়তায় রূপান্তর হবে, যদি তিনি টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ স্টেজে অস্ট্রেলিয়াকে একটি শক্তিশালী সূচনা এনে দিতে পারেন।
কেন উইলিয়ামসন | নিউজিল্যান্ড
অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে টেস্ট খেলোয়াররা খেলার এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ তাদের কাছে নাকি টি-২০ মাত্রার পাহাড়সম স্ট্রাইকিং রেট সৃষ্টির দক্ষতা নেই। তাদের এই ধারণাকে শক্ত হাতে বাউন্ডারির ওপারে নিক্ষেপ করেছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
২০১১ তে ক্রিকেটে পদার্পণ করার পরের বছরেই পুরো দলের দায়িত্ব পেয়ে যান। একজন সাধারণ অল রাউন্ডার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম বছরটিতে তিনি ১৬ ইনিংসে ৩২.৪৬ গড় রান সংগ্রহ করেছিলেন। আর বোলিংয়ে রান দিয়েছিলেন গড়ে ৫০। এরপর অধিনায়কত্বের দীর্ঘ ১০ বছরে ৬১ ইনিংসে সংগৃহিত ৩২.১৩ এবং বোলিংয়ে প্রদানকৃত ১৬ রানের গড় ধরে রেখেছেন। উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডের জন্য এখন একজন নির্ভরযোগ্য ক্যাপ্টেন।
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচও হারল বাংলাদেশ
বিগত টি-২০ বিশ্বকাপে ব্ল্যাক ক্যাপদের ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তার দীর্ঘ নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড ৬১টি খেলায় ৩১টিতে জয়ের মুখ দেখেছে। অর্থাৎ জয়ের সংখ্যা ৫০.৮২ শতাংশ, যেটি এবারের শিরোপা জয়ের নিমিত্তে কোন ভাবেই উপেক্ষনীয় নয়।
দাসুন শানাকা | শ্রীলঙ্কা
২০১৫ থেকে ক্যারিয়ারের শুরু; ২০১৯ এ দলপতি হওয়া, অতঃপর মোট নেতৃত্ব দেয়া ম্যাচের অর্ধেকটিতে দলকে জয় এনে দেয়া। এই বৃত্তান্ত এই সময়কার স্বনামধন্য অল রাউন্ডার দাসুন শানাকার। ক্যাপ্টেন হওয়ার আগের ৪ বছরে নিজেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়েছেন শানাকা। ৩৯ ইনিংসে রানের গড় ১৫.৩৮ আর বোলিংয়ে রানের গড় সীমাবদ্ধ রেখেছেন ২০.৬৪-এ। পরিসংখ্যানটি আহামরি না হলেও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর তার রানের গড় বেড়ে হয়েছে ২৮.৮২ (৩১ ইনিংসে)। দুভার্গ্যজনকভাবে বোলিংয়েও গড়টা বেড়ে ২৮.১১ হয়েছে।
কিন্তু তার বোলিংয়ে আছে ম্যাচের ভাগ্য বদলানোর যাদু। পাওয়ার প্লের সময় বোলিং করেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে তিনি ভারসাম্য ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। এবারের এশিয়া কাপে সবাই যখন ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ব্যস্ত, তখন সবার অলক্ষ্যে সুকৌশলে তিনি লঙ্কানদের এনে দিলেন এশিয়া কাপের শিরোপা। শুধুমাত্র এই আত্মবিশ্বাসটাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার আধাআধি জয়ের পাল্লাটাকে ইতিবাচক দিকে ভারী করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
শেষাংশ
আইসিসি টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই সুপার খেলোয়াররা বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকবেন। যুক্তির মাপকাঠিতে সংখ্যার ভবিষ্যদ্বাণী কখনো বিফলে যায় না। কিন্তু এরপরেও ক্রিকেট যুদ্ধের এক বিশাল বলয় জুড়ে রয়েছে অদৃষ্ট। ভাগ্যের বিভ্রমে খেলার মাঠে যে কোন কিছুই ঘটে যেতে পারে। সেই দিক থেকে টি-২০ আন্তর্জাতিক র্যাংকিং-এ ২য় অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ডের নতুন ক্যাপ্টেন জস বাটলারকেও ছোট করে দেখা যাবে না। ঠিক যেভাবে একদমই মুছে ফেলা যাবে না টাইগার দলনেতা বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম।
শেষ ম্যাচও হারল বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এক বল ও সাত উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৬ বলে ৬৯ এবং বাবর ৪০ বলে ৫৫ রান করেন। এছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ শেষ দিকে ২০ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ দুটি উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে লিটন দাস ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে ৪২ বলে ৬৯ এবং অধিনায়ক সাকিব সাতটি চার ও তিনটি ছয়ে ৪২ বলে ৬৮ রান করেন।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে নাসিম শাহ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে চার ম্যাচেই হারল বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: লিটন-সাকিবের ব্যাটে পাকিস্তানকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
লিটন-সাকিবের ব্যাটে পাকিস্তানকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে লিটন দাস ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে ৪২ বলে ৬৯ এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সাতটি চার ও তিনটি ছয়ে ৪২ বলে ৬৮ রান করেন।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে নাসিম শাহ ও ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবাদত হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ দলে ফিরেছেন।
ইতোমধ্যে টানা তিন ম্যাচ হেরেছে ফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। ফলে আজকের ম্যাচটি দু’দলের জন্যই নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
পড়ুন: ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবাদত হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ দলে ফিরেছেন।
ইতোমধ্যে টানা তিন ম্যাচ হেরেছে ফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। ফলে আজকের ম্যাচটি দু’দলের জন্যই নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
অপরদিকে পাকিস্তান দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। শাহনওয়াজ দাহানির জায়গায় একাদশে ফিরেছেন মোহাম্মদ হাসনাইন।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), বাবর আজম (অধিনায়ক), শন মাসুদ, শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ, হায়দার আলী, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন
পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
বাংলাদেশের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
উভয় পক্ষকে আদালতে হাজির হতে বলে আদালত। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
এর আগে একই দিনে(বুধবার, ১২ অক্টোবর) মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিল কিউইরা
ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৪৮ রানে হারল বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বুধবার বাংলাদেশকে ৪৮ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
২০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৭০ রান করেন। এছাড়া লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ২৩ রান করে করেন।
কিউইদের হয়ে এডাম মিলনে তিনটি এবং টিম সাউদি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে স্বাগতিক দল। দলের পক্ষে ডেভন কনওয়ে ৪০ বলে ৬৪ এবং গ্লেন ফিলিপস ২৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সাইফুদ্দিন ও এবাদত দুটি করে এবং শরিফুল একটি উইকেট শিকার করেন।
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেও হেরেছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিল কিউইরা
ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
বাংলাদেশকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিল কিউইরা
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বুধবার বাংলাদেশকে ২০৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে স্বাগতিক দল। দলের পক্ষে ডেভন কনওয়ে ৪০ বলে ৬৪ এবং গ্লেন ফিলিপস ২৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সাইফুদ্দিন ও এবাদত দুটি করে এবং শরিফুল একটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এই ম্যাচে সৌম্য সরকারকে বাংলাদেশ একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার সর্বশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার জন্য মেহেদি হাসান মিরাজকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের পরিবর্তে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও এবাদত হোসেন একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের একাদশেও তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেন উইলিয়ামসন, ব্লেয়ার টিকনার এবং মিচেল স্যান্টনারের পরিবর্তে মার্টিন গাপটিল, ট্রেন্ট বোল্ট এবং অ্যাডাম মিলনে একাদশে যুক্ত হয়েছেন।
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।
পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
ত্রিদেশীয় সিরিজ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ৩ পরিবর্তন
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচে সৌম্য সরকারকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার সর্বশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তার জন্য মেহেদি হাসান মিরাজকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের পরিবর্তে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও এবাদত হোসেন একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের একাদশেও তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেন উইলিয়ামসন, ব্লেয়ার টিকনার এবং মিচেল স্যান্টনারের পরিবর্তে মার্টিন গাপটিল, ট্রেন্ট বোল্ট এবং অ্যাডাম মিলনে একাদশে যুক্ত হয়েছেন।
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম
নিউজিল্যান্ড একাদশ: ডেভন কনওয়ে, ফিন অ্যালেন, মার্টিন গাপটিল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, জেমস নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট
পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত, ছিটকে গেল বাংলাদেশ
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ